Logo
শিরোনাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেনা : চুন্নু

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

জহিরুল কবির আমজাদ :জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখি দল। এই মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। কেউ চাচ্ছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আবার কেউ চাচ্ছেন, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন। আমরা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন বিশ্বাস করি না।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে এক সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সেখানে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সাথে এক যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন মুজিবুল হন চুন্নু এমপি।

পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে চুন্নু বলেন, নির্বাচিতরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে, কেয়ারটেকার সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন এর গ্যারান্টি নেই। তিনি বলেন, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বক্তব্যে প্রমাণ করেছে, ওই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যদি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য ভালো থাকে এবং সরকার যদি চায়, তাহলেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে। নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করতে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একটি আসন শূন্য হয়েছে। আমরা সেই উপ-নির্বাচনে অংশ নেব। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে নির্বাচনের আগে পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে দাবি করে পার্টির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। তিনি বলেন, আজ সকালেও বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ এমপির সাথে কথা হয়েছে। আজকের যৌথ সভায় এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ অংশ নিয়েছেন। এছাড়া, বহিস্কৃতদের ব্যাপারে যৌথ সভায় আলোচনা হয়েছে। বহিস্কৃতদের বিষয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে, যারা ক্ষমার অযোগ্য সাংগঠনিক বিশৃংখলা করেছেন, তাদের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নাও হতে পারে।

এর আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা পরিচালনা করেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।


আরও খবর



আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল সংঘাত চলছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর। শিগগিরই দেশটিতে চলমান এ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসেই মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে সন্ত্রাসী দল বা গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে। মিয়ানমারের পাশাপাশি আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে। সেইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান পণ্যের সরবরাহ আরও বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে আরও কয়েকটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে পর্যুদস্ত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিপির পাঁচ শতাধিক সদস্য। এর মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর সবশেষ গত ২৫ এপ্রিল নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ২০৭ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালি বর্ধিত ক্যাম্পে রয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৬ জন। অন্যান্য ক্যাম্পে রয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৪ জন রোহিঙ্গা। এর বাইরে ৬ হাজার ৮২৭ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে হোস্ট কমিউনিটি তথা কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশি সমাজের সঙ্গে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বিডি টুডে ডেস্ক:



নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।



মঙ্গলবার (১৪ মে) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। 


খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় এদিন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা দেন।


এদিন জব্দ তালিকার সাক্ষী আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন তাকে। তবে আব্দুল বাকীর জেরা শেষ হয়নি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।


খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


এর আগে গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০০৭ সালে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। 


২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।


এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন।


 অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা লোকসানের অভিযোগ আনা হয়।


আরও খবর



দশম বর্ষে পদার্পণ: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

সাফল্যের নয়টি বছর শেষ করে এক দশকে পদার্পণ করলো জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যমকর্মীদের প্রথম সংগঠন জাককানইবি সাংবাদিক সমিতি(জাককানইবিসাস)। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার (১৩ মে ) সকাল ১১ টাই বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে শুরু হয়  বিভিন্ন আয়োজন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সৌমিত্র শেখর। আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডক্টর আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদ। 


প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদ বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন সাংবাদিক সমিতি নয় বর্ষ শেষ করে দশম বর্ষে পদার্পণ করেছে। সংগঠনটি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠাকালে কিছু তরুণ মেধাবীর হাতে গড়ে উঠেছিলো। সকলের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থা নিয়ে সংগঠনটি আজ এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। ঐক্য, নিষ্ঠা ও সৃজনশীলতা স্লোগানকে বুকে ধারণ করে নিরলসভাবে সকলের স্বার্থে  কাজ করে চলেছে সাংবাদিক সমিতি।"


উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের ১২ মে একঝাঁক তরুণ সাংবাদিকের হাত ধরে কার্যক্রম শুরু করে এই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। গত ১২ মে এক দশম বর্ষে  পদার্পণ করেছে এই সংগঠনটি। নানা জটিলতার কারণে ১২ মে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা সম্ভব না হওয়াই ১৩ মে (সোমবার) বৃক্ষ রোপণ, শোভাযাত্রা, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিভিন্ন যোক্তিক আন্দোলনে নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে সবার জন্য কাজ করে চলেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। এক দশক পদার্পণ করা এই সংগঠনটির আগামী পথচলা শুভ হউক এই কামনা করি।


আরও খবর



সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকাসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্ন ও রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে আয়, সম্পদ ও পারিবারিক ব্যয়ে পরিবর্তন করার অভিযোগে লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন ও কর অঞ্চল-৪ এর উপ-কর কমিশনার খন্দকার মো. হাসানুল ইসলামসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 


মামলার অন্য আসামি হলেন, কর অঞ্চল-৮ এর উচ্চমান সহকারী হিরেশ লাল বর্মণ। 


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান । দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেসমিন প্রধান ২০২১ সালের শেষের দিকে কোনও এক সময় কর সার্কেল-১৬৫, কর অঞ্চল-০৮, এর অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে তড়িঘড়ি করে দাখিল করেন। 


এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চোখে ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কর সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমাজন হয়েছে। যার প্রমাণ মিলেছে দুদকের জব্দ করা নথিপত্রেও।



জেসমিন প্রধানের ২০১৬-২০১৭ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত মোট পাঁচ করবর্ষের আয়কর রিটার্নগুলো রিটার্ন রেজিস্টারে যথাক্রমে ৮৬৮, ৬৫৩, ৭৮০, ১১০১ এবং ৫৬ নং ক্রমিকে এন্ট্রি হয়। 


রিটার্ন রেজিস্টারের রেকর্ড হতে দেখা যায়, (১) মোট আয়ের কলামে ঘষামাজা, (২) ৭৪ ধারার কর কলামে ঘষামাজা, (৩) ব্যবসায় মূলধন বিনিয়োগ কলামে ঘষামাজা, (৪) হাতে নগদ ও ব্যাংক স্থিতি কলামে ঘষামাজা, (৫) রিটার্ন রেজিস্টারে নিট সম্পদ কলামে ভিন্ন হাতের লেখায় বিভিন্ন সংখ্যা বসানো, (৬) রিটার্ন রেজিস্টারে পারিবারিক ব্যয়ের যে তথ্য লেখা রয়েছে, আয়কর রিটার্নে এর ভিন্নতা পাওয়া গেছে।


আয়কর নির্ধারণী আদেশপত্রে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর রিটার্ন দাখিলের তারিখেই করদাতাকে ওই মাসের ৩১ তারিখে শুনানির জন্য ৭৯ ও ৮৩(১) ধারায় নোটিশ জারি করা হয়েছিল। 


সার্কেল কর্মকর্তা খন্দকার মো. হাসানুল ইসলামের কাছে করদাতার পক্ষে আয়কর আইনজীবী মো. আদনান শুনানি গ্রহণ করেন।


 শুনানি শেষে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। 


নথি অনুসারে, ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সাধারণ ধারায় রিটার্ন দাখিল করলেও রিটার্নের সঙ্গে ৭৪ ধারায় প্রদেয় আয়কর ছিল নয় লাখ ৬৮ হাজার ১২৫ টাকা। যদিও ওইদিন কর দাখিল হয়নি, পরবর্তী সময়ে ১৪ ডিসেম্বর পে-অর্ডারে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের গুলশান শাখার মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। 


আয়কর নথিতে খন্দকার মো. হাসানুল ইসলাম অনুস্বাক্ষরিত ও ক্যানসেল লেখা চারটি চেক সংরক্ষিত জব্দ করা হয়েছে। যা বৈধতা নিয়ে সন্দেহ থেকে গেছে।


পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৬-২০১৭ করবর্ষের ৩০ নভেম্বর চালানের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষের ২৯ নভেম্বর পাঁচ হাজার টাকা, ২০২৮-২০১৯ করবর্ষের ২ ডিসেম্বর চেকের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধিত হয়েছে। 


কিন্তু ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইস্যুকৃত চেকের এক লাখ ৪৭ হাজার টাকা, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বরের তিন লাখ ৭৯ হাজার ৬৯ টাকার চেক, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর ইস্যু করা চেকের ছয় লাখ ৭৩ হাজার ২৬২ টাকা এবং ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি নয় লাখ ৬০ হাজার ৬২৩ টাকার চেক জমা হয়নি। 


ওই চারটি চেক সরকারি কোষাগারে জমা না হওয়ার কারণ ওটা ছিল পরবর্তী সময়ে দাখিল করা বলে দুদক মনে করছে।



করদাতার স্টক রেজিস্টার ও মাসিক কর নির্ধারণী রেজিস্টার পর্যালোচনায় দেখা যায়, করদাতার ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় চার লাখ ৫০ হাজার এবং ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় চার লাখ ৫০ হাজার টাকা মোট আয় লিপিবদ্ধ করা রয়েছে।



 কিন্তু আয়কর রিটার্নে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় আয় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় আয় ২১ লাখ ৫০ হাজার, ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ওই একই আয় ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার এবং ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। 


অর্থাৎ করদাতার আয়কর রিটার্নের সঙ্গে স্টক রেজিস্টার এবং মাসিক কর নির্ধারণী রেজিস্টারের কোনও মিল পাওয়া যায়নি।


এ অবস্থায় জেসমিন প্রধান কর অঞ্চল-৮ এর কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে করে দাখিল করে সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমার্জন করেছেন। 


ওই সার্কেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারা রিটার্ন রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে মোট আয়, মোট সম্পদ, নিট সম্পদ, পারিবারিক ব্যয় ইত্যাদির পরিবর্তন করার সঙ্গে আসামিদের সরাসরি জড়িত ছিলেন বা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে। 


যে কারণে মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক। আসামিদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।


 ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল। পরে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হন।


অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ প্রদানের অভিযোগে ২০২০ সালের জুন মাসে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন পাপুল। ওই মামলার বিচার শেষে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত। 


কুয়েতের রায়ের নথি হাতে পাওয়ার পর ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে জাতীয় সংসদ।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক কৃষক নিহত ও অপর ৭ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যাক্তির নাম নাম আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার(৬২)। সে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে। শুক্রবার বেলা ৮ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অপর আহতরা হচ্ছেন, হারুণ জোমাদ্দার (৫০), লতিফ জোমাদ্দার (৫৫), রশিদ জোমাদ্দার (৪২), আলম হাওলাদার (৭০), লিটন হাওলাদার(৪৫), জামিলা বেগম(৫০) ও মেহেদী হাসান (৩৫)।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের আকস্মিক হামলায় হাকিম জোমাদ্দার নিহত হন বলে তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার জানিয়েছেন। 

মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার বলেন, বেলা ৭ টার দিকে প্রতিবেশি শহিদুল হাওলাদারসহ ১০-১২ জন লোক নিয়ে তার ভাই হাকিম জোমাদ্দারের ওপর প্রথম দফায় হামলা করে। 

আহত অবস্থায় হাকিম জোমাদ্দার চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হলে পথিমধ্যে তাকে আটক করে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, মারপিটে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নিহত হাকিম জোমাদ্দারের ঘাতকদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। 


আরও খবর