Logo
শিরোনাম

বন্ধ হয়ে গেল গাজার বড় দুই হাসপাতাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফার হৃদরোগ ওয়ার্ড ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। হামলা এবং জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকটের কারণে হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬৫০ রোগীর জীবন এখন ঝুঁকিতে। তাদের মধ্যে ৩৭ শিশু। তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রতিবেশী মিশর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আল শিফা হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। পানি ও খাদ্য সংকটে তাদের বেঁচে থাকাও খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে আল শিফা হাসপাতাল বন্ধ হতে না হতে গাজা শহরের দ্বিতীয় বৃহত্তম আল কুদস হাসপাতালও জ্বালানি সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু এ দুটি নয়, এর আগে একই কারণে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার আরও ২৫ থেকে ৩০টি হাসপাতাল। এখন সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের জীবন বাঁচানো নিয়ে শুরু হয়েছে স্বজন ও চিকিৎসকদের আরেক যুদ্ধ। ইসরায়েল সরকারের দাবি, হাসপাতালের নিচে রয়েছে হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ। আর সে সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও হামাস হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ থাকার দাবি নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের প্রধান হাসপাতালগুলো ঘিরে রেখে হামলা চালাচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলের অবরোধ আরোপ, জ্বালানি প্রবেশ করতে না দেওয়া ও অব্যাহত হামলার কারণে শনিবার রাতে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা বন্ধ হয়ে গেছে। হামলার কারণে হাসপাতালটির হৃদরোগ ওয়ার্ড সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া হামলার কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রটিও এখন অচল হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভেতরে থাকা ৬৫০ রোগীর জীবন এখন ঝুঁকিতে। তাদের মধ্যে ৩৭টি শিশু রয়েছে। হাসপাতালের ভেতর যেসব রোগী আছেন, তারা এখনো সেখানে আটকে আছেন, সদ্যই জন্ম নেওয়া দুটি শিশু মারা গেছে এবং হাসপাতালের আশপাশে প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় দেড় হাজার মানুষ মারাত্মক ভীতিকর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এই মুহূর্তে খাদ্য তো দূরের কথা, খাওয়ার পানি পর্যন্ত নেই তাদের।

আল শিফার এ ধরনের অবস্থার মধ্যে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম আল কুদস হাসপাতালও বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর এসেছে। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের আল কুদস হাসপাতালে আর কোনো ধরনের সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই ওই হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে পিআরসিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব, খাদ্য ও পানির ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ না থাকার পরও হাসপাতালের কর্মীরা রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চলমান ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে হাসপাতালটিতে আর কোনো কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। সেখানকার চিকিৎসা কর্মী, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি আরও বেড়ে গেছে। রেড ক্রসের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সও পাঠাতে পারছেন না।

এদিকে গাজার পূর্বাঞ্চলীয় খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবনে হামলার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ওই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয়েছে বিবিসি। তিনি জানিয়েছেন, হামলার সময় মাটি যেন কেঁপে উঠেছিল। হামলায় আবাসিক ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগেও এ ধরনের বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে জাতিসংঘ জানায়, গাজায় অবস্থিত তাদের একটি কার্যালয়ে রাতভর গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। ওই কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা।


আরও খবর



নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম নিষ্পত্তি করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান মতে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে দেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একটি করে মোট ৩০০টি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।

এতে বলা হয়, কমিটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, আচরণবিধি ও ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশসহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করে এমন বিষয়গুলো অনুসন্ধানসহ সুপারিশ করে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়ন ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার ব্যাপারে কমিটির চাহিদা অনুসারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা/ থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।

এতে আরও বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন এবং প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে ওই কর্মকর্তারা নিজ দফতর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর প্রেরণ করবেন এবং ওই প্রতিবেদন পিডিএফ ফরমেটে অত্র সচিবালয়ের আইন অনুবিভাগের উপসচিব ও সিনিয়র/সহকারী সচিবের ইন্টারনাল একাউন্টে প্রেরণ করবেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১-৪ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর; প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোট হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।


আরও খবর



গাজায় প্রতিদিন ৪২০ শিশু হতাহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের সংঘাত ২৫ দিনে গড়াল। প্রতিদিন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৪২০ জনের বেশি শিশু হতাহত হচ্ছে। এমন তথ্য সামনে এনেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রতিদিন ৪২০ জনেরও বেশি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে। গাজা ছাড়াও পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে অন্তত ৩৭ শিশু নিহত হয়েছে। সংঘাতে ৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আর গাজা উপত্যকায় অন্তত ২০ শিশু বন্দি রয়েছে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমি এই অঞ্চলের শিশুদের ভাগ্য নিয়ে শঙ্কিত।

ক্যাথরিন রাসেল নিরাপত্তা পরিষদকে অবিলম্বে একটি রেজুলেশন পাস করার আহ্বান জানান। সেখানে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং অবিলম্বে বন্দি শিশুদের মুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।

মধ্য গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে আল-নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তারা নিহত হন।


আরও খবর



পুরাতন ল্যাপটপ, কম্পিউটার ক্রয় এর ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় দিকসমূহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

একুশ শতকে বর্তমানে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া আমাদের জীবন অচল ই বলা চলে। আমাদের অনেক আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় আমরা প্রায়ই পুরাতন কিংবা সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ /কম্পিউটার ক্রয় করে থাকি,ক্রয় করার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ,তা নিচে তুলে ধরা হলঃ

• ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর ডকুমেন্টস ও কাগপজ পত্র অবশ্যই যাচাই করে নিবেন।

• সিস্টেম ইনফরমেশন অবশ্যই বিক্রেতার ভাষ্যের সাথে মিলেয়ে নিবেন।

• ব্যাটারি হেলথ ও চার্জার চেক করে নিন।

• চার্জ হচ্ছে কিনা যাচাই করুন।

• যেকোনো ব্রাউজার থেকে  ডিসপ্লে চেকার দিয়ে ডিসপ্লে চেক  করুন।

• অনলাইন কি বোর্ড টেস্টার থেকে কিবোর্ড এর সব বোতাম চেক করে নিন।

• টাস্ক ম্যানেজার থেকে পিসি/ল্যাপটপ এর পার্ফমান্স যাচাই করুন।

• ক্যামেরা যাচাই করুন।

• সাউন্ড স্পিকার টেস্ট করে দেখে নিন।

• ইউ এস বি পোর্ট ও ল্যান,ভিজিএ পোর্ট চেক করে নিন।

উক্ত বিষয়গুলা বিবেচনা করে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ক্রয় করলে আমরা নানাবিধ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। 

- কাউসার আহমেদ মাসুম 

বি এস সি (কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলী),এম ,এস,সি ,পি ,এম ,আই,টি(জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)

সহকারি আইটি সাপোর্ট ।নন্দন পার্ক লিমিটেড


আরও খবর

CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩

বিল বাকি থাকায় ইন্টারনেটের গতি ধীর

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




সিলেটে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবেন নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কথা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী জনসভা সিলেট থেকে শুরু করবেন। আগের নির্বাচনগুলোতেও তিনি সিলেট থেকে নির্বাচনের সভা করেছিলেন

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত

উল্লেখ্য, নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীর মধ্যে নতুন করে বড় ধরনের উদ্দীপনা তৈরি হবে বলে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মনে করছেন। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-বিবাদ মিটিয়ে নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী প্রচারসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে নেতারা আশা করছেন


আরও খবর



বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে সারা দেশ থেকে পণ্য ঢাকায় ঢুকতে ভাড়া বেড়েছে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে গেছে। বেড়েছে দামও। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে ভোক্তাদের ওপরে।

অবরোধের আগে এক ট্রাক সবজি বা অন্য খাদ্য পণ্য বাইরে থেকে ঢাকায় আনতে যেখানে খরচ হতো দূরত্ব ভেদে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এখন একই পণ্য একই স্থান থেকে ঢাকায় পরিবহনে খরচ গুনতে হচ্ছে ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

তারপরও সব ট্রাক ঢাকায় আসতে চায় না; অবরোধকারীদের অগ্নিসংযোগের আতঙ্কে থাকেন। যারা আসছেন তাদের বাড়তি টাকা দেওয়া লাগছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

অবরোধের জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি কয়েক হাজার ট্রাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্যবোঝেই করে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে কারওয়ানবাজারে কথা হয় ট্রাক ড্রাইভার গিয়াস উদ্দিনের (২৮) সঙ্গে। তিনি যশোরের গদখালি থেকে মিষ্টিকুমড়া নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, অবরোধের সময় তিনি ট্রাক ভাড়া পাবেন ১৯ হাজার টাকায়। অবরোধের আগে একই ওজনের একই পণ্য এনেছিলেন ১৬ হাজার টাকা ভাড়ায়।

তিনি বলেন, অবরোধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক চালাতে হয়। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন কোন দিকে থেকে অবরোধকারীরা ট্রাকে হামলা করে! গ্লাসে একটি ঢিল মারলে যে ক্ষতি হবে তা এক মাসের ভাড়া দিয়েও উঠবে না। আর আগুন দিলে পুরো ট্রাক শেষ, এমনকি জীবনও যেতে পারে। এই ঝুঁকি নিয়েই আসছি, ভাড়া তো একটু বেশি নেবই। এমন অভিযোগ সুজন মাদবরের। তিনি ফুলকপি নিয়ে এসেছে চুয়াডাঙ্গা থেকে।

তিনি বলেন, তারা আমিরুল ইসলাম নামে এক মহাজনের পুরোনো ট্রাকচালক। অনেক দিন থেকেই আমিরুলের পণ্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। তিনিও বেশি ভাড়া পাচ্ছেন। অন্য সময়ের থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেশি ভাড়া পাচ্ছেন হরতাল-অবরোধের সময়।

তিনি বলেন, অবরোধে ছেলেমেয়েরা ট্রাক চালাতে নিষেধ করে কিন্তু সংসার তো আছে। আতঙ্ক নিয়ে ট্রাক চালাই, কখন কি হয়। কিছু হলে কেউ না দেখলেও পরিবার-পরিজনের কথা চিন্তা করে ট্রাক নিয়ে বের হই।

একই আশঙ্কার কথা জানালেন কুষ্টিয়া থেকে চাল নিয়ে আসা ড্রাইভার আনছার আলী। তিনি মোহাম্মদপুর বাজারে আড়তে চাল নামিয়েছেন। তিনি বলেন, সপ্তাহের শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার অবরোধ দিচ্ছে না। এই কয়দিনই ট্রাক চালাই। অবরোধে বসে থাকি। এরপরও ভয় পিছু ছাড়ছে না।

অবরোধের কারণে ঢাকার বাইরে থেকে আসা পণ্যের খরচ বেড়ে গেছে। এর ফলে শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দাম কমার কথা ছিল, কমছেও। কিন্তু যে হারে কমার কথা ছিল সে হারে কমছে না। বাড়তি পরিবহন ভাড়ার কারণে পণ্যের দামও বাড়ছে।

কারওয়ান বাজারে মুলা নিয়ে আসা হাফিজুর রহমান জানান, তিনি সংবাদপত্রের ফিরতি গাড়িতে করে মুলা নিয়ে এসেছে। রাত তখন সাড়ে ১১টা। বাস থেকে মল সড়কে মুলা নামিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের সামনে ফাঁকা জায়গা মুলার বস্তা রাখছেন। তিনি আরো বলেন, অবরোধের আগে যে বস্তা ৯০ টাকা ভাড়া দিয়ে এনেছিলাম, অবরোধের সময় একই বস্তার ভাড়া গুনতে হয়েছে ১৩০ টাকা। এর ফলে প্রতি কেজি মুলাতে খরচ বেড়েছে এক থেকে এক টাকা ৫০ পয়সা।

তারপরও আগের মতো ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যের চেয়ে বেশি ভাড়া দিলেই কেবল ট্রাক ঢাকায় আসে বলে জানান তিনি। অন্য সবজি, ফল বা পণ্যেও এভাবে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীদের যাতায়াত কমে গেছে। আগে ঢাকা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে সবজি ঢাকার আনার জন্য ব্যবসায়ীরা মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার পাশাপাশি সশরীরে এসব পণ্যের উৎপাদন স্থলে যেতেন। এখন অনেকেই আর এলাকায় যাচ্ছেন না। প্রয়োজনে ফোনে ফোনে কথা বলে পণ্য আনছেন। খুব প্রয়োজনে দুয়েকজন যাচ্ছেন বা কর্মচারী পাঠাচ্ছেন। এতে পণ্যটি ঢাকায় এলেও দাম বা মানের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় প্রত্যাশার মতো কাজটি হচ্ছে না।

কারওয়ানবাজারের আড়তদার ফারুক হোসেন বলেন, অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। আর ব্যবসায়ীদের জায়গা দখল করেছে কৃষকরা। ব্যবসায়ী কম পাওয়ার কারণে কৃষকরা নিজেরাই কয়েকজন মিলে ট্রাকবোঝাই করে পণ্য ঢাকায় আনছেন। সবজি এখন বিক্রি করতে না পারলে পরে দাম পড়ে যাবে। আবার মাঠে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তো আছেই। এজন্য কৃষকেরা নিজেরাই ঢাকায় চলে আসছেন। অবরোধের কারণে ব্যবসায়ীর জায়গা কৃষক দখল করেছেন বলে জানান তিনি। যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর মার্কেটে খোঁজ নিয়ে একই খবর মিলল।

অবরোধ-হরতালের প্রভাবের দেখা মিলেছে বাজারে। শীতকালীন শাকসবজির দাম উলে­খযোগ্য হারে কমেনি। মাছের বাজারও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মেরাদিয়া হাট, গোড়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজারসহ বেশ এলাকার বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে মেরাদিয়া হাটের মাছ বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। এ কারণে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে।

পণ্য পরিবহনে পুলিশ প্রহরা সাহস জোগাচ্ছে: অবরোধ চললে ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের গাড়ি পাহারা দিয়ে নিজ নিজ এলাকা পার করে দিচ্ছে বলে জানালেন যশোরের গদখালি থেকে আসা গিয়াস উদ্দিন।

তিনি বলেন, মাঠ বা ছোট বাজার থেকে ট্রাকবোঝাই করে সড়কে উঠলেই দাঁড় করিয়ে পুলিশ অনেকগুলো ট্রাক এক সঙ্গে করে নিজ জেলা পার করে দিচ্ছে। পরের জেলায় ওই জেলার পুলিশ পাহারা দিয়ে পার করে দিচ্ছে।

রাজশাহী থেকে আসা ব্যবসায়ীও এমন কথা জানালেন। তবে চুয়াডাঙ্গা বা ঝিনাইদহ থেকে আসা ট্রাক পুলিশ প্রহরা ছাড়াই এসেছেন বলে জানালেন ব্যবসায়ী এখলাছ হোসেন ও ড্রাইভার সুজন মাদবর। ফলে জীবন ও ট্রাক সম্পত্তির ঝুঁকি নিয়ে পণ্য আনা নেওয়া করতে হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া দেওয়ার পরও ব্যবসায়ী বা চালক-হেলপারের জানমালের নিরাপত্তা নেই।

প্রসঙ্গত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ও তফসিল প্রত্যাখ্যান করে দেশজুড়ে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বেশ কয়েকটি দল। আগামীকাল রবিবার থেকে এ হরতাল পালন হবে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেয় তারা।

এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। তারপর ৭ নভেম্বর একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়। পরে শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে আবার চতুর্থ অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। এর আগে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধ পালন করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল।

 


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