Logo
শিরোনাম

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ঢাকাবাসীর ভাবনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মুহাম্মদ মাসুম খান :

বৈশ্বিক জলবায়ু সমস্যায়  পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক হারে দাবানল হইতেছে। আমরা  অস্বাভাবিক প্রচন্ড  তাপদাহে ভুগতেছি । ঠিক সেই মুহুর্তে ৫ জুন প্রতিবছরের ন্যায়  বিশ্ব পরিবেশ দিবস ফিরে এসেছে।  এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর দিবসটি অধিক গুরুত্বসহ পালন করা হইতেছে।

এক সময় ঢাকায় জালের মতো ছড়াইয়া ছিল আকঁবাঁকা খাল, বিল ও ঝিল।এই খালগুলি সংরক্ষন করিয়া যদি ঢাকা শহর সম্প্রসারন সম্ভব হইত তাহা হইলে পৃথিবীর অন্যতম দৃষ্ঠিনন্দন শহর হইত  ঢাকা। কিন্তু সেই সুযোগ আমরা হেলায় হারাইয়াছি। ঢাকা শহর খাল ও জলাধারশূন্য নাহলে এতো সহজে শহর উত্তপ্ত হইয়া  যেতো না। 

২০২০ সালে রিভার এন্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের ২০২০ জরিপ অনুসারে ঢাকা শহরে মোট খাল আছে ৭৩ টি যদিও ঢাকা জেলা প্রশাসনের জরিপে খাল আছে ৫৮ টি। উল্লেখিত খালের মধ্যে ৩৭ টিই দখল হইয়া আছে। 

সম্প্রিতি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন দখলকৃত খাল উদ্ধারে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। 

ঢাকা মহানগর হতো পৃথিবীর সবচেয়ে নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শহর যদি ঢাকার খালগুলি ধ্বংস না হতো।

গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ বর্গ কি:মি: আয়তনের জলাধার উধাও হয়ে গেছে। এই সময় ১০ বর্গ কি:মি; সবুজের মৃত্য হয়েছে। ১৯৯৫ সালে রাজধানীর জলাধার এবং জলাভূমি ছিল ৩০.২৫ বর্গ কি:মি:। ২০২৩ সালে সেটা মাত্র ৪.২৮ কিলোমিটারের এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে রাজধানীতে মাত্র ২দশমিক ৯১ শতাংশ জলাধার ও ৭ দশমিক ০৯ শতাংশ সবুজ রয়েছে। অথচ একটি আদর্শ শহরে ১২ শতাংশ জলাধার এবং ১৫ শতাংশ সবুজ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্স এবং নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।প্রতিবেদনে আরো বলা হয় গত ২৮ বছরে উন্মুক্ত স্থান,খেলার মাঠ,পতিত জমি সবই ব্যাপক হারে কমিয়াছে।


বর্তমানে ঢাকা শহর বসবাসের অনুপযোগী শহরগুলির অন্যতম এক নগর। এখনো যদি আমরা ঢাকা শহরে খাল,জলাধার,উন্মুক্ত স্থান,খেলার মাঠ, সবুজকে রক্ষা করতে সবাই সচেস্ট না হই তাহলে ঢাকা শহরে বাস করা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর, অস্বস্তিকর এবং বিপদজনক হয়ে যাবে। বিশেষকরে ঢাকা দক্ষিন এবং ঢাকা  উত্তরের সাথে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ড গুলিতে এখনো অনেক খাল,জলাধার,উন্মুক্ত সবুজ স্থান রয়েছে। সেগুলিকে  দ্রুত দখল এবং দূষনমুক্ত রাখতে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে নদী-খাল,জলাধার, খেলার মাঠ রক্ষায় জবাবদিহিতার আনতে হবে। বিরাজমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। মহল্লায় মহল্লায়,ওয়ার্ডে পরিবেশ রক্ষায় এক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারকে পরিবেশ রক্ষার আরো তৎপর হতে হবে।


মুহাম্মদ মাসুম খান,সাধারণ সম্পাদক 

নদী -খাল ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি 


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




নেপথ্যে পরকিয়া, নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০২ ডিসেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে কোহেলী আক্তার (৯) ও তার বাবা কোরবান আলী (৩২) দু' জনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সারে ৯ টারদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ছোট সন্তানকে সাথে নিয়ে স্ত্রী এক যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর কারনে অভিমানে বাবা কোরবান আলী তার মেয়ে কোহেলী আক্তারকে সাথে নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে ধারনা করছেন স্থানিয়রা। বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সোমবার বিকালে মর্গে প্রেরন করেছেন।

নিহত বাবা ও মেয়ে হলেন, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মেয়ে কোহেলী আক্তার রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কোরবান আলী একজন বাকপ্রতিবন্ধী মানুষ। সে কথা বলতে পারতো না এবং কানেও কম শুনতো। তার স্ত্রীর এক যুবকের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে এবং গত সোমবার পূর্বরাতে ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে সেই যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। শিশু সন্তান সহ স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় স্বামী কোরবান আলী

মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। আজ সকালে কোরবান আলী তার মেয়েকে নিয়ে রাণীনগর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হোন। সকাল সারে ৯ টারদিকে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চকের ব্রিজ এলাকায় পৌছালে সেখানে বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এক সাথে আত্মহত্যা করেছেন বলেই ধারনা করছেন স্থানিয়রা। স্থানীয়রা আরো জানান, রেল লাইনের উপর বাবা ও মেয়ের দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়া হয়। বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় আলোচিত সুমন হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামীকে আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পত্নীতলায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কম্পিউটার ব্যবসায়ী সুমন হোসাইন (২৩) হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামী বুলবুল (৩৫) কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার ২১ নভেম্বর দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান। এর আগে ভোরে ঢাকার গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত বুলবুল হলেন, সুমন হোসাইন হত্যা মামলার মূল আসামী সে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার গাহন গ্রামের আব্দুল করিম এর ছেলে। আর হত্যার শিকার যুবক সুমন হোসাইন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিন ও শাহিদা'র ছেলে। সুমন হোসাইন পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের সুমন ফটোস্ট্যাটের স্বত্বাধিকারী। 

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, গত ১৭ নভেম্বর রাত সারে ১০টায় নিজের ফেসবুকে আইডিতে লাইভে এসে সুমন দাবি করেন বুলবুল এর কাছ থেকে সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এই ঋণের টাকা দেওয়ার সময় বুলবুল তার কাছ থেকে স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্পও নেন। সেই টাকা বৃদ্ধি পেতে পেতে ১০ লাখ টাকা হয়ে যায়। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দন্দ চলছিল এবং বুলবুল সুমনকে চাপও দিচ্ছিলেন। সেই টাকাই সুমন রাতে মহাদেবপুর উপজেলা থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তার মাঝখানে বুলবুল তার কিছু লোক দিয়ে তাকে ধাওয়া করে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন বলে লাইভে বলেন। এরপর একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ কর্মকর্তা


গাজিউর রহমান আরো জানান, এ ঘটনার পর থেকে বুলবুল পালিয়ে বেড়ান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে বুলবুল এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন। তবে তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। তারপর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের সাথে কারা কারা জড়িত এর মূল কারণ বেরিয়ে আসবে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টারদিকে নিজের ফেসবুকে আইডিতে লাইভে এসে কথা বলেছিলেন সুমন হোসাইন। সেই ৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভ ভাইরাল হয়। জানা যায়, কিছুদিন আগে তিনি নজিপুর বাসস্ট্যান্ড মজসিদ মার্কেটের বুলবুল টেলিকমের স্বত্বাধিকারী বুলবুল হোসেনের কাছ থেকে সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এই ঋণের টাকা দেওয়ার সময় বুলবুল সুমন হোসাইন এর কাছ থেকে স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেকের পাতা নেন। ঋণ গ্রহণের পর সুমন পর্যায়ক্রমে সুদসহ বুলবুলকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু বুলবুল সুমনের কাছ থেকে প্রথমে আরো ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন এবং পরে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই টাকার জন্য বুলবুল সুমনকে হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছিলেন। নিরুপায় হয়ে সুমন বুলবুলের দাবি করা ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে  গত সোমবার ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চান। বুলবুলকে টাকা দেওয়ার জন্য সুমন মহাদেবপুর থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ১৭ নভেম্বর রবিবার রাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া গ্রামে ফিরছিলেন। সুমনের ভাষ্যমতে, তিনি গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে নাদৌড় মোড় এলাকায় পৌঁছালে বুলবুল এর নের্তৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সুমন পালিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে তাঁকে বাঁচানোর আকুতি জানান। ছিনতাইকারীরা তার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যার জন্য খুঁজছে বলেও দাবি করেন সুমন। লাইভে সুমন বলে যান, মহাদেবপুর থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার খবর বুলবুল ছাড়া আর কেউ জানত না। সুমনের ফেসবুক লাইভ দেখে তার গ্রামের বাড়ি বিলছাড়া চকপাড়া ও আশপাশের গ্রামের লোকজন নাদৌড় মোড়ে ছুটে আসেন। লোকজন ছুটে এসে সুমনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে উপজেলার পদ্মপুকুর বালকাপাড়া গ্রামের একটি গাছের ডালের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে বুলবুল পলাতক ছিলেন।


আরও খবর



শ্লীলতা হানির অভিযোগ সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটনের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

শ্লীলতা হানির অভিযোগ উঠেছে বালিকা বিদ্যা নিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে। এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে জেলা শিক্ষা অফিসার ও  জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন ।

এছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে ইতিপূর্বেও ওই বিদ্যালয়ের আয়া নিগার সুলতান কে জড়িয়ে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে শ্লীলতা হানি ঘটায়।  পরে প্রতিষ্ঠানটির আয়া কাঁদতে কাঁদতে  বিদ্যালয় থেকে বেড়িয়ে স্থানীয়দের ঘটনা খুলে বলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, লিটন চন্দ্র দেবনাথ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ফরিদা ইয়াসমিনকে বিভিন্ন ধরনের কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে রাজি না হওয়ায় শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাকে স্বাক্ষর না দিয়ে অনুপস্থিতি  দেখান। গত ১৯ নভেম্বর তিনি শ্রেণি কার্যক্রমে উপস্থিত থাকার পরেও তাকে অনুপস্থিত দেখিয়েছেন। 

এ বিষয়ে সদর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মাকসুদুল আলম বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ তার নিয়োগের পর থেকে বিদ্যালয়ে সুদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া তার এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত হাতে স্টাম ও চেকের কাগজপত্র নিয়ে তিন থেকে ৫ লাখ টাকা সুদের টাকা গ্রহনে গৃহিতাদের বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ভিড় করতে দেখা যায়। লেনদেন নিয়ে গৃহীতাদের সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলতে শুনা যায়। এতে শিক্ষার্থীদের  লেখা-পড়ার বিঘ্নঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। 

এছাড়া  আরো অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির  সাবেক সভাপতিকে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে এ সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে। 

তার অসদাচণে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মীচারীরা রয়েছেন চরম অতিষ্ট। এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। শিক্ষার্থীদের নামাজের ঘরে তালাদিয়ে নামাজ পড়তে বাধাগ্রস্থ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান,সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ বিদ্যালয়ের বিরতির সময়ে প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করেন এবং তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্নসময়ে খারাপ আচারণ করেন। 

সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের বাধাঁ ও প্রতিবাদ করায় তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনকে বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা অভিযোগ এনে চাকুরীচ্যুত করার চেষ্ঠা করেন। তিনি কু্যঁ করে প্রধান শিক্ষক হওয়ার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

ওই বিদ্যালয়ের আয়া নিগার সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, তিনি ১৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ের নামাজ ঘরে একা নামাজ পড়ছিলেন। এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ তার গায়ে হাতদেয় এবং তার অনৈতিক কাজের উদ্ধেশ্যে ধস্তাধস্তি করেন। তিনি বিদ্যালয়ে চাকুরী করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুকছেন। এ সব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে জানানোর পর তাকে চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছেন। 

এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বিষয়টি সমাধানে রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে হলে খোলা সময়ে বিদ্যালয় এসে কথা জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান,শিক্ষক ও কর্মচারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয় তদন্তকরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

শ্লীলতা হানির অভিযোগ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) সম্রাট খীসা বলেন,এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযানে উদ্বার হলো শিশু জাইফা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীর আজিমপুরে বাসায় ডাকাতির সময় অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া সেই মেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে এলিট ফোর্সটি। আটক করা হয়েছে অপহরণে জড়িত একজনকে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো ক্ষুদেবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‌্যাব। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে দুপুর সাড়ে ১২টায় কারওয়ানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এলিট ফোর্সটি। সেখানে কথা বলবেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে আজিমপুরের মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারে সরকারি কর্মকর্তা ফারজানার বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। হঠাৎ বাহির থেকে কয়েকজন পুরুষ এসে ফারজানার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা নিয়ে চলে যায়। এ সময় তার বাচ্চাটিকেও নিয়ে যায় তারা।

পরে জানতে চাইলে লালবাগ থানার ওসি কাশৈনুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারীর (ফারজানা) সঙ্গে তার স্বামীর চার মাস থেকে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। চার মাস থেকে তার স্বামী বাসায় থাকে না। তিনি এক মেয়েকে সাবলেট দিয়েছিলেন। যে মেয়েকে তিনি সাবলেটে বাসায় তুলেছিলেন তার মোবাইল নাম্বারও বলতে পারছেন না। আমরা সেই সাবলেট ভাড়াটিয়ার নাম ঠিকানা পাইনি। তবে ভিন্নভাবে বিষয়টি তদন্ত চলছে। আমরা সিসি ক্যামেরার কিছু ফুটেজ পেয়েছি কিন্তু তাও স্পষ্ট না। ভুক্তভোগী ফারজানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী।


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




ফুলবাড়িতে পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের বিকল্প কলা পাতায় লবণ বিক্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী :

বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নজরদারি বা তৎপরতা না থাকার কারণে সরকারের এই আইনকে উপেক্ষা করে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে ক্রেতা এবং ক্রেতারা যত্রতত্র ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার অবাধে করে যাচ্ছে।  


সোমবার ১৮ (নভেম্বর) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ি বাজারে সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায় ব্যতিক্রম একটি দৃশ্যে।পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশ রক্ষার্থে নিজ উদ্যোগে শমসের আলী নামের এক লবণ ব্যাবসায়ী কলা পাতায় ১ কেজি করে লবণ সুন্দর করে প্যাকেট জাত করে বিক্রি করছেন। তার এই মহতী উদ্যোগকে বাজারে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।আবার অনেকে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা সহ তার দোকানের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট ও করছেন।


জানাযায়, লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাগদাহ এলাকার বাসিন্দা। গত ১৫ বছর ধরে তিনি খড়িবাড়ি বাজারে খোলা বাজারে লবণ বিক্রি করে আসছেন।


এব্যাপারে লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) বলেন, আমি খবর শুনেছি টেলিভিশনে অনেক জনে পেপার পত্রিকায় পরেছেন তাদের মুখে শুনেছি, সরকার পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সেই কারণে আমি সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে, পরিবেশ রক্ষার জন্য নিজ উদ্যোগে ১ কেজি লবণ কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো প্যাকেট করে বিক্রি করছি।কলা পাতায় লবণ বিক্রি করার কারণে আপনার বিক্রি কমেছে না কি এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, নানা কমেনি বরং আমার এমন উদ্যোগ দেখে সবাই স্বাগত জানাচ্ছেন। তিনি আরও জানান আসলে পলিথিন খুব ক্ষতিকারক সবাই জেনে ও এখনো ব্যবহার করছেন। প্রশাসনের লোক যদি একটু তদারকি করতেন তাহলে এর ব্যবহার অনেক টা কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।


খড়িবাড়ি বাজারে লবণ ক্রেতা, আনোয়ারা হোসেন, মমিনুল হক, ইলাহী বকস জানান, কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা গুলো এমন ভাবে তৈরি করেছে ব্যাগে রাখলে পরার সম্ভাবনা নাই। একদম পরিবেশ বান্ধব প্যাকেট গুলো,সমসের চাচার এই মহতী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।ব্যবসায়ী জাহেদুল হক জানান,বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব উদাহরণ স্বরূপ কলাপাতার প্যাকেটে লবণ বিক্রি করছেন শমসের চাচা।তার এই অসাধারণ পদ্ধতি দেখে আরও একজন লবণ ব্যবসায়ী কলা পাতায় লবণ বিক্রি করছেন,এই পদ্ধতি ধরে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তাহলে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে। তিনি আরও জানান,কলার পাতা একদম সহজলভ্য এবং পচনশীল যা পরিবেশ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


রাবাইতারী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, রেজাউল হক মনি জানান,একসময় এই কলা পাতায় মোড়ানো প্যাকেটের মাধ্যমে লবণ সহ অন্যান্য দ্রব্যাদি বেচা কেনা হতো প্রায় চল্লিশ পয়চল্লিশ বছর আগের কথা হবে।কিন্তূ যুগের পরিবর্তনে এটা আস্তে আস্তে বিলিন হয়ে যায় যুগের পরিবর্তনে আসে পলিথিনের ব্যবহার এটাযে পরিবেশের জন্য কত ক্ষতিকারক তা আমরা কখনো ভেবে দেখিনা।আজ অনেকদিন পর কলা পাতায় মোড়ানো লবণের প্যাকেট দেখে সেই সময়ের কথা মনে পড়ে গেল।খুব ভালো লাগলো। এটি অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব আমরা এতদিন জেনেশুনে পলিথিন ব্যবহার করে পরিবেশ বিষাক্ত বানিয়ে ফেলেছি।বর্তমান সরকার যেহেতু পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। আমারা সবাই সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। নিজের পরিবেশ নিজেই রক্ষা করি,পলিথিন ব্যবহার না করি। পরিবেশ রক্ষার্থে আসুন আমরা সবাই পুরোনো দিনে ফিরে যাই, পলিথিনের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব কলার পাতা শট্রির পাতা বা পাটজাত পচনশীল পণ্যের ব্যবহারে এগিয়ে আসি।সবাই সুস্থ থাকি।


আরও খবর