Logo
শিরোনাম

নেশাগ্রস্ত স্বামীর কাছ থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক :

নেশাগ্রস্ত ও বিকৃত স্বভাবের স্বামীর কাছ থেকে রেহাই পেতে গতকাল (১৭ এপ্রিল বুধবার) ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রিয়ন্তী সাহা নামে ১৯ বছর বয়সের এক তরুণী। অত্যাচারিত মেয়েটি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চায়। কিন্তু হিন্দু আইনে ডিভোর্স নেই। পরে “শ্বশুরবাড়িতে হামলা করার সময় চার বোতল ফেনসিডিলসহ” মেয়েটির স্বামী দীপকে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আচ্ছা বলুন দেখি, দীপ “ফেনসিডিলসহ শশুরবাড়িতে হামলা”র ঘটনাটি না ঘটালে আর কোন আইনে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারত? হিন্দু আইনে প্রিয়ন্তী সাহা প্রতিকার পাবে কিভাবে? প্রকৃত আইনে প্রতিকারের সুযোগ না থাকলে বিকৃত পন্থায় কিভাবে কি করতে হয় সে বিষয়ে আমাদের দেশের মানুষ সিদ্ধহস্ত। সবকিছুতেই বিকৃত পন্থার অনুশীলন!

শুরুতেই ঝরে গেছে মেয়েটির মধুময় দাম্পত্য জীবনের সকল সম্ভাবনা। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী মাত্র এক মাস আগে গরীবের মেয়ে প্রিয়ন্তীর বিয়ে হয়েছিল এক কোটিপতির নেশাগ্রস্ত ছেলে দীপের সাথে। বিয়ের প্রথম রাত থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। অভিযোগ অনুযায়ী, দীপ তাকে জোর করে নেশা করাতো; এমনকি স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্কের গোপন মুহুর্তগুলো ফিল্মিং করে ফেসবুকে দিত। 

মেয়েটি ঐ স্বামীর সাথে সংসার করতে রাজি নয়। ছেলের কাকাও নেশাগ্রস্ত দীপের দুরাচারের কথা স্বীকার করেছে। এ পর্যন্ত এই তথ্যগুলি মিডিয়ায় এসেছে। এরপর দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব যখন দীর্ঘায়িত হবে, তখন হয়তো ছেলের পক্ষ থেকে মেয়েটির চরিত্রের দোষ ছড়ানো হবে। এসব নিয়ে সমাজে খোশগল্প হবে। কিন্তু এর স্থায়ী আইনগত সমাধান এবং এধরনের অবস্থার শিকার হওয়া মেয়েদের সুস্থ্য স্বাভাবিক দাম্পত্য ভবিষ্যৎ তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভাববে না! 

আমরা যখন হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ ও মেয়েদের পুনঃবিবাহের আইন চাচ্ছি তখন আমাদের দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত তথাকথিত প্রগতিশীল কিছু হিন্দু বলছে “হিন্দু বিয়ে জন্মজন্মান্তরের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন।” হিন্দু বিয়ে ভাঙা সম্ভব নয়। মেয়েদের পুনরায় বিয়ে হতে পারে না। বাটপারদের এসব কথা বাস্তবসন্মত নয়, প্রিয়ন্তী ও দীপের ঘটনা তার প্রমাণ। এরকম প্রমাণ অসংখ্য। 

প্রিয়ন্তী নামক ১৯ বছরের এই মেয়েটির জন্য বাকি জীবন একাকি কাটানো কতটা ভাল এবং নিরাপদ? বর্তমান স্বামীর সাথে বৈধভাবে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে তাকে অন্য কোনো ভাল যুবকের সাথে বিয়ে দিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ দিলে কি অধর্ম হবে? অথচ বাংলাদেশের হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং নারীর পুনরায় বিবাহের বিধান নেই। ভারতের হিন্দু আইনে আছে; হিন্দু শাস্ত্রেও বিধান আছে। 

বাংলাদেশের হিন্দু আইনে বিবাহ বিচ্ছেদ না থাকা সত্ত্বেও এখন আইনকে পাশ কাটিয়ে বহু দম্পত্তি অবৈধপন্থায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছে। অবৈধভাবে মেয়েদের নতুন করে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। জীবনের বাস্তবতায় যে বিষয়ের চাহিদা আছে বা অনিবার্যতা আছে, তাকে শুধু আইনগতভাবে বাঁধা দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যায় না। 

হিন্দু বাটপাররা অবৈধ বিবাহ বিচ্ছেদ, মেয়েদের অবৈধভাবে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া, অবৈধভাবে দাম্পত্য সম্পর্ক করা, অবৈধভাবে সন্তান উৎপাদন এবং সেই অবৈধ সন্তানের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদি সব জিইয়ে রাখতে চায়। সব অবৈধকর্ম মানবে, কিন্তু বৈধ বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আইন প্রণয়ন মানবে না। ইংরেজদের ভগবান হিসেবে বিশ্বাস করে হিংরেজদের রেখে যাওয়া আইন মানবে! 

হিন্দুদের বড় বড় সংগঠন আছে। অথচ বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ ছাড়া হিন্দুদের কোনো সংগঠনের দাবিনামায় প্রিয়ন্তীর মতো বিড়ম্বিত জীবনের মেয়েদের মুক্তির জন্য বা নারী অধিকারের পক্ষে একটিও দাবি নেই। সবচেয়ে বড় বাটপার সেইসব হিন্দু, যারা নিজেদেরকে শিক্ষিত ও প্রগতিশীল দাবি করে; ইসলামী মৌলবাদের বিপক্ষে কথা বলে অথচ হিন্দু সমাজের সমস্যাগুলোর বিষয়ে নিরব থাকে। শুধু নিরব নয়, এরা কেউ প্রকাশ্যে, কেউ নিরবে এবং কেউ কেউ ইনিয়েবিনিয়ে ”হিন্দু বিয়ে জন্মজন্মান্তরের বন্ধন” গল্পই চালিয়ে যাচ্ছে। 

মন্ত্র পরে নাকি নারী ও পুরুষের দুই আত্মা এক করে দেয়া যায়! দুই আত্মার বন্ধন হলেও সেটা আবার পুরুষের জন্য নয়। পুরুষ বিয়ে করে এক বউকে ঘরে পৌঁছে দিয়েই চাইলে এক ঘন্টার মধ্যে আবার আরেকটি বিয়ের জন্য দৌড় দিতে পারে। এক পিঁড়িতে বসেই একাধিক মেয়েকে বিয়ে করতে পারে। আরও বহু নারীর সঙ্গে “জন্মজন্মান্তরের বন্ধন” তৈরি করতে পারে। সবগুলো বিবাহবন্ধনে শুধু নারী আটকাবে, পুরুষ মুক্ত। হিন্দু আইনে পুরুষের জন্য যতখুশি বিয়ে করতে বাধা নেই। বিয়ে ছাড়াও যত্রতত্র গমণে পুরুষের বাধা নেই; কারণ পুরুষের জন্য “সতীত্ব” নয়। 

হিন্দু পুরুষের বহুবিবাহের সুযোগ বন্ধ করার কথা বললে জন্মজন্মান্তরের বন্ধনবাদী দাদারা হৈ হৈ করে বাধা দিতে আসে। বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের দাবি জানালেও প্রগতিশীলতার মুখোশে প্রতিক্রিয়াশীল শয়তনরা আপত্তি করে। আমরা বহুবার শাস্ত্রবিধি দেখিয়ে বলেছি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং নারীর পুনরায় বিয়ে দেয়া সনাতন ধর্মে বৈধ। শাস্ত্রগ্রন্থে এর সুস্পষ্ট বিধান আছে; পৌরাণিক আমলে বিবাহ বিচ্ছেদের নজিরও আছে। একজনেরও সামর্থ্য হয়নি শাস্ত্র দেখিয়ে আমাদের দাবি ভুল প্রমাণ করার। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক কায়েমি স্বার্থ ও হীনমন্যতার ঊর্দ্ধে তারা উঠবে না। 

