Logo
শিরোনাম

বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বর্তমান মানসিক শক্তি ধরে রাখতে পারলে চলতি বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারত অপরাজিত থেকেই শিরোপা জয় করবে বলে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইকনিক ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস।

অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মতো ক্রিকেট জায়ান্টদের মোকাবেলা করার পরও ভারত এই টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে টিম ইন্ডিয়া। এখন ট্রফি জয় থেকে মাত্র দুই ম্যাচে দূরে রয়েছে স্বাগতিক দল। আর বর্তমান মানসিকতা ধরে রাখতে পারলে তারাই শিরোপা জয় করতে পারবে বলে মনে করেন ভিভ রিচার্ডস।

আইসিসির ওয়বসাইটে এক কলামে রিচার্ডস লিখেছেন, এবারের আসরে ভারত মানসিকতা হচ্ছে পুরো টুর্নামেন্টেই এভাবে খেলবে। আমি তাদের ড্রেসিং রুমে থাকলে সকল উপায় ব্যবহার করে তাদের এভাবেই এগিয়ে নিতাম। পদ্ধতিটি এখন পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই কাজ করছে। এর পরিবর্তন ঘটলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ক্যারিবীয় কিংবদন্তী বলেন, আমার বিশ্বাস তারা (ভারত) অপরাজিত থেকেই শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হবে। এটি সত্যিকারার্থে চেষ্টা করার একটি বিষয়। সেখানে এখন আমরা ভালো করছি, সেমিফাইনালে বাজে খেলা হতে পারে- এমন আশঙ্কাও থাকতে পারে। এ ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে যেকোনোভাবেই তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

রিচার্ডস বলেন, মানসিক শক্তি এমন একটি বিষয় যা বিরাট কোহলির সাফল্যে দারুণ অবদান রাখছে। এটি তাকে দুর্দান্ত স্কোরার ও রেকর্ড নির্মাতায় পরিণত করেছে।

টুর্নামেন্টে কোহলির অসাধারণ রানের প্রত্যক্ষ সাক্ষী রিচার্ডস ভারতীয় এই তারকা ব্যাটারের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

আইসিসি কলামে রিচার্ডস বলেন, বিরাট একজন দক্ষ ক্রিকেটার। তবে অন্যদের কাছ থেকে তাকে আলাদা করেছে তার মানসিক দৃঢ়তা। তিনি সব সময় নিজেকে ধরে রেখেছেন এবং অতীতে যখন আমি তার সাথে কথা বলেছি তখন তার মানসিক দৃঢ়তার বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে। যেটি তাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে গেছে। খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড় এমন দৃঢ়তা নিজের মধ্যে ধারণ করে রাখতে পারেন এবং নিজেকে এভাবে গড়ে তুলতে পারেন।

অনেকেই বছরের পর বছর ধরে আমাদের দুজনের মধ্যে তুলনা করে আসছে। এর কারণ মাঠের ভেতর আমাদের ব্যাটিং দৃঢ়তা। আমি বিরাটের সাহসিকতা পছন্দ করি। এমনকি লং অন ও লং অফে ফিল্ডিং করার সময়ও তার বোলারদের একজন যদি প্রতিপক্ষের ব্যাটারের প্যাডে বল দিয়ে আঘাত করেন তখনো তাকে দেখা যায় আপিল করতে। তিনি সব সময় খেলার মধ্যে থাকেন এবং আমি সব সময় এমন ব্যক্তিদের পছন্দ করি।

সূত্র : বাসস

 

 


আরও খবর



আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকায় ছিল জামায়াত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। এই আন্দোলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অন্যতম ভূমিকায় ছিল।

শুক্রবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ছাত্র আন্দোলনের সাবেকদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন

মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, অপশাসন- দুঃশাসন, গুম, খুন, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যসহ সব সীমা লঙ্ঘন করায় ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম এক অভিনব আঙ্গিকে একটি সফল ও স্বার্থক আন্দোলন করেছে। তারা প্রচলিত হরতালের বিপরীতে বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন এবং অসহযোগ আন্দোলন করে দেখিয়ে দিয়েছেন এদেশের মানুষ সব সময় অপরাজেয় ও দুর্জেয়। আর তাদের সে ডাকেই সারা দিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। এই আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিল জামায়াতে ইসলামী। তিনি অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের


জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব। দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড.অধ্যাপক আব্দুস সামাদ

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসাইন, ইয়াছিন আরাফাত, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ও জামাল উদ্দীন এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ


আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ এবং বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা

তাদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান ড. ইউনূস। চার দিনের সফরকালে খুবই কর্মব্যস্ত সময় পার করেন তিনি

সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ১২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস। এছাড়া সাইডলাইনে ৪০টি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন


আরও খবর



আন্দোলনে নীরব ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইলেন সাকিব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নীরব ভূমিকা পালন করায় ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়তে হয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। যার ফলে তার দেশে ফেরা এবং নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতদিন চুপ থাকলেও এবার নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করেছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার।

বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে আন্দোলনের সময় নীরব ভূমিকা পালন করায় ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। সাকিবের পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

আসসালামু আলাইকুম, আমার দেশের প্রতিটি মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা। আমার প্রতি আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা আমাকে আজকের এই সাকিব আল হাসান হিসেবে বিশ্ব দরবারে সমাদৃত করেছে।

শুরুতেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সকল আত্মত্যাগকারী ছাত্রদের, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন। তাদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা। যদিও স্বজন হারা একটি পরিবারের ত্যাগকে কোন কিছুর বিনিময়ে পূরণ করা সম্ভব না। সন্তান হারানো কিংবা ভাই হারানোর বেদনা কোন কিছুতেই পূরণযোগ্য নয়।

এই সংকটকালীন সময়টাতে আমার সরব উপস্থিতি না থাকায় আপনারা যারা ব্যথিত হয়েছেন বা কষ্ট পেয়েছেন তাদের অনুভূতির জায়গাটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনাদের জায়গায় আমি থাকলে হয়তো এভাবে মনঃক্ষুণ্ন হতাম।

আমি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়াটা ছিল মূলত আমার জন্মস্থান অর্থাৎ আমার মাগুরার মানুষের উন্নয়নের জন্য সুযোগ পাওয়া। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট কোন দায়িত্ব ছাড়া নিজের এলাকার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখাটা একটু কঠিন।

আর আমার এই এলাকার উন্নয়ন করতে চাওয়া আমাকে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী করে। যাই হোক দিনশেষে আমার পরিচয় আমি একজন বাংলাদেশের ক্রিকেটার। আমি যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থেকেছি অন্তর থেকে ক্রিকেটাকেই ধারণ করেছি।

এই ক্রিকেটকে ধারণ করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সম্মান অর্জন করার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আপনারা। আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন আমাকে আজকের সাকিব আল হাসান বানিয়েছে। আমি যখন দেশের জন্য ক্রিকেটের মাঠে ব্যাট ধরেছি তখন আমার সাথে ব্যাট ধরেছেন আপনারা সবাই।

গ্যালারি থেকে আপনাদের চিৎকার, আপনাদের সমর্থন আমাকে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। ক্রিকেট ম্যাচের দিন চায়ের দোকানে টেলিভিশনের সামনে উপচেপড়া ভিড় -আমাকে শক্তি জুগিয়েছে। আমি জিতলে, আপনারা সবাই জিতেছেন। আমি হেরে গেলে, হেরে গেছেন আপনারা সবাই!

আপনারা জানেন, খুব শিগগিরই আমি আমার শেষ ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আজকের সাকিব আল হাসান হয়ে ওঠা পর্যন্ত এই পুরো জার্নিটাকে ড্রাইভ করেছেন আপনারা।

এই ক্রিকেটের এই গোটা গল্পটা আপনাদের হাতেই লেখা! তাই আমার শেষ ম্যাচে, এই গল্পের শেষ অধ্যায়ে, আমি আপনাদেরকে পাশে চাই। আমি আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে বিদায় নিতে চাই। বিদায়বেলায়, সেই মানুষগুলোর হাতে হাত রাখতে চাই, যাদের হাতের তালি আমার ভালো খেলতে বাধ্য করেছে।

বিদায়বেলায়, সেই মানুষগুলোর চোখে চোখ রাখতে চাই, আমার ভালো খেলায় যাদের চোখ আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছে। আবার আমার খারাপ খেলায় যাদের চোখ ছলছল করেছে।

আমি আশা করি, শুধু আশা না বিশ্বাস করি এই বিদায় বেলায় আপনারা সবাই আমার সাথে থাকবেন। সবাই সাথে থেকে সেই গল্পের ইতি টানবেন, যে গল্পের নায়ক আমি নই, আপনারা!


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

টেস্ট সিরিজের পর ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে হেরেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল দিল্লীতে মাঠে নামবে দুই দল। এর আগে জানা গেল, ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানাবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের ২য় ম্যাচে আগামীকাল ৯ অক্টোবর দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। জানা গেছে, ২য় ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেবেন মাহমুদউল্লাহ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিই হতে চলেছে বাংলাদেশের জার্সিতে এ ফরম্যাটে মাহমুদউল্লাহর শেষ ম্যাচ। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বিসিবিকেও নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ২০২১ সালে। বাংলাদেশের হয়ে এখনো পর্যন্ত তিনি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১৩৯টি, ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৩৯৫ রান, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৪৩ ম্যাচে টাইগারদের অধিনায়কত্বও করেছেন তিনি।


আরও খবর



আমরা সবাই বাংলাদেশি, একই সূত্রে গাঁথা: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

দেশকে এগিয়ে নিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটি নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি বলেও মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপ্রধান।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) বঙ্গভবনে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মত বিনিময়ের আগে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন

রাষ্ট্রপতি বলেন, সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ। আমরা সবাই বাংলাদেশি। এখানে সবাই একই সূত্রে গাঁথা। এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটির কোনো স্থান নেই। সবাই এক এবং অভিন্ন সত্তা। ধর্মীয় মূল্যবোধকে দেশ ও জনকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে

রাষ্ট্রপ্রধান বিশ্বাস করেন, আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে বিদ্যমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি একটি সুন্দর আগামী ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর অবদান রাখবে

সাহাবুদ্দিন বলেন, সমগ্র বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ পরিস্থিতির কারণে মানবতা আজ বিপর্যস্ত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পুরো বিশ্ব অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া দেশের বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে

পরোপকারের মহান ব্রত নিয়েই রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের এ সংকটকালে সহায়-সম্বলহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পরমত সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস আর সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই

১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশের সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের সাথে মিশে আছে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি সামাজিক উৎসবও। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ এ উৎসবকে সর্বজনীন রূপ দিয়েছে

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে

সাহাবুদ্দিন বলেন, পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের বন্ধনে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হোক এবারের বিজয়ার অঙ্গীকার

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান শেষে রাষ্ট্রপতি দরবার হলে সকল অতিথির সাথে কুশল বিনিময় করেন

এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দাস, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, হিন্দু ধর্মীয় গুরু রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস কুমার পাল অনুষ্ঠানে অংশ নেন


আরও খবর