Logo
শিরোনাম

বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার চ্যালেঞ্জে সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ ৫টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার পর সরকার নির্ধারিত দামে তা বিক্রি না হওয়ার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় সপ্তাহ দুয়েক আগে বাজার তদারকির জন্য বিভাগীয় কমিশন ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টরা হাঁকডাক ছেড়ে গুদাম থেকে বাজার পর্যন্ত  মনিটরিংয়ে মাঠে নামে।

এই নজরদারি ব্যবস্থাপনায় একযোগে কাজ শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গুদাম, কোল্ড স্টোরেজ, আড়ত থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে নিয়মিত অভিযান চালাতে শুরু করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তবে তাদের এসব তৎপরতায় নিত্যপণ্যের বাজারে ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং বেশকিছু পণ্যের বাজার উল্টো আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, মূল সংকটের সমাধান না করে এলোমেলোভাবে তদারকি বাড়ানোর কারণে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। বরং কোনো কোনো পণ্যের বাজার উল্টো তেতে উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, বাজারের লাগাম টেনে ধরতে হলে সবার আগে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। একই সঙ্গে অবৈধ মজুতদারদের কঠোর সাজার আওতায় আনা জরুরি। আর এসব কার্যক্রম সারা বছর তদারকি করতে হবে।

অথচ দেশে কোনো তৎপরতারই নিয়মিত মনিটরিং নেই। শুধু নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হলেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণের হাঁকডাক শুরু হয়। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এসব কার্যক্রম শুরুর আগেই বেশিরভাগ সময় মুখ থুবড়ে পড়ে। বেপরোয়া সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের প্রভাবশালীদের আঁতাত থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন কৌশল বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।

এদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বাজার অস্থিতিশীল হলেও এর নেপথ্যে সরকারের তথ্য-উপাত্তভিত্তিক সিদ্ধান্তের অভাব ও বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাসহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। তাই শুধু বাজার তদারকি করে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা যাবে না। বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেসব প্রতিষ্ঠান আছে যেমন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বা প্রতিযোগিতা কমিশন- এসব প্রতিষ্ঠানের খবরদারিতে দুর্বলতা রয়েছে। আর এ কারণেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঠেকানো যাচ্ছে না। তারা মনে করেন, এসব প্রতিষ্ঠানের উচিত বাজারব্যবস্থাকে একটা নজরদারির মধ্যে নিয়ে এসে মূল্যস্ফীতি অযৌক্তিকভাবে বাড়ছে কি না সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখা।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ডিস্টিংগুইশড ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা। তার মতে, উৎপাদক স্তর থেকে ভোক্তা স্তর এবং আমদানি স্তর থেকে ভোক্তা স্তর- এই দুই পর্যায়ে যারা মধ্যস্বত্বভোগী রয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে তাদের হাতে বাজারটা একচেটিয়াভাবে চলে গেছে। তারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং এ কারণে যে মূল্যটা সেটা বাজারের প্রতিযোগিতার সক্ষমতার নিরিখে হচ্ছে না। তিনি বলেন, এই মধ্যস্বত্বভোগীরাই বাজারের মূল্য নির্ধারণ করছে এবং অনেক সময় সরবরাহকে প্রভাবিত করছে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে অব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে সামনে এনেছেন অর্থনীতিবিদ ডক্টর সেলিম রায়হানও। তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ীরা একটা সাময়িক সরবরাহ সংকট তৈরি করে কোনো কোনো পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে ফেলে। যেটার কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। চিনি বা ভোজ্যতেলের মতো খাতে সরবরাহকারীর সংখ্যাও হাতেগোনা, মাত্র তিন-চারটি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে বাজারকে প্রভাবিত করার প্রবণতা আছে বলে মনে করেন তিনি।

বাজারে অ্যান্টি-কমপিটিটিভ প্র্যাক্টিসের (প্রতিযোগিতাহীন অবস্থা) নিদর্শন পাওয়া যায়, অথচ এগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো শক্তিশালী পদক্ষেপ আমরা দেখি না- যোগ করেন সেলিম রায়হান।

দেশের বাজারে তথ্য-উপাত্তভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে বড় ধরনের দুর্বলতা থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের ভাষ্য, বাজারে চাহিদা কত, সরবরাহ কত, উৎপাদন কত, আমদানি কতটুকু করতে হবে এবং সেটা কোন সময়ে করতে হবে, সেই আমদানিটা উন্মুক্তভাবে হচ্ছে কি না- এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেশিরভাগ সময়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। ফলে যথেচ্ছভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

দেশে সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার নেপথ্যে মুদ্রাস্ফীতিকেও দায়ী করেন বাজার পর্যবেক্ষক ও অর্থনীতিবিদরা। তারা জানান, চলতি অর্থ বছরের শুরুতেই রেকর্ড পরিমাণ টাকা ছাপিয়ে সরকারকে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরের প্রথম আঠারো দিনে সরকারকে সহায়তা করতে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে দশ হাজার আটশ কোটি টাকা সরকারকে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে সময় অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন, এভাবে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে দেওয়ার প্রভাব ঠিক তখনই না হলেও মূল্যস্ফীতি, অর্থাৎ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের ওপরই পড়বে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এখন যে পণ্যের বাজারে দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলছে তার পেছনে এটাও একটা বড় কারণ। এদিকে, চাহিদার চেয়ে দেশীয় যোগান বেশি থাকলেও সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বাজারে চড়া দরে বিক্রীত পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্তেও নতুন করে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়ছে বলেও মনে করেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।

তারা মনে করেন, দাম কমাতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে আমদানি না করে, বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বাজার ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা এবং আমদানিনির্ভরতা দীর্ঘ মেয়াদে দেশের অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাজারে সরবরাহের ঘাটতির কারণে পণ্য আমদানি করা হলে সেটি বাজারে তেমন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু কৃত্রিমভাবে বাজারে পণ্যের যোগান নিয়ন্ত্রণ করা হলে, সেরকম ক্ষেত্রে আমদানি করার পদক্ষেপ হিতে বিপরীত হতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হয় না এবং দামও কমে না। তার ওপর আমদানি যথেষ্ট পরিমাণে হলে বড় ব্যবসায়ীরা তাদের হাতে থাকা পণ্য বাজারে ছেড়ে দিতে পারেন, ফলে সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি পণ্যের দাম কমলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেই সঙ্গে, দীর্ঘ মেয়াদে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে মনে করেন এই গবেষক।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ডিমের খামারিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ গত কয়েক মাসে ডিমের আড়তদাররা যে দামে খামারিদের কাছ থেকে ডিম কিনছিলেন, সেই দামের চেয়ে ডিমের উৎপাদন খরচ বেশি বলে দাবি করেন খামারিরা। এখন উৎপাদন খরচ কমানোর ব্যবস্থা না নিয়ে ডিম আমদানি করা হলে ওই ক্ষুদ্র খামারিরা বেশি খরচে ডিম উৎপাদন করে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হবে। যেহেতু বাজারে ডিমের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে ডিম আনার কারণে দেশের উৎপাদন মূল্য ও বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে ডিম আনতে পারবেন এবং ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হতে পারবেন। এমন ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের ডিম উৎপাদকদের বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ছে। পাশাপাশি ডিমের দামও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ যে চারটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় তার কোনোটিই কার্যকর হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কঠোর পদক্ষেপও দেখা যায়নি। দেশের বিভিন্ন বাজারে অভিযান ও অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করায় কয়েকটি কোল্ড স্টোরেজ মালিককে জরিমানা করে দায় সেরেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

অথচ বাজারে সংকট না থাকলেও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৮-৯ টাকা বেশি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। একই চিত্র পেঁয়াজের বাজারেও। দেশী পেঁয়াজের কেজি ৭৬ থেকে ৮৫ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে ২০ টাকা বেশি। আর ডিমের দাম স্থির হয়ে আছে ১৫০ টাকায়। যদিও সরকার ঠিক করে দিয়েছে ১৪৪ টাকা।

এদিকে, হাতেগোনা কিছু সবজির দাম নাগালের মধ্যে থাকলেও বাকি সব সবজির দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, মুলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি গোল বেগুন ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কচুরমুখি ৯০ টাকা এবং কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।


আরও খবর



রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক, নির্বাচন হবে : তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

