Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার পর প্রথম ৩ দিন বিপজ্জনক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার পর প্রথম তিন দিন বিপজ্জনক সময়। এই সময়ে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।

ভিসি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় দেশ সেরা। এডাল্ট ৭০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শিশু বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। যারা সবাই সুস্থ হয়েছে। আমাদের সেবার মান আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেমিনারে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরের গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন রোগীর জ্বর ছেড়ে যায়। জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা ডেঙ্গু রোগীর ক্রিটিক্যাল সময়। এটি ডেঙ্গু জ্বরের গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সময় রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের প্রতি বেশি যত্মশীল হতে হয়। কারণ শিশুদের শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা স্পষ্ট করে বলতে পারে না। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের বাইরে থেকে স্বাভাবিক মনে হলেও যেকোনো সময় শিশুরা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে চলে যেতে পারে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের যথাযথ মনিটরিং করতে হবে। যেন কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা ডাইনামেকিস অব ডেঙ্গু ভাইরাস ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ডেঙ্গু ভ্যাকসিন আপডেটস, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহবুব মোতানাব্বি ক্লিনিক্যাল প্রেসেন্টেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব ডেঙ্গু: পেডিয়াট্রিক অ্যাসপেক্ট ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী ম্যানেজমেন্ট অব ডেঙ্গু ইনফেকশন: টিপস অ্যান্ড ট্যাকটিস শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ মতামত প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সাব কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী।


সূত্র : বাসস


আরও খবর



ওয়ালটন প্লাজা উৎসব-২০২৩ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিশেষ প্রতিনিধি : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ালটন প্লাজা উৎসব-২০২৩। উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওয়ালটন প্লাজার ছয় শতাধিক ম্যানেজার অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখায় ১৪৪ জন সেলস এক্সিকিউটিভস ও প্লাজাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। 

‘জয় প্লাজার জয়, ওয়ালটন প্লাজার জয়’ গানকে সামনে রেখে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে দিনব্যাপী ‘প্লাজা উৎসব-২০২৩’ এর আয়োজন করে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য বিক্রয় এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন প্লাজা’। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটনের পরিচালক ও প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, সাবিহা জেরিন অরণা, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি। 

এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু ও ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। 

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেকের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন। এর পেছনে বিশেষ অবদান রেখেছে ওয়ালটন প্লাজা। সফলতার এই ধারাবাহিকতা ওয়ালটন প্লাজা বজায় রাখবে বলে তার প্রত্যাশা।

 ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ওয়ালটনের শক্তিশালী সেলস প্লাটফর্ম হচ্ছে প্লাজা। তারা ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় ও মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সবচেয়ে বড় শক্তির উৎস।  

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার বিক্রয় প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪৪ জন ম্যানেজার ও প্লাজার হাতে পুরস্কার, পদোন্নতিপত্র এবং সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ওয়ালটনের পরিচালক এবং প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম।  

পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং পার্টনার এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের নাম্বার ওয়ান ও সর্ববৃহৎ সেলস নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। এটা নিঃসন্দেহে আপনাদের জন্য এক বড় অর্জন। ওয়ালটন প্লাজার প্রতি ক্রেতাদের আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতা বজায় রাখাই আপনাদের এখন মূল দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে কৌশলগত বিক্রয় পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দেন তিনি। 

ওয়ালটন ডিজি-টেকের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম জানান, ওয়ালটন প্লাজার ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। সেলস, কালেকশন আর বেনিফিট এই তিনটির সমন্বয়ে দারুণভাবে পুরো ওয়ালটন গ্রুপকে এগিয়ে নিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার চলমান বিক্রয় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সেলস এক্সিকিউটিভসদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন সিইও মোহাম্মদ রায়হান। তিনি বলেন, দেশের ১ নাম্বার সেলস নেটওয়ার্ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার মাধ্যমে আমরা দেশ জয় করতে সক্ষম হয়েছি। স্বপ্ন এখন বিশ্ব জয়ের। ওয়ালটন প্লাজা নিয়ে আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন রয়েছে। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবো আমরা। 

সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী ওয়ালটন প্লাজা উৎসব-২০২৩।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




পদ্মা সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেললাইনে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করেছে। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি দুই দিন চলবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

১৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে গতি বাড়িয়ে চারবার এই রেলপথে যাতায়াত করে ট্রেনটি।

জানা গেছে, সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেল স্টেশন থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে সকাল ৯টা ৬ মিনিটে পৌঁছায়। পরীক্ষামূলক এই ট্রেনের গতিসীমা ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এরপর সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে মাওয়া রেল স্টেশন থেকে পুনরায় ভাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সে সময় গতিসীমা নির্ধারণ করা হয় ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।

১০টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে চেড়ে যায় ট্রেনটি। সে সময় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চলাচল করে। সবশেষে ১১টা ৩০ মিনিটে মাওয়া থেকে ভাঙ্গায় ফিরে আসে ট্রেনটি। তখন ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ছিল ১২০ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে রেল চলাচলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে এই পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে।এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা থেকে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ট্রেন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছায়।

জানা গেছে, আগামী ১০ অক্টোবর নতুন এই রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ট্রেনে চড়ে রাজধানীতে আসা-যাওয়ার বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




আয় ৫ লাখ টাকার কম হলেই এক পাতার রিটার্ন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

এখন থেকে বার্ষিক আয় পাঁচ লাখ টাকার কম হলেই এক পাতার ফরম পূরণ করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে। নতুন আয়কর রিটার্ন বিধিমালাসংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আয় পাঁচ লাখ টাকার কম বা সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকার কম হলে করদাতার নাম, ছবি, টিআইএন নম্বর, কর সার্কেল, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, সম্পদের পরিমাণ, করযোগ্য আয় ও করের পরিমাণ দিয়ে খুব সহজেই এক পাতার ফরম পূরণ করে রিটার্ন দেওয়া যাবে। তবে বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকার কম হলে বা ৪০ লাখ টাকার কম সম্পদ থাকলেও কোনো করদাতার যদি একটি গাড়ি থাকে, কিংবা সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট থাকে, তাহলে তাদের জন্য এক পাতার ফরম প্রযোজ্য হবে না। তাদের পুরোনো ফরমে রিটার্ন দিতে হবে।

এর আগে, ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো এমন সুবিধা চালু করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই বছর যাদের বার্ষিক আয় চার লাখ টাকার কম বা সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকার কম, তারা এক পাতার ফরম পূরণ করে রিটার্ন দাখিলের সুবিধা পেতেন। তবে চলতি বছরে আয়ের সীমা ১ লাখ বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।

এনবিআরের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) ব্যক্তির সংখ্যা ৭৪ লাখ ২৪ হাজার ৩৯৭। চলতি বছরে মাত্র ২৬ লাখ করদাতা বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন। বাকি ৪৮ লাখ টিআইএনধারী আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না পেঁয়াজ-আলু-ডিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সরকারের এই দাম নির্ধারণের একদিন পর সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। নতুন দামের নির্দেশনা ব্যবসায়ীরা পেলেও, মানছে না কেউই।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের নির্ধারণ করা দামে আমরা কিনেও আনতে পারিনি, তাহলে ওই দামে বিক্রি করবো কী করে?

মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যথারীতি আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে, যেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা করে। এছাড়াও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে, যেখানে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। এছাড়াও ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫৫ টাকা করে, যেখানে সরকারি নির্ধারিত দাম ৪৮ টাকা।

আলুর দাম প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মো. নাহিদ হোসেন বলেন, আলু বর্তমানে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা পাইকারি দরেই কিনে আনতে হয়েছে। ৪৪-৪৫ টাকার নিচে কিনতে পারাই কঠিন, তাহলে সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা করে বিক্রি করবো কী করে? আমরা কি লস দিয়ে বিক্রি করবো? আমরা যদি কমে কিনতে পারি তাহলে অবশ্যই কমে বিক্রি করবো।

তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের তালিকা এখনও আমাদের কাছে আসেনি। আমরা যদি ওই দামে কিনতে পারি তাহলে তো বেশি দামি বিক্রি করার কোনো মানে হয় না। দাম কম থাকলে বরং বিক্রি আরও বেশি হয়।

অন্যান্য দ্রব্যের দাম প্রসঙ্গে নাহিদ আরও বলেন, আজকের বাজারে বেগুন এক কেজি ১০০ টাকা, করলার কেজি ৬০, পটল ৪০, ঢেঁড়স ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শসা কেজি ৫০ টাকা, ফুলকপি পিস ৩০ টাকা, বাঁধাকপি পিস ৩০ টাকা। বাজারের দামটা মোটামুটি স্বাভাবিকই বলা যায়। তবে শুধুমাত্র বেগুনের দামটা বেড়েছে। ৬০ টাকা ৭০ টাকা ছিল সেটি এখন ১০০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত দাম প্রসঙ্গে আপনারা অবগত কি না? জানতে চাইলে সেলিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই অবগত। বিষয় হলো সরকার নির্ধারিত এই দাম আমাদের কাছে আসতে সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। সরকার নির্ধারিত যে পেঁয়াজের দাম, সে দামে আমরা আজকে কিনেও আনতে পারিনি। তাহলে কীভাবে সেই দামে বিক্রি করবো?

‘আলুর যে সিন্ডিকেট, ভোক্তা পর্যায়ে আসার আগেই দামের পাঁচটি স্তর রয়েছে। ৩০ টাকার আলু যদি এই পাঁচটি স্তরে ২ টাকা করেও লাভ করা হয়, তারপরও ১০ টাকা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হবে।’

কোনো কিছুর দাম বাড়লে খুচরা বাজারে সঙ্গে সঙ্গেই দাম বেড়ে যায়, দাম কমার ক্ষেত্রে তাহলে কেন ধীরগতি? -এবিষয়ে জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, আমাদের খুচরা বাজারে যে কোনো পণ্যের দাম আড়তের সঙ্গে মিলিয়ে বিক্রি করতে হয়। আড়ৎ যদি রাতারাতি দাম কমিয়ে দেয়, তাহলে আমরাও কমে বিক্রি করতে পারি। আবার আরও যদি রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমাদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। দামটা আসলে সরাসরি আড়তের সঙ্গে নির্ধারিত।

ডিম বিক্রেতা মো. আলী হোসেন বলেন, ডিম প্রতি ডজন বিক্রি করছি ১৫৫ টাকা করে, হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা করে। সরকারের নতুন দাম নির্ধারণ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমরা যদি কমদামে কিনে আনতে পারি, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে খুচরা বাজারে তদারকি করার আগে পাইকারি বাজার এবং আড়ৎগুলোতে কী দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটি আপনাদের দেখা উচিত।

তিনি আরও বলেন, শুনেছি সরকার আলু পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাজারে এসে তার কোনো প্রতিফলন দেখছি না। যেখানে আলু বিক্রি করতে বলা হয়েছে ৩৫ টাকা করে, সেখানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। এখনও দামের কতটুকু পার্থক্য ভাবাই যায় না। আজকে যদি দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানো হতো, তাহলে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তি দামে বিক্রি শুরু হয়ে যেত। বর্তমানে ব্যবসায়ীদের চরিত্রটাই এমন হয়ে গেছে।

এই ডিম বিক্রেতা বলেন, বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কেউ কারও নির্দেশনা মানে না। যে যেভাবে পারছে দাম বাড়াচ্ছে, আর বিক্রি করছে। মানুষ তাদের কাছে অনেকটাই জিম্মি।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাহবুবুর রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। মানুষের আয়-ইনকাম কমে গেছে। অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে ঘুরছে। এই অবস্থায় বাজার যদি এমন উর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে আমরা বাজার করবো কী করে? আমাদের সংসার চলবে কী করে?


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি : রাশিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ায় সফররত উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনো সামরিক চুক্তি করেননি বলে জানিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন।

গত মঙ্গলবার ট্রেনে করে রাশিয়ায় পৌঁছান পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ দেশ উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। তার এ সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, রাশিয়ার কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রির চুক্তি করতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে দেশটিতে যাবেন কিম।

তবে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ক্রেমলিন জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি।  

এদিকে পুতিনের সঙ্গে কিমের এ বৈঠক নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো। কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়াকে স্যাটেলাইট ও রকেট উৎক্ষেপণের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে রাশিয়া।

তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে করা চুক্তির একটিও ভঙ্গ করবেন না তারা।

এ ব্যাপারে পুতিন বলেছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের প্রতিবেশী, এবং আমাদের অবশ্যই, যে কোনো ভাবে বা যে কোনো উপায়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রতিবেশীসূলভ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘হ্যাঁ, কিছু নির্দিষ্ট বিষয় কোরিয়ান উপদ্বীপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করি, আমরা প্রকাশ্যে এগুলো নিয়ে আলোচনা করি। আর এক্ষেত্রে আমরা কোনো কিছু ভঙ্গ করি না এবং ভঙ্গ করবও না।’

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়া কোনো সামরিক চুক্তি করলে এর মাধ্যমে জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করা হবে।



আরও খবর