Logo
শিরোনাম

ট্রল তো করাই যায়, আসুন সাধুবাদ জানাই মাহির পরিশ্রমকে

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

রাশেদ আলম :মাহিকে নিয়ে সবাই ট্রল করছে,  আমিও প্রথমে বিষয়টি হাস্যকর হিসেবে নিয়েছিলাম। তবে আমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল হয়েছে৷ 

বিষয়টি আমার কাছে মনে হয়েছিল অন্যান্য তথাকথিত শিল্পী মানে রিয়াজ, তারিন, ডিপজল বা ফেরদৌসদের মত সেও আওয়ামিলীগের নমিনেশন কিনবে। যদি লটারি লেগে যায় তাইলেই ছক্কা ধরনের ধান্দাবাজী কিছু। ফেরদৌসের লটারি লেগে গেছে, ব্যাস হয়ে গেছে। তারিন, ডিপজল, রিয়াজদের এবার লটারি লাগে নাই, আগামীতে আবার লটারি লাগার আশায় তারা থেকে যাবে। 

যদি বাস্তবে বিএনপি-আওয়ামিলীগ নির্বাচন যুদ্ধ হত তবে এইসব ফেরদৌসদের নমিনেশন পাওয়া দুরের কথা নমিনেশন কেনার চিন্তাও এরা করত কিনা সন্দেহ। ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকেই এইসব ধান্দাবাজদের একটাই স্বপ্ন নমিনেশন নিব, হাস্যকর তেলবাজি করব যদি নমিনেশন পেয়ে যাই তাইলে তো অটোপাশ এবং লটারি লেগে গেছে । নির্বাচনের মাঠে আসল যুদ্ধে নেমে জয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টা বা যুদ্ধ করতে হলে অনেক বড় কলিজা লাগে। আর এখানেই মাহিয়া মাহি আমার ধারণা চেঞ্জ করে দিয়েছে এই কয়দিনে। 

মাহি নমিনেশন পায় নাই, কিন্তু সে নির্বাচনকে সিরিয়াসলি নিয়েছে। সাহস করে স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে গেছে শুধু নয় রীতিমতো প্রচলিত প্রার্থীদের মত সারাদিন রাত নির্বাচনী এলাকায় অন্যান্য সিজেন পলেটিক্যাল পারসনদের মত ঝাপিয়ে পরেছে। সাধারণ মানুষের সাথে কথা মিশতেছে, কথা বলতেছে।  একজন নাইকা ইমেজের কেউ হুট করে এইভাবে কোন রাজনৈতিক শেল্টার ছাড়া, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও চ্যালেঞ্জ নেয়া খুব কম সাহসের নয় কিন্তু। 

মাহি ভালো করেই জানে আওয়ামিলীগ থেকে নমিনেশন চেয়ে না পেয়েও সে স্থানীয় আওয়ামিলীগ থেকে কোন সাহায্য পাবে না বরং বাধায় পরবে এবং বাধায় পরতেছেও। যেহেতু মার্কা নৌকা নয় তাই প্রশাসনের সাহায্যও সে পাবে না এইটাও মাহি জানে। তবুও সে নির্বাচনটা সিরিয়াসলি করতেছে। এবার মাহি জয় পাবে না, কিন্তু আগামীতে তার এইসব কাজ অনেক কাজে আসবে বিশেষ করে ২০২৯ সালের নির্বাচনে। তখন আওয়ামিলীগও তাকে নমিনেশন দিবে কিনা তা সিরিয়াসলি দেখতে হবে। এখানেই মাহিয়া মাহী নির্বাচনের আগেই জিতে গেলো। 

আমি এই মাহির সিনেমা দেখা দুরের কথা, তাকে নিয়ে কোন আগ্রহও ফিল করি নাই,  এটাই স্বাভাবিক। বরং এদের নিয়ে সংবাদ সব সময় বিরক্তি নিয়ে এড়িয়ে যাই কারন বাংলাদেশের সিনেমা নামক অখাদ্য যেসব তৈরি হয় এফডিসির সিনেমা মেইন স্ট্রিম থেকে, তার জন্যে এদের সকলের উপর ক্ষোভ কাজ করে। ফেরদৌস, রিয়াজ, জায়েদ খান,অপু বিশ্বাস, সাকিব, বুবলি,ওমর সানি, মৌসুমি  এরা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হিসেবে আমার কাছে ভার ছাড়া অন্য কিছু না। 

