এবার ডেঙ্গুতে
ড্যান-টু এবং ড্যান-থ্রিয়ের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো.
শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সরকারি
হাসপাতালগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছে। এডিস মশা বিরোধী
অভিযানে জরিমানা হিসেবে আদায়কৃত অর্থ ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া সামর্থ্যহীন ব্যক্তির
পরিবারকে প্রদান করা যেতে পারে।
শারফুদ্দিন
আহমেদ বলেন, ডেঙ্গুর সংকট নিরসনে ব্যক্তির চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বেশি
গুরুত্বপূর্ণ। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে ডেঙ্গু
প্রতিরোধে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেন ডেঙ্গু
ঝুঁকি তৈরি করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করা দরকার।
তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকা
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আমদানিকৃত বিটিআই এডিস মশা নিধনে ৯২ শতাংশ কার্যকর।
লার্ভা নিধনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
ডেঙ্গু
চিকিৎসা প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, জেলা-উপজেলাপর্যায়সহ সারাদেশে ডেঙ্গু চিকিৎসার
প্রটোকল অনুসরণ করে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজনসহ শুধু
জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা যেতে
পারে। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
ডেঙ্গু আক্রান্ত নিম্নআয়ের মানুষদের অবস্থা আরও করুণ। ডেঙ্গুর এই ভয়াবহতার সময় ডাব
ও স্যালাইন সিন্ডিকেট জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে, যা
মোটেই কাম্য নয়।