Logo
শিরোনাম

ডিসেম্বরে করোনা টিকার ‍বিশেষ ক্যাম্পেইন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনা টিকার ‍বিশেষ ক্যাম্পেইন চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে আয়োজিত বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, সামনে বিজয় দিবস আসছে, এই উপলক্ষে করোনার টিকার ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে, চলবে ডিসেম্বরের ৭ তারিখ পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, বিশেষ এই টিকা ক্যাম্পেইনে ৯০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১৪ কোটি ৬৯ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দিয়েছি। ১২ কোটিরও বেশি দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




সোনার ভরি ১ লাখ ৬৩৭৬ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার এত দাম হয়নি।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর ও ২৭ অক্টোবর আরও দুই দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৬ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা হয়। এর মাধ্যমে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে সোনার দাম।

সোনার দামে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার ১২ দিনের মাথায় এই ধাতুটির দাম আরও বেড়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলো। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৯৯ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১৫ হাজার ১৯৪ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৯১ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ৯০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ শনিবার পর্যন্ত দেশের বাজারে এই দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।

তারও আগে ২৭ অক্টোবর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ২ হাজার ৩৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২ হাজার ৮৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ২১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৭০ হাজার ১৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এখন সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




বন্দির তালিকা নিয়ে হামাস-ইসরায়েল বিরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

গাজায় চলমান চার দিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিনে যেসব জিম্মি ও বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের তালিকা নিয়ে আপত্তি তুলেছে হামাস ও ইসরায়েল। সোমবার এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, জিম্মি ও বন্দির মুক্তিতে বিলম্ব এড়াতে এবং আপত্তি নিরসনে কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছেন।

চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েল এর আগে বলেছিল, প্রতি দিন ১০ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে তারা বিরতির মেয়াদ এক দিন বাড়াবে এবং হামাসের মুক্তি দেওয়া জিম্মির বদলে তারা তিনগুণ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, আজকের তালিকা নিয়ে সামান্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। উভয়পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে কাতারিরা।

এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছিল, রবিবার দিবাগত রাতে তারা শেষ দিনে যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে তাদের তালিকা হাতে পেয়েছে। তালিকা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরও জানিয়েছিল যে, যখন সম্ভব হবে নতুন তথ্য জানানো হবে।

রবিবার ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। শুক্রবার থেকে হামাস ৫৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েল রবিবার ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। সমঝোতার আওতায় মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৭ জনে।

সমঝোতার আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েল উভয়পক্ষ চার দিনের সমঝোতার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, অতিরিক্ত এক দিন সমঝোতার বিনিময়ে মঙ্গলবার যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের একটি তালিকা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল হামাসের। ইসরায়েল যদি তালিকাটি অনুমোদন করে তাহলে বিরতি পঞ্চম দিনে গড়াবে। একইসঙ্গে তিনগুণ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, এই ধারায় সর্বোচ্চ আরও পাঁচ দিন বিরতি চালিয়ে যেতে রাজি হতে পারে ইসরায়েল।

হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান লেবাননের এলবিসি সম্প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, আরও জিম্মিদের মুক্তি দিতে তাদের খুঁজতে বিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন।

 


আরও খবর



সৈকতে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন মিম !

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহরের বাতাসে কমে গেছে আর্দ্রতা। প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ। এর মাঝেই ভক্তদের মনে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের সাহসী কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে অফ হোয়াইট শাড়িতে মিমকে দেখা গেছে মোহনীয় রূপে।

এমনিতেই বাঙালি এই অভিনেত্রীর নজরকাড়া লুক বরাবরই ঝড় তোলে ভক্তদের হৃদয়ে। এর মাঝে খোলামেলা শাড়িতে মিমের উপর থেকে নজর ফেরানোই যেন দায় ছিল নেটিজেনদের জন্য।

বিদ্যা সিনহা মিমের সেই ছবিগুলোতে মন্তব্য করেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। যার অধিকাংশই ছিল অভিনেত্রীর রূপের প্রশংসাসূচক। অনেকেই আবার বলেছেন, শীতের শুরুতেই যেন উষ্ণতা ছড়িয়ে গেলেন মিম।

এদিকে ২৪ নভেম্বর ভারতে মুক্তি পেয়েছে বিদ্যা সিনহা মিমের নতুন সিনেমা মানুষ। যেখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ। ভারতে সিনেমা মুক্তি পেলেও দেশে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, মিমের টালিউডে যাত্রা শুরু ব্ল্যাক ছবি দিয়ে। এরপর ইয়েতি অভিযান, সুলতান দ্য স্যাভিয়ার থাই কারি নামের আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কলকাতায় মানুষ তার পঞ্চম সিনেমা।


আরও খবর

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩




নোয়াখালীতে নৌকার প্রার্থীসহ ১৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বাদ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর ৬ আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে ১৮ জন প্রার্থী বাদ পড়েছেন। 

রোববার নোয়াখালী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তাদের মনোনয়ন বাতিল করেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-১ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-২ আসনে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-৩ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৭ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-৪ আসনে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৫ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-৫ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৫ জনেরই মনোনয়ন বৈধ হয়। নোয়াখালী-৬ আসনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারমধ্যে ৩ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

 জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনে ঋণ খেলাপির দায়ে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত ও বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন এমপিসহ ১৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। ৩৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। 

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি (রোববার) অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর, তিন বিলিয়ন ডলার যোগ হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি ধলঘাট এলাকায় নির্মণাধীন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন খরচ ১০ থেকে ২০ ভাগ কমে আসবে।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর দক্ষিণ এশিয়ার সিম্বল হয়ে থাকবে। আর দেশের অর্থনীতিতে দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার যোগ হবে। বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন খরচও কমে আসবে। এক কথায় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত সূচিত হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে ১ হাজার ৩১ একর জায়গার নির্মাণ করা হচ্ছে এই বন্দরটি। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে ৮ হাজার ২০০ টিইইউএস ক্ষমতাসম্পন্ন কন্টেইনার বহনকারী জাহাজ নোঙ্গর করতে পারবে।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে-উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে গেছেন।  ১১ নভেম্বর শনিবার প্রধানমন্ত্রী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানান, চট্টগ্রাম বন্দর হবে অর্থনীতির লাইফ লাইন। গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে পণ্য নিয়ে সিঙ্গাপুর, কলম্বো ও মালয়েশিয়ার বন্দরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আর অপেক্ষায় থাকতে হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় একটি পণ্যের চালান পাঠাতে সময় লাগে ৪৫ দিন। মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে মাত্র ২৩ দিনেই সরাসরি নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন জানান, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে

তিনি আরও জানান, দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মাতারবাড়ি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা ততধিক গভীরতাসম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতাসম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এছাড়া  অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক শূন্য দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘেরে কন্টেইনার) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২ দশমিক ২ হতে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশে ২৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মাতারবাড়ি বন্দরের সঙ্গে ন্যাশনাল হাইওয়ের সংযোগ স্থাপন করার কাজও চলমান রয়েছে ।

উল্লেখ্য, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৫৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। বন্দর নির্মাণে জাপানি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা ঋণ সহায়তা দিবে ৬ হাজার ৭৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। বাকি ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা দিবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।

এছাড়া বন্দর এলাকায় সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সড়ক নির্মাণে জাইকা ঋণ সহায়তা দিবে ৬ হাজার ১৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। বাকি ২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ সড়ক ও জনপথের (সওজ) ফান্ড থেকে ব্যয় করা হবে। বন্দর ও সড়ক নির্মাণে জাপান সরকার মোট ঋণ সহায়তা দিবে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

আরও উল্লেখ্য যে, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প ২০২০ সালের ১০ মার্চ একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পে মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২০ সালে জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় সড়ক নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।

বাসস :


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