কিন্তু বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিদিন মাহির নির্বাচনের জন্যে দৌড়াদৌড়ি ও পরিশ্রমের সংবাদ অনিচ্ছাকৃত হলেও যখন চোখের সামনে আসতেছিল বারবার তখন,  দেখতে ও পড়তে বাধ্য হলাম। 

আমার মত বাংলাদেশের সিনেমার এইসব নায়ক, নাইকা দুরের কথা এদের সিনেমাতেও যাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তাদের কাছেও মাহির  এই চ্যালেঞ্জ নেয়া, পরিশ্রম করা ইতিবাচক হয়ে দেখা দিচ্ছে। আমাদের মত সাধারণ মাজুষেরাও তাকে জাজ করছে একজন নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে। এইটাই তার সার্থকতা। 

নায়ক ফেরদৌস,  ক্রিকেটের সাকিবেরা কি নৌকা নমিনেশন না পাইলে স্বতন্ত্র করার সাহস করত? মাশরাফি এবার নৌকা না পাইলে কি নির্বাচন করার সাহস করতো? নিজের পকেটের টাকা খরচ করে, এত শ্রম দিয়ে নিশ্চিত পরাজয় মেনে নিয়েও সাহস করে নির্বাচন এইসব ফেরদৌস, সাকিব এমনকি মাশরাফিরও সাহস হইতো না নিশ্চিত। এরা ফ্রি ফ্রি এমপি হবার জন্যেই এসেছে,  রাজনৈতিক কোন আহামরি চিন্তা করে নয়। সেখানে মাহি সাহস করে নিজের টাকায় যুদ্ধে নেমে গেছে। 

বহু পুরুষ মানুষকেও দেখছি সারাজীবন রাজনীতি করে,  দুনিয়ার ত্যাগ শিকার করেও চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহস করে না। মাথা নিচু করে লাইফ পার করে দেয়। নিজেদের নিজেরা সান্তনা দেয় - আদর্শের জন্যে রাজনীতি করি, পদ পদবির জন্যে রাজনীতি করি না আরও কত কথা। আসলে যে ভিতু সেটা স্বীকার করে না। কত ভাই ব্রাদার দেখছি সেই বিশ বছর থেকে নেতাদের পিছন পিছন ঘুরে তো ঘুরেই। এখনো বলার মত কোন পদ নাই অথবা ভিক্ষা হিসেবে এদিক সেদিক হাস্যকর কিছু কমিটিতে সদস্য পদ পাইছে তাতেই মহা খুশি। আজকেই দেখলাম,  বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাই নিজের দশ বছর ছোট এক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে পোস্ট দেয় - আমার নেতা, আমার আদর্শ। অথচ এই নেতা যখন ক্লাস ফাইভে পড়ে, রাজনীতির 'র' জানে না তখন আমার বিশব্বিদ্যালয়ের বড় ভাইটি রাজনীতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন সেই ক্লাস ফাইভের বাচ্চাও বলে বড় ভাইয়ে আদর্শিক নেতা। চুল দাড়ি পাকায় ফেলছে রাজনীতি করতে করতে, আজকে ডাক দিলেও একটা ছেলে তারজন্যে দশ মিনিট পাশে দাঁড়াবে না। এরা আজীবনই অন্যের পা চেটে বেঁচে থাকার জন্যে জন্ম নিয়েছে। 

এখানেই মহিরা ভিন্ন, চ্যালেঞ্জ নিতে জানে। চাইছি নমিনেশন,  দেয় নাই তো কি হয়েছে ?  নিজের যোগ্যতা নিজেই প্রমান করে দেখাবো। 

মাহির মত মানুষদের নিয়ে ট্রল করা সহজ কিন্তু তাদের এইভাবে সাহস করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকে প্রশংসা করা হয়ত কিছুটা কঠিন। তবুও কঠিন চেষ্টাটি করলাম - কারন নিশ্চিত হেরে যাবে  জানার পরেও যে যুদ্ধে নামে তাকে আমি সব সময় সাধুবাদ জানাই। সমাজে এইধরনের মানুষেরা নিজেদের অজান্তেও অনেক যোদ্ধা তৈরি করে সমাজের অনেক ক্ষেত্রে অনেক পরিসরে, সমাজ এদের জন্যেই মহিমান্বিত হয়।। 

মাহিয়া মাহির জন্য শুভকামনা। ট্রল তো করাই যায়, আসুন না সাধুবাদও জানাই তার পরিশ্রমকে।।


আরও খবর



থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা কুশল বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এদিন সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড।

বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতিসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পাশাপাশি শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে দুই দেশ।


আরও খবর



ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

দেশের বাজারে সোনার দামের অস্থিরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত চার দিনের মধ্যে তিন দিনই দামি এই ধাতুর দর পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল শনিবার প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমেছিল। আজ রোববার ভরিপ্রতি সোনার দাম বেড়েছে ৬৩০ টাকা। এর ফলে ২২ ক্যারেট সোনার দাম আবার ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায় পৌঁছে গেছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সোনার দাম বাড়ানোর পেছনে তারা যুক্তি দিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিউর গোল্ড) দাম বেড়েছে নতুন দাম  বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে

জুয়েলার্স সমিতির তথ্যানুযায়ী, হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার ভরি বেড়ে হয়েছে লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট সোনার ভরি লাখ ১৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা। আজ থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ৬৩০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৬০৭, ১৮ ক্যারেট ৫১৩ এবং সনাতন পদ্ধতির সোনায় বাড়ছে ৪২০ টাকা


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




কোপা আমেরিকার আগেই মেসির আর্জেন্টিনার নতুন জার্সি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন : যদি বলি লিয়োনেল মেসি কি কোপা আমেরিকায় খেলবেন?

উত্তর হয়তো হ্যাঁ। কোপার আগে আর্জেন্টিনার নতুন জার্সি প্রকাশের ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে মেসিকে। তা দেখেই আশায় বুক বাঁধছেন সমর্থকেরা। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানোর আগে অন্তত আরও একটি ট্রফি নিজের শোকেসে হয়তো রাখতে চাইছেন মেসি।

আর্জেন্টিনার নতুন জার্সি অ্যাডিডাসের। ভিডিও-তে মেসি ছাড়াও অ্যাঞ্জেলা দি মারিয়া, ইউলিয়ান আলভারেস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, এঞ্জো ফের্নান্দেস, এমিলিয়ানো মার্তিনেস, পারেদেসদের দেখা গিয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে নিজেদের নতুন জার্সি পরে আনন্দিত। আরও এক বার তারা দলকে জেতাতে বদ্ধ পরিকর।

নতুন জার্সিতে কিছু বদল হয়েছে। আকাশি-সাদা জার্সিতে বুকের বাঁ দিকে রয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার লোগো এবং  সেখানে আরো একটি তারা যুক্ত হয়েছে।২০২২ সালের বিশ্বকাপ জেতায় তিনটি তারা দেখা যাচ্ছে সেখানে। বুকের ডান দিকে রয়েছে অ্যাডিডাসের লোগো। আর মাঝে বিশ্বকাপ জয়ের চিহ্ন।

হোম জার্সির পাশাপাশি অ্যাওয়ে জার্সিও প্রকাশ করা হয়েছে। অ্যাওয়ে জার্সি নীল রঙের। বুকের লোগোগুলি করা হয়েছে হাল্কা নীল রং দিয়ে। ঘাড়ের কাছে হাল্কা নীল রঙের তিনটি স্ট্র্যাপ রয়েছে। এই জার্সিটিও দর্শকদের মনে ধরেছে।

২১ জুন প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলবে যোগ্যতা অর্জনকারী দল। তাদের পরের খেলা ২৬ জুন। প্রতিপক্ষ চিলি। ৩০ জুন গ্রুপের শেষ ম্যাচে পেরুর বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নেরা।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন। মঙ্গলবার ঢাকার শাহবাগ থানায় তিনি এ জিডি করেন।

১৪২৭ নম্বর জিডিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জিডিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর যাবত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরেো বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এ মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, এখন আইন অনুযায়ী জিডির কপি আদালতে পাঠানো হবে। আদালত অনুমোদন দিলে তদন্ত শুরু হবে।

 


আরও খবর



গরমে হাঁসফাঁস, হাসপাতালে রোগীর চাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ দিন ধরে ভর্তি আছেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটির কবীর হোসেন (৪২)। বেড পাননি, ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। একটু দূরে একটা ফ্যান থাকলেও বাতাস আসে না। তাই হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম।

কবীর হোসেনের মস্তিষ্কে পানি জমেছে। তাসলিমা বলেন, আমার স্বামী গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, বাতাসের অভাবে হাঁসফাঁস করছেন।

তাপপ্রবাহ চলছে। তীব্র গরমে কাহিল মানুষ-প্রাণী। বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (সেন্ট্রাল এসি)। সরকারি হাসপাতালে এ ব্যবস্থা নির্দিষ্ট কয়েকটি বিভাগে থাকলেও ওয়ার্ডগুলোতে নেই। আলো-বাতাস প্রবাহের সমস্যাও রয়েছে। ফ্যানই একমাত্র ভরসা। সেগুলোও চলে না ঠিকঠাক।

সরেজমিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে গতকাল এমনটাই দেখা গেছে।

আলো ও বাতাসের পর্যাপ্ত প্রবাহ নেই : ২৬শ বেডের হাসপাতাল ঢাকা মেডিক্যাল চিকিৎসা দিচ্ছে দ্বিগুণের বেশি রোগী। বেড না পাওয়া রোগীদের চিকিৎসা চলছে বারান্দা, মেঝে এবং সিঁড়িতে। বাইরের আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা নেই। সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থাও নেই।

বুকে আঘাত নিয়ে ২১ এপ্রিল ভর্তি হয়ে ঢাকা মেডিক্যালের ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন ১৯ বছরের সজীব। গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মাথার ওপর ফ্যান থাকলেও তীব্র গরমে অস্থির সজীব।

তার দাদা আতিকুর রহমান বলেন, ফ্যান থেকে লাভ কী? ঘোরেই না। বাধ্য হয়ে রোগীদের ফ্যান কিনে আনতে হয়েছে। প্রতিটি বেডে সব রোগীরই একই অবস্থা।

সুস্থরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন : ঢাকা মেডিক্যালের কেবিনেও এসি নেই। নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা। ফলে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকে আরও অসুস্থ পড়ছেন।

পিত্তথলির অস্ত্রোপচারের জন্য পাঁচদিন ধরে সি-৫৮ নম্বর কেবিনে আছেন উত্তম কুমার (৫৫)। তার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর ডায়াবেটিস আছে। এখানে আসার পর আরও বেড়েছে। কেবিনে ঠিকমতো আলো-বাতাস ঢোকে না। ফ্যান ঠিকমতো চলে না। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় রাতে।

চরম বিপাকে বেড না পাওয়া রোগীরা : যারা বেড পাননি তারা চরম সংকটে রয়েছেন। বিশেষ করে সিঁড়ি ও বারান্দার রোগীদের থাকতে হচ্ছে প্রচ- গরমে।

সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাঙ্গীর আলম (৩৯) বেড পাননি, সিঁড়িতে থাকছেন। তার বোন সেলিনা বলেন, এই গরমে ভাইয়ের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গত রবিবার ভর্তি হয়েছেন মনি বেগম (৪০)। প্রথম দিন বারান্দায়, পরে ওয়ার্ডের মেঝেতে জায়গা পেয়েছেন।

গতকাল দেখা যায়, ওয়ার্ডটি ১৮ শয্যার হলেও চিকিৎসা নিচ্ছেন দ্বিগুণ রোগী। মনির স্বামী জাহাঙ্গীর বলেন, রোগীদের গাদাগাদিতে খুবই করুণ অবস্থা। চিকিৎসা নিতে এসে এখন অসুস্থ হয়ে পড়ার অবস্থা।

বাইরে থেকে আনা ফ্যানে বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা : হাসপাতাল দুটি ঘুরে দেখা গেছে, ৯০ ভাগ রোগী বাইরে থেকে আনা ফ্যান ব্যবহার করছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারে সংযোগ দিয়ে ফ্যান চালাচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের করিডোরে অনেক রোগী আছেন। নিয়ম অনুসারে সেখানে ফ্যান লাগাতে পারি না। রোগীরা ফ্যান নিয়ে এসে চালাচ্ছেন, যা থেকে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সঠিক লাইন থেকে সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

কেন্দ্রীয় শীতাতপের ঝুঁকি হাসপাতালজুড়ে : ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, বিশেষ কিছু বিভাগ কেন্দ্রীয় শীতাতপের আওতায় এসেছে। কিন্তু পুরো হাসপাতালে এটা সম্ভব নয়। পুরনো হওয়ায় যে লোড হবে তা নিতে পারবে না হাসপাতাল। এ জন্য তিন হাজার চিকিৎসক থাকলেও অনেকের কক্ষেই এসির ব্যবস্থা নেই। ইতোমধ্যে এ হাসপাতাল অনেকটা ঝুঁকিতে রয়েছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মফিজুর রহমান বলেন, পুরো হাসপাতাল কেন্দ্রীয় শীতাতপের আওতায় আনতে গেলে অনেক পরিকল্পনা করতে হবে। এটি আমাদের কাজ নয়। মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা ভাবতে পারে। ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।


আরও খবর