Logo
শিরোনাম

চড়া দাম অধিকাংশ পণ্যের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

কিছুদিন আগে সবজির ভরা মৌসুমেও দাম ছিল চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবজির দাম। তবে পবিত্র শবে বরাতকে সামনে রেখে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। এছাড়া বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন দেখা গেছে চিত্র। সকাল থেকে রাজধানীতে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে অন্য শুক্রবারের তুলনায় বাজারে ক্রেতার উপস্থিতিও কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে।

মোহাম্মদপুর স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের মুরগির মাংসের দামই ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দামের এই ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির দাম বেশ কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে। কেনা দাম বেশি পড়ায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে বাজারে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। ভোটের আগে প্রতি কেজির গরুর মাংস ৬০০ টাকা পর্যন্ত নামলেও ভোটের পরে তা ৭০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে দাম আরও বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।

গরুর মাংসের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, রোজা ও কোরবানিকে সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছে। সে জন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে।

শীতকালীন প্রতিটি সবজির কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে গ্রীষ্মকালীন সবজিগুলো ১০০ টাকার নিচে কিনতে পারছেন না ভোক্তারা। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, ব্রকলি ৫০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, খিরাই ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলু কেজিতে ৫ টাকা কমে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদি এসব বাজারে বগুড়ার লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকায়, শসা ১০০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, পটল ১৪০ টাকা এবং সাজনা ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, জালি কুমড়া ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকলি ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



এসএসসি পরীক্ষা পেছাতে আন্দোলনের ডাক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

জুলাই-আগস্টের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে গত আট থেকে নয় মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই আন্দোলনে সরব ছিল দেশ। যৌক্তিক-অযৌক্তিক, যার যা দাবি ছিল তা নিয়েই অস্থির করে তোলা হয়েছিল রাজপথ। এখনো এসবের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।

তবে এবার সরাসরি দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

সূত্র জানায়, পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা এক মাস পেছানোসহ দুটি দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে এসএসসির পরীক্ষার্থীরা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

তাদের দাবি দুটি হলো

এক. পরীক্ষা ১ মাস পেছানো

দুই. সব পরীক্ষায় ৩-৪ দিন বন্ধ দেয়া

শিক্ষার্থীদের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে শুরু হয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পর্যন্ত এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। আর অন্য জেলার শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডে আন্দোলন করবেন।

দাবির যৌক্তিকতা হিসেবে পরীক্ষার্থীরা বলছে, রমজান মাসে রোজা রেখে ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এক মাস সময় দিলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।

তারা আরও জানিয়েছে, গরমে একটানা পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। গরমে একটানা পরীক্ষা দিলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কেন্দ্রও দূরে। তাই প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে তিন-চার দিন বিরতি দিতে হবে।


আরও খবর



ঝালকাঠির সড়কে দানব হয়ে উঠেছে অবৈধ ডাইসু, নীরব প্রশাসন

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অনুমোদনহীন যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে  তিন চাকার ডিজেলচালিত ডাইসু চলাচলের ফলে সড়কগুলো হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। এসব যানবাহনের চালকদের বেশিরভাগেরই নেই বৈধ লাইসেন্স বা কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। একদিকে চালকরা নিজেরাই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে পথচারীদের জন্যও তৈরি হচ্ছে মৃত্যুঝুঁকি।

নলছিটির বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা তিন চাকার এই ডাইসুগুলো মূলত ইট, বালু ও কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে অদক্ষ চালকদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে এগুলো ভয়ংকর হয়ে উঠছে। গত কয়েক বছরে উপজেলার সড়কগুলোতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার বেশিরভাগই ডাইসুর কারণে ঘটেছে।

২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ডাইসু দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মো. নয়ন হোসেন নামে এক হেলপার।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নলছিটির সূর্যপাশা গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হাওলাদার ডাইসু উল্টে চাপা পড়ে মারা যান। 

এছাড়া ২০২২ সালে শুকতারা ব্রিকস এলাকায় ইটবোঝাই ডাইসুর নিচে চাপা পড়ে ভাবনা নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে এবং ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়।

সুবিদপুর ও কুশঙ্গল ইউনিয়নের ইটভাটাগুলোতে প্রতিদিন ৪০-৫০টি ডাইসু চলাচল করে। বিশেষ করে পূর্ব গোদন্ডা সড়কে এসব যানবাহনের আধিপত্য বেশি। ভারী যানবাহনের চাপে সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে, বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

এছাড়া শব্দ ও বায়ুদূষণের কারণেও ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয়রা। ফজরের নামাজের পর থেকেই এসব যানবাহনের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন পূর্ব গোদন্ডার বাসিন্দারা। রাস্তায় উড়তে থাকা ইটের গুঁড়া ও ধুলাবালিতে শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

এছাড়াও উপজেলার পৌর এলাকা,দপদপিয়া,  মগড়, কুলকাঠি সহ একাদিক এলাকায় অবৈধ যানবাহনের বেপরোয়া গতিতে মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা।  কখনো কখনো রাস্তার পাশে খাদে উল্টে পরে থাকতে ও দেখা যায় এসব ঝুঁকিপূর্ন অবৈধ যানবাহন। 

স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন। একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় মহলে প্রতিবাদ হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।

অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধ যানবাহনের মালিকদের মধ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন, ফলে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে সাহস পান না সাধারণ মানুষ। মৌখিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হলেও তেমন কোনো প্রতিকার মেলেনি। ইটভটা যেসব এলাকায় বেশি সে এলাকায় এসব অবৈধ যানবাহনের দাপট দেখা যায় ও বেশি। 

নলছিটির সাধারণ মানুষ দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা চান, প্রশাসন অবৈধ যানবাহন বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করুক এবং অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিক। সামনে ঈদুল ফিতর তখন ডাইসু দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সড়ক পরিনত হতে পারে মৃত্যুপুড়িতে।

স্থানীয় সচেতনমহল বলেন, এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনুমোদনহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, দক্ষ চালকদের প্রশিক্ষণ ও সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। অন্যথায় নলছিটি উপজেলার সড়কে দুর্ঘটনা বাড়তে থাকবে বলে মনে করেন তারা।  আরও বলেন সময় এসেছে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার না হলে এই প্রাণঘাতী অব্যবস্থাপনা নলছিটিকে আরও গভীর সংকটে ফেলবে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আঃ সালাম জানান, খুব শিগগিরই এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কাফন মিছিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ছয় দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর কাফন মিছিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনকারীরা আজকের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর একযোগে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল করবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, জুমার নামাজের পর বেলা দুইটার দিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট জামে মসজিদের সামনে থেকে কাফন মিছিল বের হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাঁধা ছিল। কারও কারও পরনেও ছিল কাফনের কাপড়।

মিছিলটি জামে মসজিদের সামনে থেকে তেজগাঁও এলাকার প্রধান সড়কে আসে। সাতরাস্তা মোড় ঘুরে মিছিলটি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে যায়। সেখানে কিছু সময় অবস্থানের পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে যান।

মিছিল থেকে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। এসব স্লোগানের মধ্যে ছিল—‘মামা থেকে মাস্টার, মামাবাড়ির আবদার, এক হও এক হও, পলিটেকনিক এক হও, ষড়যন্ত্রের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব দাও

গত বুধবার ছয় দফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সড়ক আটকে রাখায় তীব্র যানজটে পড়ে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। পরে তাঁরা সারা দেশে বৃহস্পতিবার রেল ব্লকেড বা রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু গতকাল সকালে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক আছে। বৈঠকের আগপর্যন্ত রেল ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল থাকবে।

গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থাকায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) দুপুর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে ছিলেন না। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলামও ঢাকার বাইরে ছিলেন। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল। দুপুর ১২টার দিকে বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা তিনটার দিকে।

এই আলোচনায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হননি। এ অবস্থায় তাঁরা আন্দোলনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মশাল মিছিল করেন তাঁরা। গতকাল রাতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, আজ শুক্রবার দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর একযোগে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল করবেন।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।


আরও খবর



ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত তাঁত পল্লি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লি গুলো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁত মালিকরা। গত বছরের তুলনায় এবছর চাহিদা অনেক বেশি বলে জানান তাঁত মালিকেরা ।

তাঁত সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও চৌহালী উপজেলায় পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে অন্তত ৫ লাখ তাঁত রয়েছে । তাছাড়াও উল্লেখিত এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার তাঁত কারখানা রয়েছে । এতে প্রায় ২৩-২৪ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, গামছা, থ্রিপিস তৈরি করছে । তবে, ৯০ শতাংশ তাঁতে মূলত তৈরি হয় শাড়ি ও লুঙ্গি । আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সব কারখানায় দিন- রাত ব্যস্ততা বেড়েছে। এখানে তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মানের জামদানী, কাতান, সিল্ক, বেনারশি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, গামছা ও থান কাপড়। এখানকার উৎপাদিত কাপড় সমূহের কদর রয়েছে দেশ জুড়ে।

জেলার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম এ শিল্পটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে অন্তত ৫ লাখ মানুষ। বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার তাঁত পন্য উৎপাদিত হয় প্রায় ৭০ কোটি মিটার কাপড়। এ কারণে জেলার ব্র্যান্ডিং ঘোষণা করা হয় তাঁতশিল্পকে। নাম দেয়া হয় তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জ।

দিনের আলো ফোটার সাথে সাথেই তাঁতের খট খট শব্দে মুখরিত থাকতো সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীগুলো। কালের আবর্তে এবং আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে তাঁত কারখানাগুলোতে। উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি কারখানায় যন্ত্র চালিত পাওয়ার লুম দিয়ে শাড়ী, লুঙ্গি আর গামছা তৈরি করা হয়। তাঁত শ্রমিক হামিদ, শহিদুল, আলামিন, মিতু বেগম, জাহানারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে এখন এখানকার তাঁত মালিকরা পুরোদমে কারখানা চালু করেছে । ফলে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে । এখন প্রতিদিনই কাজ হচ্ছে । এখন তাঁত চালু হওয়ায় আমাদের অভাব অনেকটাই দুর হয়েছে।

তাঁত শ্রমিক শফিকুল জানান, প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি। ফলে সাপ্তাহে ৫ হাজার টাকার বেশি মজুরি পাই। এতে পরিবারের সবার চাহিদা মিটিয়ে সকলকে নিয়ে এবার সুন্দরভাবে ঈদ করতে পারব।

কাপড় ব্যবসায়ী শহীদ সরকার জানান, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের এনায়েতপুর ও সোহাগপুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতারা এখান থেকে কাপড় পাইকারি কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করেন।

বেলকুচি উপজেলার শফিকুল ইসলাম শফি, খুকনীর ফিরোজ উইভিং ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ হাসান অনিক আলামিন, আব্দুল আজিজ বাবু সহ একাধিক তাঁত মালিক বলেন, বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করেন তাঁত মালিকরা।

খামার গ্রামের সফল জাতীয় কারুশিল্পী পদকপ্রাপ্ত তাঁতি আফজাল হোসেন লাভলু বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে এবার ভারতে শতকোটি টাকার সুতি শাড়ি ইতিমধ্যেই রপ্তানি হয়েছে। আমিও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের শাড়ি রপ্তানি করেছি।

বেলকুচি পাওয়ারলুম এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ এম.এ বাকী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে তাঁত বস্ত্রের মোট উৎপাদনে ৭০-৭৫ ভাগ সিরাজগঞ্জ জেলাতে উৎপাদিত হয়। যার মূল্য কয়েকশো কোটি টাকা। মালিকেরা সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত কাপড়ের সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা, তাঁত মালিকদের নানা সমস্যা দূরিকরণে সরকারি সহয়োগিতা একান্ত প্রয়োজন। তাছাড়াও সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প রক্ষায় বাইরের দেশ থেকে অবৈধভাবে শাড়ি আসা বন্ধ এবং রং-সুতা সহজলভ্য করতে না পারলে এই তাঁত শিল্প উন্নয়নে হোচট খাবার কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ তাঁতবোর্ড সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত লিয়াজো অফিসার ইমরানুল হক বলেন, কোন কুচক্রি মহল যেন সুতা ও রংগের দাম বাড়াতে না পাড়ে সেজন্য সরকারি হত্যক্ষেপ কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র তাঁতশিল্প রক্ষায় ৫% হারে ঋণসহ বাহারি ডিজাউনের শাড়ী তৈরীর জন্য তাঁতীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি আলহাজ আব্দুস ছামাদ খান জানান, ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জসহ দেশের তাঁতশিল্পে শ্রমিক ও মালিকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশেষ করে তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত শাড়ির সুনাম দেশজুড়ে রয়েছে। তবে এই শিল্পের প্রসার ও ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সমিতির পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়া হবে।


আরও খবর



ঈদের দিন থাকবে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের দিন সরাদেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঈদের দিন সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা আছে। সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে।

ঈদের দিন কোনো ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত ঘূর্ণিঝড় বা কোনো ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তবে ঈদের দুই-এক জায়গাতে হতে পারে; তাও না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ঈদের দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে অস্থায়ীভাবে দেশের দুই এক-জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, লক্ষীপুর ও ফেনী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী রোববার (৩০ মার্চ) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর