Logo
শিরোনাম

তিস্তা সমস্যার সমাধান চায় ভারতের সংসদীয় কমিটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত করতে অমীমাংসিত তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা দ্রুত সমাধানে ভারত সরকারকে সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশ করেছে দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সব দলের আইনপ্রণেতাদের সমন্বয়ে গঠিত পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় এ স্থায়ী কমিটি রাজ্যসভা ও লোকসভায় ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি জমা দেয়।

এ কমিটির চেয়ারপারসন বিজেপির পি পি চৌধুরী। এছাড়াও কমিটির অন্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা হলেন: কংগ্রেসের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি এমপি স্বপন দাসগুপ্তাসহ রাজ্যসভা ও লোকসভার ২৭ জন সদস্য।

প্রতিবেদনের একটি বিশেষ অংশে তুলে ধরা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যু সম্পর্কে কমিটি অবগত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এ ইস্যুটি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে চায়।

কমিটি এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিত অর্থবহ সংলাপ শুরু করার জন্য মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়েছে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে অগ্রগতি ও ফলাফল কমিটিকে অবহিত করতে পারে।

তিস্তা ইস্যু সম্পর্কে ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রবিষয়ক এ স্থায়ী কমিটি জানিয়েছে, এ বিষয়ে যখন ঐকমত্য হবে, তখন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এছাড়াও কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, যোগাযোগ, নিরাপত্তা, পানি বণ্টন এবং জ্বালানি খাতে চলমান সহযোগিতা ছাড়াও প্রতিবেশী প্রথম নীতির আওতায় পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতা, মহাকাশ সহযোগিতা এবং নতুন প্রযুক্তিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও জোরদার করার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিটি আশা করে যে, সরকার এ ক্ষেত্রগুলোতে নতুন পারস্পরিক লাভজনক উদ্যোগ নিয়ে আসবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং উভয় দেশের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির জন্য তা বাস্তবায়ন করবে।

বাণিজ্যিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং আমরাও এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২১-২২ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৮ শতাংশ বেড়ে ১৮.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। চারটি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টসহ ৩৬টি স্থল শুল্ক বন্দরের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি এবং মানুষ চলাচল করে থাকে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এগুলো হলো: বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য আইটি সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশনে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক ৩৮-এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং শিল্প গবেষণা, ভারত এবং বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল এবং মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।

এছাড়াও ইকোসিস্টেম, সাইবার-নিরাপত্তা, উদীয়মান প্রযুক্তি, ফিনটেক সেক্টর (বিশেষ করে ইউপিআই) এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার মতো প্রযুক্তিগত সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। ভারতীয় এ সংসদীয় কমিটি চায় সমঝোতা স্মারক ও আলোচনার মধ্যদিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়বে।

এদিকে, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী ১৩ বার বৈঠক করেছেন বলে কমিটি উল্লেখ করেছে। এছাড়াও মাদক কারবার, জাল মুদ্রা ও মানব পাচার প্রতিরোধে দুদেশের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সক্রিয় সহযোগিতা রয়েছে উল্লেখ করে এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে কমিটি।


আরও খবর



রাণীনগরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরসহ বিভিন্ন জেলায় চলছে দাবদাহ সেইসাথে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টির প্রত্যাশায় রাণীনগরে ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন নওগাঁর ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তফা আল আমিন।

নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ ও প্রাকৃতিক দুর্ভোগ  থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একইসাথে, বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতল স্পর্শ বুলিয়ে দেয়ার দোয়াও করেন তারা। নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এজন্য আল্লাহর রহমতের প্রাকৃতিক দুর্ভোগ থেকে মুক্তিসহ বৃষ্টি প্রার্থনা করেন তারা।  


আরও খবর



করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

করোনা মহামারি শুরুর পর প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্তি দিয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন বা টিকা। এবার সেই টিকা নিয়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ উঠছে। এ অবস্থায় সমালোচনার মুখে বাজার থেকে তাদের টিকা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে তারা বলছে, চাহিদা না থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

জানা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার যে টিকা উৎপাদন করে, তার ব্র্যান্ড নাম ভ্যাক্সজেভ্রিয়া। এরপর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট সেই টিকা উৎপাদনের লাইসেন্স পায়। তারা কোভিশিল্ড নামে সেই টিকা বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে বাজারজাত করে। সমালেচানার মুখে ইউরোপ মহাদেশে ভ্যাক্সজেভ্রিয়া টিকার বাজারজাতকরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

বাংলাদেশের মানুষকে সাড়ে ৫ কোটির বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকা গ্রহণকারীদের দেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখতে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি জোরেশোরে সামনে আসায় উৎকণ্ঠায় আছেন এই টিকা গ্রহীতারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দ্রুত উদ্ভাবিত করোনা টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়। যেসব টিকা ব্যবহার করা হয়েছে তার একটিও যথাযথ নিয়ম হয়নি। তৈরি ও ব্যবহারের অনুমতিও জরুরি ভিত্তিতে হয়েছিল। কারণ মহামারি মোকাবিলাই সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল। কিছু টিকার বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না মর্মে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। এসব কারণে দীর্ঘমেয়াদি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা রুটিন ভ্যাকসিনের মতো করোনার টিকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

তাছাড়া টিকা গবেষণায়ও তাড়াহুড়া ছিল। জরুরি অবস্থা বিবেচনায় দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনেক মানুষকে দেওয়ার ফলে পার্শপ্রতিক্রিয়ার বিষয় আমলে নেওয়া হয়নি। করোনা আক্রান্ত এবং আক্রান্ত ছাড়াও টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিবেদন হচ্ছে। তবে করোনার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না অন্য কারণে হচ্ছে বলা কঠিন। এজন্য সরকারি অর্থায়ন এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ গবেষকদের সমন্বয়ে সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা করতে হবে। তবে যে প্রতিষ্ঠান টিকা দিয়েছে তাদের গবেষণায় রাখা যাবে না।

এদিকে টিকা গ্রহণের ফলে মানবদেহে গুরুতর ক্ষতি এবং মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে । ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিষয়টি স্বীকারও করেছে। 

এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোভিশিল্ড নামে তাদের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ফলে থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) নামে পরিচিত একটি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। টিটিএস হলো এমন একটি বিরল অবস্থা, যার ফলে শরীরের অস্বাভাবিক কোনো জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধে এবং রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যায়। টিটিএসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে গুরুতর মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, পায়ে ফোলাভাব, শ্বাসকষ্ট এবং খিঁচুনির মতো সমস্যা। যদি কেউ টিকা নেওয়ার পর এই লক্ষণগুলো দেখতে পায় তবে তাদের দ্রুত একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা উচিত।

বাংলাদেশে করোনার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টিকা গ্রহণ পরবর্তী শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে এমন একাধিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অনেকের মনে রাখার ক্ষমতা কমে গেছে। অর্থাৎ ভুলে যাওয়া প্রবণতা বাড়ছে। অনেকের সামান্য পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, শারীরিক দুর্বলতা, ঘুম কমে যাওয়া, অবসাদগ্রস্ততা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা ব্যক্তিদের টিকা নিয়ে পুরোনো ও বিরল রোগব্যাধি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরিস্থিতিতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণকারীদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না জানব দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন (উদ্বিগ্ন)। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার অংশীদার নিউজিল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জিভিটিভি জানিয়েছে, করোনার অন্যান্য ব্র্যান্ডের টিকাগুলো হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক ও রক্তে নানা ধরনের জটিলতা বাড়ায়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে এ পর্যন্ত ১৩ ধরনের শারীরিক জটিলতার রেকর্ড করেছেন গবেষকরা।

গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডাটা নেওয়ার্কের একদল গবেষক এই গবেষণা করেছেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ভ্যাকসিন। গবেষণায় বিশ্বের ১৩টি দেশে ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে যারা এমআরএন টিকা ফাইজার, এন-বায়োটেক কিংবা মর্ডানা টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন তাদের একাংশ মায়োকার্ডিটি নামক হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 এছাড়া যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন তাদের একাংশ পেরি-কার্ডিটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় তাদের হৃৎপিণ্ডের কার্ডিয়াক মাংসপেশিতে সমস্যা হয়। এছাড়া ফাইজার মর্ডানার টিকার ডোজে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া জিবিএস এবং মায়োলিটিসির মতো শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায় ২ দশমিক ৫ গুণ। মায়োলিটিসে আক্রান্তরা মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের প্রদাহে ভোগেন। তবে টিকা নেওয়া বেশির ভাগ মানুষই যে এসব সমস্যায় ভোগে বিষয়টা এমনো নয়- বলেছেন গবেষকরা। 

জানতে চাইলে জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি করোনা আক্রান্তদের জিবিএস হয়েছে। একইভাবে জিবিএস রোগীরও কোভিড শনাক্ত হয়েছে। করোনা জিবিএসের মতো একটি ভাইরাল ইনফেকশন। যেসব ভাইরাসে জিবিএস হয় সেগুলো আগে থেকেই জানা। তবে দেশে করোনার সঙ্গে জিবিএসের সরাসরি সম্পর্কের নজির নেই। তাই করোনাভাইরাস জিবিএসে আক্রান্ত করতে পারে কিনা সেটি এখনো বোঝা যাচ্ছে না। এটি নিয়েও দেশে-বিদেশে নির্দিষ্ট করে গবেষণা হওয়া দরকার।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনা টিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের গবেষণায় যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা উঠে এসেছে সেটি বিরল রোগ টিটিএস। বাংলাদেশে করোনা টিকা গ্রহীতাদের এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। তাই উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি বলেন, মাহামারির ভয়াবহতায় পুরো বিশ্ব উদ্বেগে ছিল। দীর্ঘ হচ্ছিল মৃত্যুর মিছিল। তখন আশার আলো নিয়ে আসে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মর্ডানা ও জনসনের মতো টিকা। এখন যাদের টিকা নিয়ে জটিলতা হচ্ছে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নিতে হবে।


