Logo
শিরোনাম

বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সাইফুদ্দিন সাইফুল : মানুষের কবিজীবনের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যে বাংলা কাব্যে একজন পথিকৃৎ। আর এজন্য আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথ প্রাণের কবি, প্রেমের কবি, মানবতার কবি, প্রকৃতির কবি, গানের কবি, নদীর কবি, পাখির কবিসর্বোপরি মানুষের ভালোবাসার প্রাণপুরুষ। কবি ও মানুষ রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যপ্রিয় প্রকৃতিপ্রিয়দের হৃদয়ের মণিকোঠায় বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। আমরা তার রচনার দিকে দৃষ্টি দিলে দেখতে পাই, সেখানে তিনি মানুষ, প্রকৃতি ও মানবতার জয়গান গেয়েছেন। মানুষকে বিভিন্নভাবে দেখেছেন এবং বিভিন্নভাবে মূল্যায়ন করেছেন। এক কথায়, মানুষকে উপেক্ষা করে তিনি কোনো সাহিত্য রচনা করেননি। তার বৈচিত্র্যময় রচনার প্রধান কেন্দ্রই হলো মানুষ।

এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথ বৈচিত্র্যময় রচনার মাধ্যমে মানুষের পাশাপাশি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। মূলত তিনি সাহিত্যচর্চা করেননি, করেছেন মনে-প্রাণে সাহিত্য সাধনা। সাধারণ মানুষকে করেছেন লেখার প্রধান বিষয়। রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ পাঠ করলে সাধারণ মানুষের কথায় আমাদের সামনে দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর তাই এ সুন্দর পৃথিবীতে যত দিন থাকবে সূযর্, চন্দ্র, তারা আর পাখি গাইবে গান, নদী বইবে ধারা, তত দিন রবীন্দ্রনাথ উজ্জ্বল আলো হয়ে সাহিত্য ও মানুষের মাঝে জ্ঞানের ছন্দের রূপ ও রসের গন্ধের আলো ছড়াবেন। সত্যি কথা কি! একজীবনে বিশাল রবীন্দ্রনাথকে পাঠ করা কঠিনতর। রবীন্দ্রনাথ তার বিপুল সৃষ্টিশীল রচনা সম্ভারের জন্যই এ অপরূপ সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে বাঁচার আকুল প্রার্থনা করেছেন। কবি তাই বলেছেন—‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,/মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।

কবিতা-গান তো মানুষের জীবনের কথা বলে, প্রেরণার শক্তি জোগায়, চেতনার উৎস হয়ে বিবেক ও বোধে নির্মল কাজ করে। প্রেম-ভালোবাসা, সাম্য-সম্প্রীতি, সৌজন্যবোধ, সৃষ্টিশীলতা ও মননশীলতা সব সময়ের জন্য সুন্দরের সহায়ক। আর তাই রবীন্দ্রনাথ গান-কবিতা সৃষ্টি করে মানুষের মনকে করেছেন সাহিত্যের প্রতি উৎসাহিত, বিবেককে করেছেন চেতনার বন্ধু, চিন্তাকে দিয়েছেন অদম্য প্রেরণা, দিয়েছেন অসীম শক্তি আর মানুষের অন্তরে দিয়েছেন অকৃৃত্তিম ভালোবাসা। আমরা জানি, কবি রবীন্দ্রনাথ কোনোভাবেই হতাশাবাদী নন। মানুষের মধ্যেই তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, আপনাকে সতত মানুষের একজন বন্ধু জ্ঞান করে মানুষের কথাই বারবার তার রচনার মধ্যে তুলে ধরার প্রয়াস করেছেন। তিনি সব রচনায় সব ক্ষেত্রে মানুষকে সমাজকে আশার আলো দেখিয়েছেন। আমাদের জীবনের সঙ্গে, চেতনার সঙ্গে, মননের সঙ্গে, ভাবে-ভাবনায়-আন্দোলনে ভাষার মধ্যে চেতনার জগতে দেশপ্রেমে সৃষ্টিশীলতার কর্মের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন, আছেন এবং আগামীতেও থাকবেন। অক্ষয় তার শিল্পসত্তা।

রবীন্দ্রনাথ এত বড় শিল্পী ও কবি হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে এসেছেন এবং তাদেরই একজনএই পরিচয় দিতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন। তিনি চারপাশের মানুষ, অসীম নীলাকাশ, পাখি, বৃক্ষ, নদী, ফুল, জল, প্রকৃতি মাটিকে এতটায় ভালোবেসেছিলেন যে, নিজেকে তাদের কাছ থেকে আলাদা ভাবতে পারেননি, তিনি এসবেরই একজন ভেবেছেন। আসলে যারা জীবনসমাজ, মানুষ ও মানুষের সুখণ্ডদুঃখণ্ডযাতনা-প্রেমণ্ডভালোবাসা ইত্যাদি নিয়ে ভাবেন, চিন্তা করেন- তারা সমাজের রাষ্ট্রের মানুষের আপনজন এবং অকৃতিম অভিভাবক। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠিক এমনই একজন মানুষ। সাহিত্য বিচারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন বলেই নিজেকে সব মানুষের একজন ভেবেছেন। তাই তো তিনি অকপটে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসে বলেছেন—‘মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক/আমি তোমাদেরই লোক,/আর কিছু নয়/এই হোক শেষ পরিচয়।

রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার লেখা সম্পর্কে বলেছেন—‘অতি অল্প বয়স থেকে স্বভাবতই আমার লেখার ধারা আমার জীবনের ধারার সঙ্গে সঙ্গেই অবিচ্ছিন্ন এগিয়ে চলেছে। চারদিকের অবস্থা ও আবহাওয়ার পরিবর্তনে এবং অভিজ্ঞতার নূতন আমদানি ও বৈচিত্র্যে রচনার পরিণতি নানা বাঁক নিয়েছে ও রূপ নিয়েছে। আর তাই রবীন্দ্রনাথের অমর কালজয়ী সৃষ্টি গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার নোবেল অর্জন করেছেন। বাংলা সাহিত্যে এ প্রথম বাঙালি কোনো কবি নোবেল পুরস্কার পেলেন।

বাঙালি জাতির জীবনে বড় অর্জনগুলোর মধ্যে একটা হলো রবীন্দ্রনাথ। সেই রবীন্দ্রচর্চা থেকে যদি আমরা পিছিয়ে পড়ি, তাহলে জাতি হিসেবে অনেক পেছনে পড়ে যাব। যেটা আমাদের কাম্য হতে পারে না। আমাদের প্রাণের টানে, জীবনের টানে, চেতনার টানে, শিল্প ও সাহিত্যের টানে রবীন্দ্রনাথের কাছে বারবার ফিরে যেতে হবে। এটাকে অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। রবীন্দ্রনাথকে দেবতার(!) চোখে নয়, মানুষ হিসেবেই দেখতে হবে। যেহেতু তিনি তার কাব্যে-গানে, ভাবে-ভাবনায়-চেতনায় এ মানুষকেই যথাযথ মূল্যায়িত করেছেন। মানুষ হয়ে মানুষের প্রভু হতে পারে না, দুর্বল মানুষ সবলের দাস হওয়া যাবে না। যুগ যুগ ধরে প্রভাবশালীরা ধর্মের দোহায় দিয়ে সমাজপতি সেজে ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে সমাজে সাধারণ দুর্বল মানুষের প্রতি যে ব্যবহার, লাঞ্ছনা, অবহেলা ও নিপীড়ন করেছে বা করছে, তা কবিকে বড়ই আহত করেছে এবং কবিসত্তাকে বিদ্রোহী করে তুলেছে। কবি বলেছেন—‘যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু,/নিভাইছে তব আলো/তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছো,/তুমি কি বেসেছো ভালো।

বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য আর রবীন্দ্রনাথ একই সূত্রে গাঁথা। একটাকে উপেক্ষা করে অন্যটার পরিপূর্ণতার রূপ প্রকাশ পায় না, বলা যায় অপূর্ণ থেকে যায়। অমর সাহিত্যকর্মের জন্যই তিনি আমাদের কাছে, মানুষের কাছে, সব পাঠকের কাছে, চিন্তাশীল ভাবুকের কাছে আপন মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আছেন। জয়তু বাংলা, জয়তু বাংলা সাহিত্য, জয়তু আমাদের কবি, বাংলার কবি, বাংলাভাষার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


আরও খবর

মিডিয়ায় ৩০ বছর...

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আসলে জীবনটা কী? অনেকটা সময় নিয়ে ভাবলাম

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের একটি বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বালুর ঢিবিটি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তৈরি করেছিল। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

আনাদোলুর খবর অনুযায়ী, বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তৈরি একটি বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করেছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ইসরায়েলের বুলডোজিং অভিযানের কারণে গাজা সিটি ও উত্তরের বেশ কয়েকটি এলাকায় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা বালুর ঢিবির নিচে ফিলিস্তিনিদের কবর দিয়েছিল তারা। উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ায় ৩৭টি এবং গাজা শহরের শাতি শরণার্থী শিবিরে ২৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক কবর এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। কারণ ইসরায়েলি অভিযানের কারণে ফিলিস্তিনিরা সে সময় মৃতদের রাস্তায়, স্কোয়ার ও পাবলিক পার্কে কবর দিতে বাধ্য হয়েছিল। সিভিল ডিফেন্স টিম এবং মেডিকেল সদস্য সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ধ্বংসস্তূপ এবং বালুর ঢিবির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের একদফা ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকারি তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন । এবার সাত দফা থেকে সরে এসে একদফা দাবিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় তিতুমীর কলেজের সামনে শনিবার রাত আটটার দিকে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন কলেজটির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আজ থেকে আমরা আর সাত দফা চাই না। এখন থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির একদফা দাবিতে অনশন ও বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছে, আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করছি। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আমাদের সাত দফা দাবি থেকে একদফা দাবি ঘোষণা করছি। সেটা হলো- মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কলেজে এসে আমাদের বলবেন, আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হলো। তাহলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাবো।’

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে আজ শনিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাখালী থেকে গুলশান ১-এ যাওয়ার বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের এক পর্যায়ে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালী রেলগেট ক্রসিং ও আমতলী প্রদক্ষিণ করে আবার কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে যান। পরে ক্যাম্পাসের সামনে থেকে গুলশান ১ নম্বরের দিকে যান। সেখানে থেকে আবার ক্যাম্পাসের সামনে ফিরে এসে সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখেন।


আরও খবর



মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাবেন কি পাবেন না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

 সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মহার্ঘ ভাতার বিষয় থেকে সরকার সরে আসছে কি না— এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিলো? কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আসলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব, দেব কি দেব না। তারপর ঘোষণা দেব।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা গেছে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা তো এখনো ঘোষণা দেইনি। আমিতো এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।

সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের খসড়া প্রস্তাবে ব্যয় কিছুটা কমাতে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে ভাতার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশম গ্রেডে ১০ শতাংশ দেওয়া হলে পাঁচ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকার প্রয়োজন ছিল। আর ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ব্যয় আরেকটু বেড়ে দাঁড়াত– প্রায় ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ এ পরিমাণ টাকার সংস্থান করে সংশোধিত বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাষ্ট্র পুনর্গঠনে পিছিয়ে গেলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে পিছিয়ে গেলে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা যদি তর্কে লিপ্ত থাকি তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, গত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। অস্ত্র দিয়ে কখনও ডামি নির্বাচন, কখনও ভোটারহীন নির্বাচন আমরা দেখেছি। উন্নয়নের নামে লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কোনো রকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ও বিচার ব্যবস্থাকে আবার পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামোর এ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যাবে তত দ্রুত আমরা উন্নত করতে পারব।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শামিম প্রমুখ।


আরও খবর



এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সাত হাজার অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলে রেখেছিলেন, দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে এসেই তিনি অবৈধ অভিবাসী তাড়ানো শুরু করবেন। আদতে তিনি করছেনও তাই।

গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৭ হাজার ২৬০ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমসবিষয়ক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

এদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৩ জনকে কারাগারে রাখা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিজ নিজ দেশ কিংবা কিউবার গুয়ান্তানামো কারাগারে পাঠানো হবে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইসিই।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি, ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের শিকাগো এবং ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এই নথিবিহীন অভিবাসীদের।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতা, বন্দুক ও মাদকসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে শনিবারের এক্সবার্তায় জানিয়েছে আইসিই।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