Logo
শিরোনাম

বৈশাখের প্রভাবে ইলিশের দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আর একদিন পরই পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের পয়লা দিনটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়। দিনটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র বাজারে ইলিশের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এবার সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে ইলিশ কম ধরা পড়ায় বাজারে সরবরাহ কম। বৈশাখ উপলক্ষে চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পয়লা বৈশাখের প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে। জুরাইন, যাত্রাবাড়ী ও সূত্রাপুরের মাছ বাজারে  ৭০০ ও ৮০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজির চেয়ে একটু বড় ইলিশ একবারেই কম। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা কম।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর ১ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা নেই। ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। আর বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দামও একটু বেশি।


আরও খবর



কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলতি সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তীব্র গরমের কারণে মুরগি মরে যাওয়ার শঙ্কায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান শেওড়াপাড়ার মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন। তিনি বলেন, এ সময়ে দাম কমার কথা না, গত সপ্তাহেও ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গরমে হিট স্ট্রোক করছে মুরগি। তাই ক্ষতি এড়াতে ছোট ছোট মুরগি কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

শুক্রবার বাজারে সব ধরনের সবজি গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা, শিমের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রোকলি ৪০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরছেন না সুনিল নারিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে যেভাবে জ্বলে উঠেছেন সুনিল নারিন, তাতে অনেকের মনে তৈরি হয়েছে কৌতুহলী প্রশ্ন। নারিনকে কি আগামী জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলবেন?

ভক্তদের সেই কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিয়েছেন নারিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে তিনি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, তা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে নারিনের উত্তর শুনে হয়তো অনেক ভক্তরই মন খারাপ হবে। কারণ, গত সপ্তাহে কলকাতার হয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলবেন না। নারিন জানান, তার জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দরজা বন্ধ।

জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরা নিয়ে নারিন বলেন, আমি সত্যিই খুশি যে সম্প্রতি আমার পারফরম্যান্স অনেককে প্রকাশ্যে তাদের অবসর ভেঙে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

আমি সেই সিদ্ধান্তের (জাতীয় দলের হয়ে না ফেরা) নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি কখনই হতাশ হতে চাই না। সেই দরজাটি এখন বন্ধ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জুনে যারা মাঠে নামবে আমি তাদের সমর্থন করবো।-যোগ করেন নারিন।

তিনিও আর বলেন, যে ছেলেরা গত কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং আমাদের দুর্দান্ত ভক্তদের দেখানোর যোগ্য যে তারা আরেকটি শিরোপা জিততে সক্ষম- আমি আপনাদের শুভ কামনা জানাই।

গত সপ্তাহে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫৬ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন নারিন। তবে নারিনের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ম্লান করে পাল্টা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দেন জস বাটলার।

আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতার হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নারিন। ২২.১১ গড়ে বোলিং করে শিকার করেন ৯ উইকেট। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।

২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন নারিন। তবে ২০১৯ সাল থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি খেলেননি তিনি। আর জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছেও নেই নারিনের।


আরও খবর



রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।


আরও খবর



চলতি বছরই উৎপাদনে আসছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি বছরই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার আগেই নিরাপত্তার দিকসহ সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-এর প্রতিনিধি দল। পারমাণবিক শক্তিতে অগ্রগামী রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রূপপুরের প্রযুক্তি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা টেকসই সেই তথ্যই জানার চেষ্টা চলছে।

গত ৬ দশক ধরে রাশিয়ার সভারডলভস্ক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগানে অন্যতম নির্ভরতা বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। কেন্দ্রটির প্রথম দুটি ইউনিট প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এএমবি রিঅ্যাকটরের, আর তৃতীয়টিতে বিএন ৬০০ ও ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসা চতুর্থ ইউনিটে বসেছে বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টর।

আর এই বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টরকে মনে করা হয় থ্রি প্লাস জেনারেশন প্রযুক্তির,আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরও সমমানের প্রযুক্তির।বাংলাদেশে যে রুশ প্রতিষ্ঠানটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, রাশিয়ার বুলেয়াস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাতেও যুক্ত সে একই প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার দিক নিয়ে।রাশিয়ার বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে উদাহরণ হিসেবে নিলে বলা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ধরনের প্রযুক্তি দিয়ে, সেটির তুলনায় বেশি অগ্রগামী সংস্করণ রূপপুরের পরমাণু চুল্লি। রাশিয়ার প্রকৌশলীরাও মনে করেন, বেশ নিরাপদেই এগোচ্ছে রূপপুর।

রাশিয়ার বিএনপিপির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়া ফিলিন বলেন, রাশিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল বার্তা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানুষের কল্যাণে, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব। আর রোসাটম এই দর্শনেরই সফল প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশ, মিশর, ভারত ও হাঙ্গেরির প্রকল্পগুলো তারই উদাহরণ।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পর্শকাতর নিরাপত্তার বিষয়গুলো কতটা অনুসরণ করছে বাংলাদেশ? ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন সামনে রেখে সে সব বিষয় সরেজমিনে দেখতে রূপপুরে আসছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানড. মো. শৌকত আকবর বলেন, আমাদের জনবলই এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। পরমাণু শক্তি কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য যত ধরনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার আলোচনায় সবসময় উচ্চারিত চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিয়ার মতো দুর্ঘটনার কথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রযুক্তিগত কারণে সে ধরনের কোনো শঙ্কা নেই রূপপুরে। তবে অন্য সব ঝুঁকি এড়াতেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। বলছেন পরমাণু গবেষক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি ধারণ করতে হবে। একে চর্চার মধ্যে আনতে হবে। নয়তো যেকোনো প্রযুক্তিগত বা মানুষের ত্রুটি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, রূপপুরের নিরাপদ পরিচালনায় দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রোসাটমের বিশেষ কর্মসূচি।


আরও খবর



ছাত্র রাজনীতি ইস্যুতে উত্তপ্ত বুয়েট ক্যাম্পাস ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু :

বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ প্রত্যক্ষ করে  আমার মানসপটে ভেসে উঠছে  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুঃসহ স্মৃতি।   আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।  ইসলামি সম্মেলন সংস্হা (ওআইসি'র) আর্থিক সহযোযিতায়  বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার সন্নিকটে  গাজীপুরের বোর্ড বাজারে (বর্তমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে  বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং  আমি ছিলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয় আশির দশকে  যেখানে ছাত্র  ভর্তির  নুন্যতম যোগ্যতা ছিল  ৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ অন্তত  একটিতে প্রথম বিভাগ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে  ভর্তির আবেদনই করা যেত নাা। সে সময় বুয়েট এবং  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ভর্তির নুন্যতম যোগ্যতা ছিল ৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ এসএসসি এবং  এইচএসসিতে দ্ধীতিয় বিভাগ থাকলেই বুয়েট কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সুযোগ ছিল কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি অথবা এইচএসসি'র যে কোন একটিতে প্রথম বিভাগ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনই করা,যেতো না। সুতরাং  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন  দেশের সেরা ছাত্ররাই  শুধু ভর্তির সুযোগ পেতো।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ভর্তি ফরমের সাথে আরেকটি ফরমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি করব না মর্মে আমাদের কাছে থেকে একটি অঙ্গীকারনামা নেওয়া হতো। সে ফরমে ছাত্রদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরকেও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেওয়া হতো। তখন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে  ছাত্র ভর্তি করা হতো না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের কিছু অদ্ভুত কালাকানুন দেখে আমরা অবাক হয়েছিলাম। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে  ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার নামে প্রকারন্তে ধর্মান্ধ,উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তাদের অপরাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে। রাজনীতি বন্ধের নামে জামাত-শিবিরকে মসজিদ কেন্দ্রিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ, ছাত্রী ও অমুসলিমদের ভর্তি নিষিদ্ধ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ, বিশেষ বিশেষ  দিবসে ছাত্রদের পায়জামা পাঞ্জাবি পরিধান বাধ্যতামুলক করা প্রভৃতি। এসবই করা হয়েছিল ধর্মান্ধ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য । আমরা ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষের এসব কালাকানুন বাতিল করতে বাধ্য করেছিলাম। কর্তৃপক্ষের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলাম। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ডিপার্টমেন্ট চালু,ছাত্রী ও অমুসলিম শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করতে বাধ্য করেছিলাম। অবশ্য এজন্য আমাদের চরম মুল্য দিতে হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের কয়েকজনকে  বহিষ্কার করা হয়েছিল। ডজন ডজন মামলায় চরম হয়রানি ও কারাভোগ করতে হয়েছিল। শুধু তাই নয় অন্তত তিনবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে  আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের  মুক্ত জ্ঞান চর্চার অন্যতম বিদ্যাপিঠে পরিণত হয়েছে। 

বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ দেখে আজ থেকে প্রায় চার দশক  আগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের সেই অপতৎপরতার কথা মনে পড়ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সেই  কুট কৌশলের সাথে আজকের  বুয়েট কতৃপক্ষের অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। বুয়েট  বাংলাদেশের মেধাবীদের চারণভূমি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতাদের গৌরবোজ্জল ভূমি রয়েছে। মহান ভাষা আন্দোলন  থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং  তৎপরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এদেশের ছাত্র আন্দোলনের স্বর্ণোজ্জল ইতিহাস রয়েছে। এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই বর্তমান ছাত্র রাজনীতি তার জৌলুশ হারিয়েছে। ছাত্রনেতাদের কিছু  নেতিবাচক কর্মকান্ড ছাত্ররাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করেছে। এখন মেধাবি ও দেশপ্রেমিক  ছাত্রনেতাদের  সম্পৃক্ত করে ছাত্ররাজনীতিকে  গৌরবোজ্জ্বল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে মুক্ত জ্ঞান চর্চার সুযোগ করে দেওয়া প্রয়োজন। তবে এটাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে ছাত্ররাজনীতির নামে বুয়েটে আর যেন কোন মায়ের কোল খালি না হয়।


আরও খবর