Logo
শিরোনাম

টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে নেই তামিম ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

সাকিব বেছে বেছে খেলবেন সিরিজ। তারপরও ক্রিকেটের তিন সংস্করণের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন সাকিব। সাকিবের সাথে এই চুক্তিতে আছেন মুশফিক, লিটন, তাসকিন ও শরিফুল। কিন্তু এখানে নেই তামিম ইকবালের নাম।

তামিম ইকবাল ছয় মাসের ছুটিতে আছেন টি-টোয়েন্টি থেকে। এ কারণেই নেই তামিম? শুক্রবার তামিমের প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, ‘এখানে একটা সিস্টেম আছে- যে যে ফরম্যাটে অফ আছে এখন... তামিম যদি ওই ফরম্যাটে দলে অন্তর্ভুক্ত হয় সেও বেতনের আওতায় চলে আসে। এখানে আক্ষেপের কিছু নেই। তামিম ছয় মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে অন্তর্ভুক্ত হলে অবশ্যই বেতনভুক্তদের তালিকায় ঢুকে যাবে।’

টেস্ট ও ওয়ানডেতে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তামিমের সাথে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আছেন মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজ ও আফিফ হোসেন।

শুধু টেস্টে আছেন মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাদমান ইসলাম, ইয়াসির আলী রাব্বি, এবাদত হোসেন ও মাহমুদুল হাসান জয়। শুধু টি-টোয়েন্টিতে আছেন নাঈম শেখ, শেখ মেহেদি হাসান, নুরুল হাসান সোহান ও নাসুম আহমেদ।

কোনো ফরম্যাটেই এই চুক্তিতে নেই সাইফউদ্দিন। তার প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘সাইফউদ্দিন ইনজুরিতে আছে। আপনারা জানেন গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দীর্ঘ সময়ের ইনজুরিতে পড়েছে। ওকে বোর্ড যথেষ্ট সময় দিচ্ছে, লন্ডন থেকে ডাক্তারও দেখিয়ে এনেছে। ইতিবাচক দিক হল সুস্থ হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগ খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ও যখন খেলায় ফিরে আসবে, জাতীয় দলের জন্য এভেইলেবল হয়ে যাবে তখন আমরা আবার তাকে চুক্তিবদ্ধ করব।’

পেসার আবু জায়েদ রাহী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাহী মাঝখানে অনেকদিন ধরে নিয়মিত হতে পারছে না। এজন্য ওকে এক বছরের জন্য আমরা বাইরে রেখেছি। তারপরও নিয়মিত হয়ে গেলে আমরা আবারো তাকে চুক্তিবদ্ধ করতে বলব ।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের বাজারে অসহায় মধ্য আয়ের মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর শনির আখরা বাজারের মাছের দোকানে ঘুরছেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। ৫ থেকে ৬টি দোকানে জিজ্ঞেস করেছেন মাছের দাম। এরপরের দোকানে গিয়ে তিনি কিনলেন পাঙ্গাস মাছ। মাছের দোকানের সামনে কথা হয় এই ক্রেতার সঙ্গে। তার নাম মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। চার সদস্য নিয়ে থাকেন রেলওয়ে কলোনি এলাকায়। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা এ ব্যক্তি বলেন, বিগত পাঁচ বছর আগে ব্যাংকে যে বেতন ছিল, বর্তমানেও একই বেতন। দিন দিন খরচ বাড়লেও বাড়েনি কোন আয়। খরচ বাড়ায় বাসার একটি রুম তিনি এখন সাবলেট দিয়েছেন। মাসে যে বেতন পায়, তার অর্ধেক চলে যায় ঘরভাড়ায়। বাকি অর্ধেক গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল, বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিয়ে বাজার থেকে যে ভালো খাবার কিনবো তার কোন উপায় থাকে না। সব মিলিয়ে মাসের শেষ সপ্তাহে হতাশা বেড়ে যায়।

একই বাজারে কথা হয় ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা ব্যাংক কলোনি এলাকার শিক্ষিকা ইয়াছমিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে স্বামীর আয় দিয়ে মোটামুটি পরিবার চালানো যেত। এখন ঐ আয়ে কোন ভাবে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে একটি প্রাইভেট স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করি। কিন্তু দুইজনের আয়েও এখন পাঁচ সদস্য নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবারে ঈদে বাচ্চাদের পোষাক কিনে দিলেও আমরা পুরোনো কাপড় দিয়েই কোনমতে ঈদ পালন করছি। আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষের অবস্থা খুবি অসহায়। মাসের শেষে আর্থিক টানাপোড়েনে থাকি।

এ শিক্ষক আরও বলেন, মাসের বাজার চাল, ডাল, মরিচ কেনার পর, সাপ্তাহিক কাঁচাবাজার করতে শনির আখরা বাজারে আসি। মাছ ও গরুর মাংস দূরের কথা, এখন ব্রয়লার মুরগীও আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

একই বাজারে মাংসের দোকানে কথা হয়, আতিকুর রহমান নামে এক এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, সামান্য বেতনের চাকরি করি। যা বেতন পায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ, বাড়ি ভাড়াসহ সংসারের অন্যান্য খরচ মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে। স্ত্রীকে ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা-নেয়াসহ সাংসারিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কোনো চাকরি করতে পারে না। তবে সে অনলাইনে কিছু ব্যবসা শুরু করেছে। সেখান থেকে অল্পকিছু আয় হয়। এভাবেই কোনমতে টেনেটুনে সংসার নিয়ে চলছি।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমান নিত্যপণ্যের বাজারের অবস্থা দিন দিন এমন হলে স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে। অসৎপথে তো আয় করতে পারছি না। নিজেরও তেমন জমা নেই। এখন মাসের শেষে এসে দেখি কয়েকটা দোকানে ঋণের বোঝা! নিজেকে বর্তমান অবস্থায় বেশ অসহায় মনে হচ্ছে।

শনির আখরা বাজারের গলির মুখে কথা হয় রিকশা চালক মো. হোসেন এর সঙ্গে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে  একটি বস্তিতে থাকেন। তিনি বলেন, এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করছিলাম। এখন কাজ নেই, তাই ঢা্কা মুখী হয়েছি। বস্তিতে একটা রুমে ব্যাচেলর থাকি। মেয়ের বিয়ের জন্য ঋণ হয়েছে ২ লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে কিস্তির টাকা পাঠাতে হয়। এখানে এখন এক প্লেট ভাত ১৫ টাকা। হোটেলে সামান্য সবজি দিয়ে খাবার খেলে বিল আসে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু রিকশা ভাড়া বাড়েনি। এ গরমে কারও থেকে ১০ টাকা বাড়তি চাইলেও দেয় না। রিকশা ভাড়া, ঘর ভাড়া দিয়ে হাতে তেমন টাকা থাকে না।

শুধু ব্যাংক কর্মকর্তা নয়, আরো অনেকের সাথে কথা হলে তারা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে হুতাশা প্রকাশ করেছেন। নিজেদের মধ্য আয়ের মানুষ হিসেবে দাবি করে তারা জানিয়েছেন, খরচের সঙ্গে আয়ের ভারসাম্য না থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, চাল, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকের সংসার সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন। অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চাল কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা, আটা-ময়দার দামও বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা। তার মধ্যে পর্যাপ্ত যোগান থাকার পরও ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া আদা, রসুন, পেঁয়াজের বাজার রয়েছে স্থিতিতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নাজির ও মিনিকেট মানের সরু চালে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭৬ টাকা, পাইজাম ও লতা মানের মাঝারি চাল ৫৩ থেকে ৫৮ টাকা আর স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। যা গত সপ্তাহে কম ছিল প্রায় ৫ টাকার নিচে।

চালের দাম বাড়ার বিষয়ে মো. আলী সওদাগর বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মৌসুমের ধান বের না হওয়ায় উত্তরবঙ্গের চালের উপর বাজার নির্ভরশীল। পরিবহন ও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায় মিলার পর্যায়ে চালের দাম সাময়িক বেড়েছে। নতুন ধান বের হলে দাম কমে যাবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

তাছাড়া চালের পাশাপাশি খোলা ময়দা ও আটার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে যে খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর যে মানের খোলা আটা বিক্রি হয়েছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় তা এখন ৪৭ থেকে ৪৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলেন, গম আমদানি খরচ বাড়ার কারণে ময়দা ও আটার দাম বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে চাল, ময়দা ও আটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সপ্তাহের ব্যবধানে সকল ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা। বাজারে ডালের মধ্যে মাঝারি দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। আর বড় দানার মশুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। আর ছোট দানার মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকা ।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




রাজধানীতে কোথায় কখন ঈদের জামাত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়।

এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের পাঁচটি জামাত হবে পর্যায়ক্রমে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দান

ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করবেন। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায় ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম এ জামাতে ইমাম থাকবেন।

মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূর উদ্দীন তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন। এ জামাতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ইমাম থাকবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান এ জামাতে ইমামতি করবেন।

তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন। এ পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। রাজধানীর অন্যান্য ঈদ জামাত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় জমঈয়তে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় সকাল ৮টা ও সকাল ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদ ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লন মসজিদ এবং ঢাবির আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে।

সকাল সোয়া ৭টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে খেলার মাঠের পরিবর্তে নামাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে প্রথম জামাত বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত বকসি বাজার বায়তুস সালাম মসজিদে সকাল ৮ টায় এবং আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল ৮টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

কাজীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনটি জামাত যথাক্রমে সকাল ৭টা, ৮টা ও ৮টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে, দারুস সালাম মীর বাড়ি আদি (মাদবর বাড়ি) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার মিয়া সাহেবের ময়দান খানকা শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৭টায়, লক্ষ্মীবাজার নূরানি জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট ও সকাল সাড়ে ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গণে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সায়েদাবাদ চিশতিয়া দরবার শরফয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, সিলেটের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায় মোট তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন মোল্লাহ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। কামরাঙ্গীরচর হাফেজ্জী হুজুর মসজিদ মাদরাসায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।


আরও খবর



ঈদে ১৭২ বাইক দুর্ঘটনায় ঢামেকে ভর্তি ৮২, নিহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার  রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় প্রায় ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। আহত হয়েছেন ৮২ জন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন

তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে। গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলেই ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে

ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন

আমরা ঢাকা মেডিকেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি দুর্ঘটনার খবর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারাই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন

তিনি আরো বলেন, গুলশান, ডেমরা নরসিংদীতে নারীসহ এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজনের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে


আরও খবর



ঢাকায় এসেছেন টাইগারদের নতুন কোচ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

টাইগারদের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নাথান কেলি নিয়োগ পেয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন। রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তিনি।

গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপরারেশন্স ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস। সোমবার কেলি এসেছিলেন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে কেইলির অধ্যায়।

অস্ট্রেলিয়ার এই কোচ দুই বছরের চুক্তিতে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করবেন। তিনি এর আগে পেশাদার ক্রিকেট ও রাগবিতে কাজ করেছেন। এছাড়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলসে ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। 


আরও খবর



নেত্রকোনায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে এক হাজারের বেশি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ। 

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের নেতৃত্বে নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি  ১০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচি আরও ১০ দিন চলবে। রোপণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে— আম, কাঠাঁল, পেয়ারা, নিমসহ বিভিন্ন কাঠ জাতীয় গাছ।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জেলা ও পৌর ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের বলেন, ‘এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জন এবং তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই বৃক্ষরোপণ। আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’ 

তিনি আরো বলেন, আমরা বন কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে বিভিন্ন গাছ সিলেকশন করেছি। তারপর আমার গাছ গুলো পরিচর্যার জন্য একজন নির্ধারিত লোক রেখেছি যিনি প্রতিদিন দুইবেলা পানি কিছুদিন পরপর ইউরিয়া সার দিবে এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখবে ও অন্যান্য কাজ নিয়মিত করে যাবে। 

এর আগে, ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ১০ দিনে সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক কোটি বৃক্ষরোপণ করে গিনেজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য(এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লক্ষের অধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করছে।


প্রয়োজনীয় নির্দেশনা :

চলতি এপ্রিল মাসের ২১-৩০ তারিখের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে; কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহযোগিতা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে নিয়মমাফিক বৃক্ষরোপণ করবে; শুষ্ক মৌসুম বিধায় নিয়মিত গাছে পানি দিতে হবে; রোপণকৃত বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে; প্রতিটি উপজেলা ইউনিট এক হাজার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিট পাঁচ শত বৃক্ষ রোপণ করবে; বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে; বৃক্ষরোপণের ছবি, ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী ও অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিটকে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর