Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশের ব্যাটিং এবার মুখ থুবড়ে পড়ল

প্রকাশিত:সোমবার ২১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

ইয়াশফি রহমান : আগের ম্যাচে তিন বিভাগে উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে নামা বাংলাদেশের ব্যাটিং এবার মুখ থুবড়ে পড়ল। ধ্বংসস্ত‚পে দাঁড়িয়ে আফিফ হোসেন দারুণ একটি ইনিংস খেললেন বটে, তবে তা যথেষ্ট হলো না। মাঝারি পুঁজি নিয়ে বোলাররা ন্যুনতম লড়াইও করতে পারলেন না। অনায়াস জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা। গতকাল জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের জয় ৭ উইকেটে।

দলটির বিপক্ষে পরপর দুই ওয়ানডেতে তিনশ ছাড়ানো পুঁজি গড়া বাংলাদেশ এবার থমকে যায় দুইশর আগেই, ৯ উইকেটে ১৯৪ রান। শুরু আর শেষের দারুণ বোলিংয়ে ৩৯ রানে কাগিসো রাবাদার প্রাপ্তি ৫ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অসুস্থতার কারণে প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারা কুইন্টন ডি কক ফিরে খেলেন ৪১ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস। সঙ্গে কাইল ভেরেইনার অপরাজিত ফিফটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৭৬ বল বাকি থাকতে।

জোহানেসবার্গের বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের কঠিন এক পরীক্ষাই নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশেষ করে ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা। রাবাদা ও তার সহকারীদের শর্ট বলের কোনো উত্তর যেন ছিল না বাংলাদেশের কাছে। সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, ইয়াসির আলীর পর আফিফ ও মিরাজের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে তো বলতে গেলে একা হাতেই গুঁড়িয়ে দিলেন রাবাদা। লিটন শুরুটা ইতিবাচক করেছিলেন, তবে বাড়তি বাউন্সে ভড়কে গেছেন তিনিও।

শুরুটা অবশ্য হয়েছিল লুঙ্গি এনগিডির বলে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ভড়কে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। ওয়ান্ডারার্সের অসম বাউন্সের উইকেটে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই সাকিব ও লিটনকে ফিরিয়েছেন রাবাদা, ১২তম ওভারে ইয়াসির আলীও তার শিকার। এদের সবাই ক্যাচ দিয়েছেন। মুশফিকুর রহিমকে টিকতে দেননি ওয়েইন পারনেল, তিনি অবশ্য হয়েছেন এলবিডবø। ২০১৭ সালের পর পারনেলের এটি প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট।

সেই পারনেল চোট পেয়ে উঠে গিয়েছিলেন ২.৫ ওভার করেই। তার অসমাপ্ত ওভার সম্পন্ন করতে এসে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা করেছেন আরও ৬ ওভার, শেষ পর্যন্ত আফিফের কঠিন একটা ফিরতি ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পেয়েছেন তিনিও। দক্ষিণ আফ্রিকা এ দিন ফিল্ডিংয়ে কাটিয়েছে মিশ্র দিন। ৪৯তম ওভারে রাসি ফন ডার ডুসেনকেও বোলিংয়ে এনেছেন বাভুমা, ফন ডার ডুসেন পেয়েছেন উইকেটও। সেটি অবশ্য আফিফ-মিরাজ ফেরার পর। ১৩তম ওভারে ক্রিজে এসেছিলেন আফিফ, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটিতে ওঠে ৬০ রান। আফিফকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, কিন্তু এ ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাব্রেইজ শামসির ফাঁদে পড়ে লেগ সিøপে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।

লড়াইয়ের ভারটা তাই আবার গিয়ে পড়েছে আফিফ-মিরাজের ওপর। আফিফ শুরু থেকেই ইতিবাচক ছিলেন, মুখোমুখি তৃতীয় ও পঞ্চম বলেই রাবাদাকে চার মারেন। এর মধ্যে পরেরটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল, আফিফ সেটিতে চার দিয়েই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তার মানসিকতার। দুই স্পিনার কেশব মহারাজ ও শামসির ওপর সুযোগ পেলেই চড়াও হয়েছেন এ বাঁহাতি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ও দেশের বাইরে প্রথম অর্ধশতকটি পূর্ণ করেন ৭৯ বলে। এরপর মহারাজকে দারুণ কাভার ড্রাইভে মারা চারে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ইনিংস আরও বড় করার। তবে রাবাদার শেষ ওভারটা ঝুঁকি না নিয়ে খেলার কৌশলটা মিস করে গেছেন, শর্ট বলে চড়াও হতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন ১০৭ বলে ৭২ রান করার পর।

ইতিবাচক ছিলেন মিরাজও, ৪৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে মহারাজকে সøগ সুইপে মেরেছেন দুইটি ছয়। তবে আফিফের মতো তিনিও ফিরেছেন রাবাদার বলেই, এবার মিড-অফে দারুণ ক্যাচ নিয়ে ‘দায়মোচন’ করেছেন ইয়ানেমান ম্যালান। এর আগে ২১ রানে মিরাজের সহজ ক্যাচ ফেলেছিলেন ম্যালান। মিরাজ ফেরার পর বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে আর ১৩ রান। তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান অল-আউট হতে দেননি, শেষদিকে প্রাপ্তি সেটিই।

গত শুক্রবার সেঞ্চুরিয়নে ৩৮ রানে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে যেকোনো সংস্করণে প্রথম জয়ের অনির্বচনীয় স্বাদ পায় বাংলাদেশ। সেই মাঠেই আগামীকাল আরও একবার সিরিজ জয়ের হাতছানিতে শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে তামিম ইকবালের দল।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে ১৯তম বিভাগ হিসেবে যন্ত্রকৌশল বিভাগটির যাত্রা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী মাভাবিপ্রবিতে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে।

৭ বছর মেয়াদি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্টে বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব সম্প্রসারন, আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কাজ করে চলেছে। মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধীনে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অর্থায়ন করছে।

বিভাগটিতে দক্ষিণ কোরিয়ান অর্থায়নে ল্যাব উন্নয়নে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি যন্ত্রপাতি, ল্যাব সরঞ্জাম ও পুস্তক ক্রয় করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে দৃশ্যমান।

বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যন্ত্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার সুপারভাইজার ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো। ২০১৬ সালে অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ ও তৎকালীন উপাচার্যের সাথে অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ও অটোমেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলার প্রস্তাবনা প্রদান করেন। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বরে মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। পরবর্তীতে প্রিলিমিনারি টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (পিট্যাপ) ক্রমান্বয়ে ইউজিসি, শিক্ষামন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনামন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দেন।

মাভাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের জন্য একটি বড় অর্জন।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রির একটি সম্মিলিত যোগাযোগ নেটওয়ার্কের কনসেপ্ট বাস্তবায়নে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ঈদের আগে চাঙা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। রপ্তানি আয়ও কিছুটা বেড়েছে। ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছে। গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের শেষ দিকে (২৭ মার্চ) রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৮১ কোটি ডলারে ও বিপিএম-৬ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন)। চলতি মাসের ৮ এপ্রিল গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ডলারে ও বিপিএম-৬ হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার ও বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া রপ্তানি প্রবাহও বেড়েছে এসব কারণেই মূলত কিছুটা রিজার্ভ বেড়েছে।

বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সময়ে বাণিজ্যিক কিছু ব্যাংক থেকে এক বিলিয়ন ডলারের মতো কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক, যার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের মতো।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। তার আগের অর্থবছরে ( ২০২১-২২) ডলার বিক্রি করেছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।

 

 


আরও খবর



তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

২২শে এপ্রিল, ২০২৪ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে "আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সিম্পোজিয়াম"এ বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন, ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। সিম্পোজিয়ামের বিষয় ছিলো " ইসলামি আইন ও বিধি বিধানে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণের গুরুত্ব"। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী তার বক্তব্যে বলেন,"প্রিয় নবিজী (সা.) বলেছেন,'তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার সুন্নাহ্কে আঁকড়ে ধরো। আবার এও বলেছেন, তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বাইতকে (পরিবারকে) আঁকড়ে ধরে রাখো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।' এর অর্থ হলো, প্রিয় নবিজী (সা.) এর আহলে বাইত ও পবিত্র কুরআন হলো ইসলামি বিধান ও আইনের উৎস, যাদেরকে অনুসরণ করলে আমরা কখনো ভুল পথে যাবো না। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিধি-বিধান প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহ্ থেকে এসেছে। প্রিয় নবিজী (সা.) এর আদর্শের মাঝেই পবিত্র কুরআনের ব্যাখা রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে বলেছেন আর প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে নামাজ আদায় করতে হয়, তা শিখিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে রোজা পালন করতে বলেছেন ; প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে রোজা রাখতে হবে তা শিখিয়েছেন। এভাবে প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনকে কীভাবে সাঁজাবো, কীভাবে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করবো, কীভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করবো, কী পদ্ধতিতে একজন অপরাধী শাস্তি পাবে, কীভাবে ইসলামি অর্থনীতি পরিচালিত হবে, কীভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পেয়েছি। পবিত্র কুরআন এর অনেক আয়াতের ব্যাখা আমরা খুঁজে পেয়েছি প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাঝে। তাই প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ ব্যতীত আমরা ইসলামি আইন বা বিধানের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি না।

পাশাপাশি ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে, অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান জানান। 

সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এরদোয়ান তুরাক এমরিস ক্যাটালকা। সভাপতিত্ব করেন গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আহমেদ আর্কতুর্ক। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, গাতালজা ইফতা কাউন্সিলের মুফতি আহমেদ মেহমেত আলি ওগলু। 

বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি সাধক, সুফি স্কলার, বুদ্ধিজীবী, তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ভারতে শুরু হয়ে গেল ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার ৪৭ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

প্রথম দফায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১০২ লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফার ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ।

৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। একইসঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ।

এছাড়াও ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ ভোটারের সংখ্যা ২১ কোটি। সবমিলিয়ে নির্বাচনকে উৎসবে পরিণত করতে প্রস্তুত দেশটির সাধারণ জনগণ। ১০ লাখ ৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইভিএমের মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভারতের জনগণ।

ভারতজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যশানাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে; তেমনই রয়েছে মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতোর শক্তিশালী প্রদেশিক দলও।

এদিকে, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশ সিআইএসএফসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। শুধু তাই নয়, আকাশপথে এবং ড্রোনের সাহায্যেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর



বাইডেনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিল জাপান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানায় বলে তাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয় বলেও দাবি করেন বাইডেন।

মূলত চীন, রাশিয়ার সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক আখ্যা দেন জো বাইডেন। জেনোফোবিক অর্থ হলো বিদেশি বা অভিবাসীদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব। তবে বাইডেনের এই মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক ও ভুল বলে পাল্টা জবাব দিয়েছে জাপান।

এক বিবৃতিতে টোকিও জানিয়েছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক, কারণ মন্তব্যটি জাপানের নীতি যথাযথভাবে না জেনেই করা হয়েছে।

জাপান সরকার এরই মধ্যে হোয়াইট হাউজে এই বার্তা পাঠিয়েছে ও নীতি-অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন নীতি একটি বড় ইস্যু। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিকে যেখানে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসনপন্থি।

বাইডেনের সমালোচনামূলক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র-জাপান জোটকে অলঙ্ঘনীয় বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন।


আরও খবর