Logo
শিরোনাম

ভারতের চন্দ্রজয়ের নেপথ্যে ৫৪ নারী বিজ্ঞানী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করা প্রথম যান হিসেবে নাম লিখিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এই সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) একদল উদ্যমী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। আর তাদের মধ্যে ৫৪ জনই ছিলেন নারী। পৃথিবীর চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয় করে বুধবার (২৩ আগস্ট) ইতিহাস গড়েছে ভারত। এর আগে আর কোনো দেশ যা পারেনি, এদিন সেটিও করে দেখিয়েছে তারা।

ভারতের চন্দ্রজয়ের নেপথ্যে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে প্রথমেই আসবে ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথের নাম। চাঁদে ভারতের উচ্চাভিলাষী মিশনের পেছনে প্রধান মস্তিষ্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। এটি ছাড়া গগনযান (যাত্রীবাহী মিশন) এবং আদিত্য-এল ১ (সূর্য মিশন)-সহ কয়েকটি মিশনে অবদান রয়েছে এস সোমানাথের।

তিনি ছাড়াও এই চন্দ্রাভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পের পরিচালক পি ভিরামুথুভেল, মিশন পরিচালক মোহনা কুমার, বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের পরিচালক এস উন্নীকৃষ্ণান নায়ার, ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের পরিচালক এম শঙ্করন, লঞ্চ অথরাইজেশন বোর্ডের (ল্যাব) প্রধান এ রাজারাজন এবং সহযোগী প্রকল্প পরিচালক কে কল্পনার।

ভারতের চন্দ্রাভিযানে নেতৃত্ব পর্যায়ে পুরুষদের আধিপত্য দেখা গেলেও এতে নারীদের অবদানও কম নয়। জানা যায়, এই মিশনে ৫৪ জন নারী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তারা সহযোগী পরিচালক, উপ-প্রকল্প পরিচালক এবং বিভিন্ন সিস্টেমের প্রকল্প ব্যবস্থাপকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরোর এক কর্মকর্তা। খবর এইচটির।

ভারতীয় উপমহাদেশে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের জন্য বাধার অন্ত নেই। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে তারাও আপন যোগ্যতাবলে সফল হতে পারেন এটিই যেন বুঝিয়ে দিলেন ইসরোর নারীরা।

বুধবার চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরই আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন ইসরোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাদ যাননি নারীরাও। তাদের সেই উল্লাসের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।

শাড়ি পরা এসব নারীর দিকে ইঙ্গিত করে কেউ কেউ বলেছেন, কাজের ক্ষেত্রে পোশাক কোনো বাধা নয়। আবার কেউ বলেছেন, বইকে যেমন তার মলাট দিয়ে বিবেচনা করা যায় না, তেমনি পোশাক দিয়ে মানুষকে।


আরও খবর



তিন দিনব্যাপী বর্জ্যের প্রদর্শনী করবে ডিএনসিসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম আগামীকাল (শনিবার) সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আরেকটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজনন স্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রব্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি।

প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ এসব পরিত্যক্ত দ্রব্য জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের ক্রয় করা পরিত্যক্ত দ্রব্য প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিকটবর্তী এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন)-এ অপসারণ করবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

কোন পরিত্যক্ত দ্রব্যতে কত টাকা পর্যন্ত দেবে সে বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চিপসের প্যাকেট বা সমজাতীয় প্যাকেটপ্রতি ১০০টির জন্য ১০০ টাকা করে মূল্য দেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। একইভাবে আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবলব গ্লাস, কাপ ১০০টির ১০০ টাকা, অব্যবহৃত পলিথিন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, প্রতি ডাবের খোসা ২ টাকা, মাটি, প্লাস্টিক, মেলামাইন, সিরামিক ইত্যাদির পাত্র প্রতিটির জন্য ৩ টাকা করে দেবে ডিএনসিসি।

এ ছাড়া পরিত্যক্ত টায়ার প্রতিটি ৫০ টাকা, পরিত্যক্ত কমোড, বেসিন ইত্যাদি প্রতিটির জন্য ১০০ টাকা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্য প্রতি কেজি ১০ টাকায় কিনে নেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।


আরও খবর



বাংলাদেশের দুর্বিষহ কর ব্যবস্থা ও পরিসংখ্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ তার উন্নয়ন কার্যক্রম চালানোর জন্য অর্থ যোগানে রাজস্ব বাড়াতে লড়াই করছে, এমনকি একই আয়ের তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলির চেয়েও বেশি। আর্থিক বছর ২০২২ এ, মাত্র ১.৪% মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে। প্রতিবেশী ভারতে এই সংখ্যা ৫.৮%।

