Logo
শিরোনাম

আবারও রেকর্ড গড়লো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা।

শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা। যা ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

এদিকে, বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ২০ ডলারে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম একদিনে ৩৮ দশমিক ৫০ ডলার বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে বিশ্ববাজারে কেনাবেচা চলছে।


আরও খবর



চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের জাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের দাম লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা আগামীকাল রবিবার থেকে কার্যকর কার হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

 


আরও খবর



সর্বজনীন পেনশনে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়াল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধনের পর প্রায় সাড়ে আট মাসে এর চার স্কিমে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি টাকার কিছু বেশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সেদিন থেকেই বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা এ চার স্কিম সবার জন্য উন্মুক্ত। উদ্বোধনের পর প্রথম এক মাসে চার স্কিমে গ্রাহক হয়েছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন।

কিন্তু পরবর্তীতে এ সংখ্যা কিছুটা কমে পাঁচ মাস পর্যন্ত এক হাজার থেকে দেড় হাজার করে বাড়ছিল। তবে ষষ্ঠ মাস থেকে চাঁদাদাতার প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। আজ সোমবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট মাসে চার ধরনের পেনশন কর্মসূচিতে গ্রাহক হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২২৬ জন। সব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৪২ কোটি সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে আগামী ১ জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে যারা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদের প্রত্যয় নামের একটি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।


আরও খবর



শনিবার থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া বেড়েছে। শনিবার (৪ মে) থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই। বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়েছে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

যাত্রীরা জানান,বর্তমানে সবকিছুর দাম বাড়ছে। মানুষের ওপর জুলুম হচ্ছে। আবার এদিকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়। সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পায় না।

রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এই সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এ ছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বেড়েছে।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী পরিবহনে প্রদত্ত রেয়াত প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর



গৌরব ও সাফল্যের ১৯ বছরে কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

গৌরব ও সাফল্যের দেড় যুগ পেরিয়ে ৯ মে ১৯তম বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি পালন করা হয়। জাতীয় কবির নামে তারই স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের নামাপাড়া বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালের ৯ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে দেশের ৫৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও সহশিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এক ঝাঁক তরুণ-মেধাবী শিক্ষকম-লী, মেধাবী শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় এগিয়ে চলেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৫৭ একরের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে রয়েছে ২৫টি বিভাগ, ২৫০ এরও বেশি শিক্ষক এবং ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

১৯ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে ৪টি আবাসিক হল। অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামের হলগুলোতে প্রায় ৪ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে আরো দুটি হল। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৪টি ভবন। নির্মাণাধীন রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য বাসভবন, ইউটিলিটি ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ভবন, ইনস্টিটিউট ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, একটি কলেজ, টিএসসি, দুটি দৃষ্টিনন্দন ফটক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে নিয়ে আসা হয়েছে সিসিটিভির আওতায়, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে যুক্ত হয়েছে ওয়াকিটকি। স্থাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শেখ রাসেল, অঞ্জলী লহ মোর নামের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য, ৭২ এর সংবিধান স্মারক হিসেবে স্থাপিত হয়েছে সংবিধান আঙিনা। আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, আজকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মধ্যে এক নামে চেনা একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের দেড় যুগ পুর্তি এবং ১৯ তম জন্মদিনে আপনাদের সবাইকে প্রীতি শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধা জানাই। জাতীয় কবির নামে এই প্রতিষ্ঠানে আমরা মূলত শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়নকে মটো হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের অভিযাত্রা শুরু করেছি। আমাদের ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার গুণগত মান এবং এই যুগের মতো করে তাদের তৈরি করার যে অভিপ্রায় সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর আছে, এবং আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আগের থেকে অনেক বেশি দক্ষ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা নিয়ে উপাচার্য আরো বলেন, এরই মধ্যে আমরা ইউজিসি র‍্যাংকিংয়ে গত দুই বছরে অনেকটুকু এগিয়েছি। আমাদের অবস্থান ৩৯তম থেকে এখন ১৪ তম। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা ক্ষেত্রে কাজ করছে, বড় বড় চাকরি পাচ্ছে এবং শিক্ষকম-লী যারা আছেন তারাও দেশ-বিদেশে গবেষণা নিয়ে ছুটছেন। এবং তাদের গবেষণাকে আজ বিশ্বব্যাপী বহুজন বহু গবেষক কোট করছেন। এই যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছড়িয়ে যাওয়া এবং ছাড়িয়ে যাওয়া আমাদের এবারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূলমন্ত্র। আমরা চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে চাই, নিজেকে আবারও ছাড়িয়ে যেতে চাই। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অভিযাত্রাকে সমর্থন করবেন বলে প্রীতি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।


আরও খবর



সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ):

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের বিরুদ্ধে মাসুদ নামে এক যুবককে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভুক্তভোগী মাসুদ মিয়ার মা বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সহ চার জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে রাহিমা বেগম উল্লেখ করেন, তিনি উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামের বাসিন্দা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের নির্দেশে ফারুক হোসেন, গাজী আরমান ও গাজী শাখাওয়াত সহ ৮/১০ জনের একটি বাহিনী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মামরকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল দায়ানের ছেলে মাসুদ মিয়াকে বাড়ী থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নির্যাতন চালায়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে  থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করলে পরে মাসুদ মিয়াকে ছেড়ে দেন। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার মুঠোফোনে বলেন, মাসুদ একজন মাদক সেবী তাই তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য লোকজন দিয়ে তুলে এনেছি। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর