Logo
শিরোনাম

বায়তুল্লাহ- এর প্রেম মানুষকে বদলে দেয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী :


বায়তুল্লাহ। আল্লাহর ঘর। এর প্রেম মানুষকে বদলে দেয়।  কেননা ঘর তো আল্লাহর।  তার ঘরের সাথে প্রেম মানে তার সাথেই প্রেম।  আর আল্লাহর সাথে ভালবাসা মানেই দুনিয়া - আখেরাতের কামিয়াবী।    এভাবেই একজন মানুষ  বদলে যায়। বদলে যায় তার দেহমন- হৃদয়। ভালবাসা সর্বোচ্চ শিখরে পৌছে যায়। ঈমান- ইসলামের শিখরে অবস্হান করতে শেখে।


মক্কায় অবস্হিত বায়তুল্লাহ।  আল্লাহতায়ালা এ ঘর কে সর্বোপ্রথম বানিয়েছেন। যেটাকে করেছেন বরকতময়।  সেই বরকতময় ঘরের সাথে লটকে আছে লক্ষ- কোটি মুমিন- মুসলমানের হৃদয়। সেই ঘরের প্রতি সকল মুমিন- মুত্তাকীদের অপরিসীম ভালবাসা। প্রতিনিয়ত সে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে অজস্র ঈমানদার মানুষ।  আর এটা এমন প্রেম এমন ভালবাসা, যে একবার এ সুধা পান করেছে তার পিপাসা আরো বেড়ে যায়। বারবার পান করতে চায় সেই আল্লাহ প্রেমের শরাব।


বহু হজ ওমরা পালনকারীদের ব্যাপারে আমার জানা আছে, এ জায়গাতে বারবার আসছেন, বারবার এ ঘর তাওয়াফ করছেন, তারপরেও তাদের যেন পিপাসা মেটেনা। বরং আরো বেশী ইশকের আগুন জ্বলে ওঠে। শত ব্যস্ততার মধ্যে বায়তুল্লাহ - তে এসে পড়ে। লুটে পড়ে মহান রবের দরবারে। ফরিয়াদ করতে থাকে তাঁর কাছে। দুনিয়ার সকল কর্মযজ্ঞের অবসান ঘটিয়ে মহান আল্লাহর প্রেমে মাতুয়ারা হয়ে ওঠে। 


বায়তুল্লাহ এমন এক ঘর যার উপর প্রতিদিন ১২০ চি রহমত নাজিল হয়। তাওয়াফকারীদের উপর ৬০ টি রহমত, অন্যান্য ইবাদতকারীদের উপর ৪০ টি রহমত এবং যারা  ঘরের প্রেমে পাগল হয়ে তাকিয়ে থাকে তাদের প্রতিও ২০ টি রহমত নাজিল হয়। মোটকথা খোদাপ্রেমিকগণ মোটেও বঞ্চিত নন এখানে। খালি হাতে কেউ ফেরে না এ জায়গাতে। বরং  এই বায়তুল্লাহপ্রেমিকগণ তৃপ্ত হৃদয় এবং মহান রবের অনুকম্পা নিয়েই বাড়ি ফেরে।  


তাই তো বদলে যায় বায়তুল্লাহর মুসাফিরগণ। পূর্বের অভিশপ্ত জীবনের ইতিটেনে নতুন স্বপ্নের বাসা বুনতে থাকে।।  নতুন জীবন পা রেখে ঈমানী তাকাতে উজ্জীবিত হতে থাকে। দিনে দিনে বদলে যায় তার জীবন। বায়তুল্লাহ প্রেমে পাগল হয়ে আবারো ছুটে চলে মক্কার পানে। তেমনি এক বায়তুল্লাহ প্রেমিকের দেখা হল।   বারবার তিনি ছুটে যান সেখানে। এভাবে নিজের জীবনকে  রাঙিয়ে দিচ্ছেন।


আল্লাহতায়ালা সকল মুমিন বান্দাকে তাঁর ঘরের প্রেমে পাগল  হয়ে সেখানে হাজিরি দেওয়ার তাওফিক দান করেন। আমিন।


লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় জীবন যুদ্ধে জয়ী আদিবাসী নারী জগবতি টপ্পো

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

“আদিবাসী সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই, তারা নিজেরাই সমান মর্যাদা ও অধিকার ভোগ করেন” এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। আদিবাসী সমাজ ব্যবস্থাকে সম-অধিকারের সমাজ ব্যবস্থা হিসেবেও চালিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করা হয়। আদিবাসীরা যেন সমাজে এক ছোটজাতের জনগোষ্ঠির মানুষ। সেই ধারণাকে বদলে দিতে প্রতিনিয়তই নিজের গোষ্ঠির মানুষদের সম-অধিকার নিশ্চিত করতে ও সমাজের মূলধারায় যুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন আদিবাসী নেত্রী শ্রীমতি জগবতি রানী টপ্পো।

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ২নং মথুরাপুর ইউনিয়ন এর লক্ষীকুল গ্রামের মৃত জয়নাত সরদার টপ্পো ও তরুবালা রানী টিপ্পোর মেয়ে আদিবাসী গোষ্ঠির সংগ্রামী নারী হচ্ছেন শ্রীমতি জগবতি রানী টপ্পো। সাত বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে জগবতী রানী টপ্পো ৪র্থ। অভারের সংসারে বেড়ে ওঠা জগবতি গরীব বাবার ঘরে খেয়ে না খেয়ে জীবন জাপন করেছেন। 

সে সময় গ্রামে-গঞ্জে নারী শিক্ষার হার ছিল খুবই কম। তিনি ১৯৯৯ ইং সালে এসএসসি পাশ করেন। দারিদ্রতার কারনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ২০০০সালে একই গ্রামের শ্রী জতীন্দ্রনাথ তির্কীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। স্বামীর অনুপ্রেরনায় সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হন তিনি। 

জগবতি রানী টপ্পো বলেন, বিয়ের পর স্বামীর অনু প্রেরনায় তিনি ২০০৫ সালে বিএ পাশ করেন। পাশাপাশি সমাজসেবা মূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে স্বপ্ন দেখেন ইউনিয়ন পরিষদের “মহিলা মেম্বার” হওয়ার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে শত বাধা আর বিপত্তিকে উপেক্ষা করে তিনি ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে বিজয়ী হতে পারেন না। পরে ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারো সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন তিনি  কিন্ত আবারো শত ষড়যন্ত্রের কাছে তাকে হার মানতে হয়। 

এরপর ২০১৯ সালে জগবতি রানী টপ্পো অপরাজিতা নামক এক প্রকল্পের সাথে যুক্ত হোন। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহন করে তার জ্ঞান ও দক্ষতার প্রসার ঘটান। তিনি জনগনের মাঝে সম্পৃক্ততা বাড়াতে সমাজ সেবা মূলক কাজের সাথে লেগেই থাকতেন সব সময়। বাল্য বিবাহ বন্ধ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, চিকিৎসার জন্য আদিবাসী নারী-শিশুকে উপজেলা থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে দেয়া, আদিবাসী প্রতিবন্ধী শিশুদের ভাতায় নিবন্ধিত করতে সাহায্য করাসহ নানা ধরণের সমাজ সেবামূলক কাজে নিজেকে সব সময় নিযুক্ত রাখেন তিনি। এই সব কাজের মাধ্যমে তিনি নিজের গোষ্ঠিসহ এলাকার সকল মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। 

পুনরায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার হওয়ার সপ্ন নিয়ে নতুন উদ্যোমে ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে “তালগাছ” প্রতিক  নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। নির্বাচনের আগে তাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থার শিকার করা হয়, পোষ্টার ছিড়ে ফেলা, প্রচার মাইক ভেঙ্গে ফেলা, ভোটের দিন কেন্দ্রে সমর্থকদের মারপিট করা, জোর করে ভোট দেওয়া ইত্যাদি কর্মকান্ড চালানো হয়। এক পর্যায়ে ৩টি কেন্দ্রে ভোট গণনা বন্ধ রাখা হয়। পরে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহায়তায় ভোট গণনার পরে ২২ হাজার ২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হোন জগবতী রানী টপ্পো। 

লড়াকু জগবতি রানী টপ্পো সব সময় নিজের মোটরবাইকের মতো ছুটে চলেন। একজন প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া আদিবাসি জনগোষ্ঠির নারী তার অদম্য ইচ্ছে শক্তি দিয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী ঠিকানা গড়তে দিন-রাত গ্রামে গ্রামে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সমতলের একজন আদিবাসী লড়াকু জগবতি রানী প্রতিনিধিত্ব করছেন। বিশেষ করে সকল স্থানে আদিবাসী নারীর দুরবস্থাকে আড়াল করা  হয়। জগবতি রানী সেই চিরায়ত ধারাকে ভেঙ্গে সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। পুরুষ তান্ত্রিকতাকে পরাজিত করে সামাজিক অনুশাসন, ধর্ম, অর্থ ও পেশীশক্তিকে মোকাবেলা করে নিজের গোষ্ঠির মানুষসহ দেশের পিছিয়ে পড়া সকল মানুষদের সমাজের মূলধারায় যুক্ত করে তাদের সমঅধিকার নিশ্চিত করা পর্যন্ত জগবতি রানী টপ্পো তার জীবনের শেষ দিনও এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা বলেন, জগবতি রানী টপ্পো সত্যিই সকলের জন্য এক দৃষ্টান্তর। এমন ব্যক্তিদের জন্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ার দুয়ার সব সময় খোলা আছে। এছাড়া জগবতি রানী টপ্পোর পাশে জেলা প্রশাসন রয়েছে। তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার কথাও জানান জেলা প্রশাসক। 