অন্তর্র্বতী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন আগামি ডিসেম্বর থেকে জুন ২০২৬ এর মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কিভাবে হবে তার ওপর নির্ভর করবে৷ এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভিতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছুও নেই, যে কবে নির্বাচন হবে? নির্বাচন দিবে কি, দেবে না? অবশ্যই নির্বাচন হবে। ডিসেম্বর অথবা জুন দুইটা টাইমলাইন আছে, এই টাইমলাইনের ভেতরেই হয়ে যাবে। এ কথার বাহিরে সরকার হয়তো যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক, নির্বাচন হবে।



বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামীয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর তার দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।



মাহফুজ আলম বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সরকার মনে করছে যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, আর দেশী-বিদেশী যারা আমাদের সহযোগী ও স্টোকহোল্ডার রয়েছে তাদের পরামর্শ ছাড়া সরকার একা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করছি সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেবে।



এসময় মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহবায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ প্রমুখ। 


আরও খবর



ল্যাপটপের যত্ন নিবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

ল্যাপটপের সঠিক যত্ন নিলে তা অনেক দিন ভালো থাকে। তবে আমরা অনেকেই কাজের পর ল্যাপটপ বন্ধ করি না, একগাদা অ্যাপ্লিকেশন খোলা রাখি, কিংবা বিছানায় রেখে কাজ করি। এসব কারণে ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যায় এবং এর আয়ু কমে যায়। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে আপনার ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারে।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ল্যাপটপের যত্ন নেবেন।

নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন: ল্যাপটপে অতিরিক্ত ধুলা জমলে তা গরম হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখুন এবং ময়লা জমতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সতর্কতার সাথে পরিষ্কার করুন: নরম সুতির কাপড় দিয়ে ল্যাপটপ মুছুন। কিবোর্ড পরিষ্কার করতে ব্রাশ ব্যবহার করুন, কিন্তু কখনো পানি বা গ্লাস ক্লিনার দিয়ে ল্যাপটপ পরিষ্কার করবেন না।

উষ্ণ জায়গা থেকে দূরে রাখুন: গরম জায়গা, হিটার, রান্নাঘরের কাছে ল্যাপটপ রাখা উচিত নয়। গাড়িতে ল্যাপটপ ফেলে রাখা ও বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করবেন না। এতে ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যেতে পারে এবং ক্ষতি হতে পারে।

তরল পদার্থ থেকে সাবধান থাকুন: চা, কফি বা ঠান্ডা পানীয় ল্যাপটপের কাছে রাখবেন না। তরল পদার্থ পড়ে গেলে যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে।

সঠিকভাবে সরান: ল্যাপটপ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিসপ্লে ধরবেন না। ল্যাপটপের নিচের অংশ ধরে সাবধানে সরান। ডিসপ্লে ধরে নিলে জয়েন্ট আলগা হয়ে যেতে পারে।

ল্যাপটপ কভার ব্যবহার করুন: ল্যাপটপ কভার ও উপযুক্ত ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করুন। এতে ধুলা, ময়লা ও আঘাত থেকে ল্যাপটপ নিরাপদ থাকবে।

বার্ষিক সার্ভিসিং করুন: প্রতি বছর একটি নির্ভরযোগ্য সার্ভিস সেন্টারে ল্যাপটপ সার্ভিসিং করিয়ে নিন। এতে ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।


আরও খবর

তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫




নওগাঁয় ঈদের দিন সড়কে ঝরলো এক বন্ধুর প্রাণ, ৪ বন্ধু হাসপাতালে

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ঈদের দিন সড়কে ঝরলো এক বন্ধুর প্রাণ, ৪ জন আহত। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় একজনকে ঢাকাতে প্রেরণ। পৃথক দুটি দূর্ঘটনা ঘটে নওগাঁ সদর থানাধীন বলিহার নামক স্থানে ও নওগাঁর সাপাহার থানাধীন মিরাপাড়া এলাকা নামক স্থানে।সাপাহার উপজেলার

কালাইবাড়ী টু দিঘিরহাট আঞ্চলিক সড়কের মিরাপাড়া নামক স্থানে ঈদের দিন সোমবার বেলা ১১টারদিকে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহিন আলম (১৭) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়। এদূর্ঘটনায় একই মোটরসাইকেলে থাকা 

