Logo
শিরোনাম

তিন মাস পর কারামুক্ত মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

৩ মাস কারাভোগের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কারামুক্ত হয়েছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে কারামুক্ত হন তিনি।

জেল থেকে বের হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন চলবে। জেলে অনেক কর্মী এখনও বন্দি। তাদেরও মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ পানি ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না তেমনি কর্মী ছাড়া একটি দল বা সংগঠন চলতে পারে না। জেলে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি সরকারকে আহ্বান জানানো, আমাদের নেতাকর্মীদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।

এর আগে আজ ঢাকা রেলওয়ে থানার এক মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। ফলে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে হওয়া ১১ মামলার সবগুলোতে জামিন পেলেন তিনি।

এদিকে মির্জা আব্বাসের জামিনের খবরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। মির্জা আব্বাস বের হওয়ার পর তাকে বহনকারী গাড়ি ঘিরে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পরদিন ১ নভেম্বর আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।


আরও খবর



মাসজুড়ে বৃষ্টি তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় এবং কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ চলছে, এবং কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় এর প্রভাব রয়েছে। তবে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং তাপপ্রবাহের প্রভাব ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে— রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা, অর্থাৎ– রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, পটুয়াখালী, যশোর, কুষ্টিয়া, এবং মেহেরপুর, তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। তবে, এসব এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন, সিলেটের কিছু অংশে মঙ্গলবার সারাদিন এবং বুধবার ভোর থেকে বৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে, রংপুর এবং দিনাজপুর অঞ্চলেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এসব বৃষ্টির কারণে তাপপ্রবাহ কমে যাবে এবং আবহাওয়া কিছুটা শীতল হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, দেশের অন্যান্য এলাকায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে, এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শুক্রবার, (৪ এপ্রিল) থেকে ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় আবারও দমকা হাওয়াসহ বজ্রপাত বা বৃষ্টি হতে পারে। এরপরের দুই দিনও ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ অন্যান্য অঞ্চলে বজ্রপাত এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ৫ বা ৬ এপ্রিল থেকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে, এবং এর ফলে তাপমাত্রা কমে আসবে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, রংপুরের ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বুধবার সকালেও তিন ঘণ্টায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এপ্রিলে দেশে আরও এক বা দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। এপ্রিল মাসে দেশের আবহাওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক থাকতে পারে, কারণ তাপমাত্রা বেশিরভাগ জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা নিম্নচাপে বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে এটি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি তীব্র হতে পারে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

এপ্রিল মাসে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি, এবং কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকতে পারে। এই মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।


আরও খবর



শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে বেইজিংয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় বৈঠকের এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এদিন স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় বেইজিংয়েই বিনিয়োগ-বিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের তথ্য জানাতে এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


আরও খবর



প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জগৎখ্যাত মনীষী এরিস্টটলের অমর এই বাণী “দুর্ভাগ্যবান তারাই, যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই’’। এই বাক্যটি চলার পথে সর্বদা আমাদের বন্ধুত্বের গুরুত্বের কথা স্বরণ করে দেয়। সেজন্য জীবনে চলার পথে সকলের একজন হলেও বন্ধু প্রয়োজন। কেননা, বন্ধুহীন মানুষ চার্জ ছাড়া মোবাইলের মতো।

তাইতো বিখ্যাত মনীষী নিৎসে বলেছেন, ‘‘একজন বিশ্বস্ত বন্ধুত্ব হচ্ছে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেলো, সে যেন একটি গুপ্তধন পেলো।”

হাসি-তামাশা, হট্টগোল, খুনসুটি, মান-অভিমান, বিরক্তি, হিংসা ও ভালোবাসা এসব মিলেই তৈরী হয় একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ঠিক তেমনি দিন শেষে সব ভুলে প্রকৃত বন্ধুত্বের বন্ধনটা ঠিকই টিকে থাকে এবং নতুন সকালে ফের শুরু হয় বন্ধুত্বের সেই খুনসুটি।

বন্ধুত্ব এমন একটা সম্পর্ক যা হৃদয়ের গভীরে নিমেষেই দাগ কেটে যায়। সুতরাং প্রত্যেকের জীবনে অন্তত একজন বন্ধু থাকা প্রয়োজন, যে তার আবেগ-অনুভূতির মূল্যায়ন করবে।

প্রযত্নে প্রিয়বন্ধু

কি করে ভালো বন্ধু হয়ে ওঠা যায় সেটা কেউ-ই হয়ত ছকে দিতে পারবে না৷ সঠিক বন্ধু পেলে সেটা বুঝে নিতে হবে৷ যদিও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম হয় না৷ সবটাই বেনিয়ম৷ কিন্ত্ত বেনিয়মেও নিয়ম শব্দ আছে৷ ফলে ভালো বন্ধু হওয়ার এবং বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশল জেনে নিন।

দুজনে আলাদা

ওরা তো মানিকজোড়৷ এমন কথা আপনি এবং আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধুটিও মাঝেমধ্যেই শোনেন? বাহ খুব ভালো৷ কিন্ত্ত তার মানে এই নয় যে আপনারা দুজনে একই মানুষ৷ আপনারা দুজনে আলাদা মানুষ সেটা কখনওই ভুলবেন না৷ ফলে মতের অমিল হতেই পারে৷ অমিল হলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই৷ তাছাড়া দুজনের জীবনও আলাদা৷ ফলে একে অপরকে স্পেস দিন৷ যদি সব করেও দুজনের কথা না বলে মন খারাপ হয় এবং একে অপরকে ছাড়া ভালো না লাগে তাহলে আপনারা সত্যিই মানিকজোড়৷

বন্ধুত্ব সাবলীল

পাশাপাশি দু'জনকে বসিয়ে বন্ধুত্ব করতে হবে বলে বন্ধুত্ব করা যায় না৷ প্রেমের মতোই বন্ধুত্বও সাবলীল এবং স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া৷ ফলে প্রিয় বন্ধুরা কখনওই একসঙ্গে চুপচাপ থাকে না৷ তারা প্রানবন্ত এবং উচ্ছল থাকে৷ যদি কথাই বলতে ইচ্ছা না করে তাহলে সেই বন্ধুত্ব না করাই ভালো৷ জোর করে অন্তত বন্ধুত্ব হয় না৷

চিরকালের

প্রিয় বন্ধু চিরকালের৷ হতেই পারে দু'জনে আলাদা কলেজ গিয়েছেন৷ আলাদা শহর হয়ে গেল৷ কিন্ত্ত নিজেদের সংসারে ব্যস্ত হয়ে গিয়ে তারা কখনওই একে অপরকে ভুলে যাবেন না৷ বরং আরও বেশি করে একে অপরকে মনে করবেন এবং সময় পেলেই একে অপরের সঙ্গে দেখা করে খুনসুটি করবেন এমন হতে হবে বন্ধুত্ব৷ রাগ অভিমান করে পরস্পরকে ভুলে গেলে সেটা কখনওই প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়৷ যে কোনও উপায়ে সংযুক্ত থাকুন এবং মনের ভাব আদানপ্রদান করুন৷

ভালো হোক

ভালো বন্ধু সবসময় বন্ধুর ভালো চায়৷ নিজের ভালো হোক সকলেই চায়, তবে তার জন্য বন্ধুর ক্ষতি হোক এমন ভাবা কিন্ত্ত প্রকৃত বন্ধুর পরিচায়ক নয়৷ প্রকৃত বন্ধু চাইবেন তার নিজের উন্নতির পাশাপাশি আপনারও উন্নতি হোক৷ যেখানে কিংবা যত দূরেই থাকুন না কেন বন্ধুর কল্যাণ কামনাই প্রিয় বন্ধুর পরিচায়ক৷

পাশে আছি

রাত ৩টের সময়েও প্রয়োজনে বন্ধুর পাশে থাকা অপর বন্ধুর কর্তব্য৷ যে বন্ধুর জন্য আপনি এমন করতে পারবেন এবং যে বন্ধু আপনার পাশে সর্বদা থাকতে পারবে সেই আপনার প্রকৃত বন্ধু৷ ফলে এইরকম বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করুন৷


আরও খবর



মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০০

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০০-তে। ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানেই। আহত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩০০ জন।

গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভূমিকম্পটি মিয়ানমারসহ অন্তত আটটি দেশকে কাঁপিয়ে দেয়। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেখানে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। দুই দেশে হাজারো ভবন ধসে পড়েছে, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

দুর্যোগের তিন দিন পার হলেও উদ্ধারকাজ ধীরগতিতে চলছে। স্থানীয়রা দলবেঁধে জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালালেও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এত বড় দুর্যোগ সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা মিয়ানমারের নেই।

বিদেশি সাহায্যকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, তবে অবকাঠামোগত বিপর্যয় ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

এরই মধ্যে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মিয়ানমারে ৫.১ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যাতেও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তবে নতুন এই কম্পনে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। মান্দালয়ের ২৫ বছর বয়সী হতেত মিন রয়টার্সকে জানান, তার স্বজনেরা ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছায়নি।


আরও খবর



কঙ্গোতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আগুন লেগে নিহত ১৪৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লাগার পর সেটি উল্টে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

দেশটির উত্তরপশ্চিমের কঙ্গো নদীতে গত মঙ্গলবার উল্টে যাওয়ার সময় নৌকাটিতে নারী-শিশুসহ প্রায় ৫০০ আরোহী ছিল বলে শনিবার একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে। খবর স্কাই নিউজ, রয়টার্স ও দ্যা গার্ডিয়ানের।

দুর্ঘটনার পর মৃতের সংখ্যা ৫০ হবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল।কিন্তু পরে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

কঙ্গোতে প্রায়ই নৌকা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। দেশটিতে নদীবেষ্ঠীত গ্রামগুলোতে যাতায়াতে এখনো পুরনো, কাঠের নৌযানই বেশি ব্যবহৃত হয়, সেসব নৌযানে প্রায়ই ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রীও ওঠে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা। গত সপ্তাহের নৌকা এ দুর্ঘটনায় এখনও কয়েকশ নিখোঁজ রয়েছে বলে শুক্রবার কঙ্গোর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এইচবি কঙ্গোলো নামের ওই নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর ছেড়ে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাওয়ার সময় এমবানদাকা শহরের কাছে তাতে আগুন ধরে যায়।

নৌযানটিতে এক নারীর রান্না থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক বার্তা সংস্থাকে এমনটাই বলেছেন নদী কমিশনার কম্পিতেন্ত লয়োকো।

সাঁতার না জানা অনেক নারী-শিশু নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার প্রায় ১০০ জনকে স্থানীয় টাউন হলে অস্থায়ীভাবে বানানো এক আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে, অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত বছর কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলে লেক কিভুতে ২৭৮ যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা উল্টে যাওয়ার ঘটনায় পানিতে ডুবে অন্তত ৭৮ জনে মৃত্যু হয়েছিল। পৃথক আরেক ঘটনায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ডিসেম্বরে নদীতে নৌকা ডুবে অন্তত ২২ জন মারা গেছে।


আরও খবর