Logo
শিরোনাম

আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

 

কখনো কখনো নিজেকে চিনতে পারিনা | হ্যাংলা পাতলা একটা মানুষ এসেছিলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে | তখন ভাবতাম, আমি শিক্ষক হিসেবে এসেছি | সময় যত গড়িয়েছে ততই বুঝেছি শিক্ষক হওয়া খুব কঠিন, বরং যতই দিন যাচ্ছে ততই বুঝতে পারছি আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি | আমি শিক্ষক হতে পারিনি, তবে ছাত্র হবার চেষ্টা করছি |

তখন চোখে চশমা ছিলোনা, এখন কানের উপর ভর করে দু'চোখে চশমা জায়গা দখল করে নিয়েছে | যখন চোখে চশমা ছিলোনা তখন ব্ল্যাকবোর্ড আর সাদা চক ছিল সম্বল | বই হাতে কখনো ক্লাসে ঢুকবোনা, নিজেই একটা বই হবার চেষ্টা করবো, এমন একটা চিন্তা নিয়েই আমার এখানকার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল | জানিনা নিজে বই হতে পেরেছি কিনা, তবে যাদের ছাত্র হিসেবে পেয়েছি তারাই আমার কাছে এক একটা বই, এক একটা বিস্ময় হয়েছে | ওদের পড়াতে গিয়ে, নিজে শিখেছি | শিখতে গিয়ে বুঝেছি, শিক্ষক হওয়া হয়তো আর কখনো হয়ে উঠবেনা | অদ্ভুত মনে হলেও সত্য, এখনও শিক্ষক হতে পারিনি, তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি | হয়তো এই চেষ্টাটা আমৃত্যুই চলতে থাকবে, কিন্তু শিক্ষক হওয়ার পিপাসাটা কখনোই মিটবেনা |

গবেষণার কিছুই জানতাম না, এখনো জানিনা | এখনও গবেষণা শিখছি, আমার ছাত্ররাই আমাকে শেখাচ্ছে | ওদের নতুন নতুন চিন্তা, নতুন নতুন আইডিয়া, নতুন নতুন স্বপ্ন, আমাকেও বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে আগ্রহী করছে | ওদের মতো এতো মেধাবী আমি নই, ওদের চিন্তার গতির সাথে আমার চিন্তার গতি কখনোই পেরে উঠেনি, বরং ওদের চিন্তা আমার চিন্তাকে এগিয়ে নিয়েছে | আমার কাছে আমার ছাত্ররাই আমার শিক্ষক, আমি তাদের ছাত্র | আর শিক্ষকরা মেধাবী হলে গবেষণায় ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই | বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে মনে হয়েছিল, গতানুগতিক শিক্ষাদানের মধ্যেই বুঝি শিক্ষা বন্দি হয়ে থাকবে | কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই বুঝেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের চেয়েও বড় নতুন নতুন জ্ঞানের জন্ম দেওয়া | কিন্তু সেটাতে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটা এগিয়েছে, সেটা হয়তো ভাবনার বিষয় | সেখানে আত্মসমালোচনটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ | কিন্তু আত্মসমালোচনাতে আমরা ভয় পাই, যতটা সাহসী আমরা আত্মপ্রচারে | এর সাথে ক্ষমতার অসুখও এখন প্রায় সবার শরীরে বাসা বেঁধেছে | শরীরের রোগ সরানো যায়, মনের রোগ সারানোর কোনো ওষুধও নেই, চিকিৎসাও নেই |

তখন শুনেছি, গবেষণা করার পরিবেশ এই দেশে নেই | গবেষণা করতে দামি দামি যন্ত্রপাতি লাগে, অনেক অর্থের বাজেট লাগে | এতো অর্থ, এতো দামি যন্ত্রপাতি কেনার কি আমাদের সাধ্য আছে | এমন সময়টাতেই আমার ছাত্ররাই খুব কম বাজেটে আধুনিক যন্ত্রপাতি ডিজাইন করেছে, তৈরী করেছে | | গবেষণার অধরা স্বপ্ন ওদের সৃজনশীল সৃষ্টি দিয়েই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে | সেই ধারা এখনও অব্যাহত আছে | ওদের এখন দেখছি, মলিকুলার ডিনামিক্স, ডেনসিটি ফাংশনাল থিওরি, মেটল্যাবের মতো জটিল জটিল বিষয়গুলো কত সহজে সমাধান করছে | তখন আমি মাথায় হাত দিয়ে চুলগুলোকে এলিয়ে নিচ্ছি, যদি চুলগুলো নড়াতে গিয়ে আমার ভোঁতা মগজটাই নতুন করে নড়েচড়ে উঠে !