এরা গরু-বাছুর ও পণ্যসামগ্রির মতো মেয়েকে দান করার পক্ষে। শুধু দান নয়, এর নাম আবার “সম্প্রদান”! অর্থাৎ কোনও প্রকার শর্ত ছাড়া, সম্পূর্ণভাবে স্বত্ত্ব ত্যাগ করে ধর্মার্থে কন্যাদান। মেয়ে নাকি দানের বস্তু! দানের মধ্য দিয়ে মেয়ের উপর বাবার আর কোনও স্বত্ব থাকবে না; কন্যা দান করে বাবা পুণ্য অর্জন করবে। বাবার গোত্রেও মেয়েটির আর পরিচয় থাকবে না। একদম গোত্রান্তর! 

অনেকবার বলেছি, তোমরা একটি প্র্যাকটিক্যাল দৃষ্টান্ত আমাকে দেখাও যেখানে, বিয়ের মন্ত্রের মাধ্যমে মেয়েটির গোত্র বদলে গেছে। মেয়েটির শরীরে আর বাবা-মায়ের ডিএনএ নেই –পরীক্ষা করার পর দেখা গেছে বিয়ের পর মেয়েটির সঙ্গে তার স্বামীর অথবা তার শশুর- শাশুড়ির ডিএনএ মিলছে। একজনও ডিএনএ টেস্ট করে পরীক্ষা দিতে রাজি নয়। মেয়েকে দান করেছ, তার সাথে তোমার আর সম্পর্ক নেই! দান করে মেয়েকে কি পর করে দেয়া যায়? তুমি কি বিয়ে দেয়ার পর তোমার মেয়েকে ভিন্ন সম্পর্কে বউদি ডাকতে পারবে? তাহলে গোত্রান্তর কি আসলে মিথ্যা নয়? তোমার মেয়ের গোত্রান্তর হবে কেন বন্ধু? 

শাস্ত্রে কন্যাদানের বিধান আছে, আমরা তা অস্বীকার করছি না। যজ্ঞের পুরোহিতকে স্বালঙ্করা কন্যা দান করলে পুণ্য বেশি হয়। শাস্ত্রে তাই বলা আছে। কিন্তু উপযুক্ত ছেলের কাছে বিয়ে না দিয়ে পুরোহিতকে কন্যাদান করতে কেউ রাজি হয় না। শাস্ত্রে শিশু কন্যাদানকে আরও বেশি মহিমান্বিত করা হয়েছে। আট বছর বয়সী কন্যাদানে পুণ্য অনেক বেশি। অষ্টম বর্ষীয় কন্যার বুড়ো স্বামী মারা গেলে সেই বাচ্চা মেয়েটাকে স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারলে আরও বেশি পুণ্য অর্জন করা যায়। শাস্ত্রে এসব আছে। কিন্তু সরকার আইন করে সতীদাহ ও বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করেছে। ভারতে পুরুষের বহুবিবহাও নিষিদ্ধ হয়েছে। এখন কন্যাদানের মতো অসভ্যতা বন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করার সময় এসেছে। মানুষকে উন্নত হতে হবে, আধুনিক সভ্যতা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের সমান্তরালে চলতে জানতে হবে। 

আমি বহুবার শাস্ত্র দেখিয়ে বলেছি, কন্যাদান ছাড়াও বিয়ের বিধান আছে। শাস্ত্রে আট প্রকার বিয়ের বিধান আছে। প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর পারস্পরিক পছন্দে ও সন্মতিতে বিয়ের স্বীকৃতি শাস্ত্রে আছে। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী বিশেষ একটি শাস্ত্রের নির্দিষ্ট কোনো বিধান অনুসরণ করার বাধ্যবাদকতা নেই। 

সনাতন ধর্মে উদ্ভট প্রাচীন কিছু প্রথার নজির যেমন আছে তেমনি প্রথার বাইরে গিয়ে উন্নত হওয়ার তাগিদও আছে। সনাতন ধর্ম প্রগতিশীল। পরিবর্তন ও যুগধর্ম অনুসরণ সনাতন শাস্ত্রে অনুমোদিত। যারা সনাতন শাস্ত্রকে প্রতিক্রিয়াশীলতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নারীর জীবনকে দুর্বিষহ করতে চায় এবং হিন্দু নারীদের দাসীর মতো ব্যবহার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই এবং জয় আমাদের প্রাপ্য।


আরও খবর



পাটগ্রামে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সুশান্ত দাস, পাটগ্রাম প্রতিনিধি: 

পাটগ্রামে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঘটনার হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন, এলাকাবাসি এবং স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠন।   

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার বাউরা বাজারের বুড়িমারী-লালমনিহাট মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী নিহতের স্বজন, এলাকা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে মানববন্ধনে শত শত মানুষেরা অংশ নেয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বক্তব্যে দাবি করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বাউরা ইউনিয়নের সফিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোবারক হোসেন ও ফারুক হোসেন পিটিয়ে এবং ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই সময় নিহতের স্বজনদের করা দুইটি মামলায় ৮৭ জনসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরকে আসামী করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে মাত্র ৯ জনকে রাখে। বর্তমান পরিবর্তিত সময়ে ওই সময়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে পূণরায় মামলা গ্রহণ ও পুনঃতদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করা হয়।          


মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন- নিহত ফারুক হোসেনের বাবা মাওলানা খায়রুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব  সপিকার রহমান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপল, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন সুমন,সাবেক ছাত্রদল নেতা হবিবর রহমান পলাশ,  উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক রাশেদুর রহমান রাশেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরশ উল বসুনিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহফুজ আলম রিফাত, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক রাজু আহমেদ ,বাউরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম, বাউড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ- সভাপতি  মহসিন আলম,   আবু নাসের সিদ্দিকী সোহেল,বাউড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুর নুর তুষার, যুগ্ন আহবায়ক আব্দুর সাত্তার, প্রমুখ। 


আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যার পানি নামলেও ফুরাচ্ছে না দুর্ভোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখেছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের ৯ জেলার মানুষ। যদিও বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, নেমে গেছে অধিকাংশ এলাকার পানি, তবুও মানুষের দুর্ভোগ ফুরানোর যেন নাম নেই। বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে এখনও দিনযাপন করছেন হাজারো মানুষ। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু নদীপাড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতের চিহ্ন। নষ্ট হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার সড়ক, ভেঙে গেছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সাম্প্রতিক বন্যার প্রথম ধাক্কাটা এসে লাগে ফেনীতে। এখন পর্যন্ত বন্যায় জেলাটিতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বজন হারানোর শোক কাটিয়ে এখন নতুন এক জীবনযুদ্ধে ব্যস্ত জেলার বন্যার্ত মানুষগুলো। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মোমারিজপুর গ্রামের বাসিন্দা তাহেরা বেগম। মেয়ে, নাতিসহ আরও চার সদস্য নিয়ে ছনের ছাদ দেওয়া মাটির একটা ঘরে থাকতেন সত্তরোর্ধ্ব এই নারী। এবারের বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তার একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁইটি। দুর্ভোগের কথা বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাহেরা বেগম; বলতে থাকেন, ‘ঘরে একটু চাল নাই, চাল যে পাকাবো ওই হাড়ি চুলা কিছুই নাই। আমার ঘরের সব ভাসায় নিয়া গেছে।

এবারের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী। দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও এখানকার ৫টি উপজেলা জলমগ্ন এখনও। আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবন কাটছে ঘরহারা মানুষগুলোর। বন্যার কারণে নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। অনেক মুরগির খামার বানে ভেসে গেছে। বন্যার পানির কারণে গবাদি পশুর খুরা রোগ দেখা দিতে শুরু করেছে। বন্যার পানি যতো নামছে ততোই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির অসংখ্য চিহ্ন। এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক রূপে ফিরবে সেই সদুত্তর নেই কারও কাছে। তবে, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় কিছু স্থানে খাল পরিষ্কারের কাজ করছেন স্থানীয়রা

এদিকে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত জেলা কুমিল্লায় এখনও পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। পুনর্বাসন সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলার অধিকাংশ সড়কে কংক্রিটের স্তর ভেঙে গেছে। পরিস্থিতি এমন যে সেখানে কোনও অটোরিকশা চলার অবস্থা নেই। আরো খারাপ অবস্থা গ্রামের ভেতরে ছোট অলিগলি ও কাঁচা সড়কগুলোতে। এমন অবস্থায় কুমিল্লার বন্যাপীড়িত অনেক গ্রাম এখনও বলতে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে

আরিফুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রাস্তাঘাট একদমই ব্যবহার উপযোগী নাই। তার মধ্যে সন্ধ্যা হলেই রাস্তায় চলতেও ভয় হয়। বন্যায় ছোট-বড় সড়কগুলো যে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেগুলো মেরামতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিটি পর্যায় থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় আছেন মাছের ব্যবসায়ীরাও। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বহু মাছ চাষি ও খামারি একদম নিঃস্ব হয়ে গেছেন এবারের বন্যায়

লক্ষ্মীপুরেও অনেক এলাকা এখনও পানির নিচে। বহু বছরের দখলে খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায়, বন্যার পানি নামতে সময় লাগছে। চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান বলেন, তারা বিগত ৪০ বছরে এরকম বন্যা দেখেননি। এবারে বন্যা প্রলম্বিত হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। পানি যখন নামতে থাকে তখন অবকাঠামো নষ্ট হওয়া, রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। তবে, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। সবার আগে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করাই প্রধান লক্ষ্য

এদিকে চলতি মাসের শেষদিকে আরেকটি বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি এ বন্যা গ্রাস করতে পারে উত্তরাঞ্চলকেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোগত উন্নয়ন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানিসমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, সাঙ্গু, মাতামুহুরি ইত্যাদি নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে

অন্যদিকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল কমতে দেখা যাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কমছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের সারিগোয়াইন, মনু, খোয়াই এবং পূর্বাঞ্চলের মুহুরি ও গোমতী নদীর পানি সমতল


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিভিন্ন ইউনিটের ৫৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে পদায়ন

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৫৭ জন কর্মকর্তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে।



মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই পদায়ন করা হয়।



ডিএমপিতে বদলি বা পদায়নের আদেশ পাওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা হলেন- সিআইডির মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) আহম্মদ আলী, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন, এপিবিএনের এ এস এম মুক্তারুজ্জামান, রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইফতে খায়ের আলম, পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত থাকা ও বান্দরবনে বদলির আদেশপ্রাপ্ত মুঈদ মোহাম্মদ রুবেল, মুন্সীগঞ্জের ইয়াসিনা ফেরদৌস, এপিবিএনের এস এম মিজানুর রহমান, কক্সবাজারের মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, বরিশাল মহানগর পুলিশ (বিএমপি) মো. ফজলুল করিম, কুড়িগ্রামের মো. সাজ্জাদ হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) আকরামুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) শেখ শরীফ-উজ-জামান, টাঙ্গাইলের মুহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, পটুয়াখালীর রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের, গাজীপুরের নাজমুস সাকিব খান, শেরপুরের আরাফাতুল ইসলাম, পাবনার মো. জিয়াউর রহমান, গাজীপুরের রোকনুজ্জামান সরকার, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সদর দফতরের তানিয়া সুলতানা।