আরও খবর



ডলার বুকিংয়ে পরিবর্তন আনল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নানা সমালোচনার মুখে দুই দিনের ব্যবধানে ডলার অগ্রিম বুকিংয়ের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে অগ্রিম ডলার বুকিং দিতে পারবে শুধুমাত্র আমদানিকারকরা।

বুকিংয়ের সর্বোচ্চ সময় হবে তিন মাস। প্রথম ঘোষণায় এ সময় ছিল সর্বোচ্চ এক বছর।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ সংশোধিত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ। এর আগে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডলারের অগ্রিম বুকিং সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়, আগাম ডলার নেওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী এক বছরের জন্য সর্বোচ্চ দাম কি হবে তা বেঁধে দেওয়া হয়। নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে ডলারের দাম এসএমএআরটি; বা স্মার্ট হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বেশি নিতে পারবে ব্যাংক। নতুন নিয়মে রেট ঠিক রাখা হলেও সময় কমিয়ে তিন মাস নির্ধারণ করে দেওয়া হয় এবং ডলার বুকিং শুধুমাত্র আমদানিকারকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়।

আগাম ডলার বুকিংয়ের নির্দেশনায় জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ডলার ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা হয়। তারা বলছেন, আগামীতে ডলার সংকট আরও বাড়বে। এজন্য আগে থেকে ডলার বুকিং দিতে বলা হচ্ছে। অনেকে দাবি করছেন, এক বছর পর ডলারের রেট ১২৩ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নওগাঁয় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় চালক ও আরোহী ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনা। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২ জনই নিহত হয়েছেন। 

নিহত দু' জন হলেন, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার হাজিরহাট (ভবানীপুর) এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার আরিয়ান খান ওরফে রকি (২৪) ও বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমহনী এলাকার আবু মুসার ছেলে শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম (১৯)।

নিহত রবিউল দুপচাঁচিয়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে এসএসসি পাশ করেছে এবং নিহত আরিয়ান খান ওরফে রকি একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দু' জনের মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল ১০ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিজয়পুর মোড় নামক স্থানে।

নিহত রবিউল এর স্বজনরা জানান, আরিয়ান আমাদের প্রতিবেশী মেয়ে জামাই। তারা দু' জন রাজশাহীতে ব্যাক্তিগত কাজ শেষে একই মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি চার্জার ব্যাটারী চালিত ভ্যানের সাথে ধাক্কা লেগে সড়কের উপর সিটকে পড়ে গুরুতর জখম হোন। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এর টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে, হাসপাতালে নেওয়ার পথে 

আরিয়ান খান ওরফে রকি ও হাসপাতালে নেওয়ার পরই রবিউল ইসলাম দু' জনের মৃত্যু হয়। 

মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় দু' জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার পক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



নওগাঁয় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পাওনা টাকা দিতে গিয়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাওনাদারের স্ত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে এক যুবক। গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ডাবলু প্রামাণিক (২৭) নামের অভিযুক্ত যুবক কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।

গৃহবধূ কে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে সম্পতি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার নয়া-হরিশপুর গ্রামে।

ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত যুবক হলেন, রাণীনগর উপজেলার নয়া-হরিশপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন প্রাং এর ছেলে ডাবলু প্রামাণিক। গ্রেফতারকৃত যুবক কে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার নয়া-হরিশপুর গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫শ' টাকা ধার নেয় একই গ্রামের ডাবলু প্রামাণিক। ধারের সেই টাকা পাওনাদের কে দেওয়ার জন্য যান পাওনাদারের বাড়িতে। সে সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত যুবক ডাবলু প্রামাণিক পাওনাদারের স্ত্রী গৃহবধূ কে জাপটে ধরেন এবং হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ-কাতর স্থানে হাত দেয়া সহ জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এঘটনায় রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশ অভিযুক্ত যুবক কে গ্রেফতার করেন।

এব্যাপারে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে সেই মামলায় ডাবলু প্রামাণিক কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।


আরও খবর



যান চলাচলে প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

পদ্মা সেতুর পর দেশের আরেক স্বপ্নের প্রকল্প বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলের কাজ শেষ এখন যান চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এটি আগামী ২৮ অক্টোবর এই টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এই টানেল চালুর পর কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে যাবে, যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে অনন্য অবদান রাখবে। চীনের সাংহাইয়ের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন' মডেলের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল যুক্ত করেছে দুই সিটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম আর বন্দর নগরীকে। টানেলকে ঘিরে পর্যটন, শিল্পায়নসহ অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা, প্রবৃদ্ধি অর্জেনে খুলবে নতুন দিগন্ত। টানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে যানবাহন এপাড়-ওপাড় করতে সময় লাগবে মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিট। এতে বাঁচবে সময়। ঘুচবে যাতায়াতের সময়ক্ষেপণ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক তিন দুই কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক চার পাঁচ কিলোমিটার। বর্তমানে কর্ণফুলী টানেলের সংশোধিত নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। নতুন করে ৭০০ কোটি টাকা বেড়ে টানেলের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রকল্পের প্রথম ডিপিপি প্রণয়নকালে খরচ ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। উদ্বোধন না হলেও চানেল চালুর প্রস্তুতি হিসেবে কর্ণফুলী টানেলের ভেতরে নির্মাণ সরঞ্জাম বোঝাই ট্রাক, পিকআপ কিংবা প্রকৌশলীদের বহনকারী মাইক্রোবাস চলাচল করছে।

 চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে স্বপ্নের এ টানেল গিয়ে মিলেছে দক্ষিণের আনোয়ারা প্রান্তে। এখন চলছে টানেলের ভেতরে ফায়ার ফাইটিং, লাইটিং ও কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার কাজ। পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে প্রকল্পের গাড়িও। নদীর তলদেশে হওয়ায় যেকোনও সময় পানি জমতে পারে আশঙ্কায় টানেলের মধ্যে বসানো হচ্ছে ৫২টি সেচ পাম্প। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

বঙ্গবন্ধু টানেলে কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামের ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের পাশাপাশি বন্দরসহ দুই কূলের শিল্প কারখানা আর অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাবে। বাড়বে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, টানেল চালু হলে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এক ধাপ এগিয়ে যাবে। টানেলকে ঘিরে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীর এবং পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ইতোমধ্যে আনোয়ারা উপজেলা প্রান্তে সংযোগ সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প-কারখানা। টানেলকে ঘিরে পর্যটন, শিল্পায়নসহ অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। টানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদী পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিট। সময় বেঁচে যাওয়ায় অর্থনীতি গতি পাবে।

টানেল নির্মাণের আগে ২০১৩ সালে করা সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, টানেল চালুর পর এর ভেতর দিয়ে বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারবে। সে হিসাবে দিনে চলতে পারবে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি। ২০২৫ সাল নাগাদ টানেল দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। যার মধ্যে অর্ধেক থাকবে পণ্যবাহী যানবাহন। ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিদিন গড়ে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সাল নাগাদ ১ লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল অর্থনীতি, যোগাযোগ এবং পর্যটন খাতে ব্যাপক অবদান রাখবে। বিশেষ করে এটি হবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এগিয়ে নেওয়ার রোডম্যাপ। টানেলের আশপাশের এলাকায় নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন, বাণিজ্যিক ব্যাংকের নতুন শাখা খোলাসহ ব্যাপক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং কক্সবাজারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে টানেল।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্ বলেন, টানেল চট্টগ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনীতিতে দারুণ অবদান রাখবে। টানেলের সড়ক একসময় এশিয়ান হাইওয়ের অংশ হয়ে দাঁড়াবে। এমন মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। কিছুদিন পর সমুদ্রের পাড়ে বে-টার্মিনাল চালু হবে। সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মযজ্ঞ হবে। মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরোদমে চালু হলে লাখ লাখ মানুষ সেখানে থাকবে, যার প্রভাব নগরীতে পড়বে। টানেলের অপর প্রান্তে আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড, চীনা শিল্পাঞ্চল, মহেশখালীর মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ চট্টগ্রামে চলমান মেগা প্রকল্পগুলো চালু হলে বাড়বে জনসমাগম। সেইসঙ্গে বাড়বে যানবাহনের চাপ। এসব কারণে নগরীকে নতুনভাবে সাজানোর কাজ চলছে।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