Logo
শিরোনাম

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ সবজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

ভরা মৌসুমে বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকার পরেও লাগামহীন রয়েছে সবজির দাম। ষাটের নিচে তেমন কোনো সবজি নেই বললেই চলে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে আলুর দাম। প্রায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমেছে রসুনের দাম।

শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ পিস, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টমেটো ৭০-৮০, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৭০-১০০ টাকা, শশা ৫০-৬০, মূলা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে কিছুটা কমে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও শাকের মধ্যে সরিষা শাক আঁটি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, পালং ১৫-২০ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০, লাল শাক ১৫ টাকা, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। ৪০ টাকায় নেমেছে আলুর কেজি। এছাড়াও ভ্যান গাড়িতে কিছু ছোট সাইজের আলু ৩৫ টাকাতেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। ভরা মৌসুমেও কমছে না পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো বাজারে ১১০-১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে রসুনের দাম। প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন ২২০-২৪০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। নতুন দেশি রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি। এছাড়াও আদা ২২০-২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। আবারও ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। সোনালি ৩০০-৩৩০ টাকা। আবারও গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকায় দাম উঠেছে।

মাছের বাজারে সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২২০-২৩০ ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। মাছ যত বড় তার দাম ততো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

 


আরও খবর



শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় চীন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় পড়েছে চীন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন ভয়াবহ বন্যা প্রতি একশ বছরে মাত্র একবারই দেখা যায়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পূর্ব সতর্কতা জারি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গুয়াংদং প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে চুচিয়াং নদীর জলপথগুলোর পানি উপচে পড়ছে। গুয়াংদং চীনের উৎপাদন শিল্পের সবচেয়ে বড় অঞ্চল। এই প্রদেশে আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে কাল সোমবার পর্যন্ত ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু শহরের কাছাকাছি চলে এসেছে বন্যার পানি। এতে নিচু ভবনগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়া জলে নিমজ্জ একটি প্যাগোডাও দেখা যাচ্ছে।

প্রাদেশিক জলবিদ্যা ব্যুরোর বরাতে সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে বেঈ রিভার নদীর আশপাশের তিনটি অঞ্চলে একশ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ৫০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

চুচিয়াং নদীর ব-দ্বীপ অববাহিকা চীনের সবচেয়ে জনবহুল একটি অঞ্চল। এখানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তবে ওই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর শোনা যায়নি। এছাড়া সাধারণ মানুষকে গণহারে সরিয়ে নেওয়ার কোনো প্রক্রিয়াও চোখে পড়েনি।

গুয়াংদংয়ের পাশের প্রদেশ জিয়াংজি এবং ফুজিয়ানেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে।

চীনে প্রায়ই এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা, খরা এবং তীব্র দাবদাহ দেখা যাচ্ছে।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর



বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

------ আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ:

ঈদ আনন্দ উৎসব। পূর্ণ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় অভিষিক্ত মুমিন আত্মার আবেগ বিধুর এক বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর। এ মধুর মুহূর্তটিতে একজন মুমিনের হৃদয় যেমন সিয়ামের লব্ধ পবিত্রতায় আলোক উদ্ভাসিত হয়ে উঠে, অপরদিকে সদ্য সমাপ্ত মাহে রমযানের বিদায়ে হয়ে উঠে দুঃখ ভারাক্রান্ত। একটি মাসের সিয়াম সাধনায় রহমত, মাগফিরাত লাভ করার মতো যোগ্য সাধনা হলো কিনা, যতটুকু হয়েছে তাও আবার গ্রহণ যোগ্য হয়েছে কিনা, ইবাদতের এক মৌসুমী মাহে রমযান আবার ভাগ্যে জুটবে কিনা, ইত্যকার ভাবনায় মুমিন অন্তর হয়ে উঠে বিষাদময়। এই আর বিষাদকাতর অবস্থাতেই অশ্রু বিগলিত হয়ে জায়নামায সিক্ত করে প্রতিটি মুমিন মাহে রমযানকে জানায়‘আল বিদা’।

এর পরই আসে হিসাব নিকাশ মিলানোর পালা। “আস-সাওমু লি, ওয়া আনা উজযা বিহী” ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এক মাস সিয়াম সাধনার বদলা-মুজুরী লওয়ার মোবারক আনন্দঘন ঈদের মূহুর্ত। ধনী-গরীব নির্বিশেষে ঈদ জামাতে এক হয়ে—দুহাত উঠিয়ে প্রভুর পক্ষ থেকে আত্মপরিতৃপ্তির সাথে পুরষ্কার গ্রহণ করে সকলে। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম, সংযম, তিলাওয়াত, যাকাত, সাদকা – প্রভৃতি পেশ করার প্রতিদানে গ্রহণ করে নেয় রাব্বুল আলামীনের অপার সন্তুষ্টি। আর এরই নাম হলো ঈদ, এই হলো মুমিনের প্রকৃত আনন্দ উৎসব। এটাই হলো আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করার শরীয়ত সম্মত প্রক্রিয়া।

বস্তুতঃ এই শরীয়ত সম্মত আর্দশ জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করার শপথ নবায়ন করার বার্ষিক অনুষ্ঠান হলো ঈদ উৎসব। তাই যুগপত এই ঈদের প্রভাতে প্রতিটি মুমিনের মুখেই ফুটে উঠে তৃপ্তির হাসি।

পক্ষান্তরে ভোগবাদী সভ্যতার অনুকরণে অর্ধ রমযান অতিক্রান্ত হতে না হতেই শুরু হয় ঈদের সাজ-সরঞ্জাম-জুতো, জামা, শাড়ী অলংকার ও প্রসাধনের বাজারে প্রচণ্ড ভীড়। নূতন নূতন ছায়াছবি মুক্তির সমারোহ, ভিডিও কর্ণারগুলোর অমার্জিত প্রচার, আর খাওয়া-দাওয়ার রকমারী উদ্যোগ।

অথচ সিয়াম সাধনায় শরীক না হয়ে এসবের মধ্যে সকল শক্তি নিয়োগ করে মার্কেটে মার্কেটে ছুটে বেড়ানো বা ইত্যাকার ভোগসর্বস্ব যে সমস্ত ইহ হল্লা হট্টগোল ঈদ উৎসব নামে অভিহিত করা হয়, এমন ঈদের সংগে কোন মুমিনেরই পরিচিত হওয়ার অবকাশ নেই। এ গুলো ইহুদী খৃষ্টান বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যর্থ অনুকরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।

এক কথায়—যারা রোযা রাখেনি, যারা আল্লাহর বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, কুরআনকে যারা সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মনে করেনা এবং যে রোজাদারের, যাকাত দানে অনীহা, পরশীর হক অস্বীকার করে, এ সমস্ত লোকদের কারো ঈদের জামাতে শরীক হওয়ার অধিকার নেই। ঈদের জামাতে তারা অনভিপ্রেত। তারা অবাঞ্ছিত। মুমিনের কাতারে তারা অন্যায় অনুপ্রবেশ কারী। এদের জৌলুষ, এদের বিত্তবৈভবের নগ্ন প্রদর্শনী, উদ্ধত অহংকার, এদের পশুসুলভ লালসার জিহ্বা এড়িয়ে চলা প্রতিটি ঈমানদারের জন্য একান্ত অপরিহার্য।


আরও খবর



বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম মরুভূমির প্রভাব বাংলাদেশে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ। বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে। ফলে একদিকে যেমন তাপমাত্রা কমছে না। অন্যদিকে বৃষ্টির প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আবহাওয়ার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও স্থায়ী স্বস্তি পাওয়ার কোনো আভাস নেই।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে চরম ভাবাপন্ন ওয়েদার বিরাজ করছে সিস্টেমে। সেটা আরও ১০ দিন থাকবে। আগামী সাতদিনে বজ্রমেঘ সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতা কম। মে মাসের তিন তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও কম।

ওই মাসের প্রথম সপ্তাহে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে পুরো মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস নেই। এ সময় ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের আভাস রয়েছে। টানা বা স্থায়ী বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাদের গাণিতিক মডেলগুলো অনুযায়ী, তাপমাত্রা এত বাড়বে না। ৪০ কিংবা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকবে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত এটা বলা যায়। এরপর আসলে সঠিকভাবে বলা যায় না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশের মধ্যাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে। তবে ঢাকায় তেমন হবে না। এখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাতাসে বেড়েছে। এতে তাপমাত্রা অতিতীব্র না হলেও গরম অনুভূতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য স্বস্তিদায়ক বৃষ্টি মে মাসে পাওয়া যাবে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলছেন, মে মাস হচ্ছে উষ্ণতম মাস। আমাদের দেশে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা মে মাসেই। মে মাসে ৩ থেকে ৪টি তাপপ্রবাহ থাকে। এক্ষেত্রে টানা বৃষ্টি বা ভারী বৃষ্টিপাতেরে কোনো সম্ভাবনা নেই।

অনেকেই বলছেন তাপমাত্রা বেশি বা গড় তাপমাত্রা বেশি এই কথাটা মোটেই ঠিক নয়। গড় তাপমাত্রাও বাড়েনি। এপ্রিলের ২৩ তারিখ পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাজেই বাড়ল কোথায়। তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি আছে। চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে। তাপমাত্রার গড় হিসেব করা হয় ৩০ বছরে। কাজেই ৩০ বছরের গড় তো বাড়েনি। এছাড়া গড় কখনও সঠিক পরিসংখ্যান দেয়ও না।

২০১৪ সালের পর থেকে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি

বর্তমানে এপ্রিল মে মাসের তাপপ্রবাহ সাতদিন, ১৫ দিন, ২৩ দিন এমনভাবে স্থায়ী হয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর থেকে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের সময়কাল বা স্থায়িত্ব বেড়ে গেছে। এজন্য তাপমাত্রাটা অসহনীয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। প্যানিক তৈরি হচ্ছে। অনেক গণমাধ্যমও এভাবে প্রতিবেদন তৈরি করছে। ফলে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তাপমাত্রা আগের তুলনায় অস্বাভাবিক নয়।

বৃষ্টিপাত না হাওয়ার তিন কারণ

বাতাসের জলীয়বাষ্পের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকার কারণে বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টি নামছে না। জলীয় বাষ্প আসে সাগর থেকে, সেটা হচ্ছে না। এর পেছনে আবার কারণ হচ্ছে এল নিনোর প্রভাব। পেরুর কাছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো সক্রিয় থাকার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প কম আসছে বলেছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

তাপমাত্রা বেশি থাকলে বৃষ্টি হয় না। কারণ বাতাসে যে জলীয় বাষ্প থাকে তা বেশি তাপমাত্রার কারণে ঘনীভূত হতে পারে না। ফলে বজ্রমেঘ তৈরি হয় না। এছাড়া বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আবহাওয়ার একটা বিরাগ আধিপত্য রয়েছে দেশের বাতাসে। সেখানে অতিতীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। আর সেখানকার তাপমাত্রা বাড়ার কারণ হলো ভারতের রাজস্থানের থর মরুভূমি। পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম মরুভূমি এটা। থর মরুভূমির তপ্ত বাতাসই বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের আসছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, দেশে বৃষ্টিপাত হয় পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে। সেটা ভূমধ্যসাগরে তৈরি হয়ে উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত হয়ে দেশের সিস্টেমে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে ওইসব দেশের তাপমাত্রা কমলে বাংলাদেশের তাপমাত্রাও কমে। এপ্রিলে ভূমধ্যসাগরে আগের মতো পশ্চিমা লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে না, যেটা এ সময়ে বাংলাদেশের দিকে আসে।

অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরে সৃষ্টি হওয়া পশ্চিমা লঘুচাপ যেটা সৃষ্টি হচ্ছে সেটা পূর্বদিক হয়ে চীনের দিকে সরে গেছে। সেখানে কিন্তু অতিবৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পাকিস্তান থেকে থাইল্যান্ড পর্যন্ত সব দেশেই বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে এবং তাপমাত্রা বেড়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।

তিনি বলেন, বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকের বাতাস উত্তর দিকে মাঝে মধ্যে সরে গেলে এমন হয়। এদিকে তখন পশ্চিমা লঘুচাপ আসতে দেরি হয়। এর পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবকেও দায়ী করছেন তিনি।

এপ্রিলের শুরু থেকেই চলছে তাপপ্রবাহ। তিন তিনটি হিট অ্যালার্টও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এখনও একটি হিট অ্যালার্ট চলছে। অতিতীব্র তাপপ্রবাহ কেটে গেলেও দেশের অধিকাংশ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করছে সরকার। জনজীবন যখন কাহিল তখন খুব একটা সুখবর নেই দেশবাসীর জন্য।

চলতি মৌসুমে গত ২০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এখনও যা বিদ্যমান আছে।

২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই রেকর্ড এখনও ভাঙেনি।


আরও খবর



হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে স্মার্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, আগামী দিনে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অনুসারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যে পোর্টাল রয়েছে, সেখানে আমরা নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছি।

বুধবার সকালে ঢাকা হজ অফিসের সম্মেলন কক্ষে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই যাতে সহী-শুদ্ধভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন, সেজন্যই মূলত আজকের এই প্রশিক্ষণ। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য অত্যন্ত দক্ষ প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। আপনারা যদি প্রশিক্ষণের প্রতি মনযোগী হতে পারেন, তাহলে আপনারা হজের নিয়মকানুন, হুকুম-আহকাম, ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতাসবকিছু আয়ত্তে আনতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই প্রবণতা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হজ পালন করা।


আরও খবর



এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে প্রকাশিত হবে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, আগামী ১২ মে রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল এবং পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে আগামী ৯-১১ মের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) একটি চিঠি এসেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানান, তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন যে ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।

রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়ে থাকে।

এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২০ মার্চ শেষ হয়।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়েছে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়।


আরও খবর