Logo
শিরোনাম

ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারেনি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি, এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ছিল তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলে সিটমহল বিনিময়, ৬৮ বছরের যে সমস্যা তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন, এটি সমীচীন নয়। প্রশ্ন রাখেন, ভারত বিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? যারা নির্বাচনে আসেনি এটি তাদের অপপ্রচারের একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন ভারত বিরোধীতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনো তারা সেটি করছে।

বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট কি ভালো? সরকার কেন সিন্ডিকেটকে সমর্থন করবে? সিন্ডিকেট যে বা যাহারা করুক এর সূত্র খুঁজতে হবে। প্রকৃত সত্য বের করতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এখানে সক্রিয় আছে। সংকট সমাধানের যোগ্য নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই ধৈর্য ধরার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের।

দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংখ্যালঘু ধারণাটাই একটা দাসত্বের শেকল, ভেঙে ফেলতে হবে। দাসত্ব কেন করবেন? বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে। কেন নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সব ধর্মের মানুষের সমান অবদান ছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হিন্দুদের জমি দখল ও মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু, দুর্বৃত্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।

এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে ততদিন পাশে আছে। আওয়ামী লীগ আগেও পাশে ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতেও থাকবে। অন্য দল ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্তসহ সনাতন ধর্মের অন্যান্য নেতারা।


আরও খবর



প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনে

গাজীপুর-৩ আসনে আ.লীগের রাজনীতিতে বাড়ছে ক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,সিনিয়র রিপোর্টার:

গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্ষোভ হতাশা বিভেদ এবং বিভক্তি বাড়ছে।

আশাহত মানুষের কাফেলায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন মুখ।নেতৃত্বের অদুরদর্শিতা ও একক স্বার্থের নব ইতিহাসের সমুখে  সরোবমুখগুলো আবার খুঁজছে এমন একটি মুখ, যে মুখ তাদেরকে নিরাশ করবে না।এমন অভিযোগ ও প্রত্যাশা রয়েছে সর্বত্রই।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ঐক্যবদ্ধ কাফেলার সরোব পদচারণা এবং বিভিন্ন জনপদে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠি,সেই ঐক্যবদ্ধতায় ফাটল ধরেছে ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসার বখরা না পেয়ে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা,বিশেষ ব্যক্তির একক সিদ্ধান্ত,সুসম ফ্যাক্টরী ব্যবসা না পাওয়ায় এই জনপদের রাজনীতির অভ্যন্তরে যে চাপা কষ্টের সূচনা হয়েছে তার প্রতিফলন দেখা যাবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় যে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের মুখর উদ্দীপণা ও এক মঞ্চে এসে পরিবর্তনের যে স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি ছিল,বাস্তবে তা আর নেই।বাহ্যিকভাবে তা প্রকাশ না হলেও বঞ্চিত নেতৃত্বের আশীর্বাদ আর পাচ্ছেন না ক্ষমতাসীনরা।

যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায়।ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত মিটিং করে উপজেলায় প্রার্থি কে,তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব।একথা অনস্বীকার্য যে,সিংহভাগ নেতৃত্ব যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গোপনে গ্রহন করেছেন জনমত তাদের দিকেই থাকবে।

যেহেতু এবারের উপজেলা নির্বাচন প্রতিকবিহীন হতে যাচ্ছে,সে কারনে বঞ্চিত নেতৃত্ব এবার তাদের পছন্দের প্রার্থির পক্ষেই অবস্থান গ্রহন করবেন। নির্বাচিত হলে এই প্রার্থিই বঞ্চিতদের বঞ্চণা নিরসনে শক্ত অবস্থান গ্রহন করবেন।আর ঠিক সেসময়ই ক্ষমতাসীনদের সাথে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এছাড়াও এখানকার রাজনীতির মূল চাবিকাঠি চলে যাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে।সেক্ষত্রে বর্তমান নেতৃত্বকে হয় একলা চলো নীতি গ্রহন করতে হবে,না হয় ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সকল শর্তাবলী মেনে নিতে হবে।বাস্তবতা হল উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

কারন তারা যদি ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের প্রস্তাব মেনে নেয় তবে পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ভর হতে হবে।কাঠের পুতুল হয়ে তাদের কথা মেনে চলতে হবে,যা মানা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

এছাড়া ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য অর্থনৈতিকখাতে যাদেরকে বসানো হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকায় শুরু করতে গেলে অনুসারিদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম হবে এবং রাজনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।দূর্বল হয়ে যাবেন ক্ষমতাসীনরা।ব্যবসায় পরিবর্তন আনতে গেলেই উত্তাল ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে রাজনীতি বর্তমান নেতৃত্বের।সেই ঝুঁকি তারা নেবেন বলে মনে হয় না।

ফলে বর্তমান নেতৃত্ব উপজেলায় তাদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বদলে হারাবেন নিজেদের আধিপত্ত।আর এখান থেকেই সূচনা ঘটবে '২৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তনের পদযাত্রা।

তখনও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বই সফল হবেন।কারন সামনের বছরগুলোতে বর্তমান নেতৃত্ব একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন এবং তারা জনক্ষোভের মুখে পড়বেন,যার আলামত দেখা যাচ্ছে এখনই।

অর্থাৎ সরলরেখায় বললে বলা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারনায় যে মুখগুলো প্রার্থি পরিবর্তনের পক্ষে মঞ্চ ও মাঠ কাঁপিয়েছিলেন তাদের অবস্থানের পরিবর্তন আসন্ন। সেই সব নেতৃত্ব উপজেলায় ক্ষমতাসীন পরিবারের প্রার্থির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করবেন বলে নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কাজেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পরিবার উপজেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।আর উপজেলায় যদি সত্যিই তাদের পরাজয় ঘটে তবে গাজীপুর-৩ আসনে '২৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তন ঘটতে পারে।

এছাড়াও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের চোখে এই আসনের কর্মকান্ড নিয়ে যেসব অভিযোগ জমা হয়েছে তা সুখকর নয়।সেসব অভিযোগ এবং আগামি সাড়ে ৪ বছরে যা যা ঘটবে তাতে জনক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে।

সেসব বিষয়সমুহ কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব আমলে নিলে হয়ত বা '২৯ সালে গাজীপুর-৩ আসনবাসি দেখবেন এমন এক নতুন মুখ,যে মুখ হবেন সম্ভাব্য আলোচিত প্রার্থিদের বাইরের কেউ,এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।কাজেই সাধু সাবধান!


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ,নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পঞ্চকরনে গৃহিনীকে (৫০) প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনায় আবুল

আইচ(৫৫) নামে এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোরেলগঞ্জ থানার মামলা নং ২৩, তারিখ-২৮.৩.২০২৪।

কুমারিয়াজোলা গ্রামের সবুর শেখের ছেলে আবুলাইচ শেখ মহিশচরণী আফতাব আলী খানের বাড়ির জামে মসজিদের ঈমাম ও মহিষচরণী জেন্নাতিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

  এর আগে, বুধবার বিকেলে মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগে ঈমাম আবুল আইচ তার প্রতিবেশি ওই নারীকে পঞ্চকরন ইউনিয়নের কুমারিয়াজোলা গ্রামের পাঁচগাও বাজার ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় লোকজনের সামনেই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে স্বজোরে খাড়া লাথি দিয়ে গুরুতর আহত করে।

তাৎক্ষনিক ঘটনাটি নিকটস্থ ফাড়ি পুলিশকে জানিয়েছেন এবং আহত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য ওই গৃহিনীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি গোপনে স্থানীয় এক যুবক মোবাইলে ধারণ করলে পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

বিজলী আক্তার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দাবী করে বলেন, অপরাধে প্রকাশ্যে ঘাড়ধরে ধাক্কা  মেরে রাস্তায় ফেলে আমার মাথায়, চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। লাথি মেরে তলপেটে গুরুতর আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে প্রশাসনের কাছে আমার ওপরে এ হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

 এ বিষয়ে পঞ্চকরন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, বিজলি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তার ওপরে এ ধরনের হামলার ঘটনা দূঃখজনক। হামলাকারীদের আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেন তিনি।

এ বিষয়ে  মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মধ্য বয়সী এক নারীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। একমাত্র আসামি আবুল আইচকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নেতানিয়াহুর অনুমোদন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনার অনুমোদন দিয়েছেন। কাতারের রাজধানী দোহা ও মিসরের রাজধানী কায়রোতে এই আলোচনা হবে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) নেতানিয়াহুর দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে তোলা প্রস্তাব পাস হয়। ওইদিন এই প্রস্তাবে ভেটো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোহায় অবস্থানরত আলোচনাকারী দলকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন নেতানিয়াহু।

মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার পরেরদিন মঙ্গলবার জানায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে যুদ্ধরত দুই পক্ষ এবং মধ্যস্থতাকারীরা এ ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানায়নি।

নেতানিয়াহুর দপ্তর আরও জানিয়েছে, তিনি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়ার সঙ্গে নতুন আলোচনা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে বার্নেয়া নিজে দোহা অথবা কায়রোতে যাবেন কিনা সেটি স্পষ্ট করেনি তারা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারান।

এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ মানুষ।

৭ অক্টোবর ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি আরও ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসেন হামাসের যোদ্ধারা। যারমধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী চলা যুদ্ধবিরতিতে ছেড়ে দেয় তারা।

ইসরায়েলের বিশ্বাস হামাসের কাছে এখনো ১৩০ জিম্মি রয়েছে। যারমধ্যে ৩৩ জন ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর



নগরবাসীর জন্য ডিএমপির ১৩ পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নাড়ির টানে এই নগরের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন। এর ফলে ঈদের মৌসুমটা রাজধানী প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো এসব মানুষ।

যাত্রাপথে নিজেদের সামান্য অসাবধানতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেজন্য আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে। ফলে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (৬ এপ্রিল) ডিএমপি সদরদফতরের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এই পরামর্শের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরামর্শগুলো হলো :

১. গ্যাস ও পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হবেন। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে প্রথমেই ঘরের দরজা-জানালা খুলবেন। ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনও অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করবেন না।

২. বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে।

৩. বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রেখে যাবেন।

৫. রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল করতে হবে।

৬. মোটরসাইকেল চুরি রোধে অ্যালার্ম ব্যবহার করতে হবে। এতে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। লক করার কাজে স্টিলের তৈরি মেরিন অ্যাংকর চেইন ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকায় উন্নতমানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে।

৭. দেশের বা বিদেশের কোনো আইপিএস কিংবা বিসিএস কর্মকর্তা, বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তা ইত্যাদি পরিচয়ে ফেসবুকে পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে প্রতারিত কিংবা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে পারেন। সেজন্য এ ধরনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা উচিত হবে না।

৮. যার নাম-ঠিকানা আপনার জানা নেই, এমন অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া ভিডিও কল গ্রহণ করবেন না। এরূপ ভিডিও কলে পাঠানো অশ্লীল ছবি কিংবা ভিডিও রেকর্ড করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতে পারে।

৯. আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যক্তি বন্ধ করতে পারে না। এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কিংবা পিন নম্বর বিভিন্ন কৌশলে বারবার চাইতে পারে। এ ধরনের ফোন কল পেয়ে থাকলে কোনো অবস্থাতেই পাসওয়ার্ড বা পিন কোড দেওয়া যাবে না।

১০. ভুল করে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে এমন ফোনকল পেলে যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না।

১১. লটারি জিতেছেন কিংবা বিদেশ থেকে দামি উপহার বা ডলার পাঠানো হবে এমন ফোনকল পেলে বিশ্বাস করবেন না। এয়ারপোর্ট কাস্টমসে কিংবা এনবিআর অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে প্রতারকরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের লোভে পড়বেন না।

১২. অত্যন্ত দামি ধাতুর তৈরি সীমান্ত পিলারে বিনিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা লাভ করা যাবে এরূপ প্রলোভনে বিশ্বাস করবেন না। প্রতারকরা নকল পিলার দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বাস্তবে এ ধরনের কোনো পিলার নেই।

১৩. ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়্যাটসঅ্যাপ ও ইমো আইডিতে আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পরিচিত ব্যক্তির বিপদে পড়ে জরুরি টাকা পাঠানোর অনুরোধ পেলে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ না করে টাকা পাঠাবেন না। মোবাইল চুরি করে কিংবা বিভিন্ন আইডি হ্যাক করে এ ধরনের অনুরোধ পাঠানো হয়।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

এতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।

এছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর