Logo
শিরোনাম

আর্তমানবতা ফাউন্ডেশনের পথশিশুদের মাঝে ঈদ পোশাক বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলা জয়পুরা বাসস্ট্যান্ডে শনিবার বিকাল ৫ টায় আর্তমানবতা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৫০ জন অসহায়, এতিম ও পথশিশুদের মাঝে ঈদ পোশাক বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল ২০২৩ অনুষ্ঠিত। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ধামরাই আঞ্চলিক কমিটি ( বিটিজিতব্লিউএল) সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন সিরাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ধামরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রশিদ তুষার, ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু হাসান, ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল হোসেন, ধামরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান স্বপন, শ্রমিক নেতা রাসেল হোসাইন অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা করেন আর্তমানবতা ফাউন্ডেশনের উদ্যোকতা সাংবাদিক সৌকত হোসেন সহ উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী সহ আরো অনেকই।


আরও খবর



উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চৈত্র সংক্রান্তির রাতে আলপনা উৎসবে মাতলো রাজধানীবাসী। একসঙ্গে দুই শতাধিক শিল্পী আর কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে রঙিন হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পিচঢালা পথ। আনন্দ ভাগাভাগি করে অংশগ্রহণকারীদের শপথ, সাম্প্রদায়িকতার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ষড়ঋতুর ছয়টি রঙয়ে রঙিন পিচঢালা রাজপথ। বুকজুড়ে আলপনা, তাতে জ্বলজ্বলে প্রিয় বাংলা ভাষার অমূল্য অক্ষর। চাঁদের আলোয় বিশাল আকাশের নিচে একমনে শিশুদের হাতে হাতখড়ি বাংলা নতুন বছর বরণের আলপনা।

তুলির নকশায় শুধু সৌন্দর্যই ফুটে ওঠেনি, এতে মিশেছে বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।

শুধু কি শিল্পীর হাতে তুলি? ১৪৩১ কে বরণ করতে নিয়ন আলোতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নামে হাজারো মানুষের ঢল। নিজ হাতে রঙ-তুলি টেনে নিয়ে ভালোবাসা আর আনন্দ ভাগাভাগিতে শামিল হন নগরবাসী। অবাক হয়ে তারাই জানালেন শেষ যে কবে এমন উৎসবে শামিল হয়েছেন তা ঠাহর করা মুশকিল। বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে শিশু, তরুণ-তরুণীরা।

আলপনা উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরচেনা সংস্কৃতি বজায় রাখার ডাক দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

আলপনার পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা গানের সুর আর নাচের তালে শামিল হন নগরবাসী।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ গরমে নাকাল জনজীবন মাঝেমধ্যে গায়ে বাতাস লাগলেও তা যেন আগুনের হলকা অনেক বেশি উত্তাপ অনুভূত হওয়ায় হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে তাপমাত্রার এমন অবস্থা সহসাই পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরো এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ভোগাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে জারি করা হয়েছে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। একইসঙ্গে সমুদ্রের লঘুচাপটি পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করার গরম প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠে। এর আগে দেশে ১৫ থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত লাগাতার তাপপ্রবাহ থাকার রেকর্ড থাকলেও এবার চলতি মাসের ১৯ দিনই টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ওঠা-নামা করবে ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় গরম অনুভূত হবে এর চেয়েও বেশি। এসময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দাবদাহ থেকে যাবে মে মাস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, হিট অ্যালার্ট তিনদিনের জন্য জারি করা হয়েছে। এই সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

টানা চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



তীব্র গরম উপেক্ষা করে রমনায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পয়লা বৈশাখকে বরণ করতে রাজধানীর রমনা পার্কে মানুষের ঢল নেমেছে। দলে দলে আসছেন নারী-পুরুষ ও শিশু। শাহবাগ ও মৎস্য ভবনের সামনের দুটি গেট দিয়ে তারা পার্কে ঢুকছেন। সবাইকে রমনায় প্রবেশের আগে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে প্রবেশ করাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। শাহবাগ ও মৎসভবনের মাঝে ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে আরেকটি গেট করা হয়েছে। সেটি দিয়ে পার্কে প্রবেশকারীরা ঘোরা শেষে বের হচ্ছেন। তবে বের হওয়া মানুষের চেয়ে প্রবেশের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।

শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন রাস্তার দুইপাশের ফুটপাত ধরে শত শত মানুষ হাঁটছেন। তাদের সবার পরনে কম বেশি বৈশাখের পোশাক। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ ছবি তুলছেন। নিজেকে সেলফিবন্দি করতে ভুলছেন না তারা। কেউ আবার রোদের তীব্রতা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য সাথে ছাতা নিয়ে এসেছেন।

আজ আবহাওয়ার তথ্য বলছে, ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেদিকে খেয়াল নেই পয়লা বৈশাখ উদযাপনকারী মানুষজনের। রমনায় প্রবেশের পর লোকজন পুকুরপাড়ের ধার ধরে কেউ বসে গল্প করছেন, কেউ আবার নতুন তৈরি পুকুরের কোল ঘেঁষে কংক্রিটে বাঁধানো পাড়ে হেঁটে সময় কাটাচ্ছেন।

তবে প্রচণ্ড রোদ থাকায় বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। গরম থেকে রেহাই পেতে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য কেউ কেউ আইসক্রিম এবং ঠান্ডা জাতীয় বরফ শরবত কিনে খাচ্ছেন।

শাহবাগের শিশু পার্কের বিপরীতে রমনার প্রধান গেট। তার পাশের ফুটপাতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বসে আছেন আনিস আহমেদ। এসেছেন পুরান ঢাকা থেকে। তিনি বলছিলেন, অনেক কষ্টে ঢুকেছিলাম ভেতরে, কিন্তু এত মানুষ! হাঁটার মতো পরিবেশ নেই। বাধ্য হয়ে এখানে বসে আমরা বিশ্রাম নিচ্ছি।

খিলগাঁও এলাকা থেকে এসেছে নবীন ও আয়েরা। তারা দুজন স্কুলপড়ুয়া। সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে তারা। এখন রমনা পার্কটা ঘুরে দেখার জন্য মৎস্য ভবনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।

তাদের মতে, রমনা পার্কে অন্য দিন আসাটা আর আজকে আসাটা এক নয়। কারণ হিসেবে তারা বলছে, বৈশাখের আমেজে আজ রমনা পার্ক সেজেছে। হাজার হাজার মানুষ প্রবেশ করছে এতে। ফলে অন্যরকম একটি দেখার দৃশ্য।

তীব্র গরমের হাঁপিয়ে ওঠা মানুষজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে পানি সরবরাহ করতেও দেখা গেল। পার্কজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে তারা বেশ তৎপর।

রমনার বটমূলে কোরাস গান গেয়ে সূর্য ওঠার মুহূর্তে বৈশাখকে বরণ করা হয়। এই আয়োজনে শতাধিক শিল্পী অংশ নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেটি শাহবাগ ও ঢাকা ক্লাব হয়ে আবারও চারুকলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেয় কয়েক হাজার মানুষ।


আরও খবর



ইউক্রেনের একটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পূর্ব ইউক্রেনে আরও অগ্রসরের দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ইউক্রেনের দাবি, তারা রাশিয়ার অগ্রগতি থামিয়েছে।

রাশিয়ার দাবি, পূর্ব ইউক্রেনের গ্রাম নোভোমিমিকাইলিভকা তারা দখল করে নিয়েছে এবং তা তাদের নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কের মধ্যে নিয়ে এসেছে। খবর রয়টার্সের

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছে, তারা একটি গ্রামকে মুক্ত করেছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান আরো ভালো করেছে।

ইউক্রেনের সেনা কর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়া দোনেৎস্কে ২৩ বার তাদের প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে এগোবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। ইউক্রেনের হাতে এখন অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কমে এসেছে। তাই তারা রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছে মাত্র।

গত সপ্তাহান্তে মার্কিন পার্লামেন্টে ইউক্রেনকে ছয় হাজার একশ কোটি ডলার সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সাহায্য ইউক্রেনের হাতে পৌঁছাতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক দ্য স্টাডি অৎ ওয়ার জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনা এখন তাদের আক্রমণ আরও তীব্র করবে। তারা মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করবে। ইউক্রেনের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র না থাকার সুবিধা তারা নেয়ার চেষ্টা করবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া এই বড় ধরনের আঘাত হানার চেষ্টা করতে পারে।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান সোমবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগামী সপ্তাহগুলিতে যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি মনে করছি, সামনে কঠিন সময় আসছে। তবে অনেকে বলছেন, বিপর্যয় হবে, আমি বলছি, সেরকম কিছু হবে না।'

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে বিমান হামলা করেছে রাশিয়া। সেই হামলায় খারকিভের টিভি সম্প্রচার পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আক্রমণের ফলে ডিজিটাল টিভি সিগন্যাল ব্যাহত হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার আক্রমণের সময় অ্যালার্ম বেজেছিল। তখন কর্মীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ফলে কেউ হতাহত হননি।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় টিভি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টাওয়ারের উপরের অংশ ভেঙে পড়েছে এবং সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেয়া হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে বাইডেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ও বাইডেন রাশিয়ার কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন। রাশিয়া যেভাবে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সাহায্যে আক্রমণ তীব্র করেছে তা নিয়ে কথা হয়েছে। খারকিভে টিভি টাওয়ারে রাশিয়ার হামলার প্রসঙ্গও তাদের আলোচনায় এসেছে।


আরও খবর



লাইলাতুল কদর তালাশ করি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আজ ২০ রমজান। একুশতম রাত। সম্ভাব্য লাইলাতুল কদর। যে রাত হাজার মাসের চেয়ে দামি। এই এক রাতে ইবাদত-বন্দেগি করলে আল্লাহ এক হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগির সওয়াব দেবেন। আসলে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক সৌন্দর্যে ফুলের চেয়েও অধিক শোভায় তিনি যে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, সে মানুষ জাহান্নামের আগুনে পুড়ে ছাই হোক, তা কি তিনি চাইতে পারেন? তিনি কখনোই এমনটি চান না। সে জন্য তিনি এমন কিছু বিশেষ সময় বরাদ্দ করেছেন, যে সময়ে বান্দা ক্ষমা চাইলে, তার পাহাড়সম গুনাহখাতাও মাফ করে দেবেন। লাইলাতুল কদর তেমনই এক মহিমান্বিত রাত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, লাইলাতুল কদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (সুরা কদর, আয়াত : ৩)

এ রাতে অঝোরধারায় বর্ষিত হয় আল্লাহর অপার রহমত। শান্তির পতাকাবাহী অগণন ফেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসেন রহমতের পেয়ালা নিয়ে। লাইলাতুল কদর এমনই মহিমান্বিত রাত, যে রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। পবিত্র কোরআনেরই একটি সুরার নাম রয়েছে সুরা কদর। তাফসিরের কিতাবে এ সুরার পটভূমিকায় বলা হয়েছে, একবার মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) কয়েকজন সাহাবিদের কাছে বনি ইসরাইলের কতিপয় লোক সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন যে, তারা দীর্ঘ হায়াত লাভ করার কারণে অধিক ইবাদত করেছেন। দীর্ঘ এ হায়াতে আল্লাহ নাখোশ হন, এমন একটি কাজও তারা করেননি।

নবী (সা.)-এর পবিত্র জবান থেকে এ কথা শোনার পর উপস্থিত সাহাবিরা এ বলে আফসোস করেন, আমরাও যদি তাদের মতো দীর্ঘ হায়াত পেতাম, তাহলে ইবাদত-বন্দেগিতে তাদের সঙ্গে এগিয়ে থাকতাম।

সাহাবিদের এ আফসোস লাঘবের জন্যই আল্লাহ তায়ালা জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে খুশির সংবাদ দিয়ে সুরা কদর নাজিল করেন। সেই খুশির সংবাদটি হলো- লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর। অর্থাৎ হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাত। হাদিসে বলা হয়েছে, যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও, তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থাক। অন্য এক হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, যদি কেউ ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে লাইলাতুল কদর ইবাদতের মাধ্যমে কাটায়, তাহলে তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৭২)

মহিমান্বিত এ রাত রমজানের শেষ দশকের কোনো এক বেজোড় রাতে হবে। হাদিসে এ বেজোড় রাতগুলোয় কদর তালাশের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নবী (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলোয় লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস : ১০১৭)

একটি মাত্র রাত, হাজার মাসের চেয়েও দামি। যা ৮৩ বছর চার মাসের সমান। এমন একটি রাতের জন্যে মাত্র পাঁচটি রাত জাগতে পারব না? এ পাঁচটি রাত ইবাদত বন্দেগীর দ্বারা অতিবাহিত করতে পারলেই হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগির সওয়াব পেয়ে যাব। দুনিয়াবী কত কাজে আমরা রাত জাগি। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে, ফেসবুকে চ্যাট করে বহু রাত কাটিয়ে দিই আমরা। অথচ কদরের এমন ফজিলত জানার পরও মাত্র পাঁচটি রাত জাগতে পারি না। এ পাঁচটি রাতে ইবাদত করতে চাই না। আমরা যদি নিয়ত সহিহ করে এ পাঁচটি রাত জাগি, তাহলে প্রতিটি রাতের বিনিময়েই আল্লাহ কদরের সওয়াব দিতে পারেন। নবী (সা.) তো বলেছেনই, মানুষ যা নিয়ত করে, রব তাকে সেই অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। (বুখারি, হাদিস ১)


আরও খবর