Logo
শিরোনাম

উত্তরে শীতের আগমনী বার্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। ফলে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

কিছুটা অবাক হলেও শীতের আগাম বার্তায় উচ্ছ্বসিত ফজরের নামাজে আসা মুসুল্লি, কাজে ও প্রাতর্ভ্রমণে বের হওয়া মানুষগুলো।

উপশহর মিস্ত্রী পাড়া মহল্লার বাসিন্দা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিপি) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইনুল হক বলেন,  এ মাসের শেষে এমন ঘন কুয়াশা গত কয়েক বছর দেখেনি দিনাজপুর বাসী। হাঁটতে খুব ভালো লাগছে, আজকের দিনে কুয়াশা জানান দিচ্ছে যে শীত এসে গেছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, শীত আসার আগেই এবার আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। তবে আজকে যে ঘন কুয়াশা পড়েছে তা ব্যাপক। যা এ সময়ে কল্পনাই করা যায় না।

এদিকে ঘন কুয়াশার আবির্ভাবকে স্বাভাবিক মনে করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কয়েকদিনের সামান্য বৃষ্টির কারণে আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছিল। এ সময় এমন কুয়াশা স্বাভাবিক বিষয়। তবে দিনাজপুরের তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বিভিন্ন সময় ভোক্তা অধিদপ্তর নানা উদ্যোগ নিলেও তেমন কোনো কাজে আসছে না।

রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের নিজেদের মতো বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এতে করে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছু কিনতে গিয়েও থমকে দাঁড়ান মধ্যবিত্তরা।

তাছাড়া গত বছর রোজায় সাধারণ ক্রেতা যে দামে পণ্য কিনেছে। চালতি বছরের রমজানে তা বেড়েছে অনেক। ফলে খরচও বেড়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিটি জিনিসের দাম দফায় দফায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাড়ছে।

বাড়তি খরচের কথা চিন্তা করে সকল ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, রমজান আসলে আমাদের দেশে সকল জিনিসের দাম বেড়ে যায়। জিনিসের দাম বাড়লেও কারো আয় বাড়েনি। ফলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্থির হয়ে আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ যখন কাজে আসছে না। কারণ অতি মুনাফাখোর জোট বেঁধে সিন্ডিকেট করেছে। প্রতিটা পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত কোন না কোনোভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে স্বস্তির দেখা যাচ্ছে না ক্রেতারা।

রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর কঠালবাগান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজাকে সামনে রেখে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়লেও মান বাড়েনি। আমি গত সপ্তাহে যে-সকল দামে মালামাল কিনেছি আজ তা অনেকটাই বেড়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে কথাটি ঠিক নয়। তবে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর দামই বাড়তি অবস্থায় রয়েছে। এতে করে ক্রেতা কমেছে আগের তুলনায় অনেক। আবার অনেকে দাম বেশির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম জিনিস কিনেছে।

একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী মাহদীউজ্জামান কাঠাবাগান কাঁচাবাজারে আসেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত কিছু দিন আগে যে দাম ছিল আজ তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। প্রতিদিনই কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে।

আরিফ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, রমজানে অন্য মাসের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কিন্তু প্রতিটি পণ্যের দামের বৃদ্ধির ফলে তা সম্ভব হবে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম রাড়ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫০০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

মাছ বাজারে দেখা যায়, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে সুযোগ হিসাবে নিয়েছে। তাদের এক মাস ব্যবসা করে সারা বছরের লাভ করতে চায়। ব্যবসায়ীরা গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দাম বাড়ার পেছনে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলছে। অথচ এসবই হচ্ছে ভিত্তিহীন অজুহাত। তারা অতি মুনাফা লাভের মনোভাব থেকেই দাম বৃদ্ধি করছে।

কিছুদিন আগে এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগার পরপরই চিনির দামটি বেড়ে গেছে। সেখানে যে চিনি নষ্ট হয়েছে তার রিফাইন যোগ্য চিনি ছিল না। কিন্তু তারপরেও দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যখন অজুহাত পায় তখনই দাম বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

