Logo
শিরোনাম

ভারত ফাইনালে, বাংলাদেশের বিদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ইয়াশফি রহমান : দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের লক্ষ্যটা হাতের কাছে রাখায় দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন দুনিথ ভেল্লালাগে। এরপর ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে লড়াই করেন বুক চিতিয়ে। কিন্তু সঙ্গীদের ব্যর্থতায় বৃথা যায় তার প্রতিরোধ। তাতে ভারতের কাছে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের এই হারে জটিল এক সমীকরণে টিকে থাকা বাংলাদেশের শেষ আশারও সমাপ্তি ঘটে। গতকাল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালের টিকেট কেটেছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয় তারা। জবাবে ৫১ বল বাকি থাকতেই ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।

এই হারের পরও পাকিস্তানের চেয়ে রান রেটে এগিয়ে স্বাগতিকরা। তাতে এখনও টিকে আছে তাদের ফাইনালের স্বপ্ন। সেই হিসেব মেলাতে গেলে আগামীকাল পাকিস্তানকে হারাতে হবে লঙ্কানদের। যদি বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্তও তবুও নেট রান রেটের হিসেবে ১৭ অক্টোবর শিরোপা লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গী হবে দ্বীপ দেশটি। আর তাতে ১৫ অক্টোবর সুপার ফোরে ভারতের ম্যাচটি সাকিব আল হাসানদের জন্য হয়ে উঠল কেবলই নিয়মরক্ষার। সেই হিসেবে আগামীকাল পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি তৈরি হলো অলিখিত সেমি-ফাইনালে। সেই ম্যাচের জয়ী দল আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারতের বিপক্ষে।

এদিন লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই ভালো করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। জাসপ্রিত বুমরাহর তোপে দলীয় ২৫ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে পাথুম নিসাঙ্কাকে লোকেশ রাহুলের ক্যাচে পরিণত করার পর হাওয়ায় কুশল মেন্ডিসকে অতিরিক্ত ফিল্ডার সুরিয়াকুমার যাদবের ক্যাচে পরিণত করেন বুমরাহ। ১৮ বলে ২ রান করার এ ব্যাটারের হঠাৎই ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে ধরা পড়েন সিপে।

চাপে পড়া দলের হাল সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে ধরেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। চতুর্থ উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। সামারাবিক্রমাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন আগের দিন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেওয়া কুলদিপ যাদব। এরপর আসালাঙ্কাকেও ফেরান এই স্পিনার। উইকেটের পেছনে অবশ্য দারুণ ক্যাচ ধরেন রাহুল। দলীয় ৯৯ রানে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে তাকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। সিপে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফলে বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। তবে সপ্তম উইকেটে ভেল্লালাগেকে নিয়ে লঙ্কানদের ফের স্বপ্ন দেখান ধনাঞ্জয়া। ৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ ধৈর্য হারান ধনাঞ্জয়া। মিডঅন উপর দিয়ে হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন সুরিয়াকুমারের হাতে। কার্যত তখন হার দেখতে থাকে লঙ্কানরা। এরপর মহেশ থিকসানাকে হার্দিক পান্ডিয়া আউট করার পর লেজের দুই উইকেট ছাঁটাই করেন কুলদিপ। ফলে দারুণ এক জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ভেল্লালাগে। ৪৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ৬৬ বলে ৫টি চারে ৪১ রান করেন ধনাঞ্জয়া। ভারতের পক্ষে ৪৩ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন কুলদিপ।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করে ভারত। ৬৭ বলের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮০ রান। এরপর শুরু হয় ওয়েলালাগের স্পিন ভেলকি। দ্বাদশ ওভারে বল করতে এসে নিজের প্রথম বলেই শুবমান গিলকে বোল্ড করেন। টার্নে পরাস্ত হন তিনি। ভারতের স্কোরবোর্ডে আর ১১ রান যোগ হতে ওয়েলালাগে সাজঘরে পাঠান বিরাট কোহলি আর রোহিতকেও। পিচে পড়ে কিছুটা থেমে আসা বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। নিচু হওয়া ডেলিভারিতে স্টাম্প হারানোর আগে রোহিত ওয়ানডেতে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ভারতের ষষ্ঠ ও সব মিলিয়ে ১৫তম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

৯১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন ইশান কিশান ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুল। ৮৯ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন দুজনে। এই জুটিও ভেঙে শ্রীলঙ্কাকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু দেন ভেল্লালাগে। এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ভারত। কোহলিকে কুপোকাত করার মতো প্রায় একই বলে রাহুলকে ফিরতি ক্যাচ বানান ওয়েলালাগে। আরেক থিতু ব্যাটার ইশানের আউটেও ভূমিকা রাখেন তিনি। আসালাঙ্কার বলে শর্ট মিডউইকেটে নেন দুর্দান্ত ক্যাচ। এরপর বিপজ্জনক হার্দিক পান্ডিয়াকে রিভিউ নিয়ে দ্রুত ফেরায় লঙ্কানরা। এই উইকেটের মাধ্যমে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো ফাইফারের স্বাদ নেন ওয়েলালাগে।

পরের গল্পটা আসালাঙ্কার। রবীন্দ্র জাদেজার পর টানা দুই বলে তিনি শিকার করেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদবের উইকেট। আর আক্সার প্যাটেলকে ঝুলিতে ঢুকিয়ে ভারতকে গুটিয়ে দেন থিকশানা।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন অধিনায়ক রোহিত। ৪৮ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। ইশান ৬১ বলে ৩৩ রান করেন একটি করে চার ও ছক্কায়। রাহুলের ব্যাট থেকে ২ চারের সাহায্যে আসে ৪৪ বলে ৩৯ রান। শেষদিকে আক্সার ৩৬ বলে একটি ছক্কায় করেন ২৬ রান। তার কারণে ভারতের সংগ্রহ ছাড়িয়ে যায় দুইশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১০ ওভারে একটি মেডেনসহ ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন ২০ বছর বয়সী ওয়েলালাগে। আসালাঙ্কা ১৮ রানের বিনিময়ে পান ৪ উইকেট। অপর উইকেটটি পান মাহিশ থিকশানা। ফলে ভারতের ১০ উইকেটের সবকটিই নেন লঙ্কান স্পিনাররা। ওয়ানডে এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে স্পিনারদের কাছে ১০ উইকেট হারাল ভারত। সবমিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এমনটা ঘটল ১০ বার।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বলিউডের ইতিহাসে এক দিনে সর্বোচ্চ আয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ভারতের সিনেমা ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে ফেললো বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের জওয়ান। মুক্তির প্রথমদিনে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১২৫ কোটি রুপি আয় করে নিয়েছে সিনেমাটি। 

 

বলিউডের মুভিরিভিউজে দেওয়া তথ্য মতে ছবির বক্স অফিস কালেকশন জানা গেছে। শুধু হিন্দি সংস্করণেই সিনেমাটি আয় করেছে ৬৫ কোটি। তামিল ভাষায় আয় করেছে ৫ কোটি। তেলেগু সংস্করণে আয় ৪ কোটি। 

তার মানে শুধু ভারতেই তিনটি ভাষায় জওয়ানর আয় ৭৫ কোটি। সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রথম দিনে ছবিটি আয় করেছে অন্তত ৫০ কোটি। সব মিলিয়ে মুক্তির প্রথম দিনে জওয়ান বিশ্বব্যাপী ১১৫ থেকে ১২৫ কোটি রুপি আয় করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 


এর আগে একদিনে বক্স অফিস থেকে ভারতের কোনো সিনেমাই ১০০ কোটি রুপি আয়ের ইতিহাস গড়তে পারেনি। সেক্ষেত্রে জওয়ান সেই সকল রেকর্ডই ভেঙে ফেললো।  শুধু ভারতে শাহরুখ খানের পাঠান সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনে ৫৫ কোটি রুপি আয় করেছিল। দক্ষিণী ছবি কেজিএফ-চ্যাপ্টার ২-এর আয় ছিল ৫৩ কোটি ৯৫ লাখ। 

বৃহস্পতিবার ভারতের সাড়ে ৫ হাজার স্ক্রিনসহ বিশ্বের ১০ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ৩০০ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা। হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে অ্যাটলি পরিচালিত জওয়ান। এই প্রথমবার নয়নতারার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাহরুখ। নয়নতারা ছাড়াও শাহরুখের এই ছবিতে দেখা গেছে সানিয়া মালহোত্রা, বিজয় সেতুপতি, প্রিয়মণির মতো তারকাদের। বিশেষ চরিত্রে থাকছেন দীপিকা পাড়ুকোন।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কঠোর কর্মসূচির দেয়ার ইঙ্গিত বিএনপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের কথা বললেও ক্রমেই কঠোর কর্মসূচির দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। সেক্ষেত্রে হরতাল, অবরোধ এবং অসহযোগ কর্মসূচির ভাবনাও আছে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ফয়সালা করতে চায় দলটি।

সেক্ষেত্রে তফসিল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ঘোষণা হলেই হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কর্মসূচির ধরণ ও সময় পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানা গেছে।

দলীয় সূত্র বলছে, জানুয়ারিতে নির্বাচন হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে একাধিক কমিশনার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিএনপি নেতারা মনে করছেন- আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপের মুখে নিজেদের অধীনে নির্বাচনের অবস্থান থেকে সরকার সরে আসবে। তাই আপাতত হার্ডলাইনে না যাওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তফসিলের আগেই হরতালের মতো কর্মসূচি আসতে পারে।

যদিও এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা হলেই তারা হরতালের কর্মসূচি আসবে এমনটা চিন্তা আছে নীতিনির্ধারকদের। তবে কর্মসূচি যাই হোক তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ওপর। যারা সক্রিয় থাকবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হাইকমান্ড।

কর্মসূচির বিষয় আলাপকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য একজন সদস্য বলেন, আন্দোলনের তো মাত্রা থাকে। সেটা তুঙ্গেও উঠবে। কিন্তু সেই সময় তো দরকার। আমরাও হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির চিন্তা ভাবনা করছি।

সেটা কবে নাগাদ ঘোষণা করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নীতি নির্ধারক বলেন, তফসিল কবে ঘোষণা করবে সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। আমরা আমাদের মাত্রা ঠিক করে তফসিলের আগেও কঠোর কর্মসূচির দিতে যেতে পারি। অনেক ধরণের আলোচনা চলছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের তিনজন নেতা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি নিয়ে কোনোভাবে এগুবে তাও ঠিক করবে বিএনপি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, রোডমার্চের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। বেশ সাড়াও পাচ্ছি। চলমান কর্মসূচি শেষ হোক। সবাইকে নিয়েই উপযুক্ত কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এবার আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, তারা চাইছেন তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন ইস্যুর রাজনৈতিক ফয়সালা নিশ্চিত করতে। এ লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার চিন্তা রয়েছে তাদের। এসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘিরে কর্মসূচিসহ নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়ে দলটির অভ্যন্তরে আলোচনা রয়েছে।

অবশ্য সরকারি দল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব কর্মসূচি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে গেলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন বিএনপি নেতারা।

অন্যদিকে একযোগে বিএনপির মহাসচিবসহ একাধিক শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হরতালের কর্মসূচি আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের মতো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যতদিন আপনি (শেখ হাসিনার সরকার) থাকবেন এটা আরও সংঘাতের দিকে যাবে, খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরও বাড়তে থাকবে। এখনও তো সংঘাত শুরু হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে জনগণ রুখে দাঁড়াবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শত প্ররোচনার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এটার শেষ পরিণতি কী হবে তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণ কি হচ্ছে তার ওপর।

মহাসচিবের বক্তব্যের পর এদিকে সিলেটের রোডমার্চে অংশ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী হরতাল, অবরোধের মতোন কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

ভৈরবে সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন রাখেন, আমরা এখনও হরতাল দেইনি। হরতাল দেওয়া দরকার আছে? অবরোধ দেওয়ার দরকার আছে? আপনারা পালন করবেন? তিন প্রশ্নের উত্তরে নেতাকর্মীরা বলেন, হ্যাঁ

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ঠিক আছে আপনাদের রায় পেলাম। আমরা হরতাল করি নাই, কিন্তু করব না সেই প্রতিজ্ঞাও করিনি। এবার ডু অর ডাই হবে।

অন্যদিকে প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রিজভী বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বুঝে তাহলে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাব ঘটে

দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ- মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)

মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা বিশৃংখলা যুগকে বলা হতোআইয়ামে জাহেলিয়াত যুগ

তখন মানুষ হানাহানি কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।


মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুর আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন

পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।


এদিকে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ দোয়া মাহফিল

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা চরিত্র গঠন বিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ক্রোড়পত্র প্রকাশ

এছাড়াও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

সূত্র: বাসস


আরও খবর



ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধপ্রস্তুতির আহ্বান ন্যাটোপ্রধানের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেও এই যুদ্ধ খুব শিগগির শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেছেন, শুরুর দিকে যা ধারণা করা হয়, বেশিরভাগ যুদ্ধই তার চেয়ে বেশিদিন টিকে। তাই আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

জার্মানির ফাঙ্ক মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ন্যাটো মহাসচিব। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে সাক্ষাৎকারটি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল রাশিয়া। গত জুনে তার পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেন। রুশ বাহিনীর হাত থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল পুনরুদ্ধারের এই প্রচেষ্টায় অবশ্য এখন পর্যন্ত খুব একটা সফল হতে পারেনি কিয়েভ।

স্টলটেনবার্গ বলেছেন, আমরা সবাই দ্রুত শান্তির আশা করছি। তবে একই সঙ্গে এটিও স্বীকার করতে হবে, যদি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউক্রেনীয়রা লড়াই বন্ধ করে দেন, তাহলে তাদের দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। যদি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রাশিয়া অস্ত্র নামিয়ে রাখে, তাহলেই শান্তি আসবে।

ইউক্রেনকে পশ্চিমা সামরিক জোটের সদস্য করার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাক্রমে ইউক্রেন যে ন্যাটোর সদস্য হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। গত জুলাইয়ের সম্মেলনে ন্যাটোর আরও কাছাকাছি এসেছে কিয়েভ।

ন্যাটো প্রধানের কথায়, এই যুদ্ধ যখন শেষ হবে, তখন ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তার গ্যারান্টি দরকার। নাহলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

ভিলনিয়াসে জুলাইয়ের শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা সম্মত হয়েছেন, কিছু শর্ত পূরণ করলেই এই জোটে যোগ দিতে পারবে ইউক্রেন। এসব শর্তের মধ্যে দেশটিতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির কর্মকর্তারা।


আরও খবর



জাবি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব ধামরাই এর নবীনবরণ ও বিদায় সম্বর্ধনা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

 মাহবুবুল আলম রিপন ( স্টাফ রিপোর্টার):

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব ধামরাই আয়োজিত ৫০ ও ৫১ ব্যাচের নবীনবরণ এবং ৪৫ ব্যাচের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর)বিকাল ৪টা জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অফ ধামরাই আয়োজিত ৫০ ও ৫১ ব্যাচের নবীন বরন ও প্রবীন ছাত্র ছাত্রীদের বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ধামরাই উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে বর্তমান এসোসিয়েশনের সভাপতি সাল সেবিল জেরিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় সাংসদ ঢাকা-২০ ধামরাই আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম,গন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবুল হোসেন, ধামরাই পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান কানন, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম ব্যাচ ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি।

এছাড়াও এ’অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পপ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র মোহাম্মদ সেফাতুল্লা,প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক আবু সিদ্দিকুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিপি এম এ জলিল প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালাইমনা এসোসিয়েশনের আহবায়ক ও সদস্য সচিব যথাক্রমে মোঃ শাহাবদ্দিন ও ইউসুফ আলী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আশীষ কুমার মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন প্রমূখ।

এছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু প্রাক্তন ও নবীন ছাত্র ছাত্রীসহ স্হানীয় ধামরাইয়ের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ’সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর