Logo
শিরোনাম

টানা দরপতনের মুখে পুঁজিবাজার

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দেশের পুঁজিবাজারে টানা কয়েক দিনের দরপতনের মুখে এই বাজারে জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মঙ্গলবার এক জরুরি বৈঠকের পর পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে এই অর্থ ছাড় করেছে।

এছাড়া দরপতন ঠেকাতে শেয়ারের মূল্য পতনের নতুন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই সীমা অনুযায়ী, কোনো শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ দুই শতাংশ কমানো যাবে এবং বাড়ানো যাবে ১০ শতাংশ পর্যন্ত।

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব সিদ্ধান্তে সাময়িক লাভ হতে পারে। কিন্তু কেন এখন শেয়ারবাজার অস্থির হয়েছে, সেই কারণগুলো চিহ্ন করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

তবে গত দু'দিনে দরপতন ঘটে বড় ধরনের।

তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই ঢাকা শেয়ার বাজারে সূচক আগের দিনের তুলনায় এক দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে যায়।

১০০ কোটি টাকার জরুরি বিনিয়োগ
এই দরপতনের মুখে সার্কিটব্রেকারে পরিবর্তন এনে বলা হয় যে কোনো শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ দুই শতাংশ কমানো যাবে এবং বাড়ানো যাবে ১০ শতাংশ পর্যন্ত।

কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার ফলে মঙ্গলবার পরের দিকে সূচক কিছুটা বেড়েছে। চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারেও একই ধরনের অস্থিরতা ছিল।

এই পরিস্থিতি সামলাতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এক জরুরি বৈঠক করে ১০০ কোটি টাকা দ্রুত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

কমিশনের একজন কমিশনার ড: শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শেয়ারবাজার স্বাভাবিক করতে তারা এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন।

কিছু গুজবের কারণে কয়েক দিন ধরে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সেখান থেকে উত্তরণের জন্য এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে তাদের শেয়ার কম দামে বিক্রি করে দিয়ে অন্য কারো লাভের সুযোগ সৃষ্টি না করে, সেজন্য আমরা প্রথমত শেয়ারের মূল্য পতনের নতুন সীমা ঠিক করে দিয়েছি, বলেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ড. আহমেদ।

এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা আইসিবিকে দিয়েছে। আইসিবি এই অর্থ এখন শেয়ারবাজারে ব্যবহার করবে।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আহমেদ উল্লেখ করেছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আগে শেয়ারবাজারে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কতটা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে-এনিয়েও কমিশন বুধবার বৈঠক করবে।

পুঁজিবাজারে বার বার অস্থিরতার কারণ কী
তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, কর্তৃপক্ষের এসব পদক্ষেপে সাময়িকভাবে বাজারে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ইয়াওয়ার সাঈদ বলেছেন, অস্থিরতার আসল কারণ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া না হলে বার বার একই পরিস্থিতি হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, এর আগে ২০১৩ সালে বাজারে অস্বাভাবিক দরপতন হলে তখন থেকে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগকারীদের ঋণ দিয়ে আসছে। এই ঋণ নির্ভরতাকে সাঈদ অস্থিরতার বড় কারণ হিসাবে দেখেন।

এই বিশ্লেষকের মতে প্রথম কারণ- প্রকৃত বিনিয়োগকারী যারা নিজেদের সঞ্চয়ের অর্থ নিয়ে আসে, তাদের সংখ্যা কম। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর একটা বড় অংশই ঋণ নির্ভর, তারা মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করছেন। ফলে বাজার পড়ে গেলে এই ঋণ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক তৈরি হয়।

এটি বাজারে সঙ্কট সৃষ্টি করে।

আমাদের দেশে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সবসময় থাকে। যাদের এই কালো টাকা আছে, তাদের এই টাকার প্রতি কতটুকু মায়া আছে-সেটাওতো দেখতে হবে। তারা যখনই দেখছে, লাভ কমে যাচ্ছে, তখনই ধুম করে বিক্রি করে দিচ্ছে।

সাঈদ উল্লেখ করেন, এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এটি তাদের মূল ব্যবসা নয়। ফলে লাভ কমার ইঙ্গিত পেলেই ব্যাংকগুলো তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। এটিও পুঁজিবাজারে সঙ্কটের অন্যতম কারণ।