ক্যাবের সহ-সভাপতি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে সাথে দেশের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। অথচ অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে দাম বৃদ্ধির কোন নিয়ম নেই। ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে পণ্য যদি বেশি দামি কেনা হয়, তাহলে বেশি দামে বিক্রি করবে। আর যদি কম দামে কেনা হয়, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে হবে। এসবের পেছনে ব্যবসায়ীরা মূল দায়ী। আমাদের দেশীয় পণ্যের সাথে ডলারের কোন সম্পর্ক নেই। অথচ এই সকল জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এরজন্য ব্যবসায়ীর সাথে সাথে যারা তদারকি করছেন তাদের গাফিলতি রয়েছে। সঠিক আইনের প্রয়োগ করলে তখনই এই অনিয়ম বন্ধ হওয়া সম্ভব। বিভিন্ন সময় অভিযান হলে সব জায়গায় হচ্ছে না। ফলে এর প্রভাব তেমন একটা নেই। মন্ত্রিপরিষদের বিরাট একটি অংশ ব্যবসায়ী শ্রেণি হওয়ার কারণে এসব দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা দাম বাড়ার পরও কমছে না বলে মন্তব্য করেন ক্যাবের এই সহ-সভাপতি।


আরও খবর

কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




এবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি মিশন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন এই সংঘাত থেকে দূরে থাকে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

রবিবার ভোর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করে ইরান। নজিরবিহীন এ হামলায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। জেরুজালেম ও তেলআবিবসহ পুরো ইসরায়েলজুড়ে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন।

হামলার পর থেকে ইসরায়েলের উপর পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, তারা ইসরায়েলের পাশে আছেন। ইরানের সমালোচনাও করেছেন তিনি। এমন অবস্থায় ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে তারা যেন এই সংঘাত থেকে দূরে থাকে

ইরানের দাবি, তারা আত্মরক্ষার জন্য এই হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘ সনদের ৫১ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের হামলা বৈধ। ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে ইরান জানায়, ইসরায়েল যেন আর ভুল না করে, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ আরও মারাত্মক হবে। আর এই সংঘাত শুধুমাত্র ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই সংঘাত থেকে দূরে থাকতে হবে।


আরও খবর



অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু গত কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৭ নম্বরে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৬২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কার ২০৯। আর ১৯৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের শহর দিল্লি, ১৮৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের স্কোর ১৭২।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




নিত্যপণ্যের বাজারে অসহায় মধ্য আয়ের মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর শনির আখরা বাজারের মাছের দোকানে ঘুরছেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। ৫ থেকে ৬টি দোকানে জিজ্ঞেস করেছেন মাছের দাম। এরপরের দোকানে গিয়ে তিনি কিনলেন পাঙ্গাস মাছ। মাছের দোকানের সামনে কথা হয় এই ক্রেতার সঙ্গে। তার নাম মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। চার সদস্য নিয়ে থাকেন রেলওয়ে কলোনি এলাকায়। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা এ ব্যক্তি বলেন, বিগত পাঁচ বছর আগে ব্যাংকে যে বেতন ছিল, বর্তমানেও একই বেতন। দিন দিন খরচ বাড়লেও বাড়েনি কোন আয়। খরচ বাড়ায় বাসার একটি রুম তিনি এখন সাবলেট দিয়েছেন। মাসে যে বেতন পায়, তার অর্ধেক চলে যায় ঘরভাড়ায়। বাকি অর্ধেক গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল, বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিয়ে বাজার থেকে যে ভালো খাবার কিনবো তার কোন উপায় থাকে না। সব মিলিয়ে মাসের শেষ সপ্তাহে হতাশা বেড়ে যায়।

একই বাজারে কথা হয় ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা ব্যাংক কলোনি এলাকার শিক্ষিকা ইয়াছমিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে স্বামীর আয় দিয়ে মোটামুটি পরিবার চালানো যেত। এখন ঐ আয়ে কোন ভাবে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে একটি প্রাইভেট স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করি। কিন্তু দুইজনের আয়েও এখন পাঁচ সদস্য নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবারে ঈদে বাচ্চাদের পোষাক কিনে দিলেও আমরা পুরোনো কাপড় দিয়েই কোনমতে ঈদ পালন করছি। আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষের অবস্থা খুবি অসহায়। মাসের শেষে আর্থিক টানাপোড়েনে থাকি।

এ শিক্ষক আরও বলেন, মাসের বাজার চাল, ডাল, মরিচ কেনার পর, সাপ্তাহিক কাঁচাবাজার করতে শনির আখরা বাজারে আসি। মাছ ও গরুর মাংস দূরের কথা, এখন ব্রয়লার মুরগীও আমাদের মতো মধ্য আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

একই বাজারে মাংসের দোকানে কথা হয়, আতিকুর রহমান নামে এক এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, সামান্য বেতনের চাকরি করি। যা বেতন পায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ, বাড়ি ভাড়াসহ সংসারের অন্যান্য খরচ মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে। স্ত্রীকে ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা-নেয়াসহ সাংসারিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কোনো চাকরি করতে পারে না। তবে সে অনলাইনে কিছু ব্যবসা শুরু করেছে। সেখান থেকে অল্পকিছু আয় হয়। এভাবেই কোনমতে টেনেটুনে সংসার নিয়ে চলছি।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমান নিত্যপণ্যের বাজারের অবস্থা দিন দিন এমন হলে স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে। অসৎপথে তো আয় করতে পারছি না। নিজেরও তেমন জমা নেই। এখন মাসের শেষে এসে দেখি কয়েকটা দোকানে ঋণের বোঝা! নিজেকে বর্তমান অবস্থায় বেশ অসহায় মনে হচ্ছে।

শনির আখরা বাজারের গলির মুখে কথা হয় রিকশা চালক মো. হোসেন এর সঙ্গে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে  একটি বস্তিতে থাকেন। তিনি বলেন, এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করছিলাম। এখন কাজ নেই, তাই ঢা্কা মুখী হয়েছি। বস্তিতে একটা রুমে ব্যাচেলর থাকি। মেয়ের বিয়ের জন্য ঋণ হয়েছে ২ লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে কিস্তির টাকা পাঠাতে হয়। এখানে এখন এক প্লেট ভাত ১৫ টাকা। হোটেলে সামান্য সবজি দিয়ে খাবার খেলে বিল আসে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু রিকশা ভাড়া বাড়েনি। এ গরমে কারও থেকে ১০ টাকা বাড়তি চাইলেও দেয় না। রিকশা ভাড়া, ঘর ভাড়া দিয়ে হাতে তেমন টাকা থাকে না।

শুধু ব্যাংক কর্মকর্তা নয়, আরো অনেকের সাথে কথা হলে তারা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে হুতাশা প্রকাশ করেছেন। নিজেদের মধ্য আয়ের মানুষ হিসেবে দাবি করে তারা জানিয়েছেন, খরচের সঙ্গে আয়ের ভারসাম্য না থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, চাল, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকের সংসার সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন। অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চাল কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা, আটা-ময়দার দামও বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা। তার মধ্যে পর্যাপ্ত যোগান থাকার পরও ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া আদা, রসুন, পেঁয়াজের বাজার রয়েছে স্থিতিতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নাজির ও মিনিকেট মানের সরু চালে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭৬ টাকা, পাইজাম ও লতা মানের মাঝারি চাল ৫৩ থেকে ৫৮ টাকা আর স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। যা গত সপ্তাহে কম ছিল প্রায় ৫ টাকার নিচে।

চালের দাম বাড়ার বিষয়ে মো. আলী সওদাগর বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মৌসুমের ধান বের না হওয়ায় উত্তরবঙ্গের চালের উপর বাজার নির্ভরশীল। পরিবহন ও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায় মিলার পর্যায়ে চালের দাম সাময়িক বেড়েছে। নতুন ধান বের হলে দাম কমে যাবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

তাছাড়া চালের পাশাপাশি খোলা ময়দা ও আটার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে যে খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর যে মানের খোলা আটা বিক্রি হয়েছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় তা এখন ৪৭ থেকে ৪৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলেন, গম আমদানি খরচ বাড়ার কারণে ময়দা ও আটার দাম বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে চাল, ময়দা ও আটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সপ্তাহের ব্যবধানে সকল ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা। বাজারে ডালের মধ্যে মাঝারি দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। আর বড় দানার মশুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। আর ছোট দানার মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকা ।


আরও খবর

কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়েছে সিলেট নগরী। আবারও সিলেটে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি একই গতিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলেও ঝড়ে আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসের এসব তথ্য জানা যায়।

রোববার (৩১ মার্চ) রাতে সিলেট নগরে তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী ঝড়। এ সময় পড়ে শিলাবৃষ্টিও। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা দমকা হাওয়ায় অনেক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর শিলাবৃষ্টিতে গাড়ির গ্লাস ও টিনের চাল ফুটো হয়ে যায়।

এদিকে সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

প্রথম দিনের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে-চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতে সামান্য কমবে।

নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে এসব অঞ্চলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দ্বিতীয় দিনে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।

তৃতীয় দিনে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।


আরও খবর