
রোকসানা মনোয়ার :বান্দরবানের পাহাড়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র আস্তানায় একাধিক অভিযান চালালেও শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। সেখানে নানারকম প্রশিক্ষণ চললেও তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পায়নি র্যাব । তবে, বান্দরবান ক্যাম্পের অভিযানে আটক পাঁচজনের কাছে মিলেছে নিখোঁজ ৫৫ ব্যক্তির তথ্য।
গেল বৃহস্পতিবার বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৫ সদস্যকে ছয় দিনের রিমান্ড দেয় রাঙ্গামাটি আদালত।এই রিমান্ডে তারা ঐ নব্য জঙ্গি সংগঠন সম্পর্কে নানা তথ্য দিয়েছে বলে জানায় র্যাব।
তারা জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাকিঁ দিয়ে নতুনভাবে জঙ্গীবাদকে সংগঠিত করতে চেয়েছিল নতুন এই সংগঠনটি। তবে তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পায়নি র্যাব ।
এদিকে এখন পর্যন্ত র্যা বের হাতে দেশব্যপী নিখোঁজ তালিকার ৫৫ জনের মধ্যে ৭ জন গ্রেফতার আছে, মারা গেছে ২ জন। কেএনএফের প্রশিক্ষণদাতা ১৪ জন এবং নতুন জঙ্গী সংগঠনটির মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তবে এখনো ধরা পড়েনি কোন সর্বোচ্চ নেতা।
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ি সীমান্তবর্তী পাহাড়ের গহীন অরণ্যে অর্থের বিনিময়ে এই জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ দেয়া ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ)-এর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতাদেরও এখনো ধরা যায়নি।