হজ্বে বায়তুল্লাহ ও জিয়ারতে মদিনা মনোয়ারা
আওলাদে রাসূল (দঃ) সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমদ বহুবার পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন আশেকান ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে। অনেক আলেমকে পবিত্র হজ্ব পালনে পূর্ণ আর্থিক সহযোগিতা করেন তিনি। আল্লাহর ঘর বায়তুল্লাহকে ধরে আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে এবং মদিনা শরীফে কদমে মোস্তফায় (দঃ) ভক্তদেরকে হাওলা করেন তিনি। দোয়ার প্রতিটি পবিত্র স্থানে তিনি দেশ-জাতি-মুসলিম উম্মাহ সহ আশেকানদের কল্যাণের জন্য নিভূতে আবেগ জড়িত কন্ঠে ফরিয়াদ করেন। ১৯৯৭ সালে পবিত্র মক্কায় মিনার তাবুতে যখন আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলছিল। তখন তিনি “ইয়া গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, ইয়া গাউসুল আজম বাবাভান্ডারী” ৩ বার বলা মাত্র আগুন অন্যদিকে চলে যায়। বাংলাদেশী হাজীরা নিরাপত্তা লাভ করেন গায়েবী ভাবে। প্রিয় নবীজি (দঃ) স্বয়ং তাঁকে হজ্ব কবুলসহ অসংখ্য সু-সংবাদ প্রদান করেন। রহমতের ফিরিশতা মুজদালেফায় তাঁকে আরাফাতের দোয়া কবুলের সুসংবাদ দিয়ে যান এবং আরশ-আজীম তাঁর মাথার উপর ঘুরতে দেখেন।
আওলাদে মোস্তফা (দঃ) সৈয়দ মইনুদ্দীনের অসংখ্য কারামত ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রত্যক্ষ করেছেন হজ্ব কাফেলা সাথীগণ পবিত্র হারামাইনের ভূখন্ডে। আল্লাহ ও রাসূল (দঃ) তাঁর উপর অত্যন্ত সন্তুষ্ট। তাঁর বুজুর্গী সর্বত্র পরিলক্ষিত হয়। ২০০৬ সালে প্রিয় নবীজি (দঃ) রিয়াতুল জান্নাতে তাঁকে এবং উনার আওলাদে পাকগণসহ আশেকান হাজীদের প্রতি বিশেষ নজরে করম এনায়েত করেন। বাবে জিব্রিলের সম্মুখে বহুবার তাঁর বুজুর্গী পরিলক্ষিত হয় ।
সুন্নীয়তের ময়দানে তাঁর অবদান
আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রেসিডেন্ট হিসাবে সমগ্র বিশ্বে তাঁর অবদান সর্বজন বিদিত। রাজধানী ঢাকায় প্রতি বছর ১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র জশ্নে জুলুসে-ঈদে-মিলাদুন্নবী (দঃ) এর বিশাল সমাবেশ তাঁরই নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বরঞ্চ তাঁর নির্দেশেই আশেকান মাইজভান্ডারী সমগ্র বিশ্বে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) জুলুস সহকারে উদ্যাপন করে আসছে। থাইল্যান্ডের খলিফা আলহাজ্ব গাফফার চৌধুরীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মিলাদুন্নবী (দঃ) এর সমাবেশে সেখানকার রাজ প্রধান অতিথি হিসাবে আসন অলঙ্কিত করে থাকেন। সুন্নীয়তের প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে তিনি বহু মাদ্রাসা-মসজিদ ও খানকাহ শরীফ নির্মাণ করেন। সুন্নীয়তের মুখপাত্র হিসাবে “নূর-এ রহমান” তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিতভাবে। শরীয়ত-তরিকত ও সুন্নীয়তের এবং বিশ্ব মানবতার খিদমতের লক্ষে তিনি ‘আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া’ নামক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এ আন্জুমান বাংলাদেশ তার অগ্রযাত্রাকে যেমনি অব্যাহত রেখেছে। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকাসহ সমগ্র বিশ্বে আন্জুমানের বৈদেশিক শাখাসমূহ রয়েছে।