Logo
শিরোনাম
লালমনিরহাটে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান গ্রেফতার নওগাঁয় ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত হাতীবান্ধায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ; সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর- আহত ১০ আলোকিত সেরা নারীর সম্মাননা পেলেন মাধবদীর আমেনা বেগম জোৎস্না রামগড় সীমান্তে দেড় লক্ষ টাকার ভারতীয় মাদকদ্রব্য জব্দ অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু বাইডেনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিল জাপান যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়

আলোচিত সেই ম্যাচে সেপ্টেম্বরে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা?

প্রকাশিত:বুধবার ২২ জুন 20২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

তথ্য গোপনের অভিযোগে করোনা মহামারী সময় মাঠে খেলা শুরু হওয়ার পরও তা বন্ধ বন্ধ করে দেয় ব্রাজিল ফুটবল কর্তৃপক্ষ। ম্যাচটি পরবর্তী খেলার  ঘোষণা দিয়ে তা বাতিল করে ফিফা কর্তৃপক্ষ। পরে সেই ম্যাচটি দুই পক্ষকে খেলানোর অনেক চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আর্জেন্টিনা তাতে রাজি হচ্ছিল না। ফিফার নির্দেশ, নির্ধারিত সময়ই খেলতে হবে ‘পরিত্যাক্ত’ হওয়া সেই ম্যাচ। সেজন্য আগামী বুধবারের মধ্যে ব্রাজিলকে ম্যাচের ভেন্যুর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সাও পাওলোতে গত বছর সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অগ্নিগর্ভ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা।  ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় কোভিড বিধিনিষেধ ভাঙার অভিযোগে আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে ধরতে মাঠে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এতে বেধে যায় লংকাকাণ্ড। স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচ। 

আর্জেন্টিনা আশায় ছিল, পণ্ড ম্যাচের পুরো তিন পয়েন্ট তাদের ঝুলিতে যাবে। কিন্তু পাঁচ মাসের বেশি সময় পর  গত ফেব্রুয়ারি ফিফা সেই ম্যাচ ফের আয়োজনের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্রাজিলে প্রবেশের অভিযোগে আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও জিওভান্নি লো সেলসোকে দুই ম্যাচ করে নিষিদ্ধ করে ফিফা।

কিন্তু এরইমধ্যে ম্যাচটি দুই দলের কাছেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। কারণ ইতোমধ্যে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি। যে কারণে যেকোনও উপায়ে ম্যাচটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।

কিন্তু তা আর হচ্ছে না। তাদের বাতিল হওয়া সেই ম্যাচটি আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ম্যাচ আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে ফিফা। আর বুধবারের মধ্যে সেই ম্যাচের ভেন্যু ঠিক করে ফিফাকে জানাতে হবে ব্রাজিলকে। 

এদিকে ম্যাচ আয়োজনের জন্য তিনটি ভেন্যুর বিষয় পর্যালোচনা করছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন - ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রাজিলে।

ইউরোপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলার পর একটি আফ্রিকান দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ আয়োজনে আগ্রহী অনেকদিন ধরেই। তাদের কথাও মাথায় রেখেছে ব্রাজিল। এই দুটির কোনোটি না হলে ব্রাজিল ঘরের মাঠেই আর্জেন্টিনাকে আতিথেয়তা দিতে চায়।

 সূত্র: এমএসসি ফুটবল, ওলেডটকম, আর্জেন্টিনা


আরও খবর



কেমন থাকবে ঈদের দিনের তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

একমাস সিয়াম সাধনা শেষে আগামীকাল বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। তীব্র গরমের মধ্যে রোজা শেষে ঈদের দিনের আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে আগ্রহ সবার।

বুধবার (১০ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. শামীম হাসান ভূইয়াঁ ঈদের দিনের আবহাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

আবহাওয়াবিদ ড. শামীম হাসান ভূইয়াঁ বলেন, ঈদের দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো থাকবে। শুষ্ক আবহাওয়ায় এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও তীব্র গরমের শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, ঈদের দিন সন্ধ্যার আগে অথবা পরে কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর ও সিলেটের কিছু জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আগামীকালের পর থেকে আবারও তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।

ড. শামীম আরো বলেন, গতকালের রেকর্ড অনুযায়ী ৭ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল অর্থাৎ ঈদের দিনও এই সাত জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