আরও খবর



আবারো বাড়লো গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

আবারও বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। দুই মাসের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি আরও ৭৫ পয়সা বাড়ানো হলো। পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত হয়েছে। আজ বুধবার (১ মে) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঘনমিটারের মূল্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িতে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।


আরও খবর



আটকে গেল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



মাজহারুল ইসলাম মাসুম/সদরুল আইনঃ


ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। 


এর ফলে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আর কয়দিন কাজ বন্ধ থাকলে সমস্যা নেই।


আদালতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। 


চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।


আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর আপিল বিভাগ দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।


এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চায়না ব্যাংক অব এক্সিম জানিয়ে দিয়েছে শেয়ার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজে টাকা দেবে না। এর ফলে আপাতত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।


গত ১২ মে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। 


এর ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করতে বাধা কেটে যায়।


বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধরীর হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেদিন ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন, দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন আদালত নিষ্পত্তি করবেন।


পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ইতালিয়ান থাই কোম্পানি।


এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।


এদিকে হঠাৎ করেই শ্রমিকশূন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মগবাজার অংশ। নেই কোনো নির্মাণ যজ্ঞ। পড়ে আছে এক্সপ্রেস ওয়ের কাঠামো। কথা ছিল চলতি বছরই শেষ হবে অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। 


এই সময় কাজ চলার কথা দ্রুত গতিতে। জানা যায় তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের শেয়ার দাবি করে চীনা প্রতিষ্ঠান।



 এই নিয়ে সিঙ্গাপুরে আরবিট্রেশন চলা অবস্থায় সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।


থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড মিলে করছিলো এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। এই কাজে তিন প্রতিষ্ঠান শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।


প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার।


আরও খবর



লালমনিরহাটে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক চক্রের প্রধান প্রতারককে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট পুলিশ।

তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে লালমনিরহাট থানা পুলিশ গেলো বুধবার  রাত ৮টার দিকে দেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ লাখ টাকার মামলায়  শিবলু লোমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। পরে আসামীকে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। গ্রেফতার শিবলু সাবেক সেনা সদস্য, বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ এলাকায়।

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে চক্রের প্রধান শিবলু লোমান চৌধুরীসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক শিবলু লোমান চৌধুরী নিজেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের ডিজি'র এপিএস-এর পরিচয় দিয়ে চাকুরি দেওয়া প্রলোভনের ফাঁদ পাতে। সে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় নেটওয়ার্ক তৈরি করে।


প্রতারক শিবলু গত ২০২২ সালের নভেম্বর  মাসে ঢাকা ফার্মগেটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়িতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে জনবল নিয়োগের একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি তৈরী করে প্রতারণা চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে তা খবর ছড়িয়ে দেয়। পরে ওই পদে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারণা চক্রের সদস্য আলমগীর ও ভুয়া ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী আব্দুর রহমানের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী চামটারপাড় এলাকায় মোবারক হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমানের (৩২) কাছ থেকে ১৯লাখ, একই জেলার ভুরুঙ্গামারি উপজেলার আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ৫লাখ, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ধনঞ্জয় গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে ইউনুস আলীর (২৫) কাছ থেকে ৫লাখ, রংপুর মিঠাপুকুর এলাকার শোয়েব আলীর কাছ থেকে ৫লাখ, একই এলাকার আতিকুর রহমানের কাছ থেকে ৪লাখ টাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর প্রতারক চক্রটি গত বছরের ২৭ নভেম্বর কৌশলে ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৪তলার একটি কক্ষে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে গত ১ জানুয়ারী ২০২৪ চাকুরি প্রত্যাশিদের হাতে একটি করে ভুয়া নিয়োগপত্র তুলে দেয়। পরে নির্ধারিত তারিখে চাকুরিতে যোগ দিতে গিয়ে তারা বুঝতে পারে এটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং নিয়োগ পরীক্ষা ছিলো সাজানো।

পরবর্তীতে তারা টাকা ফেরতের চাপ দিলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা উল্টো ভুক্তভোগী চাকুরি প্রত্যাশিদের নামে মামলা দেয়। সম্প্রতি চক্রের সদস্য আব্দুর রহমান চাকুরি প্রত্যাশি কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমানের নামে অপহরণ মামলা দিয়েছে। এছাড়াও চাকুরির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার ঘটনায় নিউজ করায় রংপুর বিভাগীয় শহরের দৈনিক গণকন্ঠ, দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকা ও স্থানীয়  দৈনিক দাবানল  পত্রিকার প্রতিবেদকদের নামেও মামলা দিয়েছে ওই প্রতারক চক্র।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে প্রতারক চক্রের সদস্য আব্দুর রহমান জানান, কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমানের সাথে আমার যে লেনদেন ছিলো তা প্রায় শোধ করে দিয়েছি। বাকী টাকাও দ্রুত পরিশোধ করবো। তবে পত্রিকার প্রতিবেদকদের নামে কেন মামলা করেছেন? এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেন নি তিনি।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, গ্রেফতার ব্যক্তি চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাটে এনে শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর