Logo
শিরোনাম

বাগমারার নরসিংহপুরে আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

শামীম রেজাঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের নরসিংহপুর মাঠে আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে তিন টায় নরসিংহপুর কিশোর একাডেমির আয়োজনে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় অংশ গ্রহণ করেন রাজশাহী বাগমারা উপজেলা বনাম গোদাগাড়ী উপজেলা। উক্ত খেলায় নির্ধারিত সময় ১-০ গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে গোদাগাড়ী উপজেলা। 

ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ আব্দুল বারিক। 

খেলা শেষে বিহেড ফাউন্ডেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বাক্কার সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বাসুপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহŸায়ক শাহিন আহম্মেদ এর পরিচালনায় এ সময় অতিথি উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভবানীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম মীর, ছাত্রলীগের সাধারণ ম্পাতক জহুরুল ইসলাম, নরসিংহপুর কিশোর একাডেমির সভাপতি ইমরান হোসেন, সদস্য আবুল আসাদ প্রমুখ। 

প্রধান রেফারী হিসেবে খেলাটি পরিচালনা করেন রফিকুল ইসলাম মীর। সহকারী রেফারী ছিলেন রহিদুল ইসলাম এবং মঞ্জুরুল ইসলাম। নরসিংহপুর কিশোর একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত টুর্ণামেন্টে ১৬ টি উপজেলা অংশ গ্রহণ করে। চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে পুরস্কার হিসেবে নগদ ১৫ হাজার টাকা এবং ট্রফি এবং আনারআপ দলের হাতে ১০ হাজার টাকা এবং ট্রফি তুলে দেয়া হয়। 



বিডি/টুডেইস/নিউজ




আরও খবর



ঢাকার বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে। বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

বুধবার (০১ মে) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৯৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য মাঝারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু ; ১৭১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ইন্দোনেয়ার মেদান , ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পাকিস্তানের করাচি শহর। এ ছাড়া ১৬০ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



মেসি নৈপুণ্যে স্বস্তির জয় পেল মায়ামি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

সময়টা ভালো যাচ্ছিলো না ইন্টার মায়ামির। শেষ পাঁচ ম্যাচের একটাতেও জিততে পারেনি তারা। শেষ ম্যাচে গোল করেও মেসি জেতাতে পারেননি দলকে। তবে আজ আর ভুল করেননি, গোল করে, করিয়ে মায়ামির ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে দিলেন তিনি।

রোববার সকালে মেজর সকার লিগে কানসাস সিটির বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। দারুণ লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। এ জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে মায়ামি। ৯ ম্যাচে পয়েন্ট ১৫।


চোটের কারণে টানা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। মন্তেরির বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচ দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরলেও সেদিন পুরোপুরি ছন্দে দেখা যায়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। তবে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই মেসি ছিলেন উজ্জ্বল। তাতে আলোর মুখ দেখে মায়ামিও।

তবে কানসাসের মাঠে প্রায় ৭৩ হাজার দর্শকের সামনে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে মেসির মায়ামি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই বাঁ প্রান্ত দিয়ে এরিক টমির গোলে এগিয়ে যায় এসকেসি। অবশ্য সমতায় ফিরতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি মায়ামিকে। মেসির সুবাদে দ্রুত ফেরে সমতায়।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে মেসির অসাধারণ অ্যাসিস্টে দলকে সমতায় ফেরান গোমেজ। এরপর আরো বেশকিছু আক্রমণ করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মায়ামি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ না হওয়ায় সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুদল।

 

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। ৫১ মিনিটে গোলের দেখা পান বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। ডেভিড রুইজের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে চোখ ধাঁধানো শটে বল জালে জড়ান তিনি। চলতি মৌসুমে মায়ামির হয়ে ৫ ম্যাচে যা মেসির পঞ্চম গোল, সাথে আছে পাঁচ অ্যাসিস্টও।

এগিয়ে যাওয়ার আনন্দটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মায়ামির। ৫৮ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলে কানসাসকে সমতায় ফেরান টমি। ২-২ সমতায় খেলা তখন জমে ক্ষীর। জয়সূচক গোলের জন্যে দুই দলই চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।

তবে সব সংশয় উড়িয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। ৭১ মিনিটে অবশ্য কানসাস সমর্থকদের উল্লাস থামিয়ে মায়ামিকে আবার এগিয়ে দেন


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে সকাল থেকে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। জেলার ইনানী, পাটুয়ারটেক, মহেশখালী, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম টহল জোরদার করেছেন।

ইতোমধ্যে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল গুলোর প্রায় শতভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। কলাতলী আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, আগামী সোমবার পর্যন্ত পর্যটকদের চাপ থাকবে। রমজান মাসের পর পর্যটন ব্যবসায় ফের চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তিনি।

এদিকে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে দেখা গেছে, তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে পর্যটকদের।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে তিল ধারনের ঠাঁই ছিলনা। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের লোনাজলে গোসল করতে নামে। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে লক্ষাধিক দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা।

সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবারে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশী হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন।

জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।

হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।


আরও খবর

৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান পাঁচ ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার পাশাপাশি এর বাইরে কোনো বিষয়ে আগ্রহী কিনামতামত জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের আরও ব্যাপ্ত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি ক্ষেত্র এবং এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে মতামত জানতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুরোধ করেছে।

