Logo
শিরোনাম

ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুট, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ২জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নুরুল হুদার ছেলে মেহেদী হাসান হৃদয় (১৮) ও বসুরহাট পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডের আজিজুল হকের ছেলে রমজান আলী (২০)।

গতকাল সোমবার ১৬ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পেশকারহাট রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে পেশকারহাট রাস্তার মাথা বাজার কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাহাদুর বাদী হয়ে ১৯জনকে করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পেশাকারহাট রাস্তার মাথায় ব্যবসায়ী ও দোকানে সন্ত্রাসী হামলা এবং ভাংচুরের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী ব্যবাসায়ীরা মানববন্ধন করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে মেহেদী হাসানের (১৮) নামে এক যুবকের একটি ফেসবুক পোস্টে ব্যাঙ্গাত্মক ইমুজি কমেন্ট করে  চরকাঁকড়া ৯নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহমান কচির ছেলে সাইদুর রহমান শুভ। ওই ফেসবুক কমেন্টের সূত্র ধরে মূলত ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর গত ১৪ মে বিকেলের দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরহাট সড়কে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন ছাত্রীকে খারাফ উক্তি করে ইভটিজিং করে মেহেদী হাসান হৃদয় ও একই ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের পাটোয়ারী বাড়ির ইমন পাটোয়ারী (১৮)। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা শুভ আমি প্রতিবাদ করলে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইভটিজিংকারীরা  তাকে মারধর করে চলে যায়।

পেশকারহাট রাস্তার মাথা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পরে ইভটিজিংকারী হৃদয় ও একই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সবুজের ভাই রনির নেতৃত্বে রোববার দিবাগত রাত ৮টার দিকে পেশকারহাট রাস্তার মাথায় চরকাঁকড়া ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে ও একই এলাকার জিরো পয়েন্টে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদকারী যুবকদের ওপর হামলা চালায়।

ওই সময় দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এরপর গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ পেশকারহাট রাস্তার মাথা বাজারের  ৪০টি দোকাল হামলা করে ৪টি দোকান ভাংচুর ও কয়েকটি দোকানে লুটপাট চালায় একই ইউনিয়নের ৬নম্বর ও ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হৃদয়,রনি,রমজান আলী মো.ইমনসহ ২০-২৫জন যুবক।

এ সময় হামলাকারীরা ২ লক্ষ ৪০হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান জানান, ফেসবুক পোস্টে কমেন্টের সূত্র ধরে এ ঘটনা সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।





আরও খবর



পাল্টা হামলার আশঙ্কা, উচ্চ সতর্কতায় ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বহুদিনের বৈরিতা থাকলেও এবারই প্রথমবারের সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালালো দেশটি।

এমন অবস্থায় ইসরায়েল এবার ইরানে পাল্টা হামলা চালাতে পারে। আর সম্ভাব্য সেই হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ইরান। রোববার (১৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটির দোরসা জব্বারী তেহরান থেকে জানিয়েছেন, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত হবে বলে ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন এবং আজ আমরা বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিযান দেখেছি।

তিনি বলেছেন, আমি মনে করি- ইরানের কাছ থেকে দেশটির সবচেয়ে খারাপ প্রতিক্রিয়াটিই আমরা দেখেছি। এটি অবশ্যই পূর্ণ-মাত্রার কোনও আক্রমণ নয়। এবং অবশ্যই ইরান ঠিক কী করতে সক্ষম তার একটি প্রদর্শনও এটি। এগুলো এমন দৃশ্য যা আমরা আগে কখনও দেখিনি - ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির মতে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে ইরানের এই দাবি অবশ্যই ইসরায়েল অস্বীকার করেছে।

আল জাজিরার দোরসা জব্বারী বলছেন, এখন এই হামলা-পাল্টা হামলার পরবর্তী পর্ব শুরু হবে। (ইরানের হামলার জবাবে) ইসরায়েলের জবাবও তাই হবে। এবং সেই কারণে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং ইসরায়েলকে (পাল্টা হামলার বিষয়ে) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেশটির একজন কমান্ডার বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরনের হামলার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে।

তবে আপাতত ইসরায়েল ঠিক কী করবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে ইরানিরা... বর্তমানে পরিস্থিতি আরও খারাপ না করে তারা এই দ্বন্দ্বকে বজায় রাখতে সক্ষম হবে কিনা সেটিও বোঝার চেষ্টা করছে তারা।

এদিকে ইরানের সর্বশেষ এই হামলা ইসরায়েলের জন্য নতুন পরীক্ষা হয়ে সামনে এসেছে বলেও জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে জাতিসংঘে দেওয়া এক চিঠিতে ইরান বলেছে, তারা আর উত্তেজনা চাইছে না।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভেনেসা ফ্রেজিয়ারকে দেওয়া এক চিঠিতে তেহরান জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের ওপর তার হামলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার একটি আইনি এবং ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ।

এছাড়া গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইরায়েলের প্রাণঘাতী বিমান হামলার নিন্দা করতে নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার নিন্দাও করেছে জাতিসংঘে অবস্থিত ইরানি মিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে ইরান জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের নিহিত উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের এই ধারাবাহিক অবস্থান এটিই পুনর্ব্যক্ত করে যে, দেশটি এই অঞ্চলে উত্তেজনা বা সংঘাত চায় না।


আরও খবর



কক্সবাজারে বন কর্মকর্তা সজল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

উচিংছা রাখাইন কায়েস, রাঙ্গামাটি : 

পাহাড়খেকোর ডাম্প ট্রাকের চাপায় নিহত কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদুজ্জামান সজল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাঙ্গামাটি বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

আজ রাঙ্গামাটি বন বিভাগের সম্মুখে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোঃ জাহিদুল রহমান মিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, ইউ এস এফ বন বিভাগের মোঃ সোহেল রানা সহ বন বিভাগের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তারা বলেন কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় চিহ্নিত পাহাড় খেকো চক্র তাদের অপকর্ম বিনাবাধায় চালিয়ে যেতে এবং বন বিভাগকে হুমকি বার্তা দিতে পরিকল্পিতভাবে এই সজলকে হত্যা করেছে। 

এই নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূল শাস্তি নিশ্চিত করা দাবি জানান রাঙ্গামাটির বন বিভাগের কর্মরত সকল কর্মকর্তাও কর্মচারী। 


আরও খবর



রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




দাবদাহে ‘কপাল পোড়ার’ শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে পথ-ঘাট-মাঠ সবকিছুই উত্তপ্ত এর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠেও

কৃষকরা বলছেন, তীব্র রোদের প্রভাবে মাঠের ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মরছে সবজির গাছ। সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানিও মিলছে না গভীর নলকূপে। এতেকরে একদিকে ফলন কমে যাবার আশঙ্কা অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা

অতিরিক্ত তাপে রাজশাহী, রংপুর খুলনা অঞ্চলের বেশিরভাগ ক্ষেতে ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন জমিতে পানি দিতে হিমসীম খেয়ে যাচ্ছে কৃষক। তাদের মনে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে এমন রোদ আর গরমে যেন ধান নষ্ট হয়ে না যায়

রংপুররে পীরগঞ্জের আলমপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের ভিওত পানি ধরে থোয়া যাচ্ছেনা। কিছু কিছু জমির ধান লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এখনতো পানির লেয়ারও অনেক নিচে। এলাকার টিউবলেও ঠিকমতো পানি ওঠে না, মেশিনেও কম পানি ওঠে, যাদের অবদা(ডিপটিউবয়েল) আছে তারা পানি দিবার পারচে(দিতে পারছে) এতো রোদের কারণে এবার ধানত চিটা হওয়ার ভয়ে আছি। আর সবজির ভিউয়ের(ক্ষেত) সবজি রোদে-পুড়ে মরে যাচ্ছে।

তাপে পোড়ার শঙ্কা, সেচে বাড়তি খরচ ফলন কমার আশঙ্কা :

চলতি মৌসুমে সারাদেশে তীব্র তাপাদহের কারণে ধান ছাড়া বাকি সফলী জমি খেত ফেটে চৌচির। রোদে পুড়ছে রোপণ করা বোরো ধান। দিতে হচ্ছে বাড়তি সেচ। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছে, এই তাপদাহে ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় দ্বিগুন বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে

রংপুরের পীরগঞ্জের শরীফ নেওয়াজ গভীর নলকূপ দিয়ে নিজের জমিতে পানি দেওয়ার পাশাপাশি অন্যর জমিতেও পানি বিক্রি করনে। তিনি সংবাদকে বলেন,আমার মোটর ২৪ ঘন্টা চলে। গতবছর এই সময়ে দুইদিন পর পর একটা জমিতে পানি দিতে হতো। এবার দিতে হচ্ছে একদিন পর পর। এতে আমার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

ওই উপজেলার চতরা এলাকার কৃষক প্রদীপ চন্দ্র বলেন, বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। বছর ধান পাতান (চিটা) হওয়ার আশঙ্কা করছি।

তিনি আরো বলেন, সার, বীজ, তেল শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই প্রতিমণ ধান উৎপাদন খরচ বাড়ছে এখন বাড়তি সেচও দেওয়ার কারণে খরচ আরো বেড়ে গেল।

ময়মনসিংহের কৃষি উদ্যোক্তা . আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে চাইলেও সেই পানির প্রবাহ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ধানের ফুল পলিনেশন করতে পারছে না, অনেক ফুল ঝরে যাচ্ছে। একারণে ধান চাষে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আম, লটকন, মাল্টা, অ্যাভাকাডার মতো গাছের গুটি ঝরে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার যে ফলের বাগান আছে সে বাগান থেকে বৃষ্টির অভাবে গাছ পুষ্টি না পাওার কারণে ফল ফুল ঝরে পড়ছে, যখন বৃষ্টি হবে তখন গাছ পরিপুষ্ট হতে আরো ১৫ দিন সময় নিবে কিন্ত মাঝে যে সময় গেল সেটা তো ফিরে পাওয়া সম্ভবনা। এছাড়া, ক্ষেতে যে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করে তারাও তো তাড়াতাড়ি হাপিয়ে ওঠে এতো আমার শ্রমের অপচয় হচ্ছে।

সার্বিকভাবে বলা চলে, বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই চলে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি

তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম পানি উঠছে পাম্পগুলোতে। আবার দীর্ঘক্ষণ চালানোর কারণে বিল ঠিকই বাড়ছে, কিন্তু ওই পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পানি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ শোষণ করতে পারছে না। সব মিলিয়ে কৃষকদের একটা বাজে অবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন:

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক . মো. শাহজাহান কবীর সংবাদকে বলেন, এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। এখন ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল টেম্পেরেচার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর উপরে যদি তাপমাত্রা উঠে এবং এসময় যদি ফুল ফোটে সেগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।

তবে, তিনি ধানের দুইটা বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। যেমন; হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সেখানে এখন যেমন রোদ আছে সেই রোদটা খুবই দরকার। আবার কোন কোন অঞ্চল আছে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাচ্ছে। সেখানে আমরা যে আশঙ্কায় আছি- ফুল ফোটা পর্যায়ে যদি টেম্পারেচার বেশি থাকে তবে ধানের চিটা হয়ে যেতে পারে। এমন একটা আশঙ্কার মধ্যে আছি।

বিশেষ করে যেসব এলাকার তাপমাত্রা খুব বেশি সেসব এলাকার ধান নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি টেম্পারেচার বেশী থাকলেও যেন তারা সবসময় পানি ধরে রাখে। পানি ধরে রাখলে চিটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

