সদরুল আইন, বিশেষ প্রতিবেদক :
গাজীপুরের শ্রীপুরে চলমান ডিজিটাল ভূমি জরিপে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আইনী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন ভূমি অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব মো: আশরাফ হোসেন।
আজ(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সম্মেলণ কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে তিনি উপস্থিত ভূমি মালিকদের নানাবিধ সমস্যা শোনেন এবং এ ব্যাপারে সরকারে আইনী পদক্ষেপসমুহের আলোকে সমাধান প্রদান করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুল মালেক,এবিএম সামসুল আলম, হারুন অর রশিদ,মোবারক হোসেন, আলতাফ হোসেন, মাহবুব আলম এবং উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রেহেনা আকতার।
এছাড়াও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি, হুমায়ূন কবির হিমু,পৌর আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক নূরে আলম মোল্লাসহ, বন বিভাগের কর্মকর্তা,পৌর কাউন্সিলর হাজী কামাল মাহমুদ,মহিলা কাউন্সিলর বুলবুলিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ভূমি মালিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জরিপ কাজে নিয়োজিত সকল সার্ভেয়ারবৃন্দ।
চলমান ডিজিটাল জরিপে মাঠ পর্যায়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে করনীয় সম্পর্কে সরকারের আইনী প্রক্রিয়াসমুহ বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।কোন জমি ব্যক্তির নামে,কোন জমি জেলা প্রশাসনের নামে এবং কোন ধরনের জমি বন বিভাগের নামে রেকর্ড করা হবে তার সুস্পষ্ট আইনী ব্যাখ্যা প্রদান করেন উপ সচিব আশরাফ হোসেন।
এসময় উপজেলা আ.লীগের সভাপতি তার বক্তব্যে বন বিভাগের জুলুম নির্যাতন, হয়রানি, মিথ্যা মামলার চিত্র তুলে ধরে এর প্রতিকার দাবি করেন।তিনি বন বিভাগের জমি আগে বুঝিয়ে দিয়ে জনগনের জমির রেকর্ড পরে করার দাবি জানান।তিনি বলেন বন বিভাগের লাগামহীন দৌরাত্মে আ.লীগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।নির্বাচনের বছরে তাদের অত্যাচারের প্রভাব পড়ছে সরকারের উপর এবং গাজীপুর-৩ আসনের এমপি ইকবাল হোসেনের ভাবমূর্তি তারা পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করছে।তিনি এর দ্রুত প্রতিকার দাবি করেন।
জবাবে উপসচিব বনকর্মকর্তাকে কোনগুলো তাদের জমি তার আইনী ব্যাখ্যা,চিহ্নিতকরণের রেকর্ড দাবি করলে বন কর্মকর্তা অক্ষমতা প্রকাশ করে নির্বাক দাড়িয়ে থেকে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।
তিনি জরিপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জনহয়রানী না করতে বনবিভাগকে পরামর্শ ও নির্দেশ প্রদান করেন।একই সাথে ফরেস্ট এ্যাক্টের কোন জমি ব্যক্তির নামে কোনগুলো বনের নামে ও জেলা প্রশাসনের নামে রেকর্ড করা হবে তার বিশদ আইনী নির্দেশনা প্রদান করেন সার্ভেয়ারদের।
এছাড়াও ভূমিহীন, অন্য কোন জমি নেই অথচ ঘরবাড়ি করে বসবাস করছেন এমন ব্যক্তিদের জমি সরকার নির্দেশিত পরিমানে তাদের নামে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।