Logo
শিরোনাম

ধর্ষণ করে হত্যার পর মেয়েটিকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়

প্রকাশিত:রবিবার ২০ মার্চ ২০22 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

মাগুরার শ্রীপুরের শ্রীকোলের স্কুল ছাত্রী রাজিয়া (১২) হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার শ্রীপুরের বারইপাড়া থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ঘাতকের নাম হাসান শেখ (২৩)। সে শ্রীপুরের হাট শ্রীকোল গ্রামের ফজলু শেখের ছেলে। 

মাগুরার শ্রীপুরের শ্রীকোলে আজ রবিবার সকাল ১০টায় এ বিষয়ক প্রেস ব্রিফিং কালে যশোর র‌্যাব-৬ , সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, ঘটনার দিন শেখ হাসান ঘটনাস্থল শ্রীপুরের শ্রকোলে কুমার নদের পাড়ে রসুন ক্ষেতে একা পেয়ে রাজিয়াকে প্রথমে মুখ চেপে ধর্ষণ করা হয়। সে বাঁচার আকুতি জানালে ধারালো ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর দ্বিতীয়বার ধর্ষণের চেষ্টা করে।

পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাসান এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ের পর হাসানকে শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 র‌্যাব কমান্ডার জানান, রাজিয়া হত্যার তদন্ত নিয়ে শনিবার মাঠে নামে তারা। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তৎপরতার এক পর্যায়ে ঘটনার সাথে হাসান শেখের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। সেই সূত্র ধরে র‌্যাব শ্রীপুরের বারই পাড়া শ্বশুর বাড়ি থেকে শনিবার হাসান শেখকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 



আরও খবর



রাতেও জ্বলবে সুন্দরবনে আগুন, ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

 পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ড্রেনের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ওই এলাকায় পৌঁছালেও আগুনের কাছেই যেতে পারেনি। সন্ধ্যা হওয়ায় এবং কাছাকাছি কোনও পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নুরুল করিম বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ ও দুর্গম এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ে ছুটে যাই। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির উৎস খুঁজি। কিন্তু কাছাকাছি কোনও পানি পাওয়া যায়নি। অনেক দূরে ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই আগুনের কাছে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বনরক্ষীদের চেষ্টায় অল্প পানি সরবরাহ করে প্রাথমিকভাবে আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেটি করা হয়েছে।

 রবিবার সকালে আমরবুনিয়া এলাকার ভোলা নদী থেকে পানির সংযোগ স্থাপন করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। অল্প অল্প করে জ্বলছে, রাতের মধ্যেও ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

কী করে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ডিএফও নুরুল করিম বলেন, এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয় কয়েকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারন উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেবে এই কমিটি।

মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে প্রথমে আগুন লাগে সুন্দরবনের ড্রেনের ছিলা এলাকায়। বিকাল সাড়ে ৪টায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও বনরক্ষীদের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করতে পারেনি। রবিবার ভোর থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবেন তারা।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিকালে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে আগুন লাগার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। সকাল  থেকে কাজ শুরু করা হবে। 


আরও খবর



আটকে গেল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



মাজহারুল ইসলাম মাসুম/সদরুল আইনঃ


ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। 


এর ফলে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আর কয়দিন কাজ বন্ধ থাকলে সমস্যা নেই।


আদালতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। 


চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।


আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর আপিল বিভাগ দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।


এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চায়না ব্যাংক অব এক্সিম জানিয়ে দিয়েছে শেয়ার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজে টাকা দেবে না। এর ফলে আপাতত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।


গত ১২ মে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। 


এর ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করতে বাধা কেটে যায়।


বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধরীর হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেদিন ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন, দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন আদালত নিষ্পত্তি করবেন।


পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ইতালিয়ান থাই কোম্পানি।


এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।


এদিকে হঠাৎ করেই শ্রমিকশূন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মগবাজার অংশ। নেই কোনো নির্মাণ যজ্ঞ। পড়ে আছে এক্সপ্রেস ওয়ের কাঠামো। কথা ছিল চলতি বছরই শেষ হবে অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। 


এই সময় কাজ চলার কথা দ্রুত গতিতে। জানা যায় তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের শেয়ার দাবি করে চীনা প্রতিষ্ঠান।



 এই নিয়ে সিঙ্গাপুরে আরবিট্রেশন চলা অবস্থায় সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।


থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড মিলে করছিলো এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। এই কাজে তিন প্রতিষ্ঠান শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।


প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার।


আরও খবর



নওগাঁয় নিরাপদ সড়কের দাবীতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে সড়কে এক শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে চলমান এই তীব্র রোদ ও গরমকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছে ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া নামের এক শিক্ষার্থী। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘন্টাব্যাপি শহরের তাজের মোড় ও ব্রীজের মোড় সড়কে চোখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান করে ঐ শিক্ষার্থী। সে নওগাঁ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।

এসময় শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার হাতে থাকা পোষ্টারে লিখা ছিল “সড়কে নিরাপত্তা চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই, দূর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ চাই”। এসময় স্থানীয় পথচারীরা এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

পথচারী জুলফিকার রহমান বলেন, আমরা সড়কে কেউ নিরাপদ নই। বাসা থেকে বের হলে সুস্থ্যভাবে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। এক ছোট্ট শিশু শিক্ষার্থীর এমন উদ্যোগ সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবারই উচিত নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার হওয়া।

নিগার সুলতানা ও তানহা খাতুন নামের আরো দুই পথচারী বলেন, তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাচ্চাটির এমন প্রতিবাদ ও দাবী খুবই যোক্তিক। আমরা তার দাবীকে সমর্থন করছি। তাকে দেখে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। প্রতিদিনই সড়কে তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবীতে সবাই এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া জানায়, প্রতিদিন টিভি, পত্রিকাতে দেখি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর। রাস্তায় বের হলে বা স্কুলে যাওয়ার পথে আবার বাড়িতে মা-বাবার কাছে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। প্রতিদিন এত মৃত্যুর খবর দেখে খুবই কষ্ট পাই, ভয়ও লাগে। বেশ কয়েকদিন আগে নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় বাবা-মা। আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু। এখন ভাবুন সেই শিশুটির এখন কি হবে। সারা জীবনের জন্য শিশুটি বাবা-মার আদর-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে গেল। আমি চাই নিরাপদ সড়ক। নিরাপদে সড়কে চলাফেরা করতে চাই। সরকারের কাছে আকুল আবেদন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার বাবা সঙ্গীত শিল্পী খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, গত ১৮ এপ্রিল সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান মারা যায় সড়ক দূর্ঘটনায়। পাগল হাসান আমার সহকর্মী ও বন্ধু ছিলো। এর আগে ১৭ এপ্রিল নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় এনামুল হক ও বৃষ্টি আক্তার নামের দম্পত্তি আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছরের শিশু জুনাইদ ইসলাম। এই ঘটনাগুলো আমার মেয়ের মনে মারাত্মকভাবে দাগ কেটে যায়। আমার মেয়েটি এত মৃত্যুর খবর প্রতিদিন শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারছে না। যার কারণেই সে বলেছে, আব্বু আমি নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াতে চাই। মেয়ের এই মহৎ ও যৌক্তিক চাওয়াকে না বলতে পারিনি। যার কারণে তাকে পুরো সমর্থন জানিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আজ আমার ছোট্ট মেয়েটা একাই যেভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিরাপদ সড়কের দাবি করছে ঠিক সেভাবে দেশের সবাই যদি এমন করে সচেতন হতো ও দাবিগুলো তুলে ধরতো তবে, প্রতিদিন এমন প্রাণহানির মত ঘটনা অনেকটাই কমিয়ে আসতো। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, সবাই যেন ট্রাফিক আইন মেনে চলে সেই উদ্যোগের বাস্তবায়ন চাই। আর তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগন, যানবাহন চালক ও মালিকদের একসাথে কাজ করার আহব্বান জানাচ্ছি। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি এ এস এম রায়হান আলম বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবীতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি যানবাহন চালক ও মালিকদের সচেতনও করছি। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার এমন উদ্যোগ আমাদের মুগ্ধ করেছে। এমন দাবী ও সচেতনতাবোধ যদি সবার মাঝে জাগ্রত হতো তবে সড়ক দূর্ঘটনা অনেক কমিয়ে নিয়ে আসা সম্বব হতো। তার এমন উদ্যোগ ও দাবীকে সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর



নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জন্য ৩০দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে কোর্সটি বাস্তবায়ন করছে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন। রবিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. রবিন শীষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্সের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ বিতরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) উপপরিচালক খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান। 

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল রানা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুঃ জাবেদ ইকবাল, কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের প্রধানগন, সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ। উক্ত প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৪০জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছেন। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিক্ষণ হলো একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি বাড়ি যাদের চেনা তারা হলেন গ্রাম পুলিশ। তাই গ্রাম পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। কিন্তু এই বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে ভয় পান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও চৌকস করতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে। তাই আগামীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট গ্রাম পুলিশ বাহিনীর কোন বিকল্প নেই। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান অক্ষরে অক্ষরে পালন ও প্রয়োগ করতে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।


আরও খবর



দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল চট্টগ্রামেই। ঢাকায় ফিরে জিম্বাবুয়েকে আবারও হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। ওপেনারদের শতরানের জুটির পর লোয়ার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৩ রানে অল আউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পরবর্তী ১০ উইকেট নাজমুল হোসেন শান্তর দল হারায় মাত্র ৪২ রানে। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই পেসার প্রথম ওভারে বিদায় করলেন ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে তিনে নামেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

সিরিজের আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে রাজার রান ছিল মোট চার। এ দিন তিন নম্বরে তানজিম হাসানের এক ওভারে বাউন্ডারি মারেন তিনটি। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসকে এগোতে দেননি তাসকিন।

শর্ট অব লেংথে পিচ করে তীক্ষ্ণভাবে ভেতরে ঢোকে তাসকিনের বল। রাজা জায়গা দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন অন সাইডে খেলতে। বল ছোবল দেয় মাঝের স্টাম্পে। ১০ বলে ১৭ রান করে ফিরলেন রাজা। খানিক পর মারুবানি বিদায় নেন। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ে আরও বিপদে পড়েন ক্লাইভ মান্ডান্ডের বিদায়ে।

৫৭ রানে ৪ ব্যাটার ফিরে গেলে হাল ধরেন রায়ান বার্ল ও ক্যাম্ববেল। তবে দলকে ১০০'র কাছে নিয়ে গিয়ে বার্ল বিদায় নেন মুস্তাফিজকে উইকেট দিয়ে। একই ওভারে লুক জঙ্গিয়েকেও বিদায় করেন আইপিএল থেকে ফেরা এই পেসার। এরপর ৩১ রান করা জনাথান ফিরে যান দলীয় ১০৩ রানে। শেষ ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রানের। বোলিংয়ে এসে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফারাজ আকরামকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ, তুলে নেন নিজের তৃতীয় উইকেট।

শেষ পভারে জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। তৃতীয় বলে সাকিবকে ৬ হাঁকিয়ে পরের বলে মুজারাবানি হন স্ট্যাম্পিং। যদিও সেটিকে ওয়াইড ডেলিভারি দেন আম্পায়ার। পরের বলেই রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। তুলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট। ৫ রানের জয় নিশ্চিত করে আরও একটি জয় তুলে নায় বাংলাদেশ।

এদিনে আগে ব্যাট করতে করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ফিফটির পর পরের দুই টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ হাসান। ঢাকায় ফিরে শুরুটা দারুণ করেন এই তরুণ। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে দ্রুত রান তুলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে মুজারাবানির বলে প্রথম বাউন্ডারি অবশ্য ব্যাটের কানায় লেগে পেয়ে যান তানজিদ। তবে পরের ওভারে সিকান্দার রাজার বলে স্কুপ ও কাট করে তিনি মারেন দুটি চার।

পরে রিচার্ড এনগারাভা আক্রমণে এলে চমৎকার ড্রাইভে মারেন বাউন্ডারি। পরে বুক সমান উচ্চতার বলে দারুণ কাট শটে মারেন আরেকটি চার। সৌম্য ও তানজিদের জুটিতে পাওয়ার প্লে'তে ৫৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সৌম্যকে দর্শক বানিয়ে তানজিদ দ্রুত রান তুলে ৩৪ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর দুজনের ব্যাটে দলের রান পৌঁছে যায় ১০০'তে। এর মাঝে একবার জীবনও পান তানজিদ।জীবন পেয়ে কিছুই করতে পারেন নি তানজি। আর মাত্র ১ রান যোগ করে তিনি ফেরেন ড্রেসিং রুমে। তার বিদায়ে ভাঙে ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি। লুক জঙ্গুয়ের বলে বড় শটের খোঁজে শর্ট মিড উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেলের হাতে ধরা পড়েন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে তিনি করেন ৫২ রান।

একই ওভারে জঙ্গুয়ের স্লোয়ার ইয়র্কার অন সাইডে খেলার চেষ্টা এলবিডব্লিউ হন সৌম্য সরকার। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার। ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৮ রান। ক্রিজে তখন দুই নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেন নি হৃদয়। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ করে সোজা ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন ৮ বলে ১২ রান করা তরুণ ব্যাটসম্যান। এর খানিক পর ক্রিজে নেমেই এক রান করে বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। ব্রায়ান বেনেটের রাউন্ড দা উইকেট থেকে সোজা যাওয়া ডেলিভারি ভুল লাইনে ডিফেন্ড করে বোল্ড হলেন সাকিব।

দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। খানিক পর এই স্পিনারের ওভারেই বোল্ড হন শান্ত। ৭ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন শান্ত। সিরিজের চার ম্যাচে তার সংগ্রহ কেবল ৪৫ রান। এরপর এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি দূর থেকে খেলার চেষ্টায় ডিপ থার্ড ম্যাচে ধরা পড়েন ৭ বলে ৬ রান করা জাকের। ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে টিকতে পারেননি বাকিরাও। দ্রুত বিদায় নেন রিশাদ, তানজিদ সাকিব ও তাসকিনও।

১০১ রানে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরের ৩৭ রানে হারিয়ে বসে ৯ উইকেট। শেষের দিকে মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম মিলে দলকে ২০ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যান। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজকে বিদায় করে ১৪৩ রানে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেন মুজারাবানিরা।


আরও খবর