ঢাকার এক দায়িত্বশীল কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে বলা আছে, দেশটির কোন কোন খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম, সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা আলোচনা হয়েছে। এটা আসলে নতুন কিছু না। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব এনগেজমেন্ট আছে সেগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে বা নতুন করে কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনাসেগুলো আমরা আলোচনা করি বা কোনো কনসার্ন থাকলে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি খাত সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন; এক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর বা বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা সহযোগিতাএটার মধ্যে এন্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্ট রয়েছে; পুলিশ-র‌্যাবের তহবিল রয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তার সংক্রান্ত অংশীদারত্ব ইস্যু রয়েছে। তারপর মানবিক সহায়তা বিষয় রয়েছে, যা মধ্যে রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয় যুক্ত। এছাড়া রাইটস ইস্যুস আছে; এর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা লেবার রাইটস ইস্যু আছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভোট শেষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভোট নিয়ে নিজেদের অনঢ় অবস্থানের জানান দিলেও বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান খোদ ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির আলোচিত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে একই বার্তা দেন।

তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার সরকার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাইডেনের চিঠির পর ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন তার (মার্কিন প্রেসিডেন্টের) বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল।

ওই সফরে এইলিন লাউবাখেরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে ড. হাছান জানিয়েছিলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক। যেহেতু দুদেশেরই সদিচ্ছা আছে, সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।

অন্যদিকে, বাইডেনের বিশেষ সহকারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছেন।

বাইডেনের সেই চিঠির প্রতিউত্তরের একটি কপি এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে ওই চিঠির মূল কপি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব এবং দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা করে।

সবশেষ, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব এক‌টি প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন।

মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবাস্তয়নে যে সব রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন সেসব রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে তারা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই সিরিয়াস বিষয়। এই কৌশলে এবং একইসঙ্গে চীনকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের (২০২৩) মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে দেশটির অব্যাহত নজরদারির কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অব্যাহতভাবে দেশটি নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।


আরও খবর



গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে গম সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গেল ২০২৩ সালে সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সেই সময়ে এক কেজিও গম সংগৃহীত হয়নি। ফলে গমের বাজার এখন প্রায় পুরোটায় আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটার দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেলেও দেশের বাজারে এই দুটি পণ্যের দাম এখনও চড়া রয়েছে।


কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৬ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অন্য দিকে বেসরকারি পর্যায়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গম আমদানি হয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন গম।


জানা গেছে, বর্তমানে দেশে গমের চাহিদা রয়েছে ৮৫-৮৬ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে প্রতি বছর গম উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন এবং সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গম আমদানি হচ্ছে ৭৪-৭৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশের উৎপাদন দিয়ে বড় জোড় ১০ শতাংশ চাহিদা মিটছে।
সূত্র জানায়, দেশে গমের উৎপাদন আগের তুলনায় কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতি বছর একটু একটু করে গমের উৎপাদন বাড়ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদিত হয়েছে ১১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গমের সরকারি মজুদ হচ্ছে ৩ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিকূল বাজার মূল্যের কারণে গত বছর (২০২৩ সাল) সরকারি পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ অভিযানে ১ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনো গম সংগৃহীত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, আমদানি নির্ভরতা বাড়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার মূল্য অধিকাংশ সময়ে ঊর্ধ্বমুখী থাকছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা প্রতি কেজি গমের দাম ছিল ২৭ টাকা ৪৪ পয়সা এবং খোলা আটার দাম ছিল ২৭ টাকা ২৩ পয়সা। চলতি বছরের (২০২৪ সাল) গত মার্চে এর দাম ছিল যথাক্রমে ৪২ টাকা ৫০ পয়সা এবং ৪২ টাকা ৮৯ পয়সা।


খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রাপ্ত গমের আন্তর্জাতিক বাজার দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ (মার্চ ২০২০-মার্চ ২০২৪) বছরের মধ্যে গমের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২২ সালের মার্চে। ওই সময় প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য ছিল- ইউএসএ লাল নরম ৪২৫ ডলার, ইউক্রেনের গম ৪৩৮ ডলার, রাশিয়ার গম ৪১০ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ৪০৮ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ৩৯৩ ডলার। ওই সময়ে দেশে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গম ও খোলা আটার দর ছিল যথাক্রমে ৩১ টাকা ৪৬ পয়সা এবং ৩৪ টাকা ৮৫ পয়সা।


বর্তমানে (২০২৪ সালের মার্চের হিসাবে) প্রতি মেট্রিক টন গমের এফওবি মূল্য হচ্ছে- ইউএসএ লাল নরম ২৩২ ডলার, ইউক্রেনের গম ১৯৭ ডলার, রাশিয়ার গম ২০৪ ডলার, আর্জেন্টিনার গম ২২২ ডলার ও অস্ট্রেলিয়ার গমের দাম ছিল ২৫০ ডলার। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম অনেক কম হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে গম ও আটার দাম ২০২২ সালের তুলনায় বেশি।


জানা যায়, স্বাধীনতার আগে দেশে গম উৎপাদিত হতো ১ লাখ মেট্রিক টনের মতো। স্বাধীনতার পর এক দশকে বেড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন হয়। গত ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনে রেকর্ড হয়, ওই সময় গম উৎপাদিত হয়েছিল ১৯ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এরপর আর গমে উৎপাদন সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