ব্ল্যাকবোর্ড-চকের যুগ গেলো, হোয়াইট বোর্ড-মার্কার পেনের যুগ গেলো, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের যুগ গেলো, এখন এসেছে স্মার্ট বোর্ড | খুব আনস্মার্ট আর বোকা মানুষ আমি, স্মার্ট বোর্ডে পড়াতে গিয়ে যখন প্রায় প্রতিদিন খেই হারিয়ে ফেলি, তখন আমার এখনকার মেধাবী ও সম্ভাবনাময় ছাত্ররাই আমাকে শিখিয়ে দিচ্ছে কত সহজে স্মার্ট বোর্ড ব্যবহার করে সারা পৃথিবীর জ্ঞানভাণ্ডারকে হাতের নাগালে আনা যায় | ওদের কাছে শিখতে গিয়ে খুব আনন্দ পাচ্ছি, গর্বিত হচ্ছি, ওরাও আমার মতো বোকা একটা ছাত্র পেয়ে আনন্দ পাচ্ছে | শিক্ষার মধ্যেই তো আনন্দ, যে শিক্ষায় আনন্দ নেই, সেই শিক্ষা মূল্যহীন | বড় বড় মনীষীদের কথা | খুব ছোট একটা মানুষ আমি | কিন্তু যখন দেখছি আমার ছাত্ররা দেশ ছাড়িয়ে সারা পৃথিবী জয় করে চলেছে, তখন চোখে আনন্দ অশ্রু, গর্বিত বুক | সন্তানরা যখন এগিয়ে যায় বাবারা তখন সত্যিকার অর্থেই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হয়ে উঠে |

আমি ঝুলন্ত তারার মতো, কখনো কেঁদেছি, কখনো হেসেছি, কখনো অভিমান করেছি কিন্তু জীবনের সবচেয়ে পরম পাওয়াগুলো আমার প্রিয় সন্তানরাই দিয়েছে | আমি ঝুলন্ত তারা, যেদিন আকাশ থেকে খসে পড়বো, সেদিনও ওদের জীবনজয়ের জয়োধ্বনিগুলো কান পেতে শুনবো | আমার মতো একটা সাধারণ মানুষকে কেউ হয়তো মনে রাখবেনা, এটাই প্রকৃতির নিয়ম, সময়ের স্রোতে সব যে হারিয়ে যায়, তবে জীবনের অনেক না বলা কথা থেকে যাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গে তরঙ্গে |

আমি হয়তো মানুষ না, ছিলামও না, হয়তো আমি একটা চিত্রকরের কল্পনায় আঁকা ছবি | আমি কাঁদছিনা, আমি বৃষ্টিতে কল্পনায় হাটছি, বৃষ্টিতে কাঁদতে গেলে বৃষ্টি সেই কান্না খেয়ে ফেলে, হাসিমুখটা তখন বেরিয়ে আসে | হয়তো কান্না লুকিয়ে হাসির চেষ্টাটাই জীবন | জীবন খুব কঠিন একটা বিষয়, এর পরীক্ষাটাও কঠিন, কারণ জীবনের পরীক্ষায় পাশ-ফেল নেই |


আরও খবর

নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




তিন দিনে ১৫ কোটি টাকা আয় আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ সোমবার ৭০৯টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। আজ দলটির মনোনয়নপত্র বিক্রির তৃতীয় দিনে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর গত তিন দিনে মনোনয়নপত্র বিক্রি ২ হাজার ৯৯৫টি। এতে আয় হয়েছে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তৃতীয় দিনের মনোনয়নপত্র বিক্রি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। আজ সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়, চলে বিকেল ৫টা।

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আজ সরাসরি ৭০৯টি ও অনলাইনে ২৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রির প্রথম দিন গত শনিবার ১ হাজার ৭৪টি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০টি, আর অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ১৪টি।

এবার আওয়ামী লীগ প্রতিটি দলীয় মনোনয়নপত্রের দাম ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছে ৫০ হাজার টাকা। সে হিসাবে, প্রথম দিন ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ।

দ্বিতীয় দিন গতকাল রবিবার ১ হাজার ২১২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে সরাসরি ১ হাজার ১৮০টি এবং অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ৩২টি। এতে মোট আয় হয়েছে ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরাসরি ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা আর অনলাইনে ১৬ লাখ টাকা।


আরও খবর



১৩৭ জন বর্তমান এমপি মনোনয়ন পাচ্ছেন না

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image
সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের খসড়া মনোনয়ন এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেবিলে।
বিএনপির নির্বাচনে আসবে এটি মাথায় রেখেই এই খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর মধ্যে ৫০ টি আসন মহাজোটের শরিকদের দিয়ে বাকি ২৫০ টি আসন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে শরিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আরও অন্তত ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টি আসন শরিকদের জন্য আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এই খসড়া তালিকা এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত করবেন। তিনি এখানে যেকোনো নাম সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, এখন যে খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেই খসড়া তালিকায় অন্তত ১৩৭ জন বর্তমান এমপিকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলেই প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদের মধ্যে কয়েকজন আছেন বয়স্ক জনিত, বার্ধক্যজনিত বা অসুস্থতার কারণে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।
তবে বেশিরভাগই অজনপ্রিয়, নির্বাচনী এলাকায় বিতর্কিত এবং এলাকায় ইতিবাচক অবদান রাখতে পারেননি বলে তাদেরকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর



নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কমনওয়েলথ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানাবে কমনওয়েলথকথা বলছেন ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ঢাকা: কমনওয়েলথের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল এসে ভোটের পদ্ধতি জেনে গেছে। পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত অবহিত করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কমনওয়েলথে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ইসি সচিব বলেন, কমনওয়েলথ থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল এসেছিলেন। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনের আইন-কানুন, বিধি-বিধান, ভোটের দিন যানবাহন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা এসব বিষয় কমিশনের কাছে অবহিত হতে চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার তাদের কাছে এসব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন। এতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, এটা তাদের অগ্রবর্তী দল। তারা সুপারিশ তুলে ধরবেন। তারপর কমনওয়েলথের পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিদল নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবে, কি আসবে না, তা পরে জানাবে।

তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায়নি। বিধি-বিধান, ভোট কীভাবে হয়, ভোটাররা কীভাবে ভোট দেয়, পোস্টাল ব্যালটে ভোট কীভাবে হয় এগুলো সম্পর্কে তারা অবহিত হতে চেয়েছেন। এটা ছিল দ্বিপক্ষীয় আলোচনা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচন পদ্ধতিটা জানতে চেয়েছেন তারা। কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না, এসব জানতে চাননি। বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটাররা কীভাবে ভোট দেবেন, ভোট কীভাবে নেওয়া হবে, ভোট স্বচ্ছ করতে হলে যে পদ্ধতিগুলো আছে, রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের কাজ কি এসব বিষয় তারা অবহিত হয়েছেন।

কোনো মানদণ্ডের কথা বলেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, না না। তারা আমাদের নির্বাচনী প্রসেস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তারা আসলে জানতে চেয়েছেন নির্বাচনী পদ্ধতিটা। তাদের আসার ভিত্তিটা তারাই বলতে পারবেন।

কমনওয়েলথের গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পিচ ডাইরেক্টোরেটের ইলেকটোরাল সাপোর্ট উপেদষ্টা এবং প্রধান লিনফোর্ড এন্ড্রুস, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিসার্চ অফিসার সার্থক রয়, রাজনৈতিক উপদেষ্টা লিন্ডউই মালেলেকা, নির্বাহী কর্মকর্তা ঝিপি ওজাগো ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা

হাবিবুর রহমান হাবিবকে ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে দুই হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে। আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আজ সকালে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে হাইকোর্টে হাজির করা হয়। দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে বিষয়টি উপস্থাপনা করা হয়। এর আগে সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার  করে র‍্যাব। রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করার কথা জানায় র‍্যাব। নির্দেশ অমান্য করে আদালতে হাজির না হওয়ায় হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম। তিনি বলেন, বিচারককে নিয়ে কটুক্তি ও আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব হাইকোর্টের বিচারপতি মো.আখতারুজ্জামানকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। যিনি নিম্ন আদালতের বিচারক থাকার সময় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে আবারো নৌকার মাঝি হলেন দীপংকর তালুদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

উচিংছা রাখাইন রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় এক ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ডিঙ্গিয়ে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি হলেন চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দীপংকর তালুকদার। এ নিয়ে টানা ৬বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তিনি। ২৯৯নং পার্বত্য রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনের জন্য রোববার দুপুরে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙ্গামাটি ২৯৯ একটি সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীক চেয়ে দীপংকর তালুকদারসহ ১০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেলেন দীপংকর তালুকদার।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ দীপংকর তালুকদার এমপি বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যর দায়িত্ব পালন করছেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনসহ বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা যখন সারাদেশে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ চলছিল; সেসময় পাহাড়ের রাজনীতির মাঠেও নানা ধরনের গুজব উঠে। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমাসহ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দীন, বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য সমরেশ দেওয়ান, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমর কুমার দে এবং রাঙ্গামাটির সাবেক সিভিল সার্জন অবসরপ্রাপ্ত ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী ঢাকার কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে রাঙ্গামাটির ২৯৯ আসনে আওয়ামীলীগের পক্ষে এমপি পদে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নৌকার মাঝি হতে দলীয় টিকিট পেলেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এই ধারাবাহিকতায় আবারো প্রমাণিত হলো পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনে দীপংকর তালুকদারের কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামীলীগের হয়ে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে থেকে টানা ছয়বার অংশ নিয়ে চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দীপংকর তালুকদার। এর মধ্যে বিএনপি এবং অনিবন্ধিত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রার্থী একবার করে বিজয়ী হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দীপংকর তালুকদার ১৯৫২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মাান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজনীতির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করে আসছেন। ৭৫’এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে যে কজন নেতা এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল, দীপংকর তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৬৯ ও ১৯৮৭ এর গণঅভূত্থানে অংশগ্রহণ করে তিনি দু’বার কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ১৯৭২-৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্র সংসদের সদস্য এবং ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩-৭৪ সালে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ইংরেজি বিভাগীয় সমিতির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৬ সালে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আবার কারারুদ্ধ হন তিনি। ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে তিনি পরপর দুইবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এখন পর্যন্ত তিনি দলের নেতাকর্মীদের সমর্থনে সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে রাঙ্গামাটির ২৯৯ আসন থেকে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ১৯৯৬ সালের বাংলাদেশ শিক্ষা কমিটি, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় সংসদ হাউস কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। ২০০৯ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর