Logo
শিরোনাম

চাকুরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

রেলওয়ের খালাসি পদে চাকরির প্রলোভন দিয়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আব্বাস আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আজিজুল হক নওগাঁর জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে নওগাঁ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার চাকরাইল গ্রামের মৃত জমির উদ্দীনের ছেলে আব্বাস আলী দেওয়ান এবং তার দুই সন্তান ডিএম আব্দুল ওয়াহাব পলাশ ও সাব্বির আহম্মেদ সাদি। ভুক্তভোগী আজিজুল হক নওগাঁ সদর উপজেলার বরুনকান্দি (স্কুলপাড়া) গ্রামের মৃত ঝরু মন্ডলের ছেলে। 

মামলা সুত্রে জানা যায়, আব্দুল ওয়াহাব পলাশ রেলওয়ের খালাসি হিসেবে পারবর্তীপুরে চাকুরি করেন। বড় ভাই পরিবার নিয়ে আজিজুল হকের বাসায় ভাড়া থাকার সুবাদে আজিজুর হকের সাথে পালাশের পরিবারের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুযোগে পালাশ তার বাবা ও ভাইকে দিয়ে আজিজুল হকের ছেলে মেহেদী হাসানকে রেওয়ের খালাসী পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ নেন। ভুক্তভোগী সরল বিশ্বাসে কোনো প্রমানপত্র ছাড়া তাকে ১১ লাখ টাকা দেন। টাকা নেওয়ার পর বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলে ছেলের আর চাকুরি হয় না। আজিজুল হক তার ছেলের চাকুরির জন্য পলাশ ও তার বাবার দ্বারে দ্বারে ঘুরে ছেলেকে চাকুরি দেন না, টাকাও ফেরত পান না। ছেলের চাকুরি ও টাকা কোনোটি ফেরত না পেয়ে ভুক্তভোগী আজিজুল বাবা ও ছেলে কাছ থেকে নন জুডিসিয়াল ট্যাম্প করে নেন। বাবা ও ছেলে আগামী এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ট্যাম্পে অঙ্গিকার করেন। অঙ্গিকার করার পরে আব্বাস আলী আজিজুল হকের বিরুদ্ধে জোর করে স্ট্যাম্প করে নেওয়া হয়েছে বলে চাঁদাবাজি মামলা করেন। চাঁদাবাজি প্রমান করতে না পারায় মামলা আদালত থেকে বাতিল করা হয়েছে। আজিজুল হক নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করেন। অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ডিএম আব্দুল ওয়াহাব পলাশ ও তার ভাই সাব্বির আহম্মেদ সাদি জেল হাজতে আছেন।

এ ব্যাপারে চাকরী প্রার্থী মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, পলাশ ও তার পরিবার সাথে আমাদের পরিবারে ভালো সম্পর্ক ছিলো। আমাদের জমি-জমা বিক্রি করে ১১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। আমাদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আমাদের পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনকে ধরে তাকে অনুরোধ করেও টাকা ফেরত পাচ্ছি না। এছাড়া কয়েক মাস পূর্বে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প করে দেন পলাশ ও তার বাবা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে পেরিয়ে গেলেও টাকাগুলো আর ফেরত দেননি তারা। ভুক্তভোগী আজিজুল হক দাবি করেন, পলাশ ও তার বাবা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অঙ্গীকার করে স্ট্যাম্প করে দেন। তবে এখন টাকা না দিয়ে উল্টো আমাদেরকে জোর করে তার কাছে থেকে স্ট্যাম্প নেওয়া হয়েছে বলে ভুল তথ্য সরবরাহ করে টাকা নেওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং আমাদের কিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করেন। তবে সেই মামলা তিনি প্রমান করতে পারেনি। তিনি বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের অফিযোগ করার পর বিষয়টি জেলা গোয়েন্দা স্ংস্থা তদন্ত করে ১১ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমান হয়েছে। তারপর তিনি টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পালাশ জেল হাজতে থাকায় তার বক্তব্য না পাওয়া গেলেও পালাশের পিতা আব্বাস আলী বলেন, চাকুরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। মিথ্যা ও ভীত্তিহীন। তারা জোর করে আমাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প করে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আমার দুই ছেলেকে জেলে পাঠিয়েছেন। 


আরও খবর



ইসলামি রীতিতে দাফন চান কবীর সুমন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পশ্চিবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। পাঁচ বছর আগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি এই গায়ক জানালেন, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, রমজান মোবারক। সবাইকে জানাতে চাই-কিছুকাল আগে এই ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম, আমি আমার দেহদান করেছি, কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছা প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না।

কবীর সুমন লিখেছেন, আমি চাই, আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামি রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার কতিপয় স্বজনকে এটা জানিয়ে দিলাম। আমার এই ঘোষণা বিষয়ে কারও মত বা মন্তব্য চাই না। সকলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দিতেই সেখানে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। অনেকেরই মতে কবীর সুমন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার অনেকে ঈশ্বরের কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। কবীর সুমন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন অনেক বছর আগেই। সেই কারণেই তিনি চান, ইসলামীয় রীতি মেনে তার শেষকৃত্য করা হোক। চিরকাল তিনি কাটিয়েছেন কলকাতাতেই। সেই কারণেই তিনি চান, কলকাতার মাটিতেই বিলীন হয়ে যাক তার নশ্বর দেহ। তবে অনুরাগীদের কথা, তার এই ইচ্ছা পূরণ হলেও তা যেন হয় অনেক বছর পরে।

সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তরুণীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন কবীর সুমন। সেই তরুণী ছিল কবীর সুমনের ছাত্রী। পরে জানা গিয়েছিল, সৌমী অনেকটাই সময় কাটান কবীর সুমনের বাড়িতে। ছবির ক্যাপশানে সৌমীকে ভ্যালেন্টাইন বলে উল্লেখ করেছিলেন কবীর সুমন। তবে পরে তিনি বলেন, সৌমীর সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।

কবীর সুমনের নাম ছিল সুমন চট্টোপাধ্যায়। ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন। তার জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ।


আরও খবর



আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপ:

১. চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী এবং মাদক ও চোরা কারবারিদের ধরতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে সারাদেশে বিশেষ অপারেশন শুরু হয়েছে।

২. পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল বাড়ানো ও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের অংশগ্রহণে সারাদেশে "দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের উপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ" বিষয়ে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩. পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপপুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফ করা।

৪. রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি/চেকপোস্ট ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিজিবি'র সমন্বয়ে যৌথবাহিনী টার্গেট এলাকাসমূহে জোরদার অপারেশন পরিচালনা করছে।

৫. রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিয়মিত প্যাট্রোলের পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত প্যাট্রোল নিয়োজিত করা হয়েছে।

৬. ছিনতাইকারী, ডাকাত, কিশোর গ্যাং ও অন্যান্য অপরাধপ্রবণ স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

৭. থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে ত্বরিৎ পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৮. ঢাকা শহরের আশপাশে বিশেষ করে টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে।

৯. ডিএমপি'র পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয়ের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের ধরা সম্ভব হয়।

১০. মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগাণ্ডার বিপরীতে সত্য তথ্য প্রচারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ভোর ও গভীর রাতে ঝটিকা সফরে থানা, চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন ও মনিটরিং করছেন।

১২. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে দেশের সকল প্রশাসনিক বিভাগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।

১৩. ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কার্যকর উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

১৪. মামলা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তকরণে জেলা ও মেট্রোপলিটন পর্যায়ে মামলা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে করে নিরপরাধ ব্যক্তিরা মামলার হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেন।

১৫. জুলাই বিপ্লবের শহিদ পরিবারের মামলাসমূহ নিয়মিতভাবে গুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করা হচ্ছে যাতে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়।

১৬. আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



হৃদরোগীর রোজা পালনের ক্ষেত্রে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ শাহরিয়ার : হৃদরোগীরা রোজা পালন করতে পারবেন কিনা, রোজা এলেই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের প্রতিনিয়ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। হৃদরোগীদের রোজা রাখতে তেমন সমস্যা নেই। রোজা রাখলে বরং শরীরের জন্য আরও ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা পালন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়। সে হিসেবে রোজা পালন কিন্তু শরীরের জন্য খারাপ নয় বরং উপকারী। উচ্চ রক্তচাপ রোজা পালনে কোনো প্রতিবন্ধক নয়।

তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রোজা পালনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের মাধ্যমে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে। যেসব ওষুধ দিনে তিনবার খেতে হয় সেগুলো বাদ দিয়ে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ খেতে পারেন। চিকিৎসককে বললে আপনাকে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দেবেন।

অ্যানজাইনা পেকটোরিস, হার্ট অ্যাটাকের রোগী এমনকি যাদের হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে রিং লাগানো আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে। আপনাকে যদি অ্যাসপিরিন সেবন করতে হয় তবে তা সেহরির সময় সেবন করবেন। যদি এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওমিপ্রাজল খেতে পারেন।

এখন দেশের আর্দ্রতা অনেক বেশি। এজন্য আমাদের ঘাম হয় বেশি। অনেক হৃদরোগীকেই ডাইইউরেটিক যেমন ফ্রুসেমাইড, স্পাইরোনোল্যাকটোন, টোলাজেমাইড ইত্যাদি ওষুধ খেতে হয়। এ ওষুধগুলো দেহে থেকে পানি বের করে দেয়। ঘামের সঙ্গে সঙ্গে এ ওষুধ দেহ থেকে বেশি পরিমাণে পানি বের করে দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজার সময় এ ওষুধ সেবন না করাই ভালো। যদি সেবন করতেই হয় তবে ওষুধের ডোজ কমিয়ে দিতে হবে। এ জাতীয় ওষুধগুলো সন্ধ্যার পর সেবন করুন।

রোজা পালন করতে গিয়ে যদি হঠাৎ করে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৮০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ১১০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয় তবে রোজা ভেঙে ফেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করতে হবে।

রোজা রাখলে যদি শ্বাসকষ্ট ও বুকে বেশি ব্যথা অনুভূত হয় তবে রোজা না রাখাই ভালো। যদি উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে কিডনির সমস্যা থাকে তবে রোজা রাখতে হলে একজন কিডনি রোগের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা রোজা পালনে কোনো সমস্যা নেই।

হৃদরোগীরা ইফতারিতে ভাজা-পোড়া খাবেন না। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান। রোজার ফল খেজুর খেতে পারেন বেশি করে। পানি পান করুন বেশি করে। একটা কথা না বললেই নয় সেটি হলো, কোনো ওষুধেরই ডোজ নিজে নিজে পরিবর্তন করবেন না। চিকিৎসক যদি মনে করেন রোজা পালনে আপনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বা অসুখ মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা থাকে, তবে রোজা না রাখাই শ্রেয়। পরবর্তী সময় রোজাগুলো আদায় করতে পারেন বা বদলি রোজাও পালন করতে পারেন।

লেখক : শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং অধ্যাপক

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

শেরেবাংলানগর, ঢাকা


আরও খবর



বাংলাদেশি সিনেমার প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল দেশের মধ্যেই। তবে সময় বদলেছে। এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেটাই যেন মনে করিয়ে দিলেন সুপারস্টার শাকিব খান।

রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাকিব খান বলেন, আগে আমাদের দেশের সিনেমা নিয়ে শুধু আমরাই কথা বলতাম। এখন সেই চিত্র বদলেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে দেখছি, বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে বিদেশিরাও রিভিউ দিচ্ছেন এবং সেটা দিন দিন আরও বাড়ছে। আমার সিনেমার টিজার-গান ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আমেরিকা ও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ রিভিউ করছে। এর অর্থ হচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে বৈশ্বিক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

শুধু সিনেমাই নয়, পণ্য উৎপাদন খাতেও নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে চান শাকিব খান। তার প্রতিষ্ঠান রিমার্ক হারল্যান ইতোমধ্যে হালাল পণ্য উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

শাকিব বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় স্থাপিত গবেষণাগারে আমাদের পণ্যগুলোর মানোন্নয়নের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর বিভিন্ন দেশে অবস্থিত কারখানাগুলোর মাধ্যমে গুণগত মান বজায় রেখে উৎপাদন করা হচ্ছে।

আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিব খানের নতুন সিনেমা বরবাদ। সিনেমাটির পোস্টার, টিজার ও গান ইতোমধ্যে দর্শকদের মধ্যে আলোচনার ঝড় তুলেছে। এ নিয়ে শাকিব বলেন, দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দারুণ! সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে আমার জন্য ভালো লাগার বিষয়।

রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত লিলি হালাল বিউটি সোপের বিএসটিআই সনদপ্রাপ্তি ঘোষণা অনুষ্ঠানে শাকিব খানের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, সংগীতশিল্পী তানজিব সারোয়ার, অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম, শবনম ফারিয়া, কেয়া পায়েল এবং অভিনেতা মামনুন ইমনসহ আরও অনেকে।

সিনেমার পাশাপাশি নিজের ব্যবসায়িক উদ্যোগ এবং বাংলাদেশের সিনেমার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আশাবাদী শাকিব খান। তার ভাষায়, এই পরিবর্তন ইতিবাচক। সিনেমা ও সংস্কৃতির সীমানা নেই। আমরা চাই, বাংলাদেশের সিনেমা বিশ্বদরবারে আরও বড় জায়গা করে নিক।


আরও খবর



সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কখন জরুরি?

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

জীবন মানেই সম্পর্কের মায়াজাল। পরিবার, বন্ধু, প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা জীবনসঙ্গী—প্রতিটি সম্পর্ক আমাদের জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। 

কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কগুলো আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবু, মানুষ সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে রাখে, মনে হয়, হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। 


কিন্তু সত্যি কি সব ঠিক হয়? 


আর সব ঠিক না হলে, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই কি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়?


কেন সম্পর্ক জটিল হয়?


সম্পর্ক তখনই জটিল হয়, যখন সেটা আর হৃদয়ের আরামদায়ক স্থান থাকে না। এটা হতে পারে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, মনোযোগের ঘাটতি, বিশ্বাস ভাঙন, কিংবা অবহেলার কারণে। 


আমরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না—এই সম্পর্কটা আমাদের জীবনের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর।


তাহলে কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসার সময় এসেছে? 


কিছু বিষয় হিসাব নিকাশ করতে পারেন। 


১. বিশ্বাস ভেঙে গেছে?

সম্পর্কের মূলে থাকে বিশ্বাস। যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া আর সম্ভব নয়। প্রতারণা কিংবা কথায় কথায় মিথ্যা বলার প্রমাণ পেলে দ্রুত সরে আসুন।


২. আপনার অস্তিত্বই যেন তুচ্ছ?

যখন সঙ্গী আপনাকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ করতে শুরু করে, তখন বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক আপনার আত্মসম্মানকে ধ্বংস করছে। মনে রাখবেন, ভালোবাসার সম্পর্কেও আত্মসম্মান জরুরি।


৩. মনোযোগ আর নেই?

ভালোবাসা মানে পারস্পরিক যত্ন। যদি দেখেন, সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে কিংবা আপনাকে অবহেলা করছে, তবে হয়তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব নয়।


৪. শ্রদ্ধার অভাব?

প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা নয়, শ্রদ্ধাও। যদি সঙ্গী আপনাকে বারবার অপমান করে কিংবা অসম্মান করে, তবে সেটা সম্পর্ক শেষ করার বড় সংকেত।


৫. দৈনিক ঝগড়া?

যদি প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, এবং সমাধানের চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যার শেষ না হয়, তবে হয়তো সেই সম্পর্ককে আর চালিয়ে নেওয়া উচিত নয়।


মাথায় রাখবেন, সম্পর্ক শেষ হওয়ার মানে জীবনের শেষ নয়। বরং, এটি একধরনের নতুন শুরু। 


নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মানসিক শান্তির গুরুত্ব দিন। সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা মানে আপনার জীবনে আরও সুন্দর কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।


জীবন ছোট। এমন সম্পর্ক টেনে নিয়ে চলার কোনও মানে নেই, যা শুধু কষ্ট আর হতাশা এনে দেয়। 


তাই নিজের আত্মসম্মান, শান্তি, আর সুখের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। 


মনে রাখবেন, সম্পর্কের মানে যদি বোঝা হয়ে যায়, তবে সেটিকে মুক্তি দেওয়াই শ্রেয়। 


জীবন অপেক্ষা করছে নতুন সম্ভাবনায়, নতুন আনন্দে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