চারলেন থেকে আটলেনে উন্নীত হচ্ছে
দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ
প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি)
সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রকল্পের পরিচালক সাব্বির
হোসেন খান। তিনি বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত ২৩২
কিলোমিটার দূরত্বের এই মহাসড়কের কোনো এলাকায় ছয়লেন, কোনো এলাকায় আটলেন হবে তা সমীক্ষায়
নির্ধারণ করা হবে।
পাশাপাশি উভয় পাশে দুটি করে সার্ভিস লেন নির্মাণ হবে। আমরা সকল স্টেকহোল্ডারদের
সঙ্গে বসে পরামর্শ নিব। তারপর চূড়ান্ত নকশা করা হবে। তবে বাজেটের বিষয়ে কিছুই
জানাতে চাননি এই কর্মকর্তা। তিনি শুধুই বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক ও
এডিবি অর্থায়নে আগ্রহী। আর প্রকল্প ব্যয় নিশ্চয়ান করা হবে সমীক্ষা যাচাইয়ের পর।
তিনি আরও বলেন,
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণের হার বেশি। নতুন প্রকল্প
বাস্তবায়নে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন
হিসেবে বিবেচনা করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এই সড়কে আমদানি-রফতানির পণ্য
পরিবহনের পাশাপাশি চলছে হাজারো যানবাহন। বর্তমানে চার লেনের এ সড়ক আট লেনে উন্নীত
করার সময়ের দাবি।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কে ওজন স্কেল তুলে দেওয়া এবং উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দাবি জানান
স্টেকহোল্ডাররা।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ
বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনে উন্নীত করার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। এটা
দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ছাড়া আর কোথাও ওজন স্কেল নেই। এতে
করে পরিবহন খরচ বাড়ছে। বিষয়টি সমাধান করা উচিত।
চট্টগ্রাম জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর
বাস্তবায়িত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনও পর্যাপ্ত হবে না। মহাসড়কের উন্নয়ন
হলে রামগড় স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ব্যবহার করে সুনামগঞ্জ, সিলেট,
মৌলভীবাজার তিন ঘণ্টায় যাতায়াত করা যাবে। এতে আমাদের সময় ও অর্থ খরচ দুটোই কম হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৩
সালে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
প্রশস্তকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু গতবছর হঠাৎ প্রকল্পটি বাতিল করে সরকার।
তবে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেশি। তাই মহাসড়কটি আট লেনে প্রশস্তকরণ ও উভয় পাশে
সার্ভিস লেন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।