Logo
শিরোনাম

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ঢাকাবাসীর ভাবনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মুহাম্মদ মাসুম খান :

বৈশ্বিক জলবায়ু সমস্যায়  পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক হারে দাবানল হইতেছে। আমরা  অস্বাভাবিক প্রচন্ড  তাপদাহে ভুগতেছি । ঠিক সেই মুহুর্তে ৫ জুন প্রতিবছরের ন্যায়  বিশ্ব পরিবেশ দিবস ফিরে এসেছে।  এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর দিবসটি অধিক গুরুত্বসহ পালন করা হইতেছে।

এক সময় ঢাকায় জালের মতো ছড়াইয়া ছিল আকঁবাঁকা খাল, বিল ও ঝিল।এই খালগুলি সংরক্ষন করিয়া যদি ঢাকা শহর সম্প্রসারন সম্ভব হইত তাহা হইলে পৃথিবীর অন্যতম দৃষ্ঠিনন্দন শহর হইত  ঢাকা। কিন্তু সেই সুযোগ আমরা হেলায় হারাইয়াছি। ঢাকা শহর খাল ও জলাধারশূন্য নাহলে এতো সহজে শহর উত্তপ্ত হইয়া  যেতো না। 

২০২০ সালে রিভার এন্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের ২০২০ জরিপ অনুসারে ঢাকা শহরে মোট খাল আছে ৭৩ টি যদিও ঢাকা জেলা প্রশাসনের জরিপে খাল আছে ৫৮ টি। উল্লেখিত খালের মধ্যে ৩৭ টিই দখল হইয়া আছে। 

সম্প্রিতি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন দখলকৃত খাল উদ্ধারে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। 

ঢাকা মহানগর হতো পৃথিবীর সবচেয়ে নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শহর যদি ঢাকার খালগুলি ধ্বংস না হতো।

গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ বর্গ কি:মি: আয়তনের জলাধার উধাও হয়ে গেছে। এই সময় ১০ বর্গ কি:মি; সবুজের মৃত্য হয়েছে। ১৯৯৫ সালে রাজধানীর জলাধার এবং জলাভূমি ছিল ৩০.২৫ বর্গ কি:মি:। ২০২৩ সালে সেটা মাত্র ৪.২৮ কিলোমিটারের এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে রাজধানীতে মাত্র ২দশমিক ৯১ শতাংশ জলাধার ও ৭ দশমিক ০৯ শতাংশ সবুজ রয়েছে। অথচ একটি আদর্শ শহরে ১২ শতাংশ জলাধার এবং ১৫ শতাংশ সবুজ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্স এবং নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।প্রতিবেদনে আরো বলা হয় গত ২৮ বছরে উন্মুক্ত স্থান,খেলার মাঠ,পতিত জমি সবই ব্যাপক হারে কমিয়াছে।


বর্তমানে ঢাকা শহর বসবাসের অনুপযোগী শহরগুলির অন্যতম এক নগর। এখনো যদি আমরা ঢাকা শহরে খাল,জলাধার,উন্মুক্ত স্থান,খেলার মাঠ, সবুজকে রক্ষা করতে সবাই সচেস্ট না হই তাহলে ঢাকা শহরে বাস করা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর, অস্বস্তিকর এবং বিপদজনক হয়ে যাবে। বিশেষকরে ঢাকা দক্ষিন এবং ঢাকা  উত্তরের সাথে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ড গুলিতে এখনো অনেক খাল,জলাধার,উন্মুক্ত সবুজ স্থান রয়েছে। সেগুলিকে  দ্রুত দখল এবং দূষনমুক্ত রাখতে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে নদী-খাল,জলাধার, খেলার মাঠ রক্ষায় জবাবদিহিতার আনতে হবে। বিরাজমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। মহল্লায় মহল্লায়,ওয়ার্ডে পরিবেশ রক্ষায় এক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারকে পরিবেশ রক্ষার আরো তৎপর হতে হবে।


মুহাম্মদ মাসুম খান,সাধারণ সম্পাদক 

নদী -খাল ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি 


আরও খবর

নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। তবে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কেজিপ্রতি প্রকারভেদে কমেছে ৩ থেকে ৬ টাকা। বর্তমানে প্রতিকেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৬ টাকায় এবং নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের দাম। কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।

হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে পেঁয়াজের দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি পেলেও কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমেছে দাম এবং সরবরাহ কমের কারণে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।

বগুড়া থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা মিনারুল ইসলাম নামে একজন পাইকার বলেন, পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে একটু খারাপ মানের পেঁয়াজ ৪০ টাকা এবং ভালো মানের পেঁয়াজ ৪৮ টাকা দরে কিনলাম। তবে দাম অনেকটাই বেশি। ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে দাম থাকলে আমাদের খুচরা বাজারে বিক্রি করতে সুবিধা হয়।

হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা হাফিজার রহমান বলেন, কাঁচা মরিচের দাম কিছুতেই কমছে না। একদিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার জন্য ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনলাম। ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে দাম থাকলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো।

হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গেল সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ভারতীয় ৫৫ ট্রাকে ১ হাজার ৬৪২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নওগাঁয় স্কুল শিক্ষকের দু' পায়ের রগ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে আবুল হোসেন (৫২) নামে এক শিক্ষকের দু' পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আত্রাই এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকেলে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচপুর মোড় এলাকায় এঘটনা ঘটে। আবুল হোসেন আত্রাই উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং জগদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিক্ষক আবুল হোসেন স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাঁচুপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার পথ রোধ করে মারপিট করে দু' পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে আত্রাই হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আনিসুর রহমান বলেন, আজ বিকেলে স্কুল ছুটির পর ঐ শিক্ষক বাসায় যাওয়ার পথে তার উপর দূর্বৃত্তরা হামলা চালায় বলে শুনেছি। তিনি এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ কেউ করেনি।


আরও খবর



ভিসানীতিতে যুক্ত হবে গণমাধ্যমও

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বাংলাদেশে আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ম্যাথু মিলার বলেছেন, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এই নীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম আমরা প্রকাশ করব না। কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যে কোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




এসএমইতে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ সীমা পুনঃনির্ধারণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ছোট মূলধনী কোম্পানির জন্য গঠিত এসএমই মার্কেটে লেনদেন করতে হলে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এমন বিধান বহাল রেখেছে উচ্চ আদালত।

এর আগে, গত বছর এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগের সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ১৩ নভেম্বর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন রাজু হাসান নামের একজন বিনিয়োগকারী।

তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামালের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের নিয়ম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল নিষ্পত্তি শেষে বিএসইসির আদেশ বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর দেওয়া তথ্য মতে, ডিএসইর এসএমই মার্কেটে যোগ্য বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তারা শেয়ার বিক্রি করেন। এখন থেকে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের লেনদেন করতে হলে ন্যূনতম বিনিয়োগ থাকতে হবে ৩০ লাখ টাকা। তবে কেবল তারা এসএমই মার্কেটে লেনদেন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এসএমই মার্কেটে বেঙ্গল বিস্কুটস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়স, এপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, মাস্টারফিড অ্যাগ্রোটেক, অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ও হিমাদ্রি লিমিটেডসহ ১৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে বেঙ্গল বিস্কুটস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়স, এপেক্স ওয়েভিং, হিমাদ্রি লিমিটেড ও ইউসূফ ফ্লাওয়ার মিলসকে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে এসএমই প্লাটফর্মে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি ১২টি কোম্পানি এ মার্কেটে কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে নতুন করে তালিকাভুক্ত হয়েছে।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




মরক্কোর এক গ্রামে সবাই মৃত অথবা নিখোঁজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মরক্কোতে শনাক্তকৃত মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছুঁইছুঁই। সোমবার সেখানে ২ হাজার ৪৯৭ জনের মৃত্যুর তথ্য মিলেছে। উদ্ধারকাজ পরিচালনার অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নেই মরক্কোর কাছে। রীতিমতো শূন্য হাতেই দুর্গত এলাকায় কাজ করছে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর আফ্রিকার দেশটি ব্রিটেন-স্পেন-কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা গ্রহণ করেছে। এদিকে এটলাস পর্বতমালার তাফেঘাঘতে গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দা হয় মারা গেছেঅথবা নিখোঁজ বলে উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে। খবর বিবিসিরয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের।


প্রত্যন্ত বহু এলাকায় এখনও পৌঁছাতেই পারেনি উদ্ধারকারী দল। এ প্রসঙ্গে ওই অঞ্চলের একজন বাসিন্দা বলেনভূমিকম্পের সময় ক্যাফেতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বাবা মারা গেছেন। আটকা পড়াদের বাঁচাতে শুক্রবার থেকে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়রা পরস্পরকে সাহায্য করছে। অথচ এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক কোনো কর্মকর্তা আসেননি। উত্তর আফ্রিকার দেশটির সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে প্রতিবেশী স্পেন। ব্রিটেনকাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঠিয়েছে ত্রাণবিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দলডগ স্কোয়াড ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।


সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফ্রান্স আর তুরস্কও। তবে সেই সহায়তা নেওয়া হবে কি নাএখনও নিশ্চিত নয়। তুরস্ককে সহায়তা করতে প্রস্তুততারা রাজি হলেই সহায়তা দেওয়া হবেবলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেব এরদোগান। এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও জানিয়েছেনতার দেশও সহায়তার হাত বাড়াতে প্রস্তুত। তবে মরক্কোর তরফ থেকে অনুমতি মেলেনি এখনও। 


সবাই মৃত অথবা নিখোঁজমরক্কোর এটলাস পর্বতমালার তাফেঘাঘতে গ্রামের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেনএই গ্রামের সব মানুষ হয় হাসপাতালেআর না হয় মৃত। বিবিসি সরেজমিন প্রতিবেদনে বলছেসেখানকার ইট ও পাথরের তৈরি গ্রামের পুরোনো ধাঁচের বাড়িগুলো কোনোভাবেই এই মাত্রার ভূমিকম্প সামাল দেওয়ার মতো ছিল না। গ্রামের ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা হাসান বিবিসিকে বলেনতারা (নিখোঁজরা) সরে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। তাদের হাতে নিজেদের বাঁচানোর সময়ও ছিল না।


হাসান বলছিলেন তার চাচা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। তাকে সেখান থেকে বের করার কোনো সম্ভাবনাও নেই। গ্রামে কারও কাছে এই মাত্রার ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নেই। আর তিন দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে পৌঁছায়নি। আল্লাহ আমাদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছেন এবং আমরা সবকিছুর জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এখন আমাদের সরকারের সহায়তা দরকার। তারা মানুষকে সাহায্য করার বিষয়ে অনেক দেরি করে ফেলেছেবলছিলেন তিনি। হাসান বলছিলেন যে মরক্কোর কর্তৃপক্ষের উচিত সব ধরনের আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণ করা। কিন্তু তিনি সন্দেহ পোষণ করেন যেনিজেদের অহংকারের কারণে হয়তো তারা সেই সহায়তা নেবে না।


বিবিসি বলছেসবদিক থেকেই শোনা যাচ্ছিল অবিরাম কান্নার আওয়াজ। এটলাস পর্বতমালার মতো মরক্কোর আরও অনেক অঞ্চলেই জরুরি সেবা পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষকে। বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাসী হাত দিয়ে বা তাদের কাছে থাকা বেলচাশাবল দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া মানুষ উদ্ধার করছেন। আবার কিছুক্ষণ পর ঐ বেলচা আর শাবল দিয়েই মরদেহের জন্য কবরও খুঁড়তে হচ্ছে তাদের।

বিবিসিকে এ রকম একটি গ্রামের একজন বাসিন্দা বলছিলেনমানুষের কাছে আর কিছুই বাকি নেই। গ্রামে কোনো খাবার নেইশিশুরা পানির পিপাসায় কষ্ট পাচ্ছে।


আরও খবর