ঈদে সড়কে মৃত্যু বেড়েছে, মোটরসাইকেলেই বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ঈদে প্রতিবারই সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এবারের ঈদুল ফিতরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিনসহ গত তিন দিনে সড়কে প্রাণহানির পরিমাণটা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সী তরুণ এবং যুবকরা ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক মোটসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনজন পর্যন্ত মারা যাওয়ার খবর আসছে। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বয়সও বেশি নয়। স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছাত্রও রয়েছেন। ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ঈদের দিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল আরোহী।নিহতদের মধ্যে পঞ্চগড়ে চারজন, খাগড়াছড়িতে তিনজন, নরসিংদীতে দুইজন, ঢাকায় একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, যশোরে একজন, নেত্রকোনায় তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন এবং নড়াইলের দুইজন রয়েছেন।

ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার এবং আজ তৃতীয় দিন শনিবারও সারাদেশে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

এসব দুর্ঘটনায় শুধু নিহতই নয়, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার সংখ্যাটিও বেশ উদ্বেগজনক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত মোট তিন দিনে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানেই (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৪৫৪ জন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যাটিও অনেক। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তরুণ-যুবক।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক তপন দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

এই চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২৫৬ জন। যাদের মধ্যে ৭৬ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। বেশিরভাগই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন। পাশাপাশি নিয়ম-নীতি না মানা, কমবয়সি কিশোর ও তরুণদের অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। দল বেঁধে প্রতিযোগিতা ছাড়াও ট্রাফিক তদারকির অভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে বাংলাদেশ। প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের পর কম্বোডিয়ায় ১১ দশমিক ৯, লাওসে ১১ দশমিক ৫, থাইল্যান্ডে ১১ দশমিক ২, ভারতে ৯, মিয়ানমারে ৮ দশমিক ৬, মালয়েশিয়ায় ৪ দশমিক ৪, ভিয়েতনামে ৪ দশমিক ১, ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৫ এবং ভুটানে ২ দশমিক ১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঈদের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের মোট দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশিই মোটরসাইকেলে ঘটে থাকে। তার মধ্যে ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি ঘটে। এই সময় অনেকেই মহাসড়কে যানজট এড়াতে বাড়ির পথে যাত্রা করেন। দেখা যায়, সাধারণ সময়ে হয়তো মোটরসাইকেলে একজন থাকেন; কিন্তু ঈদের সময় স্ত্রী, বাচ্চা এবং নিজে থাকার পরেও পেছনে একটা কাপড়ের ব্যাগ থাকে। যেটা ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। এই কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।


আরও খবর



খরতাপে পুড়ছে দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

দিনভর বৈশাখ তথা ভরা গ্রীষ্মের প্রখর রোদে যেন সূর্য থেকে মাটিতে আগুন ঝলসে পড়ছে। রাতের বেলায়ও গরমে-ঘামে অস্বস্তি। গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রার আগের সব রেকর্ড অতিক্রম করেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণের জনপদ বাগেরহাট জেলার মোংলায় ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সে.। চলতি এপ্রিল মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে পারদ ৪২ ডিগ্রি সে. অতিক্রমের পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।

 বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল-মে) মাস উচ্চ তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। আগের দিন সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ছিল দক্ষিণের জনপদ পটুয়াখালী উপজেলার খেপুপাড়ায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি। যা উক্ত এলাকায় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। গতকাল রাজধানী ঢাকায়ও তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে দিনের বেলায় ৩৮.৪ এবং রাতেও ২৮.৬ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। অবশ্য গতকাল রাজধানী ঢাকা, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জে হঠাৎ কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির সাথে সাময়িক বৃষ্টি স্বস্তি এনে দেয়। এ সময় ঢাকায় ১২, ফরিদপুরে ২৩, চাঁদপুরে ১৪ ও কিশোরগঞ্জে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এছাড়া সারা দেশের কোথাও ছিঁটেফোঁটাও বৃষ্টিপাত হয়নি। বৈশাখের শুরুতেই সমগ্র দেশে অসহ্য খরতাপের দহনে দুর্বিষহ পড়েছে জনজীবন। আবহাওয়া বিভাগ আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে তাপপ্রবাহ আরো বৃদ্ধি এবং বিস্তারের সতর্কবার্তা (হিট এলার্ট) জারি করেছে। টানা কয়েক সপ্তাহের অনাবৃষ্টি-খরা ও উচ্চ তাপমাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচের দিকেই নামছে দ্রুত। নদ-নদী-খাল, পুকুর-জলাশয়-দীঘি, হাওড়-বাওড়সহ ভূ-উপরিভাগের পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে মাঠ-ঘাট-বিল ফেটে চৌচির। তীব্রতর গরম ও খরার কবলে ইরি-বোরো, আম-লিচুর ফলন ব্যাহত হওয়ারর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের ফলে বিভিন্ন জায়গায় হিট স্ট্রোক, শরীরে পানিশূন্যতায় এবং সর্দি-কাশি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা রোগব্যাধিতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দিনের প্রখর রোদের তেজে জরুরি কাজ ছাড়া কেই ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।

গতকাল মঙ্গলবার আবহাওয়া বিভাগ আরেক দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা বা হিট এলার্ট জারি করেছে। এতে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৬ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায়ও (তিন দিনে) অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। বাতাসে অত্যধিক হারে জলীয়বাষ্প থাকার কারণে গরমের তীব্রতায় অস্বস্তি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ৪০.৬, মোংলায় ৪০.৩ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াও দেশের অন্যত্র উল্লেখযোগ্য দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও পাবনায় ৩৯.৮, খুলনায় ৩৯.৫, রাজশাহীতে ৩৯.৩, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায় ৩৯.২, রাঙ্গামাটিতে ৩৯, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও পটুয়াখালীতে ৩৮.৫ ডিগ্রি সে.।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪১ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। দিনের তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্থানভেদে এখন ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রির ঘরে। তাতে খরতাপ অসহ্য হয়ে উঠেছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্তসহ আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামীকাল  সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ দেশের কিছু কিছু জায়গায় কমে আসতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এর পরের ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন গত সোমবার ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত কিছুদিন ধরে রাজশাহীতে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়া। রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া রাতের তাপমাত্রাও দুএক ডিগ্রি কমতে পারে। তবে এ কয়েক দিনের মধ্যে খুব একটা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর আগে তাপপ্রবাহ বাড়ার কারণে রাজশাহী আরও তিন বিভাগে এসব অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। এপ্রিল মাসে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতর। তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। ঈদের পর তাপপ্রবাহের ফলে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্মে ফিরতে পারেনি। অনেকটা কর্মহীন দিন পার করছে তারা।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৩ শতাংশ। তিনি আরো জানান, এপ্রিল মাসব্যাপী মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে এ আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভবনা রয়েছে।

ভ্যাপসা গরম, আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া সকাল থেকে কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেনা। রিকসা ও ভ্যান এবং ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালকদের যাত্রী হচ্ছে না। এছাড়া গরম আবহাওয়ায় কেউ কাজ না করায় দিন হাজিরায় কর্মজীবী বিপাকে পড়েছে। 


আরও খবর



৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা হামাসের নেই। অর্থাৎ এরকম কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

 


আরও খবর



২০২৪ কোপায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল প্রতিপক্ষ কে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন : কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে গ্রুপ পর্বে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ‘এ’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিলি ও পেরুকে পেয়েছেন লিওনেল মেসিরা। গ্রুপের অপর দল  কানাডা।

আর ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়েকে। সঙ্গে যোগ দেবে কোস্টারিকা । আজ মায়ামিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ড্রয়ে এই গ্রুপিং চূড়ান্ত হয়।জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ এ প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টের ৪৮তম এ আসরে খেলবে ১৬টি দল। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) ১০ সদস্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের (কনক্যাকাফ) ৬ দল।


ড্রয়ে দলগুলোকে এমনভাবে ভাগ করা হয়েছে, যাতে একটি গ্রুপে চার দলই কনমেবলের না হয়, আর কনক্যাকাফের ৩ দল না হয়। গ্রুপিংয়ে আর্জেন্টিনা সঙ্গে পেয়েছে কনমেবলের পেরু ও চিলিকে। এ দুটি দলই ২০২৬ বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইয়ে খারাপ সময় পার করছে। ১০ দলের মধ্যে ৬ ম্যাচ শেষে চিলি ৮ নম্বরে ও পেরু ১০ নম্বরে অবস্থান করছে। 

এ ছাড়া উরুগুয়ে ‘সি’ গ্রুপে এবং ব্রাজিল ‘ডি’ গ্রুপে হওয়ায় এ দুটি দলের বিপক্ষে ফাইনালের আগে দেখাও হবে না আর্জেন্টিনার। গ্রুপে চতুর্থ দল হিসেবে কনক্যাকাফের কানাডা কে পাবেন মেসিরা। এখানকার ফেবারিট মেক্সিকো প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা ও জ্যামাইকাকে। ‘সি’ গ্রুপে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। উরুগুয়ে ও বলিভিয়ার সঙ্গে আছে কনক্যাকাফের পানামা। ‘ডি’ গ্রুপে কিছুটা কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে ব্রাজিলও। 

এখানে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আছে কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে। কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। এ মুহূর্তে আঞ্চলিক বাছাইয়ে ব্রাজিল ৬ নম্বরে, কলম্বিয়া ৩ নম্বরে। অন্য গ্রুপসঙ্গী প্যারাগুয়ের অবস্থান সাতে। ব্রাজিলের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে যুক্ত হয়েছে কোস্টারিকা ।

২০ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলবে কানাডার বিপক্ষে। মায়ামিতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুলাই।


আরও খবর