Logo
শিরোনাম

বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

সাইফুদ্দিন সাইফুল : মানুষের কবিজীবনের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যে বাংলা কাব্যে একজন পথিকৃৎ। আর এজন্য আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথ প্রাণের কবি, প্রেমের কবি, মানবতার কবি, প্রকৃতির কবি, গানের কবি, নদীর কবি, পাখির কবিসর্বোপরি মানুষের ভালোবাসার প্রাণপুরুষ। কবি ও মানুষ রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যপ্রিয় প্রকৃতিপ্রিয়দের হৃদয়ের মণিকোঠায় বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। আমরা তার রচনার দিকে দৃষ্টি দিলে দেখতে পাই, সেখানে তিনি মানুষ, প্রকৃতি ও মানবতার জয়গান গেয়েছেন। মানুষকে বিভিন্নভাবে দেখেছেন এবং বিভিন্নভাবে মূল্যায়ন করেছেন। এক কথায়, মানুষকে উপেক্ষা করে তিনি কোনো সাহিত্য রচনা করেননি। তার বৈচিত্র্যময় রচনার প্রধান কেন্দ্রই হলো মানুষ।

এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথ বৈচিত্র্যময় রচনার মাধ্যমে মানুষের পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। মূলত তিনি সাহিত্যচর্চা করেননি, করেছেন মনে-প্রাণে সাহিত্য সাধনা। সাধারণ মানুষকে করেছেন লেখার প্রধান বিষয়। রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ পাঠ করলে সাধারণ মানুষের কথায় আমাদের সামনে দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর তাই এ সুন্দর পৃথিবীতে যত দিন থাকবে সূযর্, চন্দ্র, তারা আর পাখি গাইবে গান, নদী বইবে ধারা, তত দিন রবীন্দ্রনাথ উজ্জ্বল আলো হয়ে সাহিত্য ও মানুষের মাঝে জ্ঞানের ছন্দের রূপ ও রসের গন্ধের আলো ছড়াবেন। সত্যি কথা কি! একজীবনে বিশাল রবীন্দ্রনাথকে পাঠ করা কঠিনতর। রবীন্দ্রনাথ তার বিপুল সৃষ্টিশীল রচনা সম্ভারের জন্যই এ অপরূপ সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে বাঁচার আকুল প্রার্থনা করেছেন। কবি তাই বলেছেন—‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,/মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।

কবিতা-গান তো মানুষের জীবনের কথা বলে, প্রেরণার শক্তি জোগায়, চেতনার উৎস হয়ে বিবেক ও বোধে নির্মল কাজ করে। প্রেম-ভালোবাসা, সাম্য-সম্প্রীতি, সৌজন্যবোধ, সৃষ্টিশীলতা ও মননশীলতা সব সময়ের জন্য সুন্দরের সহায়ক। আর তাই রবীন্দ্রনাথ গান-কবিতা সৃষ্টি করে মানুষের মনকে করেছেন সাহিত্যের প্রতি উৎসাহিত, বিবেককে করেছেন চেতনার বন্ধু, চিন্তাকে দিয়েছেন অদম্য প্রেরণা, দিয়েছেন অসীম শক্তি আর মানুষের অন্তরে দিয়েছেন অকৃৃত্তিম ভালোবাসা। আমরা জানি, কবি রবীন্দ্রনাথ কোনোভাবেই হতাশাবাদী নন। মানুষের মধ্যেই তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, আপনাকে সতত মানুষের একজন বন্ধু জ্ঞান করে মানুষের কথাই বারবার তার রচনার মধ্যে তুলে ধরার প্রয়াস করেছেন। তিনি সব রচনায় সব ক্ষেত্রে মানুষকে সমাজকে আশার আলো দেখিয়েছেন। আমাদের জীবনের সঙ্গে, চেতনার সঙ্গে, মননের সঙ্গে, ভাবে-ভাবনায়-আন্দোলনে ভাষার মধ্যে চেতনার জগতে দেশপ্রেমে সৃষ্টিশীলতার কর্মের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন, আছেন এবং আগামীতেও থাকবেন। অক্ষয় তার শিল্পসত্তা।

রবীন্দ্রনাথ এত বড় শিল্পী ও কবি হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে এসেছেন এবং তাদেরই একজনএই পরিচয় দিতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন। তিনি চারপাশের মানুষ, অসীম নীলাকাশ, পাখি, বৃক্ষ, নদী, ফুল, জল, প্রকৃতি মাটিকে এতটায় ভালোবেসেছিলেন যে, নিজেকে তাদের কাছ থেকে আলাদা ভাবতে পারেননি, তিনি এসবেরই একজন ভেবেছেন। আসলে যারা জীবনসমাজ, মানুষ ও মানুষের সুখণ্ডদুঃখণ্ডযাতনা-প্রেমণ্ডভালোবাসা ইত্যাদি নিয়ে ভাবেন, চিন্তা করেন- তারা সমাজের রাষ্ট্রের মানুষের আপনজন এবং অকৃতিম অভিভাবক। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠিক এমনই একজন মানুষ। সাহিত্য বিচারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন বলেই নিজেকে সব মানুষের একজন ভেবেছেন। তাই তো তিনি অকপটে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসে বলেছেন—‘মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক/আমি তোমাদেরই লোক,/আর কিছু নয়/এই হোক শেষ পরিচয়।

রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার লেখা সম্পর্কে বলেছেন—‘অতি অল্প বয়স থেকে স্বভাবতই আমার লেখার ধারা আমার জীবনের ধারার সঙ্গে সঙ্গেই অবিচ্ছিন্ন এগিয়ে চলেছে। চারদিকের অবস্থা ও আবহাওয়ার পরিবর্তনে এবং অভিজ্ঞতার নূতন আমদানি ও বৈচিত্র্যে রচনার পরিণতি নানা বাঁক নিয়েছে ও রূপ নিয়েছে। আর তাই রবীন্দ্রনাথের অমর কালজয়ী সৃষ্টি গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার নোবেল অর্জন করেছেন। বাংলা সাহিত্যে এ প্রথম বাঙালি কোনো কবি নোবেল পুরস্কার পেলেন।

বাঙালি জাতির জীবনে বড় অর্জনগুলোর মধ্যে একটা হলো রবীন্দ্রনাথ। সেই রবীন্দ্রচর্চা থেকে যদি আমরা পিছিয়ে পড়ি, তাহলে জাতি হিসেবে অনেক পেছনে পড়ে যাব। যেটা আমাদের কাম্য হতে পারে না। আমাদের প্রাণের টানে, জীবনের টানে, চেতনার টানে, শিল্প ও সাহিত্যের টানে রবীন্দ্রনাথের কাছে বারবার ফিরে যেতে হবে। এটাকে অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। রবীন্দ্রনাথকে দেবতার(!) চোখে নয়, মানুষ হিসেবেই দেখতে হবে। যেহেতু তিনি তার কাব্যে-গানে, ভাবে-ভাবনায়-চেতনায় এ মানুষকেই যথাযথ মূল্যায়িত করেছেন। মানুষ হয়ে মানুষের প্রভু হতে পারে না, দুর্বল মানুষ সবলের দাস হওয়া যাবে না। যুগ যুগ ধরে প্রভাবশালীরা ধর্মের দোহায় দিয়ে সমাজপতি সেজে ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে সমাজে সাধারণ দুর্বল মানুষের প্রতি যে ব্যবহার, লাঞ্ছনা, অবহেলা ও নিপীড়ন করেছে বা করছে, তা কবিকে বড়ই আহত করেছে এবং কবিসত্তাকে বিদ্রোহী করে তুলেছে। কবি বলেছেন—‘যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু,/নিভাইছে তব আলো/তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছো,/তুমি কি বেসেছো ভালো।

বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য আর রবীন্দ্রনাথ একই সূত্রে গাঁথা। একটাকে উপেক্ষা করে অন্যটার পরিপূর্ণতার রূপ প্রকাশ পায় না, বলা যায় অপূর্ণ থেকে যায়। অমর সাহিত্যকর্মের জন্যই তিনি আমাদের কাছে, মানুষের কাছে, সব পাঠকের কাছে, চিন্তাশীল ভাবুকের কাছে আপন মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আছেন। জয়তু বাংলা, জয়তু বাংলা সাহিত্য, জয়তু আমাদের কবি, বাংলার কবি, বাংলাভাষার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


আরও খবর

নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয় যেসব অভ্যাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী হতে পারে আপনার কিছু কাজ। আপনি হয়তো জানতেও পারেন না, আপনার প্রতিদিনের কিছু কাজ কীভাবে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই সেসব কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস একবার দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। এর হাত ধরে আসে নানা ধরনের রোগ। তখন সেসব সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস হলো মেটাবলিক ডিজর্ডার। শরীরের নিয়মে গন্ডগোল হলেই বাসা বাঁধে এই রোগ। তাই এই সমস্যাকে বলা হয় মেটাবলিক ডিজর্ডার। মেটাবলিজম সিস্টেম আমাদের খাবার হজম ও অন্যান্য প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এর দিকে বিশেষ যত্নশীল হওয়া জরুরি।

আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন অনিয়মিত হলে এই মেটাবলিজমে গন্ডগোল দেখা দেয়।‌ এটি আসলে একটি ঘড়ির মতো কাজ করে। মেটাবলিজমে গন্ডগোল দেখা দিলে সেই ঘড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কী রয়েছে এই খারাপ অভ্যাসের তালিকায়? দেখে নিন-

ডায়াবেটিস বৃদ্ধির জন্য যেসব কাজ বা অভ্যাস দায়ী তার মধ্যে প্রথমেই রাত জেগে থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাত জেগে কাজ করা বা অবসর উপভোগ করা আসলে শরীরের পক্ষে কাজ করে না। আমাদের মধ্যে অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে রাত জেগে কাজ করার বা মুভি দেখার। এই অভ্যাস ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারে। সেইসঙ্গে রয়েছে অনিয়মিত খাবার খাওয়া। একেকদিন একেক সময়ে খাবার খেলে তা খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে ব্যাহত হয় মেটাবলিজম প্রক্রিয়া। সেখান থেকে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে।

আরেকটি অভ্যাস হলো অসময়ে খাবার খাওয়া। যখন যা মন চায় খেতে শুরু করলে তা একটা সময় আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। অসময়ে ভাজাপোড়া খাবার, জাঙ্কফুড খেলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। যে কারণে অল্প বয়স থেকেই এই রোগের লক্ষণও দেখা দিতে থাকে। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।


আরও খবর



মনোনয়ন কিনলেন ১৭ আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন দুই উপজেলার ১৭ জন নেতা। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এসব প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

এ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েছেন প্রয়াত সংসদ-সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী, গোরুদাশপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহমদ আলী, সদস্য মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ আলী, রাজশাহী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এস এম রফিকুল পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রতন কোমার সাহা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম, সদস্য কে এম জাকির হোসেন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এস এম আসাদ-উজ জামান, সহ-সভাপতি একে এম শাহজাহান কবির, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, জেলা বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, উপ-কমিটির সাবেক সদস্য সুব্রত কোমার কুন্ডু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মো আতিকুর রহমান, গুরুদাশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল কাদের।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে আসন শূন্য হওয়ায় এখানে উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নওগাঁয় ডিবি'র অভিযানে হেরোইন উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের হেরোইন উদ্ধার সহ আটক একজন, পলাতক একজন।

মামলা ও স্থানিয় সুত্রে জানাগেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩ টায় নওগাঁ গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই  আমরিন রাশাদ এর নের্তৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস অভিযানিক টিম নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১০ গ্রাম হেরোইন সহ এক জনকে হাতেনাতে আটক করেন। এসময় ডিবি পুলিশ কে দেখতে পেয়ে একজন ঘটনাস্থলে ৭ গ্রাম হেরোইন ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত হেরোইন এর মূল্য আনুমানিক মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। 

হাতেনাতে আটককৃত মাদক কারবারি হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বান্দ কুড়মইল গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে আরমান আলী (২৬) ও পলাতক মাদক কারবারি হলেন, একই গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন এর ছেলে স্বপন (২৯)। এঘটনায় আটককৃত ও পলাতক দু'জন এর বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।


আরও খবর



মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মাউশির সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জলাতঙ্ক বিষয়ে সতর্ক করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। নির্দেশনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর আলোচনা সভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, সিডিসি অপারেশনাল প্ল্যানের জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি, এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ।

পৃথিবীতে প্রতি বছরে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়ালের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়ে থাকে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। মরণব্যাধি জলাতঙ্ক রোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধ ও নির্মূলের লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়- জলাতঙ্কের অবসান, সবে মিলে সমাধান।

নির্দেশনায় ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কিত তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নিখোঁজের ৫ মাস পর কলেজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার' স্বামী-স্ত্রীকে আটক

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

টিউবওয়েল বসানোর সময় মাটির নিচ থেকে ৫ মাস পূর্বে নিখোঁজ হওয়া এক কলেজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে র‍্যাব। 

জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার চাঞ্চল্যকর এ কলেজ ছাত্র হত্যাকান্ডের পর হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী রেজ্জাকুল ও তার স্ত্রী সাবিনা কে র‍্যাব-৫ সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের একটি চৌকস অভিযানিক দল  র‍্যাব-১২ এর সহযোগীতায় গত মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর বগুড়াতে অভিযানে চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেন।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব-৫ সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়, "নিখোজ হওয়ার প্রায় ৫ মাস পর বাড়ির আঙ্গিনায় টিউবওয়েল বসানোর সময় মাটির নিচ থেকে কলেজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়" জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী মোঃ রেজ্জাকুল আলী (৪৩), পিতা-মোঃ মোজাম্মেল আলী,সাং-গোপীনাথপুর,থানা-শিবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া ও তার স্ত্রী মোছাঃ সাবিনা খাতুন (৩৮),স্বামী-মোঃ রেজ্জাকুল আলী

থানা-শিবগঞ্জ,জেলা-বগুড়াদ্বয়কে র‌্যাব-৫ এবং র‍্যাব-১২ এর যৌথ অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার সদর থানার পীরগাছা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। 

র‍্যাব আরো জানান, গত ২২ এপ্রিল ঈদের দিন সন্ধ্যায় জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের মাসুদ রানার কলেজ পড়ুয়া ছেলে নাঈম (২৩) নিজ বাড়ি থেকে বের হলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সন্ধান না পেয়ে ২৫ এপ্রিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাঈমের পরিবার।

পরবর্তীতে নিখোজের প্রায় ৫ মাস পর ৯ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের মোঃ শামসুল ইসলাম এর বাড়ির টিউবওয়েল বসানোর কাজ করার সময় মাটির নিচ থেকে  মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

এর পরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র‍্যাব-৫,সিপিসি -৩ আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে এবং একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। 

গত ১০ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন উক্ত বাড়ির ভাড়াটিয়া রেজ্জাকুল দম্পতিদের বিরুদ্ধে। 

তদন্তের এক পর্যায়ে হত্যা কান্ডের আসামী সনাক্ত করতে সক্ষম হলে আসামী এরই মধ্যে আত্মগোপনে চলে যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান বগুড়ায় নিশ্চিত করা যায় এবং পরবর্তীতে র‍্যাব -১২ বগুড়া ক্যাম্পের সহযোগিতায় আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।


আরও খবর