যেসব এলাকায় ধান পেকে গেছে সেসব এলাকায় আমরা ধান তাড়াতাড়ি কেটে ফেলার পরমর্শও তার

কৃষিতে বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় লিফলেট অ্যাপসের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি সংবাদকে বলেন, যেসব এলাকায় ধান দেরিতে আসে সেসব এলাকায় আমরা বলেছি, ধানের গোড়ায় যেন পানি থাকে, সেই পানিটা যেন ধান গাছের শিকড় সহজে টানতে পারে


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




নওগাঁয় নিয়ম-নীতি অমান্য করে সরকারী প্রকল্পে দেয়া হচ্ছে কাদা-মাটি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে নিয়ম-নীতি অমান্য করে সরকারী প্রকল্পে দেয়া হচ্ছে কাদা-মাটি। এমনকি

সরকারী স্থাপনার ক্ষতি করেই সরকারী প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে কাদা-মাটি। ফলে এক দিকে যেমন লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে সরকারী স্থাপনা দূর্বল হচ্ছে অপরদিকে চরম দূর্দশার সম্মুখিন হচ্ছেন সর্ব-সাধারণ।প্রকল্পও হচ্ছে দূর্বল বা হালকা। সংশ্লিষ্টরা সরকারী প্রকল্পে মাটি দেয়ার নাম করে আইন ভেঙ্গে সে মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও আইন ভেঙ্গে মাটি কাটায় উৎসাহিত হচ্ছেন। দিনের পর দিন এই অবস্থা চলে আসলেও এর সমাধানে এগিয়ে আসছে না কেউ। প্রশাসন বলছেন সরকারি প্রকল্পের স্বার্থে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা।

সরকারি প্রকল্পের নাম করে উপজেলার ৩ ফসলী জমি কেটে, মজা-পুকুরের গলামাটি তুলে, সরকারি পাকা রাস্তা ঘেঁষে, এমনকি সদ্য নির্মিত সরকারী ব্রিজের বেজমেন্ট কেটে এবং সরকারী নদী ও খাড়ি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইট ভাঁটায় বিক্রি করছেন একটি চিহ্নিত চক্র। দিন-রাত মাটিবাহী ট্রাক্টর ও ট্রাক চলাচল করায় পাকা রাস্তাগুলোর উপর ঘন ধূলার স্তর পরে গেছে। একটু পানি পড়লেই কাদা-মাটিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে রাস্তাগুলো। এছাড়া প্রকল্পে কাদা-মাটি দেয়ায় জনসাধারণের চলাচল ও দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন দূরুহ হয়ে পড়ছে।

গত ১ মার্চ বিকেলে মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়ন এর সুলতানপুর গ্রামের একটি মজা-পুকুর থেকে গলা মাটি ভ্যেকু মেশিন দিয়ে তুলে খোলা ট্রাক্টরে করে পরিবহণ করছিলেন কালু ও তার সঙ্গীরা। তারা জানান, উপজেলা সদরের গরু হাটিতে মাটি ভরাটের সরকারী প্রকল্পে মাটি দেয়া হচ্ছে। ঐসময় স্থানিয় সংবাদকর্মীরা বিষয়টি মহাদেবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বক্কার সিদ্দিক কে জানালে তিনি ও মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পুকুর মালিক ও ভ্যেকু মালিকের প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে এবং ৪ জন ট্রাক্টর মালিকের প্রত্যেকের ১৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু পরে ঐ প্রকল্পের পুরোটাই কাদামাটি দিয়ে ভরাট করা হয়। জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, এখন বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া খরচ বেশি হওয়ায় বালুর পরিবর্তে মাটি দেয়া হচ্ছে।

৭ মার্চ এই চক্র উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের দোহালী-চকজোথহরি পাকা সড়কের চকশিবরামপুরে চকদোরাই সরকারি খাড়ির উপর সদ্য নির্মিত ৪৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের বেজমেন্ট কেটে ও ব্রিজের গা ঘেঁষে ভ্যেকু মেশিন দিয়ে ৩০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে অসংখ্য ট্রাক্টর যোগে পরিবহণ করে নিয়ে যায়। তারা ওই খাড়ির উঁচু পাড় কেটে ফেলে। কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে এই খাড়ির মাটি কেটে নিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। জানতে চাইলে মাটি ব্যবসায়ী কালু জানায়, গরু হাটির সরকারী প্রকল্পে এই মাটি দেয়া হচ্ছে। এখানে মাটি ভরাটের জন্য ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলেও সরকারী খাড়ি থেকে কেনো মাটি চুরি করতে দেয়া হবে, অথবা কেনো বালির পরিবর্তে কাদামাটি দেয়া হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের চাঁন্দাশ গ্রামে সরকারী পাকা সড়ক সংলগ্ন একটি পুকুরের বিশাল পাড়ের গাছপালা কেটে ফেলে পুকুর সম্প্রসারণ করে মাটি কেটে ট্রাক্টর যোগে পরিবহণ করছিলেন এই এলাকার নান্নু নামে এক মাটি ব্যবসায়ী। এই পুকুরের কাদামাটি তুলে পুকুর পূণ:খনন করে সেগুলো দিনরাত পরিবহণ করায় মহাদেবপুর-ছাতড়া-রহনপুর আঞ্চলিক পাকা সড়ক কাদায় সয়লাব হয়ে যায়। ব্যক্তি মালিকানাধীন এই পুকুরের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় সরকারী পাকা রাস্তা রক্ষার জন্য ইতিপূর্বে সরকারী টাকা ব্যয় করে পাকা গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দেয়া হয়। কিন্তু পূণ:খনন করায় সে গাইড ওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফত আরাকে জানানো হলে তিনি সেখানে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে পাঠান। পরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) জানান, ঐ মাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকল্পের নাম করে এখান থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাঁটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় দু'শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে আত্রাই নদী ড্রেজিং ও বাঁধ পূণ:নির্মানের কাজ করছে। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার অন্যস্থান থেকে মাটি এনে বাঁধ পূণ:নির্মাণ করবেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন প্রচলিত আইন না মেনে বা আইন অমান্য করে একের পর এক স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে প্রকল্পের কাজ করছেন। এর আগে এই প্রকল্পের জন্য মহিষবাথানে পাকা সড়ক সংলগ্ন, দেবীপুর, আদ্যাবাড়ি, পন্ডিতপুর প্রভৃতি স্থানে ৩ ফসলী জমি গভীর করে কেটে ও পুকুর খনন করে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। এমন কি নদীর ড্রেজিং করা লাল কাদামাটি তুলেও এই বাঁধে দেয়া হয়েছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পুরো বাঁধ কাদায় কাদাময় হয়ে থাকে। ফলে বাঁধের উপর দিয়ে সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি পাড়ের আশে-পাশের এলাকায় বসবাসরত লোকজন বাঁধের উপর দিয়ে পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারেন না। বর্ষার সময় তারা এক রকম গৃহবন্দী অবস্থায় দিন যাপন করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, সরকারী প্রকল্পে ঠিকাদার বৈধভাবে মাটি দিতে বাধ্য। এজন্য তিনি উপযুক্ত দাম পাবেন। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আইনগত ভাবে মাটি কাটার অনুমতিও নিতে পারেন। কিন্তু তা না করে বে-আইনীভাবে সরকারী প্রকল্প কেন পরিচালিত হবে তার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না কেউ। এনিয়ে জনমনে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী প্রকল্পে সরকারী আইন ভেঙ্গে কাজ হওয়াকে সরকারী যন্ত্রের চরম ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন অনেকে।


আরও খবর