Logo
শিরোনাম

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আম ফল সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় এত পছন্দনীয় ফল পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এমন কোন জাতি নেই যারা আম পছন্দ করেনা। তাই একে সন্মান দিয়ে ʼফলের রাজাʼ বলা হয়। এই গরমে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি।

কাঁচা আমে অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ থাকে। এতে থাকা ফোলেট বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে উপকারিতা দেয়। পরিপাকজনিত সমস্যা দূর, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। এর আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গরমে প্রশান্তি দেয়

ওয়ার্কআউট করার পর এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস একটি দারুণ সতেজ পানীয় হিসেবে কাজ করে। এটি উত্তপ্ত তাপের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এই পানীয় শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য খনিজের ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। যেহেতু গরমের সময়ে ঘামের কারণে প্রয়োজনীয় খনিজের ক্ষয় হয়, তাই কাঁচা আম শরীর ঠান্ডা রাখতে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

হজমের সমস্যায় উপকারী

গরমের সময় বেড়ে যাওয়া গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম বেশ ভালো কাজ করে। এটি পাচন রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অম্লতা, অম্বল, মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

হার্ট সুস্থ রাখে

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবারের সমৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

লিভার ভালো রাখে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এবং এর রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে ফ্যাট শোষণ বাড়ায়।

দাঁতের জন্য উপকারী

কাঁচা আম একটি শক্তিশালী ফল যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের চিকিৎসা করে এবং এটি দাঁতের গহ্বরের ঝুঁকি কমায়। শক্ত ও পরিষ্কার দাঁত পেতে চাইলে কাঁচা আম খাওয়া শুরু করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, এ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ত্বক ও চুলকে সুস্থ করে তোলে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন সাধারণ সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করে

বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ দেখিয়েছে যে কাঁচা আম খেলে তা রক্তস্বল্পতা, রক্ত জমাট বাঁধা, হিমোফিলিয়ার মতো রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কাঁচা আম কোলাজেন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে, রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে।

ক্ষতিকর দিক

পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপকারী। তবে বেশি পরিমাণে কাঁচা আম খেলে বদহজম, পেটে ব্যথা, আমাশয় এবং গলা জ্বালা হতে পারে। মনে রাখবেন, কাঁচা আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি পান করবেন না কারণ এটি জ্বালা বাড়ায়।


আরও খবর

শীতের সবজি রান্নার রেসিপি

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শেষ পাতে ফিরনির রেসিপি

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪




রাজাপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে জমি দখল ও ঘর নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঝালকাঠির রাজাপুরের বড় কৈবর্তখালি গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পৈত্রিক ও কবলাকৃত জমিতে খুপড়ি ঘর নির্মান করে দখলের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপজেলার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত ওফাজ উদ্দিন ফরাজির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, বড় কৈবর্তখালী গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে সোহরাফ হোসেন খোকন কিছুদিন পূর্বে তাদের অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে গোপনে বড় কৈবর্তখালী মৌজায় বিএস ৭৬৯ নং খতিয়ানের ২২৭০ ও ২০৯২ দাগে ৬.১০ শতাংশ ও ৪.৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং রাজাপুর-ভান্ডারিয়া মহসড়কের পূর্ব পাশে ২২৭০ দাগ থেকে প্রায় ৬.৫৩ শতক জমি ক্রয় করে। কিন্তু সোহরাফ হোসেন খোকন তার কবলাকৃত সম্পূর্ণ সম্পত্তির চেয়েও বেশি জমি রাস্তার পার্শ্বের দামী পজিশন থেকে আপোষ মিমাংসা না করে জোরপূর্বক রাতের আধারে দখল করে বেড়ি বাধ দেয়। মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, তার পিতা ওফাজ উদ্দিন ফরাজী এর ওয়ারিশ ও রাশিদা আক্তারের কাছ থেকে একই তফসিলভূক্ত জমি সাব কবলা সূত্রে ও ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন। ওই বিরোধীয় জমির ওয়ারিশসূত্রে মালিক মোস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক তারিকুল ইসলাম ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হয়ে ঝালকাঠি আদালতে ঝালকাঠিতে প্রিয়েমশন (জমি অগ্রক্রয়) আইনে মামলা নং ১১/২০২৪ এবং ১৬/২০২৪ দায়ের করলে আদালত গত ১ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তীতে মোস্তাফিজুর রহমানের ভাই মাহাবুবুর রহমান ওই জমি নিয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা নং ১১২/২০২৪ দায়ের করেন। যা শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত বিরোধীয় সম্পত্তিতে উভয় পক্ষকে নির্মান কাজ পরিচালনা করতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও রাজাপুর থানার পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আধারে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মানের লক্ষ্যে পিলার তৈরী করে এবং পরবর্তীতে তাদের হয়রানী ও ফাসানোর জন্য জমির এক পার্শ্বে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে পূর্বে নির্মিত একটি ছোট কুঁড়েঘর নিজে ভাংচুর করে তাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মান ও পিলার তৈরি কাজ বন্ধ পূর্বক আইন আমান্যকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বিষয়ে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাফ হোসেন খোকন জানান, তিনি দলিলমূলে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে ৬.১০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ ও আদালতে মামলা চলমান। কিন্তু তারা তো পুরো জমির কাজ বন্ধ করে দিতে পারে না। আদালত যে রায় দিবে তা মেনে নিতে তো আমরা বাধ্য। তিনি দাবি করেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে অন্য অংশে কাজ শুরু করলে তারা কিছু পোলাপান নিয়ে সবকিছু মেচাকার করে ফেলছে। রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙখলা বজায় রাখতে জমিতে প্রবেশে বারন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে আদালতের রায়ের আদেশ অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু সম্পূর্ণ বিষয়টাই আদালতের তাই আদালতের নির্দেশনা কোন পক্ষ উপেক্ষা করলেও তা ওই আদালতে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি সপ্তাহে সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহের ৪০ টাকার আলু প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তবাগ ও খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

এসব বাজারে টমেটো কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা কেজি ২০ টাকা, খিরাই ৪০ টাকা এবং শশা ৫০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পিস, কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শিমের বিচি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোল বেগুন ৪০টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, কলার হালি ৪০ টাকা, শালগম ৩০, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়া-মহল্লার বাজারে এসব সবজির মানভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে আলুর দাম। গত সপ্তাহের ৪০ থেকে ৩৫ টাকার আলু বাজার ও মানভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি রসুন ২৫০ ও ইন্ডিয়ান রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা, আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে খোলা সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি ১৮৫, খোলা পাম তেল ও সুপার প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন ৮৪০ থেকে ৮৫০, ১ লিটার সয়াবিন ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।

সবজি ব্যবসায়ী মে. মোশাররফ বলেন, অধিকাংশ সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে আজ শুক্রবার হওয়ায় কিছু কিছু সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বললেন, দেশের বর্তমান অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অনেক উন্নতি ঘটেছে। তিনি দেশ পরিচালনায় গত পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল বলেও উল্লেখ করেছেন।

দেশের একটি অনলাইন মিডিয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব।

অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ মাসের পরিচালনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, আমরা দেশের অশান্ত সময়টা পার করেছি।

এখন দেশ অনেকটাই স্থিতিশীল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অনেক উন্নতি ঘটেছে। অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। আমলাতন্ত্রেও আমরা স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে এনেছি, যদিও কিছু কিছু জায়গায় এখনও উত্তেজনা চলছে। সব মিলিয়ে দেশ পরিচালনায় গত পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকারকে আমি একশোর মধ্যে ৯০ ভাগ সফল বলে মনে করি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদসহ অর্থনীতির উন্নতির প্রসঙ্গ টেনে প্রেসসচিব বলেন, আপনি যদি রিজার্ভের কথা বলেন এটা কিন্তু দ্রুত বাড়ছে। অর্থনীতির দিকে তাকান, যে খারাপ সময়ের মধ্যে আমরা গিয়েছিলাম, তার উন্নতি ঘটেছে। গত তিন-চার মাসের রপ্তানির দিকে লক্ষ্য করুন, এটা খুব গতিশীল। সেপ্টেম্বরে ৭ শতাংশ, অক্টোবরে ২১ শতাংশ, নভেম্বরে এসে ১৬ শতাংশ রপ্তানি বেশি হয়েছে।

আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষে একটা ভালো প্রবৃদ্ধি হবে। আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা যদি বলি, সেখানে দেখা যাচ্ছে গত বছরের মতোই পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখন।

আইনশৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক কি না প্রশ্নে প্রেসসচিব বলেন, এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হওয়া যায় না। কারণ, আমরা তো চাই অপরাধ আরও কম হোক।

নির্বাচন ইস্যুতে তিনি জানান, দুটো সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্তটা এগিয়ে নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ন্যূনতম একটা সংস্কার করে নির্বাচন দিলে সেটা আগামী ডিসেম্বরে এবং আরও বেশি সংস্কার চাইলে সময়টা আরো ছয় মাস এগোতে পারে।

শফিকুল আলম বলেন, গোটা বিষয়টা নির্ভর করছে সংস্কার নিয়ে সংলাপটা কেমন হবে, আমরা কতটা সংস্কার করতে চাচ্ছি তার ওপর। সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। বিষয়টা এমন না যে, এক-দেড় বছরের মধ্যে আমাদের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচিত সরকার এলে তারা এই সংস্কার আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনটা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান কাজ। এই সংস্কারটা আগে করতে হবে। এরই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনীর জন্য কিছু কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। এবং সে কাজটা এগিয়ে নিতে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। ওই ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ আছে, যেখানে অধ্যাপক ইউনূস চেয়ারম্যান।

সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিভিন্ন ধরনের অবস্থান, অভিযোগ, বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। এসব কারণে সংস্কার ইস্যুতে সরকার একটা বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে কি না প্রশ্নে তিনি বিষয়টি একেবারে নাকচ করে দেন।

প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন ধরনের বক্তব্য থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক। সবার মতামত এক হবে - এটাও ঠিক না। সবাই সবার মত, চিন্তা-ভাবনাগুলো জানাবেন। জনগণ সেখান থেকে বেছে নেবে কোনটা তাদের জন্য ভালো। এই মতামত আদান-প্রদানের সময় যে কোনো সংঘাত ঘটবে তা আমি মনে করি না।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ, বক্তৃতার মাধ্যমে একে অপরকে আক্রমণ সব গণতান্ত্রিক দেশেই হয় বলে জানান শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, এটা শুধু আমাদের দেশেই হয় না। পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনীতিতে এই সংস্কৃতি আরও ভয়াবহ। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্যাম্পেইনের সময় দেখবেন তাদের মধ্যে কী ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য চলে। একজন আরেকজনকে ‘গণশত্রু’ বলে প্রচার করে। আসলে রাজনীতিতে এটা সাধারণ ব্যাপার, বিতর্ক থাকবেই। সবচেয়ে বড় কথা, এই তর্ক-বির্তকে যদি সবাই মিলে অংশ নেয় তবে একটা সুষ্ঠু সমাধানে আসা যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রক্লেমেশন বা জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ না হওয়া নিয়েও বক্তব্য দেন প্রেস সচিক শফিকুল আলম।

শুরুতে এই প্রক্লেমেশনে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলা হলেও পরে বলা হয়, সরকারই এই প্রক্লেমেশন ঘোষণা দেবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিল কেন বা এই ইস্যুতে কী ঘটেছিল?

জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিততে যেতে চাই না। তবে একটি ঘোষণাপত্রে দেশের সব রাজনৈতিক দলের মতামতের অংশগ্রহণ থাকুক তা চায় অন্তর্বর্তী সরকার। সবাই একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে একটা ঘোষণাপত্র তৈরি হোক, আর সেখানে ড. ইউনূস অবশ্যই থাকবেন।


আরও খবর



তীব্র শীতে কাঁপছে রাজাপুরের নিন্মশ্রেণীর মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মোঃ হাসিবুর রহমান রাজাপুর. ঝালকাঠি

তীব্র শীত আর কনকনে হাওয়ায় কাঁপছে রাজাপুরের নিম্নশ্রেণীর মানুষ। গত কয়েকদিনে ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা কমছে । ঠান্ডা বাতাস আর তীব্র শীতে ভোগান্তি বাড়ছে এ অঞ্চলের মানুষের। ভর দুপুরেও গরম কাপড় মুড়িয়ে চলাফেরা করছে স্থানীয়রা। আবহাওয়া অধিদপ্তরে সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা  হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত থেকে রক্ষা পেতে যে যার মতো গরম পোশাক পড়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাজাপুর সদর হাসপাতালে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছেন শীতজনিত রোগে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানা গেছে, পৌষের শীতের এই দাপট চলবে আরো বেশ কয়েকদিন। রাত ১২টার পরপরই ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় গোটা দক্ষিণাঞ্চল। সকাল বেলা ছিল মেঘে ঢাকা এমন অবস্থা। রাজাপুর সদর হাসপাতালে খোঁজ নিলে জানা যায় ঠান্ডাৎ শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডিপথেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, শীতের কারণে বয়স্কদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, অ্যালার্জি, চর্মরোগ বেড়ে গেছে। শুক্রবার রাত ৯:৩০ এর দিকে রাজাপুর উপজেলার বেশকিছু স্থানে দেখা গেছে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষজন। বাইপাস মোড়ের ছিন্নমূল এক পথশিশু জানায়, গত কয়েকদিন ধরে অনেক কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় তেমন কোনো কাজ করতে পারছি না। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না। রাজাপুর বাইপাস মোড়ের এক ব্যবসায়ী জানান, অতিরিক্ত শীতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। বাইরে লোকজনের চলাফেরা কমে গেছে। ফলে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর, এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন। স্কুল-কলেজেও উপস্থিতি কমে গেছে।


আরও খবর



হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাড় কাঁপানো শীতে রংপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা উঠানামার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হিমেল বাতাসে কাঁপতে থাকে শীতার্ত মানুষজন। হাড়কাঁপানো শীতে রংপুরের বিপর্যস্ত জনজীবন। দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। শীতের ঠাণ্ডাকে অপেক্ষা করে পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হয়েছে নিজ কর্মে পেশাজীবীরাও।

রংপুরের গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, কাউনিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৩০টি চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষজনের দুর্ভোগ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। শীতবস্ত্র না পেয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। শীতের কুয়াশামাখা সরিষা ফুলের দানা, আবার মাকড়সার জালে বিন্দু বিন্দু কুয়াশাচ্ছল, প্রকৃতিতে ডেকে রাখা সূর্যের আলো আসার অপেক্ষা।

আলতাব হোসেন,মাসুদ রানা, বকুল মিয়াসহ কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ বলেন, উত্তরবঙ্গে শীত এমনিতেই একটু বেশি। এর মধ্যেই রংপুরে এক সপ্তাহ থেকে কুয়াশার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে নিম্নয়ের মানুষ। হিমেল হাওয়া ও কনকনে এই শীতে গ্রামের শিশু ও বৃদ্ধারা অসুস্থ হচ্ছে। শিশুদের দেখা দিচ্ছে নেমোনিয়া। এই শীতের ছিন্নমূল মানুষের দেখা দিয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগ । কোথাও থেকে পাচ্ছে না শীতবস্ত্র। তীব্র শীতে মাঠে গিয়ে কাজকর্ম করতে পারছে শ্রমজীবী মানুষ।

কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে দুপুরের পর অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাতে থাকছে না উষ্ণতা। ঠাণ্ডায় শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট চরমে পৌঁছেছে। ভোর থেকে কুয়াশার কারণে মহাসড়কে বাস-ট্রাকসহ সকল যানবাহনের চালকদের হেড লাইট জ্বালিয়ে সতর্ক থেকে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সাতমাথা এলাকায় কথা হয় ট্রাক চাল আজিজুল হকের সাথে। তিনি বলেন ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালাতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। নগরীর এলাকাগুলো কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে।

রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালকরা পড়েছেন বিপাকে। দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তারা স্বাভাবিক দিনের মতো যাত্রী পাচ্ছেন না। রিকশাচালক নাজিম হোসেন বলেন, এতো কুয়াশা যে প্যাডেল মারতে অসুবিধা হচ্ছে। সাথে শির শির বাতাস, যাত্রীও আগের মতো নাই। সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন বারোটা পর্যন্ত বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু পাল্লার বাস গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে, কেউ আবার শীতের মধ্যে কর্মের সন্ধানে, শীতের দাপটে কেউ আবার ঘরের ভেতরে। অনেকেই আবার একত্রিত হয়ে আগুন তাপানো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, এনিয়ে পথযাত্রীরা বললেন, আবহাওয়ায় মিল না থাকায় মানুষের কষ্ট বেশি বাড়বে এবার…।

রংপুর আবহাওয়া অফিসার মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুরে এবার যথা সময়ে শীত হচ্ছে, সাধারণত ডিসেম্বর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি শীতের তীব্রতা মাঝে মধ্যে থাকবে বলে এমনটাই জানালেন আবহাওয়া অফিসের

এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রংপুরে ডিসেম্বর মাস থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এখন তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকার কথা। সেখানে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। দিনের তাপমাত্রা ২৬ থাকার কথা সেখানে ২৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এই সময়টা সূর্যের আলো উপস্থিতি দিনের বেলায় বেশি সময় থাকতে সেই জন্য তাপমাত্রা একটু বেশি। ২৩, ২৪ তারিখের দিকে তাপমাত্রা আরো বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রংপুরের তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি জানান,শীতের প্রকোপের কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না। এ কারণে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। দিনে নগরীতে মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে পড়ে নগরী। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। এ কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, প্রচণ্ড শীতে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রংপুর শিশু বিভাগে দুদিনে কিছু শিশু ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। চলতি মৌসুমে পরিবারের অর্থ যোগাতে মধ্যবিত্ত পরিবারসহ হিমসিম খাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ। তাই শীতের কনকনে ঠান্ডা মোকাবেলা করেও কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষদের।


আরও খবর