এই মার্জিন ঋণের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের আলোচনাতেও আসছে বলে বলা হচ্ছে।

এছাড়া কর্তৃপক্ষ মনে করছে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্ববাজারের অস্থিরতা নিয়ে নানা গুজব ছড়ানোর কারণে বড় দরপতন হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি


আরও খবর



গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ'র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ভর্তুকি কমাতে আবারও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মিশন।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোনোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ সুপারিশ করেছে। এর আগের সফরেও একই সুপারিশ করে আসছিল সংস্থাটি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ। এতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্রভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ মিশন। তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্যও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে প্রতিনিধিদল।

এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে পৃথক এক বৈঠকে সরকার যে ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে মিশন। তবে একীভূতকরণের পর ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা যেনো খারাপ না হয়ে যায়, এতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য তাড়াহুড়া না করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে একীভূকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তারা।

এছাড়া ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে বিশেষ ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রস্তুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংকখাতে সার্বিকভাবে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছে মিশন।


আরও খবর



শনিবার থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া বেড়েছে। শনিবার (৪ মে) থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই। বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়েছে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

যাত্রীরা জানান,বর্তমানে সবকিছুর দাম বাড়ছে। মানুষের ওপর জুলুম হচ্ছে। আবার এদিকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়। সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পায় না।

রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এই সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এ ছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বেড়েছে।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী পরিবহনে প্রদত্ত রেয়াত প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর



কাওরানবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:


রাজধানীর কাওরানবাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটসহ স্থানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেলা পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।


শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে আগুনের খবর পাওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


প্রদ্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বৃষ্টিভেজা সকালে হঠাৎ করেই ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পরে কাওরানবাজার। লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে একটি টিনশেড রুম থেকে ধোঁয়া দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, হোটেলের ওই জেনারেটর রুম থেকেই আগুনের সূত্রপাত।


আগুন লাগার খবরে বাজারের লোকজন জড়ো হয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে একে একে আরও ইউনিট কাজে যুক্ত হয়।


আরও খবর



গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে গম সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গেল ২০২৩ সালে সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সেই সময়ে এক কেজিও গম সংগৃহীত হয়নি। ফলে গমের বাজার এখন প্রায় পুরোটায় আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটার দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেলেও দেশের বাজারে এই দুটি পণ্যের দাম এখনও চড়া রয়েছে।


কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৬ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অন্য দিকে বেসরকারি পর্যায়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন গম।


জানা গেছে, বর্তমানে দেশে গমের চাহিদা রয়েছে ৮৫-৮৬ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে প্রতি বছর গম উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন এবং সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গম আমদানি হচ্ছে ৭৪-৭৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশের উৎপাদন দিয়ে বড় জোড় ১০ শতাংশ চাহিদা মিটছে।
সূত্র জানায়, দেশে গমের উৎপাদন আগের তুলনায় কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতি বছর একটু একটু করে গমের উৎপাদন বাড়ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদিত হয়েছে ১১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গমের সরকারি মজুদ হচ্ছে ৩ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিকূল বাজার মূল্যের কারণে গত বছর (২০২৩ সাল) সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ অভিযানে ১ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনো গম সংগৃহীত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, আমদানি নির্ভরতা বাড়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার মূল্য অধিকাংশ সময়ে ঊর্ধ্বমুখী থাকছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা প্রতি কেজি গমের দাম ছিল ২৭ টাকা ৪৪ পয়সা এবং খোলা আটার দাম ছিল ২৭ টাকা ২৩ পয়সা। চলতি বছরের (২০২৪ সাল) গত মার্চে এর দাম ছিল যথাক্রমে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ৪২ টাকা ৮৯ পয়সা।


খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রাপ্ত গমের আন্তর্জাতিক বাজার দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ (মার্চ ২০২০-মার্চ ২০২৪) বছরের মধ্যে গমের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২২ সালের মার্চে। ওই সময় প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য ছিল- ইউএসএ লাল নরম ৪২৫ ডলার, ইউক্রেনের গম ৪৩৮ ডলার, রাশিয়ার গম ৪১০ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ৪০৮ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ৩৯৩ ডলার। ওই সময়ে দেশে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গম ও খোলা আটার দর ছিল যথাক্রমে ৩১ টাকা ৪৬ পয়সা এবং ৩৪ টাকা ৮৫ পয়সা।


বর্তমানে (২০২৪ সালের মার্চের হিসাবে) প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য হচ্ছে- ইউএসএ লাল নরম ২৩২ ডলার, ইউক্রেনের গম ১৯৭ ডলার, রাশিয়ার গম ২০৪ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ২২২ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ২৫০ ডলার। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম অনেক কম হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার দাম ২০২২ সালের তুলনায় বেশি।


জানা যায়, স্বাধীনতার আগে দেশে গম উৎপাদিত হতো ১ লাখ মেট্রিক টনের মতো। স্বাধীনতার পর এক দশকে বেড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন হয়। গত ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনে রেকর্ড হয়, ওই সময় গম উৎপাদিত হয়েছিল ১৯ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এরপর আর গমে উৎপাদন সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



খ্রিষ্টানদের প্রধান নেতা হতে চেয়েছিলেন মিল্টন সমাদ্দার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

পাহাড় সমান অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকালে শুনানি শেষে অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। সিটি করপোরেশনের ভুয়া সিল দিয়ে মৃত্যু সনদ তৈরি করে অননুমোদিত লাশ দাফনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা এবং বাকি দুটি মামলা দায়ের করেছেন পৃথক দুই ব্যক্তি।

এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। এরই ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

গ্রেপ্তারের পরেরদিন বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন। এ সময় মিল্টনের আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে মিল্টনের জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জোর করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিল্টন সমাদ্দার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান নেতা হতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই লক্ষ্যে মিল্টন সমাদ্দার, তার ভাই লিটন সমাদ্দার এবং আত্মীয়স্বজন মিলে একের পর এক গির্জার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। এক্ষেত্রে তারা প্রথমেই সুকৌশলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল ও স্বাক্ষর জাল করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিল্টন সমাদ্দার প্রথমে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র জাল করে নিজে গির্জা পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। এরপর সেই কমিটির অনুলিপি পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে। এরপর দলবল নিয়ে গিয়ে চার্চের ভেতরে থাকা যাজকদের বের করে দিয়ে দখল করে নিয়ে নেন। এ প্রক্রিয়ার প্রথমে মিল্টনরা দখলে নেন রাজধানীর গ্রিন রোডের ফেলোশিপ চার্চ। এই চার্চের কমিটিতে মিল্টন সমাদ্দারের বড় ভাই লিটন সমাদ্দার রয়েছেন।

ফেলোশিপ চার্চের সম্পাদক প্রফেসর সরা বৈদ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মিল্টন গংরা পথভ্রষ্ট। ওরা আমাদের মারধর করে জোর করে চার্চ থেকে বের করে দিয়ে দখলে নিয়েছে। যাজকরা চার্চ তালাবদ্ধ করে বসেছিলেন। ওরা ১৪টি তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে। মারতে মারতে যাজকদের চার্চ থেকে বের করে দিয়েছেন।

বরিশালে একই কায়দায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান গির্জা চন্দ্রকান্ত মেমোরিয়াল চার্চ দখলের চেষ্টা করেছেন মিল্টন সমাদ্দার। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করা এই চার্চের কমিটির সভাপতি মিল্টন সমাদ্দার নিজেই।

সাধারণ সম্পাদক মিল্টন সমাদ্দারের বড় ভাই লিটন সমাদ্দার। এ ছাড়াও এই কমিটির সবাই মিল্টন সমাদ্দারের আত্মীয়। বিষয়টি নিয়ে যাজকদের সন্দেহে হলে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়, মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি।

বাংলাদেশের খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বীদের জ্যেষ্ঠ যাজক প্রেমানন্দ সরকার জানান, মিল্টন সমাদ্দাররা দেশের সব চার্চ দখল করে খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ের নেতা হতে চেয়েছিলেন।

তিনি পথভ্রষ্ট হয়ে যাজকদের মারধর করে তাদের বের করে দিয়ে আমাদের পান্থপথের চার্চ দখল করে নিয়েছেন। এ কায়দায় তিনি বরিশালের চার্চও দখল করতে চেয়েছিলেন। আমাদের যাজকদের বেধড়ক মারধর করেছে তাদের লোকজন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।


আরও খবর