এছাড়া অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) শাহেদ আহমেদ, এপিবিএন মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, শরীয়তপুর  গোসাইরহাট সার্কেলের আবু সাঈদ, বরিশালের মো. মেহেদী হাছান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. সোনাহর আলী, কক্সবাজার সদর সার্কেলের মো. মিজানুর রহমান, নরসিংদী এস. এ এম ফজল-ই-খুদা, নড়াইল সদর সার্কেলের মো. দোলন মিয়া, খুলনার এস এম আল-বেরুনী, এমআরটি পুলিশের মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা মো. নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, পুলিশ সদর দফতরের মাহফুজ্জামান সরকার, পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত মো. শওকত আলী, পুলিশ সদর দফতরের হাফিজুল ইসলাম বাবু, শিল্পাঞ্চল পুলিশের মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, এপিবিএন মকবুল হোসেন, পুলিশ সদর দফতরের মো. জাহিদ হোসেন, মো. তানভীর হোসেন, সাগর দিপা বিশ্বাস, এপিবিএন সৈয়দ ফয়ছল ইসলাম, ফরিদপুর ভাঙ্গা সার্কেলের তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মো. আমিনুল কবীর তরফদার, বান্দরবান সদর সার্কেলের মো. শাহ আলম, রংপুর মহানগর পুলিশের মফেলা খাতুন মেমী, এপিবিএন মহিউদ্দীন আহমেদ, শিল্পাঞ্চল পুলিশের কাজী আবু সাঈদকে ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।



একই আদেশে সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলির আদেশ পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- ঝালকাঠীর রাজাপুর সার্কেলের মো. মাসুদ রানা, বগুড়ার শিবগঞ্জ সার্কেলের তানভীর হাসান, বান্দরবান রুমা সার্কেলের মো. জুনায়েদ জাহেদী, গাইবান্ধার সি-সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের বদলির আদেশ প্রাপ্ত উদয় কুমার সাহা, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের আব্দুল্লাহ আল মামুন, কুমিল্লার দাউদকান্দি সার্কেলের কবীর সোয়েব ও রাজশাহী সারদার বিপিএ শারমিন আকতার চুমকিকে ডিএমপির এসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।



এর আগে পৃথক আরেক আদেশে দীর্ঘদিন ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ৫২ কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশের অন্যান্য ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।


আরও খবর

লিগ্যাল নোটিশ

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাজশাহীতে বিভাগীয় দলিল লেখক সমিতির প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী::


বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজশাহী মহানগরীর নগরীর নওদাপাড়া থ্রি স্টার হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

রাজশাহী জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এস এম আয়নাল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির মহাসচিব আলহাজ্ব এম এ রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক ও বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কে এস হোসেন টমাস, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক ও রুহুল আমিন খান, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ আলম। 

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি বলেন, যারা জাল সার্টিফিকেটে  কাজ করছেন, তারা অতি দ্রুত এ কাজ বাদ দিন। অবৈধ জাল দলিল থেকে বিরত থাকুন। এমনিতেই অনেক দুর্নাম হয়েছে আর নয়। সরকার ও ক্রেতা-বিক্রেতাকে ঠকানো থেকে বিরত থাকুন। অবৈধ কাজ বাদ দিলেও আপনাদের ডাল-ভাতের রোজগার হয়ে যাবে। তাই অবৈধ জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ করুন। অন্যায় কাজের পরিণাম ভাল হয় না। কয়েকদিন আগেই তার প্রমাণ পেয়েছেন। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কাজ বন্ধ করার আহবান জানান তিনি।


এছাড়াও সভায় উপস্থিত থাকেন নাটোর বনপাড়া দলিল লেকক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন পবা রাজশাহীর দলিল লেখক লুৎফার রহমান তারেক, পুঠিয়া রাজশাহীর দলিল লেখক আফজাল হোসেন, বেলকুচি সিরাজগঞ্জের মতিয়ার রহমান লাভলু, সদর নাটোরের আরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সদর বগুড়ার জহুরুল ইসলাম টুকু, পত্নীতলা নওগাঁর দেওয়ান আকরাম হোসেন, আটঘরিয়া পাবনার গোলাম মোস্তফা সহ বিভিন্ন জেলার দলিল লেখকরা।

আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




৭ সফরসঙ্গী নিয়ে জাতিসংঘে যোগ দেবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে তার সঙ্গে থাকবেন বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথিসহ ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) একেএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস নোটিশে এই তথ্য জানানো হয়

এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। এ সফরকালে তার সফরসঙ্গী হবেন- ড. ইউনূসের মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি

গত ১ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে সংক্ষিপ্ত সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) অল্প সময়ে নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে আসবেন


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