Logo
শিরোনাম

ভারত থেকে আসছে আলু

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভরা মৌসুমেও দাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় ভারত থেকে আবারও আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় আলু। এদিকে আমদানির খবরেই স্থানীয় পাইকারি বাজারে পড়ে গেছে আলুর দাম।

শনিবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ভারত থেকে আলুভর্তি দুটি ট্রাক ঢুকতে দেখা গেছে হিলি বন্দরে। সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিন আগে যে আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে আজ তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি এসব আলু বিক্রি হচ্ছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা দরে।

জানা গেছে, ভরা মৌসুমেও আলুর দাম না কমায়, তা চলে গিয়েছিল নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে তাই আবারও ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। হিলি বন্দরে ৫২ জন আমদানিকারক ৩৫ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছে।

এদিকে আলু আমদানির খবরে হিলি বন্দর বাজারে পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। এতে হাসি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মুখে।

বাজারে কথা হয় হাবিবুর রহমান নামে স্থানীয় এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, আলুর দাম আজ অনেকটা কম দেখছি। গত কয়েক দিন আগেও ৩৫ থেকে ৪০ কেজি দরে আলু কিনলাম। আজ ২৫ টাকা কেজি দরে কিনলাম।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বন্দর দিয়ে ৩৫ হাজার টন আলু আমদানি করা হবে। ৫২ জন আমদানিকারকের মাধ্যমের আলু আমদানি করছে সরকার। ইতোমধ্যে ভারতীয় আলু বন্দরে ঢুকতে শুরু করেছে। আমদানি করা এসব আলু বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।

এর আগে গত বছরের ৩০ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আলু আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার।

 


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতি‌বেদক ,কুমিল্লা :

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও দেখে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

 মঙ্গলবার কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন—ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), ইলিয়াছ ভূইয়া (৫৮), আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)।

গেল রোববার দুপুরে ওষুধ কিনতে বাড়ির কাছের বাজারে যাওয়ার পর স্থানীয় জামায়াত কর্মী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে দেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত র‌য়ে‌ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল বলেন, 'ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের না করায় পুলিশ আটককৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতে হাজির করা হ‌য়ে‌ছে। প‌রে এটি নিয়মিত মামলা করা হবে।

এ ঘটনায় আটককৃত‌দের চৌদ্দগ্রাম থানা পু‌লিশ গোপনীয়তার স‌হিত মি‌ডিয়ারকর্মী‌দের চোখ ফা‌কি দি‌য়ে বিকেলে ৫জনকে কু‌মিল্লার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 'ন‌্যায় বিচা‌রের আকু‌তি জা‌নি‌য়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু  বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নি‌শ্চিত করার আহবান জানান সরকারের কাছে  ।‌তি‌নি এখনও ফেনীতে তার মেয়ের সঙ্গে অবস্থান করছেন । সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তি‌নি নিজ বা‌ড়ি‌তে ফির‌তে চান।  

এদি‌কে কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।      সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।       

 উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের মজুমদার বাড়ীর আব্দুল হক মজুমদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), একই বাড়ীর মৃত সুলতান আহম্মেদ মজুমদারের ছেলে জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), কুলিয়ারা ভূঁইয়া বাড়ীর মৃত এছাক ভূঁইয়ার ছেলে ইলিয়াছ ভূঁইয়া (৫৮), পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট থানাধিন রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের রায়কোট গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং কুলিয়ারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও চাঁদপুর জেলার সদর থানার মইশাদী গ্রামের মো: জাকির হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ্ সাজ্জাদ (১৯)।                 মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুুপুরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার দুপুরের পর থেকে স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বিক্ষুব্ধ জনতা হেনস্থা করার ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনাটি জানতে পেরে বিশেষ গুরত্বারোপ করার পাশাপাশি ভুক্তভোগি মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলে উনাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেই। কিন্তু তিনি অপারগতা প্রকাশ করায় বিষয়টি নিয়ে এগোতে পারিনি। তবে, ভাইরালকৃত ভিডিও দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাতেই বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানু একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর নিজ এলাকার একটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন ও স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। সে সময় তিনি এলাকার কয়েকজন সম্মানিত সামাজিক ব্যক্তিকে অপমান-অপদস্ত ও হয়রানি করেন বলেও জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, তথ্য প্রযুক্তি, মারামারি ও রাজনৈতিক মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার গ্রেফতার হন এবং জেল খাটেন। বহুদিন নিজ এলাকায় না এসে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্টের পর দেশের পটভূমি পাল্টে গেলেও তিনি নিজ এলাকায় আসেননি। রোববার দুপুরে স্থানীয়রা তাকে এলাকায় দেখতে পেয়ে পাতড্ডা বাজার থেকে টেনে-হিছড়ে পাশ্ববর্তী কুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিয়ে এসে গ্রাম ছাড়ার হুমকি ও সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে এ ঘটনার ধারণকৃত ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নেটিজেনরা সমালোচনার ঝড় তোলেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয় এবং ভিডিও দেখে শনাক্ত করে অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



বিটিভির জন্মদিনে প্রকাশ হয়ছে বিশেষ গ্রন্থ ‘তারিখ অভিধান’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পথচলার ষাট বছর পূর্ণ করে ফেললো বাংলাদেশ টেলিভিশন- বিটিভি। সরকারি মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলটির জন্মদিন ঘিরে চ্যানেল আই আয়োজন করেছিলো এক ভিন্নধর্মী এক অনুষ্ঠান। গান, স্মৃতিচারণ, বইয়ের মোড়ক খোলার আয়োজন আর আড্ডায় বুধবারের সকালটা ছিলো একেবারেই ভিন্ন ধরনের। 

১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের। বিটিভি নামেই পরিচিত দেশের সকল মানুষের কাছে। সৃষ্টি সৃজনের সূতিকাগার এই টেলিভিশন চ্যানেলের পথচলায় চড়াই উতরাই থাকলেও এক সময় বিটিভিই ছিল দেশের কোটি মানুষের দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠানের বিশাল সম্ভার। 

তাই টেলিভিশন চ্যানেলটির অতীত ঐতিহ্যর সাথে নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন রচনায় বেসরকারি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান চ্যানেল আই আয়োজন করেছিলো বিটিভির জন্মদিনের অনুষ্ঠান। গান গল্পের আড্ডায় বুধবারে সকালে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ হয়ে উঠিছিল বিটিভির নবীন প্রবীণ শিল্পী কলাকুশলীদের মিলনমেলায়। 

দেশের টেলিভিশনের অতীত ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য লেখক, সাংবাদিক নাট্যকার আহমেদ রেজাউর রহমানের গবেষণা গ্রন্থবাংলাদেশ টেলিভিশন তারিখ অভিধানেরমোড়ক খোলা হয় এই আয়োজনে। 

বহুমুখী প্রতিভার লেখক, সাংবাদিক নাট্যকার আহমেদ রেজাউর রহমানের সঙ্গে বিটিভি সম্পর্ক অনেক পুরোনো। বাংলাদেশ টেলিভিশন নিয়ে যে কয়েকজন মানুষ নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে আসছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। বিটিভির এর আগে তিনি লিখেছেন গবেষণাধর্মী১৯৭১ ঢাকা টেলিভিশনগ্রন্থটি।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার আহমেদ রেজাউর রহমান সামনে আনছেন বিটিভি নিয়ে তার আরেকটি গ্রন্থ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের নানা ধরনের অনুষ্ঠানের প্রচার সময় নিয়ে রচিত হয়েছেতারিখ অভিধান তার তথ্যবহুল এই বইটিতে ১৯৭১-১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়কে তুলে ধরা হয়েছে।

লেখক আহমেদ রেজাউর রহমানের বলেন, বিটিভিতে প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান নাটক সম্প্রচারের দিন তারিখের ইতিহাস নিয়ে ধারাবাহিক বইয়ের প্রথম খণ্ড এটি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় খণ্ড প্রকাশেরও আশা রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বইটি খুবই প্রয়োজনীয় হবে বলে জানিয়েছেন প্রকাশক মনিরুল হক।

অনুষ্ঠানে আসা তারকারা বলেন, বিটিভি মানুষকে যেমন স্বপ্ন দেখিয়েছে তেমনি মেধার সম্মেলনও ঘটিয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানটি তাই রাজনীতি প্রভাবমুক্ত রেখে বিটিভি পরিচালনা করলে এক অনন্য উচ্চতায় চলে যেতো। উল্লেখ্য, চ্যানেল আই প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর বিটিভির জন্মদিনে নিজস্ব আঙিনায় আয়োজন করে বিশেষ অনুষ্ঠানের। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। 


আরও খবর



ঢালাও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত জুলাইয়ে রাজধানীর পুরানো ঢাকার যে জায়গায় নাদিমুল হাসান নিহত হন, ঠিক তার অল্প কিছু দূরে তারই সাথে আন্দোলন করছিলেন আরেক শিক্ষার্থী সুলতানা আক্তার।

অথচ তারই বাবাকে আসামি করা হয়েছে ওই হত্যা মামলায়। নাম বাদ দিতে তাদের কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে।

সুলতানা আক্তারের ভাষায়, ‘যে ছেলেটা আমার সামনে মারা যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে, তার মামলায় আমার বাবাকে (আসামি) দিছে। আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম এটা কিভাবে সম্ভব? এটাতো সম্ভব হতে পারে না। ওই দিন ওর থেকে এক হাত দূরে, যদি ওই গুলিটা ওর গায়ে না লাগতো, আমার গায়ে তো লাগতে পারতো।

বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় ঢালাওভাবে করা মামলাগুলোতে এরই মধ্যে আসামি করে, আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি, কিংবা মামলা থেকে নাম খারিজ করে দেয়ার নামে বাণিজ্যের অভিযোগ দিনে দিনে বাড়ছে।

পরিস্থিতি এমন অবস্থায় গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে বিষয়টি স্বীকার করে কয়েকবারই বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ভুয়া মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, সরকারের তরফ থেকে এমন বলা হলেও এখন পর্যন্ত শক্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

আন্দোলনকারীর বাবার বিরুদ্ধেই মামলা


ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই পুরানো ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের শিক্ষার্থী নাদিমুল হাসান এলেম।  ঘটনায় ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করে তার মা কিসমত আরা। তবে যাদের আসামি করা হয়েছে মামলার বাদী তাদের চেনেন না।



কিসমত আরা বলেন, ‘আমিতো চিনি না ওদের। যাদের মাধ্যমে মামলাগুলো করেছি ওনারা নামগুলা দিয়েছে। এখন ওনারা ভুলবশত দিয়েছে না কিভাবে দিছে আমি তো এটা বলতে পারি না। এরকম কাগজ নিয়ে আসছে, বলে সিগনেচার করেন। এই ঘর, ওই ঘর, আমি কী কিছু বলতে পারি। তারা বসে পড়ছে, পড়ে আমি কী করতে পারি।

বাদীর স্বামী জানান, আদালতেই পাশের এক এজলাসে (যাদের মাধ্যমে মামলা করা হয়েছে তাদের কথা বোঝান) বসে মামলা।

যেদিন নাদিম মারা যান ওই সময় ঘটনাস্থলেই আন্দোলনরত অবস্থায় ছিলেন সুলতানা আক্তার। এই হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সুলতানার বাবাকে।

সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আন্দোলন করলাম, যেখানে আমার বাবা আমাকে সাপোর্ট দিলো, আমাকে রাত একটা বাজে বাবা আমাকে নিয়ে আসে রাস্তা থেকে, আজকে সেই বাবার জন্য আমি কিছু করতে পারতেছি না। সেই বাবাকেই আসামি বানিয়ে দিছে আজকে এরা।

রাজনৈতিক কারণে নয় বরং ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে হত্যা মামলায় সুলতানা আক্তারের বাবাকে আসামি করা হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।

আসামির তালিকা থেকে বাবার নাম বাদ দেয়ার জন্য তিনি মামলার বাদীর স্বামী শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করেন সুলতানা আক্তার।

বিনিময়ে আলম তিন লাখ টাকা দাবি করেন বলে জানান সুলতানা আক্তার। একইসাথে নাম বাদ দিতে পুলিশ, কোর্টসহ নানা জায়গায় খরচের কথাও আলম তাকে জানান।

সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমি তাকে বললাম আমিও তো ছাত্র আন্দোলনের একজন স্টুডেন্টস। পুলিশেরটা আমার কাছে ছেড়ে দেন। ওসির সাথে না হয় আমি কথা বলে নেব, যদি ওই খানে টাকা লাগে। এছাড়া আপনি কী করতে পারেন। ওনি বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে তিন লাখ টাকা নিয়ে আইসেন, আমি মামলা উঠায়া দিব।

যদিও আলম প্রথমে টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

কিন্তু পরে স্বীকার করে বলেন, ‘ওইটা আমি দুষ্টামি করছি। আমি কইছি যে তিন লাখ টাকা নিয়া আসো আমি ব্যবস্থা কইরা দিমু। তারপর আবার বলছি যে এক টাকাও লাগবে না।

তিন লাখ টাকা চাওয়ার পর সুলতানা আক্তার কী বলেছেন জানতে চাইলে আলম জানান, ‘আমারে ওই মেয়েটা বলছে যে আমার কাছে তো এতো টাকা নাই। এক লাখ টাকা আপনারে বলছিলাম। আমি কইলাম দেখরে বাবা তোমার বাবার নাম কাটা যাওয়ার খরচো আছে এখানে, পুলিশ কি টাকা নিবে না মনে করেন? কোর্ট খরচো নিব না? এটা কি আমি খরচো করুম?’

আলমের বক্তব্যেই এটা স্পষ্ট যে সুলতানা আক্তারের বাবার নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দিতে টাকা দাবি করেছেন তিনি।

কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হলেও তিনটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে জানান এক ব্যক্তি। তবে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি।

তিনি জানান, মূলত মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য তাকে আসামি করা হয়েছে।

আমাকে প্রথম বলছে যে মামলায় দিবে না। পরে মামলায় দিছে। জিজ্ঞেস করার পর বলছে নাম কাইটা দিবে। সেজন্য টাকা দেয়া লাগছে। প্রথম ২০ লাখ টাকা দিতে বলছে, ২০ লাখ টাকা দেয়ার পরে আরো সাত লাখ টাকা দিতে বলছে। পরে আরো সাত লাখ টাকা দেয়া হইছে। টোটাল ২৭ লাখ টাকা,’ বলেন ওই ব্যক্তি।

তার দাবি টাকা দেয়ার পর মামলা থেকে বাদ তো দেয়নি বরং তার বিরুদ্ধে আরো বেশি মামলা করা হয়েছে।

আমাকে এবং আরো অনেককেই, যারা রাজনীতি করে নাই, যাদের কাছে টাকা আছে, তাদের টার্গেট করা হয়েছে, টাকা আদায় করার জন্য,’ বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি।

দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলাগুলোতে আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য টাকা আদায় করার অভিযোগে একের পর এক ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে।

সরকারের পদক্ষেপ কী?


এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এসব মামলাকে ঘিরে যে বাণিজ্য হচ্ছে তা স্বীকার করে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথা বলেছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ঢাকা বিভাগে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার এক অনুষ্ঠানে তিনি কথা জানান।

নজরুল বলেছেন, ‘নরমাল কোর্টে মামলা নিয়ে আমি শুনেছি অনেক ধরনের অসঙ্গতি হচ্ছে। মামলা নিয়ে ব্যবসা করছে। কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী মহল ভুল মামলা দিচ্ছে। প্রকৃত অভিযুক্তদের পাশাপাশি অনেক লোককে আসামি করে মামলাকে হালকা করার চেষ্টা করছে।

মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ, হত্যার অপরাধ। এই হত্যার অপরাধের বিচারের দাবি, বিচারের প্রত্যাশা এটাকে নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে আমাদের সমাজে। এদেরকে আমরা চিহ্নিত করব। অবশ্যই তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে,’ বলেন নজরুল।

সঠিকভাবে মামলা করার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথমেই আমাদের শুদ্ধভাবে মামলা করতে হবে। আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লিগ্যাল এইড একটা সেল করে দেব।

কথা দিচ্ছি সাত দিনের মধ্যে করে দেব। শহীদ পরিবারের মামলার ব্যাপারে তোমরা যদি লিগ্যাল এডভাইস চাও আমরা ওখান থেকে এডভাইসটা করতে পারবো। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার আমরা করবো,’ বলেন নজরুল।

এর প্রায়, এক মাস আগে সচিবালয়ে নজরুল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘যারা হয়রানিমূলক মামলা করছেন, মিথ্যা মামলা করছেন এবং বাণিজ্যমূলক মামলা করছেন, কাউকে কাউকে নাকি থ্রেটও দেয়া হচ্ছে টাকা না দিলে মামলা করা হবে, আপনারা কিন্তু মনে রাইখেন আমি যদি এই মন্ত্রণালয়ে থাকি, আপনাদের কীভাবে শাস্তি দেয়া যায় সেটার আইনও আমি খুঁজে বাইর করবো।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, ‘বাদী যখন বলে আমি চিনি না তাইলে বাদী কার প্ররোচনায় নামটি দিয়েছে সেটি উদঘাটন করতে হবে।

আসামিদের টেলিফোন করে যখন টাকা চাওয়া হয় তখন এটা বের করা তো কঠিন কিছু না। মামলা বাণিজ্য ইমিডিয়েট বন্ধ করতে হবে। সমন্বিত উপায়ে বন্ধ করতে হবে। দুই-একটা থানাকে মডেল টেস্ট হিসেবে নিয়ে বন্ধ করতে হবে,’ বলেন ফারুক।


সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




দাবানলে পুড়ে যেতে পারে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উল্টো দাবানলের আগুনে নতুন নতুন এলাকা পুড়ছে। এর মধ্যে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাসে দেওয়ায় নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় পূর্বাভাসে আরও তীব্র বাতাসের প্রভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং এর আশপাশে এখনও জ্বলন্ত ভয়াবহ দাবানল আরও তীব্র হতে পারে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্যালিসেডস এবং ইটনের প্রধান দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হচ্ছে। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাউন্টির ফায়ার প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোন বাসিন্দাদের যেকোনো সময় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মেনে চলতে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেছেন যে এই দাবানল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।

ঝড়ো বাতাসের হুমকির মুখে লাল পতাকা সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা, যা সাধারণত ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ জারি করা হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র বলেছেন,ঝড়ো বাতাস ফিরে আসার আগেই জরুরি সব প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কর্মীরা পুরোপুরি ভাল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ৯২ হাজারের বেশি মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮৯ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা।

ঝড়ো বাতাসের কারণে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়লে তা বিপর্যয়কর হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে গোটা লস এঞ্জেলসই দাবানলের হুমকির মুখে পড়েছে।

পাসাডেনার দমকল বিভাগের প্রধান চাদ অগাস্টিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা হয়ত আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছি। কারণ মঙ্গলবার বাতাসের গতি সর্বোচ্চ হতে পারে।’

এরই মধ্যে আগুনে সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নিউসম এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্থনি বলেন, ফিরে আসার পূর্বাভাস থাকা ঝড়ো বাতাসে আর্দ্রতা খুবই কম থাকায় লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে অনেক বেশি।

লস এঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি আগুন নেভানোর কাজে সহায়তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডের আরও সদস্য চেয়েছেন। চারশ’সদস্য এর মধ্যেই কাজ করছে।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে আক্রান্ত এলাকায় কারফিউ বলবৎ আছে বলে কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে জানানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন উইলিয়ামস কারফিউ পালনের জন্য বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উইলিয়ামসন আরও বলেন, পুলিশ কারফিউ ‘কঠোরভাবে প্রয়োগ’ করছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে যারা এটি লঙ্ঘন করবে তাদের এক হাজার ডলার জরিমানা অথবা জেল হতে পারে।


আরও খবর

ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা

বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় শীতার্ত মানুষের শরীরে শীতবস্ত্র তুলে দিলেন জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

চলতি বছরের শীত মৌসুমে নওগাঁ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীতের দাপট। শীত মৌসুমে নওগাঁর তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কখনো মৃদু শৈত প্রবাহ আবার কখনও তীব্র শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের সেই তীব্রতাকে যেনো আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেছে। দিনের বেলায় নিরুত্তাপ সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেঁকে বসছে কনকনে শীত। এমতাবস্থায় হাড় কাপানো শীতের তীব্রতায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে শীতার্ত অসহায়, দু:স্থ, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও খেটে-খাওয়া নানা শ্রেণি-পেশার নিম্ম আয়ের মানুষরা। এছাড়া বিভিন্ন শিশু সদনের শিক্ষার্থীরাও তীব্র শীতে কাঁপছে, শীতের তীব্রতার দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছে শিশুরা।

শীতের এই তীব্রতা থেকে নওগাঁর শীতার্ত মানুষদের রক্ষা করতে সরকারের পক্ষ থেকে গরম কাপড় হিসেবে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। প্রতিনিয়তই জেলার কোন না কোন স্থানে শীতার্তদের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র পৌছে দেয়া হচ্ছে। নওগাঁ জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে জেলার ১১টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা নিজেরাই গাড়িতে শীতবস্ত্র নিয়ে শীতার্তদের মাঝে পৌছে দিচ্ছেন। শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চক রামচন্দ্র উত্তরপাড়া হামিদুর রহমান বেসরকারি শিশু সদন এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম দপ্তরীপাড়া মাদ্রাসা, দুবলহাটি কাওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এবং জাবালে নূর হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে প্রায় ৭শ টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম রবিন শীষ, জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, চলতি শীত মৌসুমে জেলার দুঃস্থ, অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া ১৫ হাজার কম্বল ইতি মধ্যেই বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার জন্য ৬৭লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যে অর্থ দিয়ে স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী অফিসারগন শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল ক্রয় করে ওই সব উপজেলার শীতার্ত অসহায়, দুঃস্থ, গরীব, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও শিশু সদনের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আরো ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই শীতবস্ত্রগুলো পাওয়া মাত্রই বিতরণ করা হবে এবং মন্ত্রণালয় বরাবর আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আমি আশাবাদি জেলার কোন শীতার্ত মানুষকেই গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্ট করতে হবে না। যতদিন শীতের এই প্রকোপ অব্যাহত থাকবে ততদিন শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর