Logo
শিরোনাম

উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে দেশ...ছলিম উদ্দীন সেলিম

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

দেশের এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন এর ছোয়া লাগেনি বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম। 

রবিবার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার শিক্ষক সমিতির আয়োজনে জাহাঙ্গীরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ চত্বরে শিক্ষার শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এমপি ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম।

ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম এমপি আরো বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে দেশ। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতে কোন সরকারের আমলে হয়নি। আমাদের দেশের অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি হয়েছে, মেট্রোরেল চলছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী বাড়ানো হয়েছে। দেশের সকল সেক্টরের মতো শিক্ষা সেক্টরেও উন্নয়ন হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় হয়তোবা এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্ব চলছে তথ্যপ্রযুক্তির উপর। সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ল্যাব বিতরণ করছে সরকার। যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে। শেষে তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নে আবারও ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যক্ষ আলহাজ মোঃ নাজিম উদ্দীন মিঞার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোতাহার হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম নূরানী আলাল, অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান, অধ্যক্ষ আলহাজ মোবারক আলী, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এস এম ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।


আরও খবর



নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বৃহস্পতিবার পহেলা অগ্রহায়ণ।নওগাঁ জেলা শহরের মুক্তির মোড়ে সমবায় চত্বরে নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সারে ৪টায়  স্থানীয় ঐকতান সংগীত সংস্কৃতি সুজন সংগঠন এই উৎসবের আয়োজন করেন। 

নবান্ন উৎসব উদযাপন উপলক্ষে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অবঃ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শরিফুল ইসলাম খান। 

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ জেলা এ্যাকউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার খান মোঃ মজহারুল ইসলাম এবং নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ কায়েস উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদুল করিম তরফদার, নওগাঁ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাদেমুল ইসলাম সহ শহরের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিগণ। 

নওগাঁর বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত শিল্পী কলা-কূশলীদের সমন্বয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় ''সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট'' এর সু-ফল পাচ্ছে কৃষি উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” একটি সমবায় ভিত্তিক একটি কৃষি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যই নতুন নতুন জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল ফলিয়ে সমবায় ভিত্তিক এই কৃষি প্রতিষ্ঠানটি নিজ এলাকা সহ দেশের কৃষি জগতে অগ্রনী ভূমিকা রাখায় কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। 

''সুফলা নওগাঁ'' বর্তমানে দেশের নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসেবে আলো ছড়িয়ে আসছে। 

উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম বারের মতো এই প্রজেক্টে নতুন সংযোজনের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলা। দেশের সাধারণ কলার চেয়ে অধিক লাভজনক হিসেবে জি-৯ জাতের কলা বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে। এই কলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে জি-৯ জাতের কলা পাঁকার এক সপ্তাহ যাবত সংরক্ষণ করা সম্ভব। এছাড়াও সাধারণ কলার চাইতে এই কলার পুষ্টিগুনও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

প্রজেক্টের পরিচালক হাবিব রতন বলেন তরুন বেকার এবং প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালে সম্মিলিত ভাবে গড়ে তোলেন “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” নামের ব্যতিক্রমী কৃষি প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় ৬ মাস অর্থ সংগ্রহের পর উপজেলার চকাদিন গ্রামে দুই একর জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে শুরু হয় মিশ্র ফল বাগান সৃজনের কাজ। বর্তমানে তা সম্প্রসারিত হয়ে চার একর জমিতে বিস্তার লাভ করেছে। করোনাকালীন সময়ে বীজ-বিহীন চায়না-৩ লেবু চাষে সবচেয়ে বেশি পরিচিত করে তোলে সুফলা নওগাঁকে। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। বর্তমানে প্রজেক্টটি সম্প্রসারিত করে অন্যান্য স্থানে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল। বর্তমানে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল দীগন্ত জি-৯ জাতের কলা ও বানানা ম্যাংগো আম চাষ।  


জি-৯ জাতের কলা চাষ নিয়ে হাবিব রতন আরো জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই প্রথম নওগাঁ জেলায় টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের কলার বাণিজ্যিক বাগান সুফলা নওগাঁর হাত ধরেই সূচিত হয়েছে। রোগ-বালাই প্রতিরোধী ও রপ্তানী যোগ্য জি-৯ জাতের কলার চাষ দারুন লাভজনক। প্রচলিত কলার গাছে প্রতিটি কাঁদিতে কলা পাওয়া যায় ৬০-১২০টি আর জি-৯জাতের কলার প্রতিটি কাঁদিতে ২০০-২৪০টি কলা পাওয়া যায়। সম্ভাবনাময় জি-৯কলা চাষ সম্প্রসারণে আগ্রহী কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। আলট্রা হাইড্রেনসিটিতে ব্যানানা ম্যাংগো আম বাগানও সৃজন হয়েছে। তারা এই অঞ্চলের কৃষিকে আরো আধুনিক ও লাভজনক করতে আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ মূল্যের সবজিও চাষ করছেন এবং সেগুলো বিস্তারের আশায় আশেপাশের অঞ্চলের আগ্রহী কৃষকদের মাঝেও চারা সহজেই পৌছে দিচ্ছেন। বর্তমানে তাদের প্রজেক্টে আধুনিক ফল যেমন মাল্টা, কমলা, ড্রাগন ও অন্যান্য ফলের আধুনিক জাত চাষ করা হচ্ছে। ফলে এই প্রজেক্টে ১২-১৫ জন স্থানীয় বেকার মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিদিনই এই অঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা তাদের প্রজেক্ট পরিদর্শন করছেন। তাদের এই প্রজেক্ট দেখে অনেকেই আধুনিক লাভ জনক কৃষির প্রতি ঝুঁকছেন আর তাদের সহযোগিতা নিয়ে গড়ে তুলছেন নতুন নতুন কৃষি প্রজেক্ট। 

সিলেট থেকে এই প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে আসেন কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল মোমিন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান দেশের কৃষিকে আরো আধুনিক ও কৃষকদের অল্প পরিশ্রমে এবং কম খরচে অধিক লাভবান করতে সুফলা নওগাঁ প্রজেক্টের অবদান অনেক। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে কম মূল্যে বিভিন্ন ফসলের চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ও জি-৯ জাতের কলার চাষসহ উচ্চ মূল্যের বিভিন্ন ফল চাষে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে সুফলা নওগাঁ। আমিও তাদের কাছ থেকে অনেক উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা সংগ্রহ করেছি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা হক বলেন, সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট কৃষির জগতে এক ব্যতিক্রমী নাম। আধুনিক কৃষির অনুপ্রেরণা হচ্ছে সমবায় ভিত্তিক এই প্রজেক্টটি। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সুফলা নওগাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। পড়ালেখা শেষ করে চাকরীর পেছনে না ছুটে সুযোগ থাকলে সুফলা নওগাঁর মতো কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব। ডিজিটাল যুগে এখন সবকিছুই হাতে মুঠোয়। এছাড়া নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহযোগিতাও প্রদান করা হচ্ছে। তাই সুফলা নওগাঁর মতো এমন কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন দেশের কৃষি ও কৃষকরা আধুনিক হবে তেমনি ভাবে কৃষকরাও ফসল চাষে অধিক লাভবান হতে পারবেন। 


আরও খবর



পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলেও যথাসময়ে নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলেও যথাসময়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

৩১ অক্টোবর সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।


চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। ফলে সংবিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

গতকাল ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছে, নভেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে।

ইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও এখনো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। দাবি আদায়ে গত শনিবার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীদের

সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়। আহত হয় শতাধিক পুলিশ ও আনসার সদস্য। আহত হন বিএনপিরও বহু নেতাকর্মী।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলেও নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে।

পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের কাছে নির্বাচন করা ছাড়া কোনো অপশন নেই। অনেক সময় অনকূল প্রতিকূল বিভিন্ন কথা ওঠে। অনুকূল ও প্রতিকূল শব্দগুলো অর্থবহ। নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল হোক বা প্রতিকূল হোক আমাদের প্রত্যাশা সবসময় যত বেশি অনুকূল হবে তত নির্বাচন কমিশনের জন্য সহজ হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত চাইব সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশ হলে যে নির্বাচন হবে না বিষয়টি তা না।

সিইসি বলেন, পিটার হাস বলেছেন সংলাপ চান, আমরাও তাই বলেছি। রাস্তায় শক্তি প্রর্দশন সমস্যার সমাধান করা যাবে না, উনিও (পিটার হাস) বিশ্বাস করেন সংলাপের মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যা সমাধান করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর আছে।

বৈঠক শেষে কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতও। রাজনৈতিক সংঘর্ষ কাম্য নয় জানিয়ে পিটার হাস সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংলাপে বসার আহ্বান জানান।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




তিন দিনে ১৫ কোটি টাকা আয় আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ সোমবার ৭০৯টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। আজ দলটির মনোনয়নপত্র বিক্রির তৃতীয় দিনে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর গত তিন দিনে মনোনয়নপত্র বিক্রি ২ হাজার ৯৯৫টি। এতে আয় হয়েছে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তৃতীয় দিনের মনোনয়নপত্র বিক্রি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। আজ সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়, চলে বিকেল ৫টা।

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আজ সরাসরি ৭০৯টি ও অনলাইনে ২৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রির প্রথম দিন গত শনিবার ১ হাজার ৭৪টি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০টি, আর অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ১৪টি।

এবার আওয়ামী লীগ প্রতিটি দলীয় মনোনয়নপত্রের দাম ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছে ৫০ হাজার টাকা। সে হিসাবে, প্রথম দিন ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ।

দ্বিতীয় দিন গতকাল রবিবার ১ হাজার ২১২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে সরাসরি ১ হাজার ১৮০টি এবং অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ৩২টি। এতে মোট আয় হয়েছে ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরাসরি ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা আর অনলাইনে ১৬ লাখ টাকা।


আরও খবর



আলো ছড়াচ্ছে মাভাবিপ্রবিয়ান কামরুজ্জামানের স্টেশন পাঠাগার

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

সমাজের মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়ানো তথা  সুশিক্ষার কথা বিবেচনা করে, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০১০ সনে পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন।  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। মাভাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অপরাধ বিষয়ক গবেষণায় ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিং এ স্থান অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরেছেন বিশ্বদরবারে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের  সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এ কর্মরত রয়েছেন।

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারে বই, পুস্তিকা, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রীর একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন মো. কামরুজ্জামান যাতে সবাই এই উপকরণগুলোর সাহায্যে গবেষণা ও তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন। পাঠাগারটিতে বই পড়া, জ্ঞান আহরণ তথা নতুন তথ্য অনুসন্ধানের জন্য প্রতিনিয়তই পাঠকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন বয়সের নারী-পুরুষ এখানে এসে জ্ঞানের অতল সমুদ্রে অবগাহন করতে পারেন। আবার কেউ চাইলে নির্দিষ্ট নিয়মের মাধ্যমে পাঠাগারের সদস্য হতে পারেন। কোন পাঠক ইচ্ছা করলে পাঠাগারে বসে বই পড়তে পারেন আবার চাইলে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারেন। জানা যায়, পাঠাগারটি পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে। তাদের সহযোগিতায় সদস্য হওয়া, বই নেয়া, বই ফেরৎ দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পন্ন হয়ে থাকে। তারাও তাদের কর্তব্য সুন্দরভাবে পালন করছেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বই পড়ার মাধ্যমে অনেকেরই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আজেবাজে আড্ডা না দিয়ে এই পাঠাগারে সময় দিচ্ছে যা তাদের বিভন্ন আসক্তি থেকে দূর রাখছে। গ্রন্থাগারটি পরিদর্শণ ও অনুসন্ধান করলে  বুঝা যায় এর গভীরের সৌন্দর্য। পাঠাগারটির পাশাপাশি বাস স্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার , রেল স্টেশন অণু-পাঠাগার, সেলুন অণু - পাঠাগার চালু করা হয়েছে। এ পাঠাগারের যাবতীয় কার্যক্রম সত্যিই অবাক হওয়ার মত। মূল পাঠাগার ছাড়াও অপেক্ষমাণ মানুষের জন্য  এ পর্যন্ত  ৮ টি সেলুন অণু-পাঠাগার, ১ টি বাসস্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার ও ১ টি স্টেশন  অণু-পাঠাগার চালু করা হয়েছে।


পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, “অনেক মানুষ আছেন, যারা বই পড়তে ভালোবাসেন তবে নিয়মিত বই কিনে পড়ার সামর্থ নেই তাদের জন্য সহজে বই পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পাঠাগারটি শুধু বই পড়াকে ঘিরে নয়, আমরা বিনোদনের আয়োজনও করে থাকি। প্রতি বছর প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা, বৃত্তি প্রদান, কবিতা আবৃতি, গান এবং কোরআন-এর হাফেজদের নিয়ে আল-কোরআন পাঠসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা সভা করা হয়ে থাকে।”

তিনি আরও জানান, “পাঠাগারের সংগ্রহে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের  ২৫০০  এর বেশী বই রয়েছে। যেমন-ধর্মীয়, সাহিত্য, বিজ্ঞানমনস্ক, ইতিহাসমূলক, জীবনী, চাকুরি পারীক্ষার প্রস্তুতিমূলক বই, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, শিশু সাহিত্য ছাড়াও একাডেমিক বই বিদ্যমান। পাঠাগারটির উন্নয়নে যারা বই দিয়ে এবং বিভিন্ন সময় সুপরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

মাভাবিপ্রবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর ঘোষ বলেন, “ আমার ভাইবা থাকায় সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে দেখি নাপিত ২ জন চুল কাটছেন। বাকি যারা সিরিয়ালে রয়েছেন,  বেন্ঞ্চে বসে সবাই গল্পের বই ও পত্রিকা পড়ছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম সেলুনে পাঠাগার!  তখন জানতে পারলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর পাঠাগার তৈরীর গল্প। তাই আশা করি, এভাবেই এগিয়ে যাবে ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ চারদিকে ছড়াবে জ্ঞানের আলো। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে এই পাঠাগারটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। 


টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামান জানান, "বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগটি অনেক মহৎ উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানাই।

আমরা পাঠাগারটির পাশে থাকবো। আমরা চাই এমন উদ্যোগ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক।  

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা জানান, "ভবিষ্যতে পাঠাগারের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ভবন নির্মাণসহ বইয়ের সংগ্রহ আরও বেশি সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সমাজের বিবিধ সমস্যাগুলো সমাধানেও এই প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে। তাই আশা করি আমাদের সহযোগিতায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তি, সংগঠন যদি এগিয়ে আসে তাহলে  পাঠাগারের কার্যক্রমের পাশাপাশি মাদকাসক্তি, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বিলুপ্তকরণসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।


আরও খবর