আহসান আলী (১৭) ও জামিরুল হোসেন (১৭) নামে আরো দুই বন্ধু আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর আহসান আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত শাহিন আলম হলেন, পোরশা উপজেলার পশ্চিম হরিপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহিমের ছেলে। আহতরা হলেন, সাপাহার উপজেলার আলাদীপুর গ্রামের তাহির উদ্দিনের ছেলে আহসান আলী (১৭) এবং পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে জামিরুল (১৭)। পুলিশ ও স্থানিয় সুত্র জানায়, তারা ৩ জন বন্ধু ঈদ উপলক্ষে একটি মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। ঘোরা-ফেরা করার এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হাঁড়িয়ে সড়কের ধারে থাকা গাছের সাথে ধাক্কালেগে দূর্ঘটনাস্থলেই 

শাহিন আলমের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ

আব্দুল আজিজ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৌছেছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অপরদিকে নওগাঁ সদর থানাধীন নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের বাবলাতলিমোড় বলিহার নামক স্থানে ঈদের দিন দুপুর দেরটারদিকে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুই তরুন বন্ধু গুরুতর আহত হয়। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ও ভীমপুর তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহযোগীতায় আহত দুই জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকাতে হস্তান্তর করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, আহতরা দু'জন বন্ধু, তাদের বাসা নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে। তারা ঈদের দাওয়াত খেতে মোটরসাইকেল যোগে এক জনের নানার বাড়ি মান্দা উপজেলার বদ্দপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা দুই বন্ধু গুরুতর আহত হোন বলে জানাগেছে।তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। দূর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছেন ভীমপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র'র পুলিশ।


আরও খবর



গজারিয়ার ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়

বেঞ্চে বসা নিয়ে সংঘর্ষ: ২শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল: গজারিয়ার ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ে মারামারির ঘটনায় নবম শ্রেণির ২ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।

ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতভাবে রায়হান ও ইমন নামের ২ ছাত্রকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান শিকদার।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থানীয় আনারপুরা গ্রামের রায়হান ও ইমন বহিরাগতদের সহায়তায় তাহিন (১৬), জোবায়ের (১৫), মো. আবদুল্লাহ (১৫) ও সাইফুল ইসলাম (১৭) নামের ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর করে আহত করে। আহতদের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার ক্লাস রুমে দুইদল ছাত্রের মধ্যে কথাকাটাকাটির জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে আহত এক ছাত্রের মা গজারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য গতকাল ২০,০৪,২০২৫  রোববার বেঞ্চে বসাকে ঘটনা কেন্দ্র করে উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহত ৫ ছাত্রকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনা গজারিয়া থানায় দু'পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের ভাটেরচর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- তাহিন (১৬), জোবায়ের (১৫), মো. আবদুল্লাহ (১৫) ও সাইফুল ইসলাম (১৭) । এরা সকলেই বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. সাঈদ মিয়া ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাটেরচর দেওয়ান আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্থানীয় আনারপুরা ও বড়ইকান্দী ভাটেরচর গ্রামের বাসিন্দা দুইদল ছাত্রের মধ্যে গতকাল রোববার বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে টেবিলে বসা ও শুয়ে থাকা নিয়ে কথাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আনারপুরা গ্রামের কয়েকজন শিক্ষার্থী বহিরাগতদের সহযোগিতায় বড়ইকান্দী ভাটেরচর গ্রামের বাসিন্দা ৪ ছাত্রকে হকিস্টিক ও কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

আহত শিক্ষার্থী মো. সাঈদ জানান, সে ক্লাসের বেঞ্চে শুয়ে ছিলো, আমি তাকে উঠতে বললে সে আমাকে বকাঝকা শুরু করে। তাদের গ্রামে স্কুল সে কারণে এরা দূর এলাকার ছাত্রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলম আজাদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুইপক্ষই অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩-এর ৩(১) বিধি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো ধরনের মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২.৭৮ শতাংশ বাড়ার রেকর্ড রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়, যাতে সামুদ্রিক মৎস্য বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

এ কমিটি বিজ্ঞানসম্মত তথ্যাদি যাচাই করে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন নির্ধারণের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত ১৬ মার্চ ২০২৫ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

ফরিদা আখতার বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা ২০২৩ সংশোধন করে সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


আরও খবর

সাত জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