Logo
শিরোনাম

ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ঢাকা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ধীরগতির শহরের তালিকায় শীর্ষ ২০টি শহরের মধ্যে ৩টি বাংলাদেশের। বিপরীতে সবচেয়ে দ্রুত গতির ২০ শহরের মধ্যে ১৯টি যুক্তরাষ্ট্রের।

১৫২টি দেশের ১ হাজার ২০০টির বেশি শহরে যান চলাচলের গতি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। তিন লাখের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে, এমন সব শহরে গাড়িতে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে কত সময় লেগেছে, সেই তথ্য গুগল ম্যাপ থেকে সংগ্রহ করে গবেষণায় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহের বিভিন্ন দিন এবং দিনের বিভিন্ন সময়ে যাতায়াতের তথ্য নেয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় গবেষণাটি করেছেন ফিনল্যান্ডের আলটো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনব্যবস্থার অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রত্যয় আমান আকবর, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক ভিক্টর কুচিও, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিয়েল এস্টেট বিভাগের অধ্যাপক গিলেস ডুরানটন এবং যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক অ্যাডাম স্টোরিগার্ড।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সূচকে ০.৬০ পয়েন্ট নিয়ে ধীরগতির তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার দুই শহর লাগোস ও ইকোরদু। তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা। পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্রতিবেশী ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার শহর বিওয়ান্দি। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা রয়েছে তালিকার ৬ নম্বরে। ধীরগতির শহরের তালিকায় ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের দুই শহরময়মনসিংহ (৯ম) ও চট্টগ্রাম (১২তম) রয়েছে।

রাস্তায় যানবাহনের চাপ কম থাকার পরেও সবচেয়ে ধীরগতির ২০টি শহরের তালিকাও করা হয়েছে গবেষণায়। সেখানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। তালিকায় বাংলাদেশের আরও চারটি শহর রয়েছেখুলনা (৪র্থ), ময়মনসিংহ (৫ম), চট্টগ্রাম (১৮তম) ও কুমিল্লা (১৯তম)।

বিপরীতে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির শহরের তালিকার শীর্ষ ২০-এর ১৯টিই যুক্তরাষ্ট্রের। সূচকে দশমিক ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মিশিগানের শহর ফ্লিন্ট। তালিকার শীর্ষ থেকে শুরু করে ১৮ নম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের শহর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রিনসবোরো ও উইচিতা। শীর্ষ ২০-এ কানাডার একটি মাত্র শহর স্থান করে নিয়েছে। সেটি হলো উইন্ডসর। রয়েছে তালিকার ১৯তম অবস্থানে।

শহরের আয়তনের অনুপাতে সবচেয়ে বেশি মোটরযান রয়েছে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতায়। এরপর রয়েছে রাশিয়ার শহর ক্রাসনোদার। তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর ও রোমানিয়ার বুখারেস্ট। এরপরের শহরগুলো হলো-মস্কো, ব্যাংকক, ম্যানিলা, ব্যাঙ্গালোর, ভ্লাদিভস্টক, মেক্সিকো সিটি, লাগোস, লন্ডন, মুম্বাই, ইয়াকাতেরিনবার্গ, গুয়াতেমালা সিটি, পানামা সিটি, নাইরোবি, নিউইয়র্ক, সান ডোমিঙ্গো ও দিল্লি।


আরও খবর

অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




আইকনিক রেলস্টেশনের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি নির্মিত দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১১ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শেষে শিশুদের সঙ্গে ছবি তুলেন। এরপরই মঞ্চে উঠে বসেন। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।

উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর রামু থেকে হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছে সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মহেশখালীর মাতারবাড়ি। নির্মাণাধীন ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটসহ, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।

সেখানে এ উপলক্ষ্যে জনসভারও আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীনরা। স্থানীয়দের তাই বহুমাত্রিক উচ্ছ্বাস দিনটিকে ঘিরে। রেলসেবা সম্প্রসারণ, বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ একগুচ্ছ কৌশলগত প্রকল্পের উদ্বোধনে পাল্টে যাবে পুরো এলাকার প্রতিচ্ছবি। প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

যা আছে আইকনিক রেলস্টেশনে : কক্সবাজার সৈকতের কাছে ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় নির্মিত হয়েছে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ছয়তলাবিশিষ্ট আইকনিক রেলস্টেশন। ২৯ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের রেলস্টেশনটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

নতুন এই রেলস্টেশনে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্ন কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুবিধা। দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আইকনিক রেলস্টেশনে আরও আছে ডাকঘর, কনভেনশন সেন্টার, তথ্যকেন্দ্র, এটিএম বুথ ও প্রার্থনার স্থান।

চোখধাঁধানো আইকনিক এ স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ; ছাদের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা ব্যবহার করতে হবে না বাড়তি আলো। আর আধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে গ্রিন স্টেশন। একই সঙ্গে সুবিশাল চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা থেকে নামতে হবে ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে। আর আসার যাত্রীরা বের হবেন নিচ থেকে। যার জন্য প্রস্তুত চারটি চলন্ত সিঁড়ি। স্টেশনের ভেতরেই রয়েছে সাতটি টিকিট কাউন্টার। আর চাইলেই নির্দিষ্ট লকারে ব্যাগ রেখে পর্যটকরা ঘুরে আসতে পারবেন পুরো শহর।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এসি বার্থ শ্রেণির জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৬ টাকা। শোভন চেয়ারের জন্য ২০৫ টাকা, এসি চেয়ারের জন্য ৩৮৬ টাকা এবং এসি সিটের জন্য ৪৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, লোকাল ট্রেনের জন্য (দ্বিতীয় সাধারণ শ্রেণির আসন) চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া ধরা হয়েছে ৫৫ টাকা। মেইল ট্রেনের জন্য ৭০ টাকা। এ ছাড়া কমিউটার ট্রেনে করে গেলে দিতে হবে ৮৫ টাকা।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের দূরত্ব ৫৫১ কিলোমিটার। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে নন-এসি অর্থাৎ শোভন চেয়ারে ৫১৫ ও এসি সিটে ৯৮৪ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি সিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভাড়া হবে ১ হাজার ১৩২ টাকা। ভ্যাটসহ এসি কেবিনে ১ হাজার ৩৬৩ ও এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ২ হাজার ৩৬ টাকা। কিন্তু এখনই এ পথের ভাড়া চূড়ান্ত করেনি রেলওয়ে।

১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৯টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট ও ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। আর লেভেল ক্রসিং করা হয়েছে ৯৬টি।

উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।

এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করে।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




আলো ছড়াচ্ছে মাভাবিপ্রবিয়ান কামরুজ্জামানের স্টেশন পাঠাগার

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

সমাজের মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়ানো তথা  সুশিক্ষার কথা বিবেচনা করে, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০১০ সনে পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন।  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। মাভাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অপরাধ বিষয়ক গবেষণায় ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিং এ স্থান অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরেছেন বিশ্বদরবারে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের  সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এ কর্মরত রয়েছেন।

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারে বই, পুস্তিকা, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রীর একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন মো. কামরুজ্জামান যাতে সবাই এই উপকরণগুলোর সাহায্যে গবেষণা ও তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন। পাঠাগারটিতে বই পড়া, জ্ঞান আহরণ তথা নতুন তথ্য অনুসন্ধানের জন্য প্রতিনিয়তই পাঠকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন বয়সের নারী-পুরুষ এখানে এসে জ্ঞানের অতল সমুদ্রে অবগাহন করতে পারেন। আবার কেউ চাইলে নির্দিষ্ট নিয়মের মাধ্যমে পাঠাগারের সদস্য হতে পারেন। কোন পাঠক ইচ্ছা করলে পাঠাগারে বসে বই পড়তে পারেন আবার চাইলে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারেন। জানা যায়, পাঠাগারটি পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে। তাদের সহযোগিতায় সদস্য হওয়া, বই নেয়া, বই ফেরৎ দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পন্ন হয়ে থাকে। তারাও তাদের কর্তব্য সুন্দরভাবে পালন করছেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বই পড়ার মাধ্যমে অনেকেরই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আজেবাজে আড্ডা না দিয়ে এই পাঠাগারে সময় দিচ্ছে যা তাদের বিভন্ন আসক্তি থেকে দূর রাখছে। গ্রন্থাগারটি পরিদর্শণ ও অনুসন্ধান করলে  বুঝা যায় এর গভীরের সৌন্দর্য। পাঠাগারটির পাশাপাশি বাস স্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার , রেল স্টেশন অণু-পাঠাগার, সেলুন অণু - পাঠাগার চালু করা হয়েছে। এ পাঠাগারের যাবতীয় কার্যক্রম সত্যিই অবাক হওয়ার মত। মূল পাঠাগার ছাড়াও অপেক্ষমাণ মানুষের জন্য  এ পর্যন্ত  ৮ টি সেলুন অণু-পাঠাগার, ১ টি বাসস্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার ও ১ টি স্টেশন  অণু-পাঠাগার চালু করা হয়েছে।


পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, “অনেক মানুষ আছেন, যারা বই পড়তে ভালোবাসেন তবে নিয়মিত বই কিনে পড়ার সামর্থ নেই তাদের জন্য সহজে বই পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পাঠাগারটি শুধু বই পড়াকে ঘিরে নয়, আমরা বিনোদনের আয়োজনও করে থাকি। প্রতি বছর প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা, বৃত্তি প্রদান, কবিতা আবৃতি, গান এবং কোরআন-এর হাফেজদের নিয়ে আল-কোরআন পাঠসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা সভা করা হয়ে থাকে।”

তিনি আরও জানান, “পাঠাগারের সংগ্রহে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের  ২৫০০  এর বেশী বই রয়েছে। যেমন-ধর্মীয়, সাহিত্য, বিজ্ঞানমনস্ক, ইতিহাসমূলক, জীবনী, চাকুরি পারীক্ষার প্রস্তুতিমূলক বই, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, শিশু সাহিত্য ছাড়াও একাডেমিক বই বিদ্যমান। পাঠাগারটির উন্নয়নে যারা বই দিয়ে এবং বিভিন্ন সময় সুপরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

মাভাবিপ্রবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর ঘোষ বলেন, “ আমার ভাইবা থাকায় সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে দেখি নাপিত ২ জন চুল কাটছেন। বাকি যারা সিরিয়ালে রয়েছেন,  বেন্ঞ্চে বসে সবাই গল্পের বই ও পত্রিকা পড়ছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম সেলুনে পাঠাগার!  তখন জানতে পারলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর পাঠাগার তৈরীর গল্প। তাই আশা করি, এভাবেই এগিয়ে যাবে ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ চারদিকে ছড়াবে জ্ঞানের আলো। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে এই পাঠাগারটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। 


টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামান জানান, "বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগটি অনেক মহৎ উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানাই।

আমরা পাঠাগারটির পাশে থাকবো। আমরা চাই এমন উদ্যোগ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক।  

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা জানান, "ভবিষ্যতে পাঠাগারের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ভবন নির্মাণসহ বইয়ের সংগ্রহ আরও বেশি সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সমাজের বিবিধ সমস্যাগুলো সমাধানেও এই প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে। তাই আশা করি আমাদের সহযোগিতায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তি, সংগঠন যদি এগিয়ে আসে তাহলে  পাঠাগারের কার্যক্রমের পাশাপাশি মাদকাসক্তি, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বিলুপ্তকরণসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।


আরও খবর



গোপালগঞ্জের আশরাফ মাস্টারে মৃত্যু বার্ষিকী শ্রদ্ধাবরে স্বরন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মোঃ মাসুদ রানা, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জিটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফ আলী বিশ্বাস এর ৯ম তম মৃত্যু বার্ষিকী গভীর শ্রদ্ধাবরে স্বরন করছে টুঙ্গিপাড়াবাসী সহ বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা তার সকল শিক্ষার্থীরা।

মরহুম মোঃ আশরাফ আলী শেখ ৬৬ বছর বয়সে ২০১৪ সালের ১৭ই নভেম্বর দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।মৃত্যু কালে তিনি রেখে যান তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তান সহ তার নিজ হাতে গড়া বহু সু শিক্ষায় শিক্ষিত জনদের , যারা আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত আছেন, তাদের মাঝে সচিব, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আর্মি অফিসার, র্যা ব সহ আরো অনেকে আছেন।

মরহুম মোঃ আশরাফ আলী মাস্টার ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পযর্ন্ত কঠের হাতে জিটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। টুঙ্গিপাড়াবাসী আজো তাকে তার কৃতিত্ব ও আদর্শের সম্মানে স্বরন করে।  সারা দেশের তার আদর্শের শিক্ষার্থীদের কাছে মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন তার পরিবারের পক্ষে একমাত্র পুত্র বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মো: আশিকুর রহমান (মিলটন)।


আরও খবর



দেশে প্রতিদিন নিউমোনিয়ায় ৬৫ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশ্বজুড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের জন্য অত্যন্ত জটিল সমস্যা নিউমোনিয়া। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আর বাংলাদেশে প্রতি বছর নিউমোনিয়ায় ২৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়।

এমন প্রেক্ষাপটে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করুন, প্রতিটি প্রশ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে রবিবার (১২ নভেম্বর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সব হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও লাং ফাউন্ডেশন সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দশক ধরে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর প্রথম কারণ নিউমোনিয়া। আর বায়ুদূষণের কারণে এই রোগে আক্রান্তের হার শহরে বসবাসকারী ও গরিবদের তুলনামূলক বেশি। তবে শহর ও গ্রাম উভয় জায়গায় বেশি মারা যাচ্ছে অক্সিজেনের অভাবে।

দেশে শীতকালে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। তবে শিশুর জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে নিউমোনিয়ার আশঙ্কা ১৫ শতাংশ কমে যায়। আর ঘরের বাতাসের গুণগতমান উন্নত করে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমানো সম্ভব।

বারডেম হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, নিউমোনিয়ার শুরুতে কাশি হয়; যা সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এ থেকে শ্বাসকষ্ট এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

শিশু বিশেজ্ঞরা বলছেন, শিশুর শ্বাসকষ্ট, জ্বর-কাঁশি, শ্বাসের সময় বুক ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ। শীতকালে এই রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মায়েদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬০০ ছাড়ালো

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে পণ্য সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ।

বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) দুপুরে আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের সহযোগীতায় তেলিগাতী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উক্ত খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো: শামসুল ইসলাম, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুহা: জিয়াউর রহমান, সহকারী শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাজহারুল আলম, সম্রাট মিয়া সহ  সমিতির অন্যান সদস্যরা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।

২০২১ সালে  প্রতিবন্ধীদের কে নিয়ে  করে তুলা হয় প্রতিবন্ধীদের  সহায়তায় তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতি। সমিতির সদস্য প্রায় চারশত।নিয়মিত এই সমিতিটির প্রতিবন্ধী পরিবারদের সহায়তায় করে যাচ্ছে।


আরও খবর