
যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাতে
বন্ধ না হয়, সেজন্য নির্ধারিত সময়সীমার আগেই সরকারি শাটডাউন এড়াতে কংগ্রেস দ্বারা
পাস করা স্বল্পমেয়াদি তহবিল বিলে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে
ফেডারেল এজেন্সিগুলো সচল থাকছে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। যেটিকে বিজয়
হিসেবেই দেখছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা।
গত
১ অক্টোবর বিলটি পাস হওয়ায় শাটডাউনের সংকট এড়ালেও নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন
রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। ভোটকে ঘিরে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের মাঝে ‘মাথাচাড়া’
দিচ্ছে রাজনৈতিক নানা ইস্যু।
এরই
মধ্যে এক টকশোতে ফ্লোরিডার কনজারভেটিভ রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ বলেছেন,
চলতি সপ্তাহেই প্রতিনিধি সভার রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠদের নেতা হাউস স্পিকার কেভিন
ম্যাকার্থিকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবেন। সরকারি শাটডাউন এড়াতে
ম্যাকার্থিবিরোধী ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের প্রায় সর্বসম্মত জোটকে ভোটদানে
স্বাগত জানানোর পর এমন বক্তব্য সামনে এলো।
তবে
ম্যাকার্থি মার্কিন স্পিকারশিপের বিরুদ্ধে গেটজের পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বিগ্ন নন টেলিভিশনের এক শোতে এমনটি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি এ অবস্থা অতিক্রম করে
ফেলব। তিনি (ম্যাট গেটজ) কিছু করার চেয়ে টিভি ইন্টারভিউ দেওয়ার ব্যাপারে বেশি
আগ্রহী। তিনি আমাদের শাটডাউনের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন।’
রিপাবলিকান
পার্টির এ নেতা আরো বলেন, শাটডাউনের ফলে ম্যাট গেটজের কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে
বসবাসকারী সেনা কর্মকর্তাদের বেতন বিলম্বিত হতে পারত।
এদিকে,
রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের এমন দ্বন্দ্বে ক্ষুব্ধ বাইডেন। এ নিয়ে নিন্দা জানিয়ে
তিনি বলেছেন, রবিবার থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের সামগ্রিক ব্যয়ের সীমা নিয়ে কয়েক মাস
আগে ম্যাকার্থির সঙ্গে তিনি যে চুক্তিটি করেছিলেন, সেটি তাদের মেনে চলা উচিত।
রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা ওই চুক্তির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল এবং তারপর থেকে তারা
এটি আরো সীমিত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
এর আগেও এক টেলিভিশন শোতে হোয়াইট হাউসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রায় এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নেই, যা তিনি লঙ্ঘন করেননি।
হোয়াইট হাউসের ৪৩৫ সদস্যের মধ্যে ২২১ জন রিপাবলিকান এখনো ম্যাকার্থিকে স্পিকার হিসেবে সমর্থন করছেন। ম্যাট গেটজকে চেম্বারের আরেক নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য প্রয়োজন অন্তত ২১৮ সদস্যের সমর্থন, যেখানে তিনি অনেক পিছিয়ে আছেন।
সূত্র : রয়টার্স
ও ভয়েস অফ আমেরিকা।