Logo
শিরোনাম

বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।-বলেন প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যেসব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মাত্র নয় মাসের তিনি আমাদের একটি সংবিধান দেন। সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা কী? সেটা কিন্তু স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে যেমন সরকারি প্রতিষ্ঠার থাকবে, সমবায় হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকবে। অর্থনীতিকে বহুমুখী করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের জীবনমান উন্নত করার এটাই ছিল জাতির পিতা লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, আন্দোলনের নামে বাস ট্রাকে আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি।

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হলেও ছাড় নেই বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।


আরও খবর



সাগরের লঘুচাপ রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বুধবারের (২১ মে) মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।

এই আবহাওয়াবিদ জানান, বুধবারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি সৃষ্টি হলে সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। এরপর তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এখনই গতিপথ বলা যাচ্ছে না।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য সাগরের পানির তাপমাত্রা যে পর্যায়ে থাকতে হয়, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতি তেমনই রয়েছে।

এদিকে রবিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

এই সময়ে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

এছাড়া আজ ভোর পাঁচটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে ১২ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকাসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্ন ও রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে আয়, সম্পদ ও পারিবারিক ব্যয়ে পরিবর্তন করার অভিযোগে লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন ও কর অঞ্চল-৪ এর উপ-কর কমিশনার খন্দকার মো. হাসানুল ইসলামসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 


মামলার অন্য আসামি হলেন, কর অঞ্চল-৮ এর উচ্চমান সহকারী হিরেশ লাল বর্মণ। 


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান । দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেসমিন প্রধান ২০২১ সালের শেষের দিকে কোনও এক সময় কর সার্কেল-১৬৫, কর অঞ্চল-০৮, এর অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে তড়িঘড়ি করে দাখিল করেন। 


এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চোখে ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কর সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমাজন হয়েছে। যার প্রমাণ মিলেছে দুদকের জব্দ করা নথিপত্রেও।



জেসমিন প্রধানের ২০১৬-২০১৭ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত মোট পাঁচ করবর্ষের আয়কর রিটার্নগুলো রিটার্ন রেজিস্টারে যথাক্রমে ৮৬৮, ৬৫৩, ৭৮০, ১১০১ এবং ৫৬ নং ক্রমিকে এন্ট্রি হয়। 


রিটার্ন রেজিস্টারের রেকর্ড হতে দেখা যায়, (১) মোট আয়ের কলামে ঘষামাজা, (২) ৭৪ ধারার কর কলামে ঘষামাজা, (৩) ব্যবসায় মূলধন বিনিয়োগ কলামে ঘষামাজা, (৪) হাতে নগদ ও ব্যাংক স্থিতি কলামে ঘষামাজা, (৫) রিটার্ন রেজিস্টারে নিট সম্পদ কলামে ভিন্ন হাতের লেখায় বিভিন্ন সংখ্যা বসানো, (৬) রিটার্ন রেজিস্টারে পারিবারিক ব্যয়ের যে তথ্য লেখা রয়েছে, আয়কর রিটার্নে এর ভিন্নতা পাওয়া গেছে।


আয়কর নির্ধারণী আদেশপত্রে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর রিটার্ন দাখিলের তারিখেই করদাতাকে ওই মাসের ৩১ তারিখে শুনানির জন্য ৭৯ ও ৮৩(১) ধারায় নোটিশ জারি করা হয়েছিল। 


সার্কেল কর্মকর্তা খন্দকার মো. হাসানুল ইসলামের কাছে করদাতার পক্ষে আয়কর আইনজীবী মো. আদনান শুনানি গ্রহণ করেন।


 শুনানি শেষে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। 


নথি অনুসারে, ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সাধারণ ধারায় রিটার্ন দাখিল করলেও রিটার্নের সঙ্গে ৭৪ ধারায় প্রদেয় আয়কর ছিল নয় লাখ ৬৮ হাজার ১২৫ টাকা। যদিও ওইদিন কর দাখিল হয়নি, পরবর্তী সময়ে ১৪ ডিসেম্বর পে-অর্ডারে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের গুলশান শাখার মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। 


আয়কর নথিতে খন্দকার মো. হাসানুল ইসলাম অনুস্বাক্ষরিত ও ক্যানসেল লেখা চারটি চেক সংরক্ষিত জব্দ করা হয়েছে। যা বৈধতা নিয়ে সন্দেহ থেকে গেছে।


পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৬-২০১৭ করবর্ষের ৩০ নভেম্বর চালানের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষের ২৯ নভেম্বর পাঁচ হাজার টাকা, ২০২৮-২০১৯ করবর্ষের ২ ডিসেম্বর চেকের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধিত হয়েছে। 


কিন্তু ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইস্যুকৃত চেকের এক লাখ ৪৭ হাজার টাকা, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বরের তিন লাখ ৭৯ হাজার ৬৯ টাকার চেক, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর ইস্যু করা চেকের ছয় লাখ ৭৩ হাজার ২৬২ টাকা এবং ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি নয় লাখ ৬০ হাজার ৬২৩ টাকার চেক জমা হয়নি। 


ওই চারটি চেক সরকারি কোষাগারে জমা না হওয়ার কারণ ওটা ছিল পরবর্তী সময়ে দাখিল করা বলে দুদক মনে করছে।



করদাতার স্টক রেজিস্টার ও মাসিক কর নির্ধারণী রেজিস্টার পর্যালোচনায় দেখা যায়, করদাতার ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় চার লাখ ৫০ হাজার এবং ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় চার লাখ ৫০ হাজার টাকা মোট আয় লিপিবদ্ধ করা রয়েছে।



 কিন্তু আয়কর রিটার্নে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় আয় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৮২বিবি ধারায় আয় ২১ লাখ ৫০ হাজার, ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ করবর্ষে ওই একই আয় ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার এবং ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। 


অর্থাৎ করদাতার আয়কর রিটার্নের সঙ্গে স্টক রেজিস্টার এবং মাসিক কর নির্ধারণী রেজিস্টারের কোনও মিল পাওয়া যায়নি।


এ অবস্থায় জেসমিন প্রধান কর অঞ্চল-৮ এর কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে করে দাখিল করে সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন-পরিমার্জন করেছেন। 


ওই সার্কেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারা রিটার্ন রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে মোট আয়, মোট সম্পদ, নিট সম্পদ, পারিবারিক ব্যয় ইত্যাদির পরিবর্তন করার সঙ্গে আসামিদের সরাসরি জড়িত ছিলেন বা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে। 


যে কারণে মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক। আসামিদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।


 ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল। পরে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হন।


অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ প্রদানের অভিযোগে ২০২০ সালের জুন মাসে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন পাপুল। ওই মামলার বিচার শেষে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত। 


কুয়েতের রায়ের নথি হাতে পাওয়ার পর ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে জাতীয় সংসদ।


আরও খবর



বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে চাল আমদানি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে চাল আমদানির সময়সীমা। গত বুধবার পর্যন্ত চাল আমদানির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। শেষ সময়ে কোনো চাল আমদানি করেনি কোনো প্রতিষ্ঠান। এতে বরাদ্দ করা চাল আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। গত ২ বছরে মাত্র ২৮০ টন চাল আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

চাল রপ্তানিতে ভারত সরকারের শুল্ক করারোপ ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকটের কারণে অনুমতি থাকলেও এতদিন চাল আমদানি করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরের ২১ মার্চ ও ১৬ এপ্রিল দুই ধাপে দেশের ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ আমদানি ও বাজারে সরবরাহের শেষ সময় ছিল ১৫ মে।

বাণিজ্যসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর দেশের চালের চাহিদা রয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। গত বছরে উৎপাদন হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও মজুদ করতে চাল আমদানি করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি দেশে চালের দাম বাড়লে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে গত ১৩ মার্চ দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল রয়েছে ৪৯ হাজার ও আতপ চাল ৩৪ হাজার টন। পরবর্তী সময়ে ১৬ এপ্রিল আরো ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৯১ হাজার ও আতপ চাল ৩৩ হাজার টন। সরকার আমদানি ও বাজারে সরবরাহের শেষ সময় বেঁধে দিয়েছিল চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত। তবে চালের ওপর ভারত সরকারের নানা শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকট থাকায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যে শেষ হয়ে যায় আমদানির সময়সীমা। সময় শেষ হওয়ায় ও শুল্ক বৃদ্ধি বহাল থাকায় বরাদ্দ করা অবশিষ্ট চাল আমদানি নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।

সাধারণ ক্রেতা আবদুর রহিম জানান, নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এতে কষ্ট হয়ে যায়। তবে চাল আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম কমবে শুনতে পারছি। বেনাপোল বাজারের চাল বিক্রেতা সুশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, বর্তমানে বাজারে চালের দাম বাড়তি। খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৬ টাকা, মোটা চাল ৫০, কাজল লতা ৫৫ ও বাসমতি চাল ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি হলে আর নতুন ধানের চাল কৃষকের ঘরে উঠলে দাম কমবে বলে আশা করছি।

চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেনাপোলের নিপুণ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী লিপু হোসেন জানান, এবার তারা সরকারের কাছ থেকে ৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তবে চালের ওপর ভারত সরকারের নানা শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকট থাকায় এখন পর্যন্ত চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যেই আমদানির সময় শেষ হয়েছে। এতে তার অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।

চাল আমদানিকারক হাজি মুছা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আবদুস সামাদ জানান, চাল আমদানিতে ভারতে ২৫ ও বাংলাদেশে ১৫ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানি করে তেমন লাভ নেই। নতুন করে যদি সরকার আমদানির সময়সীমা বাড়ায়, তবে তারা আমদানির সুযোগ পাবেন। বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, নতুন করে চাল আমদানির অনুমতি পেলে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হবে।


আরও খবর



ডেঙ্গু; ভয়াবহ রূপ নিতে পারে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলছে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ঢাকার বাইরে এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল বছরের শুরু থেকেই সেই আশঙ্কাকে বাস্তবতায় রূপ দিয়ে দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তী আরও ২৩ বছরে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুলাই মাস পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক রোগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তথ্যও এর আগে পাওয়া যায়নি কোনো বছর ২০২২ সালে দেশে সর্বোচ্চ ২৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য জানানো হলেও চলতি বছরের শুধুমাত্র জুলাই মাসেই মারা গেছেন ২০৪ জন

দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যায়, আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসেই এর মাত্রা বাড়তে থাকে তবে ২০২৩ সালে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু

চলতি মৌসুমে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে জুনে পরবর্তীতে জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে ভয়ঙ্কর হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা কারণ জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি মানুষ জুলাইয়ে আক্রান্ত হয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই মাস ভয়ঙ্কর তবে এটা আরও ভয়াবহ রূপ নিবে আগস্ট মাসে এরপরে এখনো বাকি সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস এমন অবস্থায় মশা নিধন কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনা করা না গেলে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই

কীটতত্ত্ববিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক . কবিরুল বাশার বলেন, এবছর মে মাসে যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন কমিউনিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে জ্যামিতিক হারে এডিস মশা বেড়ে গেছে এখন জুলাই শেষ আগস্ট সেপ্টেম্বর আমাদের জন্য বেশ শঙ্কার এবার মৃত্যুতে এবং ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাংলাদেশি ইতিহাস ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু শুরু হয়েছে জানিয়ে কবিরুল বাশার বলেন, প্রতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবার লক্ষ্য করছি- সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এর পেছনে কারণ কী? আমরা যদি একটু পেছনের দিকে লক্ষ্য করি দেখবো, ফিল্ড লেভেলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে যত ডেঙ্গু হয়েছে, দেখবেন আগস্ট সেপ্টেম্বরে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুটি মাসের একটি মাসে ডেঙ্গু পিক ছিল ২০২১ সালে দেখেছি অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু ছিল এরপর এবার দেখলাম নভেম্বর, ডিসেম্বর পার হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু চলে আসছে জানুয়ারিতেও ৫০০ মতো ডেঙ্গু রোগী ছিল এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল না 

ঢাকা শহরেলাইট পলিউশনেরকারণে এডিস মশা এখন দিনে হোক বা রাতে সব সময় কামড়ায় জানিয়ে কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, লাইট পলিউশনের বিষয়টি আমরা তিন বছর ধরে গবেষণা করে প্রমাণ করেছি পলিউশন নিয়ে পৃথিবীর কোথাও কথা হয় কিনা জানি না লাইট পলিউশন কিন্তু একটা বিশাল বড় পলিউশন কারণে এডিস মশা তার আচরণে পরিবর্তন করেছে এই পরিবর্তনকে টার্গেট করে আমাদের এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে তিনি বলেন, মশা জন্মানোর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যারা মশার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন তারা টার্গেট করে মশার নিধন করতে হবে এডিস মশা যেখানে হয় সেখানে টার্গেট করে আমাদের তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে হয়তো আমরা পারছি না, কেন পারছি না, সেটা বের করতে হবে এতদিন আমরা মশার জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে চেপে ধরেছি কিন্তু এখন আমরা দেখছি সারা দেশে মশা ছড়িয়ে পড়েছে

বাংলাদেশের উপশহর, উপজেলাতে ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে কেউ জানে না কেন উপজেলাতে ডেঙ্গু হচ্ছে সে গবেষণাটা কে করবে, সে গবেষণার ফাইন্ডিং কে দেবে সেটি রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে এটা ভাবলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটাকে আরও জোরদার করবে বলে জানান কবিরুল বাশার তিনি বলেন, যখন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, তখন এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ে ভারী বর্ষণ হলে এডিস মশার ডেনসিটি কমবে এখন থেমে থেমে বৃষ্টিটাই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বেই হঠাৎ তাপদাহ বা অতিবৃষ্টি হচ্ছে। তাই সারা বছরই ডেঙ্গু থাকবে। তবে বর্ষার শুরু এবং শেষে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে। তাই জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর। আগস্ট মাসে আরও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে থাকবে এরপর ধীরে ধীরে কমবে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, সংক্রমণ আগস্টে শীর্ষে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে এবারের সংক্রমণকে ডেঙ্গুর দ্বিতীয় ঢেউ বলা যায় কারণ গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নভেম্বর-ডিসেম্বরের পর একটু কম ছিল চলতি বছর মার্চ থেকে বাড়তে শুরু করে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সে সময় আক্রান্ত ছিল ৬২ হাজারের বেশি এবং মারা যায় ২৮১ জন। তবে এবার সেটাও ছাড়িয়ে যাবে মনে হচ্ছে। আক্রান্ত মৃত্যুর যে হিসাব আসছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, অনেকের ঘরেই জ্বরের রোগী আছে, চিকিৎসা নিচ্ছে না। ঘরে থেকেই ভালো হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো তো রিপোর্টে আসে না

তবে এভাবে যদি বাড়তে থাকে অবস্থা আগামী এক থেকে দুই মাসে আরও খারাপের দিকে যাবে যত আক্রান্ত হবে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে ডেঙ্গু রোগীর জন্য রক্তের তেমন দরকার নেই জানিয়ে এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু হলে আবার অনেকে রক্ত দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায় তবে রক্ত দেয়ার দরকার নেই ডেঙ্গু মশার জন্য রক্ত তখনই লাগে যখন রোগীর রক্তপাত হয় সেখানে চিকিৎসক চাইলে রক্ত দিতে পারে কিন্তু ডেঙ্গু হলেই যে ব্লাড দিতে হবে এমনটা না ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্লাটিলেট প্রয়োজন হয় না যারা মারা যায় তারা প্লাটিলেট কমের জন্য মারা যায় না অনেকে মারা যায় প্লাজমা লিকেজের ফলে শরীর থেকে লিকুইড চলে যায় যেমন প্রেসার কমে যায়, প্রস্রাব হয় না, কিডনি ফেইলিউর, লিভার ফেইলিউর শকে চলে যায় আর রোগীরা এসব কারণে মারা যায় কারণে অযথা প্লাটিলেট নিয়ে চিন্তিত হবেন না বেশির ভাগ ডেঙ্গু রোগের প্লাটিলেট বা রক্ত লাগে না


আরও খবর



পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্ঘটনায়। রাত আড়াইটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিনজনের। এছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক, নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় এক এনজিও কর্মী ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। বিস্তারিত প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর, তার ছেলে জহির এবং আলমগীরের মামি রাহেলা বেগম। তাদের বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর: শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ শ্রমিক।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫), আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ের স্বামী আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিকআপে করে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজ করতে শ্রীপুর থেকে মাওনা যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পিকআপটি শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ভাংনাহাটি কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে একটি ড্রাম্প ট্রাক সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি উল্টে গেলে মিক্সার মেশিনের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত হন। আহত হন ১২ জন। তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এসআই মো. কুদ্দুস জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁ: শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় সঞ্জয় কুমার নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। তিনি এনজিও কর্মী। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা উপজেলায়।

নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম জানান, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিওর আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা একটি ইটভাঙার মেশিন অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হন আরও কয়েকজন।

আত্রাই থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), সেনাসদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষ্মীপুরের আমানিয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিন (৪৫) । এ ছাড়া আরও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার লক্ষ্মীপুর টু নোয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি লক্ষ্মীপুর থেকে বেগমগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সড়ক থেকে ১৫ ফিট নিচে ট্রাক ও সিএনজি খালে পড়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন নিহত হয়।

মাদারীপুর :মাদারীপুরের রাজৈরে বদরপাশা এলাকায় গাছ বোঝাই ট্রাক আর ইজিবাইকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন এঘটনায় আরো জন গুরুতর আহত হয়েছেন সকাল ৯টার দিকে কাঠায়িলা বিজ্রের পাশে দুর্ঘটনা ঘটে নিহতরা হলেন হোসেন মুন্সী এবং ধলু হাওলাদার । স্থানীয়রা জানান, নিহতরা ইজিবাইকে করে রাজৈর যাচ্ছিলেন এসময় উল্টোদিক থেকে আসা গাছ বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়


আরও খবর