ফ্রান্সে অবস্থিত ওইসিডি(OECD) অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কর্পোরেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট জরিপ মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ১০.২ শতাংশ যেখানে এশিয়ার দেশগুলোর কর-টু-জিডিপি হার ১৯.১ শতাংশ যা আমাদের দেশের তুলনায় ৮.৯ শতাংশ বেশি এবং যদি ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশগুলোর সাথে তুলনা করি তাহলে ওইসিডি(OECD) দেশগুলোর কর- টু-জিডিপি হার ৩৩.৫ শতাংশ যা আমাদের দেশ থেকে ২৩.৩ শতাংশ বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ১৫%, শ্রীলংকায় ১১.৫%, পাকিস্তানে ১১.৮%, আফগানিস্তানে এ হার ৯.৩% ও নেপালে ১৮% ।

যদি, আমরা ২০০৭ থেকে ২০২০ সালের পরিসংখ্যান লক্ষ করি , তাহলে দেখা যাবে যে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ৮.৫ শতাংশ ছিল, ২০২০সালে যা শুধু ১.৭শতাংশ বেঁড়ে ১০.২ শতাংশ হয়েছিল, যার মধ্যে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ১০.৮ শতাংশ ছিল।

সিইআইসি(CEIC) এর তথ্য মতে, ২০২২ সালে কত কর-টু-জিডিপি হার ছিল ৮ শতাংশ ২০২৩সালে যা এসে দাঁড়িয়েছে ৭.৮ শতাংশ। গত এক বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে এক বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে, এঁর পিছনে নানান কারন জড়িত। রিজার্ভ ঘাটতি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় আঘাত লেগেছে, যার কারনে নিত্যপন্য দ্রব্য থেকে শুরু করে বিলাসবহুল জিনি্সের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। এই সমস্যার আরেকটি বড় কারণ হলো সরকার কাঙ্ক্ষিত কর তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারন হতে পারে জনগনের কর ফাঁকি অথবা কর দানে অনুৎসাহ, ফলশ্রুতিতে জিডিপিতে কর হার এত কম।

অর্থনীতির এই জটিল অবস্থায় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ যখন আইএমএফ(IMF) এর কাছে ঋণ অনুমোদন চায় তখন আইএমএফ এর দেয়া শর্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল , কর-টু-জিডিপি হার ২০২৪ এর মধ্যে ৮.৩ শতাংশ এবং ২০২৬ এর মধ্যে ৯.৫%মধ্যে উন্নিত করতে হবে। এত কিছুর পরেও ২০২৩ সালে সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা কর আয় কম তুলতে পেরেছে ।

ওইসিডি(OECD) তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের কর আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস মূল্য সংযোজন কর / পণ্য ও পরিষেবা কর(value added taxes / goods and services tax) যার হার মোট কর উত্তলনের ৩৩ শতাংশ, এখানে ব্যক্তি আয়কর (Personal income tax) সবচেয়ে কম ১১ শতাংশ, আশ্চর্য ভাবে এদেশের সামাজিক নিরাপত্তা (Social security contributions) খাতের ক্ষেত্রে কোনো কর আদায় হয় না। কিন্তু যা অন্যান্য উন্নত দেশের প্রধানতম আয়ের উৎস। যদি এশিয়ার দেশ গুলোর দিকে দেখি তাহলে, ব্যক্তি আয়কর ১৬ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২৩ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ৬ শতাংশ। আর ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশ গুলোতে ব্যক্তি আয়কর ২৩ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২০ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ২৬ শতাংশ। সুতরাং স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে তাদের কর আদায়ের উৎস এবং প্রক্রিয়া কতটা ফলপ্রসূ এবং কার্যকর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এপ্রিল-জুন ২০২২সালের ত্রৈমাসিক কর আদায় এর তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,৪৬,০০০ কোটি টাকা, যা বাস্তবে অর্জিত হয় ৩,০৮,৬২৫ কোটি টাকা। ২০২১সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,১৬,০০০ কোটি টাকা যাতে অর্জিত হয় ২,৬৯ ,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ড থেকেই আয় হয় ৯১.৩ ভাগ।

এমন এক সমীকরণ সামনে রেখে নতুন আয়কর আইন ২০২৩ সালের জুন মাসে সংসদে পাস হয়েছে এবং এটি বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। দেশের কর ব্যবস্থা এত দিন ধরে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ দিয়ে চলেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে সেই আয়কর অধ্যাদেশের সংশোধন করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর পর এটিই প্রথম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তৈরিকৃত আয়কর আইন। সবচেয়ে বড় কথা, দেশে এখন পরিপূর্ণ আয়কর আইন প্রণীত হয়েছে। প্রথমেই যে সেই আইনে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তেমনটা আশা করা যায় না। এখন এই আইনকে ভিত্তি ধরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে সময়ের পরিক্রমায় হয়তো আইনটি পরিপূর্ণ মাত্রা পাবে। আসা করা যায় এরই ফলশ্রুতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় কর আয়ের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।


আরও খবর



মে মাসের তাপমাত্রা হবে আরও ভয়ংকর

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অফিস আজ শনিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে বাংলাদেশের সব স্থানে দীর্ঘতম সময়ের তাপদাহ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাসসকে বলেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে।

তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারাদেশে চলমান তাপদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।

দেশ গত ১ এপ্রিল থেকে গত ২৫ দিন ধরে তাপপ্রবাহের দীর্ঘতম সময় প্রত্যক্ষ করছে এবং আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে এ অবস্থা পরবর্তী মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক মন্তব্য করেন, আগের তাপদাহের বিপরীতে এ বছর তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদ জেবুন্নেসাও একথা সমর্থন করেন।

দৃশ্যত, প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে স্বীকার করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করেছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে।

তারা বলছেন, তাপদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ , পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।

বিকেল ৩টায় জারি করা আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, যশোরে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করার এক দিন পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও উচ্চ আর্দ্রতা নগরবাসীদের ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি প্রবল তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় প্রবল তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মতো এপ্রিল মাসে সাধারণত বাংলাদেশ   গরম থাকে, তবে আবহাওয়াবিদদের মতে এ মাসে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল যা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও প্রাধান্য পায়।

নিউইয়র্ক টাইমস অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিটস্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরো অসহ্য করে তোলে।

চরম আবহাওয়ার কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বাড়িতেও কিছু করতে পারছে না বা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

আয়াজুর রহমান নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র বলেন, আমার পড়াশোনা বা কিছু করতে ভালো লাগছে না।. . . আমার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি না।

পরিস্থিতি গৃহিণী ও নারীদের চরম দুর্দশায় ফেলেছে। বিশেষ করে রান্নার ক্ষেত্রে। এক গৃহিণী বলেন, আমার মাথা ঘুরতে শুরু করে, মনে হয় চুলার কাছে গেলে আমি মাটিতে পড়ে যাব।

তাপদাহ হাজার হাজার লোককে শহরের মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিধা এবং গ্রামীণ খোলা মাঠে জড়ো হতে বাধ্য করে। প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তির জন্য মানুষ বৃষ্টি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করছেন।

তাপদাহের কারণে এপ্রিলের শুরু থেকে হাসপাতালগুলো বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে। এসময় তাপজনিত অসুস্থতা নিয়ে বেশিসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে। এই দীর্ঘায়িত গরম আবহাওয়ায় শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: নিয়াতুজ্জামান বলেন, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্টে বিপুল সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং তারা গরমজনিত অন্যান্য রোগেও ভুগছে।

শিশু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)সহ অন্যান্য হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই ধরনের পরিস্থিতির কথা বলছে।

দুই দিন আগে আইসিডিডিআরবির মুখপাত্র এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান  বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ  (আইসিডিডিআর,বি) প্রায় ৫০০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সংকট মোকাবেলায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ জারি করেছে।

ডাক্তাররা হিটস্ট্রোক থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকার এবং সূর্যের সংস্পর্শে আসার সময় আবহাওয়ার উপযোগী পোশাক পরার এবং তাপদাহের সময় পানিশূন্যতা এড়াতে পানির পাশাপাশি বেশি তরল খাবার খাওয়ার এবং কাজের সময় এক বা দুই ঘণ্টা পর পর বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা: খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের মস্তিষ্ক নির্দিষ্ট মাত্রার তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, যদি তা বেশি হয় তবে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং কিডনির কর্মহীনতাসহ অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের মতো মারাত্মক ক্ষতিকর বিষের ভেতর বসবাস করছে রাজধানীর মানুষ। ঢাকার বাতাসে এসব বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

বিশ্বের ২৭টি স্থানে পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহনগুলি রাসায়নিক উপাদানগুলির উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যানসার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।

এ বছরের শুরুতে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এবং ২০৫০ সালে দেশটিতে ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হতে পারে। বাংলাদেশে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।


আরও খবর



৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো এবারের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আগুন ঝরা গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে তাপদাহে ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই কাতর সবাই।

তপ্ত দুপুরে গরমের তীব্রতায় নাগরিক জীবনের এমন হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার এই এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। গত বছর টানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে।

আজ শুক্রবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ সকাল থেকেই বয়ে গেছে গরম হাওয়া। রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গতকাল পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে।

টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে। তারপরও আগের স্টেশনগুলো বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে।

এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ হলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। তিনি বলেন, এতে বলা যায়, ৭৬ বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে গেল। এবার টানা যেমন তাপপ্রবাহ হয়েছে, আবার এর বিস্তৃতিও বেশি ছিল। এ বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা আগে কখনোই ছিল না।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। কিন্তু স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাবে এই তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এটি এই মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় বরাবরই এ সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এবার টানা দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ থাকায় ও বৃষ্টিহীন পরিস্থিতি বিরাজ করায় গরমের অনুভূতি বেড়েছে। জলীয়বাষ্পের পরিমাণটা বেশি, যে কারণে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক যা থাকার কথা, তার চেয়ে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা উঠছে বিভিন্ন এলাকায়।


আরও খবর