Logo
শিরোনাম

ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, তবু ফিরতে হলো খালি হাতে

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় প্রতিনিয়ত মানুষের চাপ বাড়ছে  টিসিবির ট্রাকের সামনে। তবে চাহিদা বেশি ভোজ্যতেলের। একটি ট্রাকে দুই থেকে আড়াই শ জনের জন্য পণ্য থাকে। কিন্তু মানুষ আসেন চার-পাঁচ শ। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। দয়াগঞ্জ মোড়ে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে এসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ জন নারী-পুরুষকে। তাদের কেউ কেউ সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনো পণ্য পাননি।

দয়াগঞ্জ মোড়ে বেলা পৌনে দুইটার দিকে আবার কথা হয় হাসনা বেগমের সঙ্গে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, হঠাৎ সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় তুলনামূলক কম দামে পণ্য কিনতে এসেছিলেন। কিন্তু কপালে কিছুই জুটল না। দয়াগঞ্জ মোড়ে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে এসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ জন নারী-পুরুষকে। তাদের কেউ কেউ সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনো পণ্য পাননি।

একজন ব্যক্তি টিসিবির ট্রাক থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারেন। আর প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর জন্য বরাদ্দ থাকে ৫০০ লিটার তেল, ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ এবং ৫০০ কেজি করে চিনি ও মসুর ডাল। দয়াগঞ্জ মোড়ে এই প্রতিবেদক সাড়ে চার ঘণ্টা ছিলেন। পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার কারণেও ক্রেতাদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কে কার আগে পণ্য নেবেন, তা নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো মানুষের মধ্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হট্টগোল লেগেই ছিল। পণ্য সরবরাহের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ সেলিম বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর থেকে মানুষের লাইন বাড়ছে। এখন লাইনে মারামারিও হচ্ছে। মাঝেমধ্যে সামাল দেয়া যায় না। 

এদিকে মিরপুরের সেকশন-৬-এর রূপনগর এলাকায় টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক গতকাল যেখানে অবস্থান করছিল, তার পাশেই ছিল বস্তি। এখানে মূলত বস্তির বাসিন্দারাই এসব পণ্যের ক্রেতা। তবে নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেকে এখন ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। গতকাল লাইনে থাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী বললেন, তিনি যে টাকা বেতন পান, তাতে সংসার চলছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। পণ্য কিনতে বেলা সোয়া দুইটার দিকে এসেছিলেন গৃহিণী আসমা বেগম। তখনো নারীদের সারিতে পণ্যের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন প্রায় ৭০ জন। এ সময় লাইনে থাকা অন্য নারীরা আসমাকে বলেন, আইজকা আর লাভ নাই। আমরাই পাইমু কিন্যা ঠিক নাই।

রাস্তায় কেনে পুলিশ, লাইন ছাড়াই নেন কাউন্সিলরের লোক : টিসিবির তেজগাঁওয়ের গুদাম থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের নির্ধারিত স্থানে চলে আসার কথা ছিল ট্রাকটির। কিন্তু পথে বিজয় সরণি মোড়ে পুলিশ ট্রাক থামিয়ে চার বোতল (আট লিটার) সয়াবিন তেল বিক্রি করতে বাধ্য করে টিসিবির পরিবেশকের কর্মীদের। এরপর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি শুরুর পর এক কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে পরিবেশকের কাছে ফোন আসে। এর কিছুক্ষণ পর তিনজন লোক এসে লাইনে না দাঁড়িয়েই ছয় লিটার তেল কিনে নিয়ে যান। এসব অভিযোগ সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার পরিবেশক মেসার্স লোপা ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদের। গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি বলেন, শুধু আমার ট্রাক না, বিজয় সরণি মোড় হয়ে আজকে যত ডিলারের ট্রাক গেছে, সব ট্রাক থেকে তেল রেখে দিয়েছে পুলিশ। 

আবু সাঈদ বলেন, পুলিশ টাকা দিয়ে তেল কিনলেও এভাবে রাস্তায় ট্রাক থামিয়ে বিক্রি করার নিয়ম নেই। যে কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও তেল কিনতে পারে না সবাই। 

তিনি বলেন, কাউন্সিলরের লোক, অমুকের লোক এ রকম পরিচয় দিলে তাদের বাধা দেয়া যায় না, পণ্য বিক্রি করতেই হয়। অবশ্য কোন কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে ফোন এসেছিল, তা বলতে চাননি তিনি। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গতকাল টিসিবির ট্রাকের সামনে সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ১৬ জন ক্রেতা সয়াবিন তেল কিনতে পারেননি। পরে তারা দুই কেজি করে মসুর ডাল ও চিনি কিনেই বাসায় ফিরেছেন। আর লাইনে দাঁড়ানো আরও ৬৫ জন কোনো পণ্যই কিনতে পারেননি। তাদের মধ্যে নারী ৩৯ জন ও পুরুষ ২৬ জন। শুধু আমার ট্রাক না, বিজয় সরণি মোড় হয়ে আজকে (গতকাল) যত ডিলারের ট্রাক গেছে, সব ট্রাক থেকে তেল রেখে দিয়েছে পুলিশ।

দুপুর ১২টার দিকে টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইনে এসে দাঁড়ান রোশনারা বেগম নামের এক নারী। চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তার সামনে যখন আরও সাতজন, তখনই পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যায়। ট্রাক চলে যাওয়ার সময়ও পেছন পেছন দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। ট্রাকে থাকা টিসিবির পরিবেশকের এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে অনুরোধ করে বলছিলেন, যা আছে তাই যেন তার কাছে বিক্রি করা হয়। তবে তাকে দেয়ার মতো কিছু আর অবশিষ্ট ছিল না। রোশনারা বেগম মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়েকে নিয়ে তিনি বছিলায় বস্তিঘরে থাকেন। আজ কিছু কিনতে না পেরে কাঁদছিলেন তিনি। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আজ টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ট্রাকে শুধু মসুর ডাল ও চিনি ছিল। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি করে মসুর ডাল ও চিনি, পাঁচ কেজি পেঁয়াজ ও দুই লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেল কিনতে পারেন। বিক্রির সুবিধার্থে পরিবেশকেরা পণ্যগুলো একত্রে একটি ‘প্যাকেজ’ করে ৬১০ টাকায় বিক্রি করেন। এসব পণ্য এখন বাজার থেকে কিনলে একজন ক্রেতার খরচ হবে ১ হাজার ৪৫ টাকা। অর্থাৎ সাশ্রয় হয় ৪৩৫ টাকা। বাজারে এখন এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা, মসুর ডালের কেজি (মোটা দানা) ১০০ টাকা, চিনির কেজি ৮০ টাকা আর এক লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৭০ টাকা। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাধারণত টিসিবির ট্রাক আসে বেলা ১১টার পর। গতকাল সকাল ১০টায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট দলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিংবা ফুটপাতে বসে শতাধিক নারী ও পুরুষ অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন বলেছেন, তারা সকাল ৮টার দিকে এসেছেন। এত আগে আসার কারণ কী, জানতে চাইলে তারা বলেন, কখনো কখনো নয়টার মধ্যে ট্রাক চলে আসে। আর আগে এলে আগে লাইনে দাঁড়ানো যায়। বেলা ১১টার দিকে সেখানে টিসিবির ট্রাক পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। লাইনে কে কার আগে দাঁড়াবেন, এ নিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষায় থেকেও যারা পণ্য পাননি, তাদের একজন গৃহিণী মনি আক্তার। তার স্বামী নওরোজ আহমেদ নিউমার্কেটের একটি দোকানের বিক্রয়কর্মীর কাজ করেন। তারা থাকেন মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায়। মনি আক্তার মেয়েকে স্কুল থেকে দুপুর ১২টার দিকে বাসায় রেখেই লাইনে এসে দাঁড়ান। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, সময় গেল, পরিশ্রম হলো কিন্তু কিছু পেলাম না।


আরও খবর



র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইনঃ

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র। 


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সহকারী প্রেসসচিব বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।


ব্রিফিং চলাকালে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, হোয়াইট হাউজ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার দায়ে র‍্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে আগ্রহী। 


হোয়াইট হাউজ ও পররাষ্ট্র দফতর এ নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।


এ সময় প্যাটেল বলেন, এ দাবিগুলো অসত্য। র‍্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এসব দাবি অসত্য। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা প্রচার।



আরও খবর



আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল সংঘাত চলছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর। শিগগিরই দেশটিতে চলমান এ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসেই মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে সন্ত্রাসী দল বা গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে। মিয়ানমারের পাশাপাশি আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে। সেইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান পণ্যের সরবরাহ আরও বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে আরও কয়েকটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে পর্যুদস্ত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিপির পাঁচ শতাধিক সদস্য। এর মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর সবশেষ গত ২৫ এপ্রিল নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ২০৭ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালি বর্ধিত ক্যাম্পে রয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৬ জন। অন্যান্য ক্যাম্পে রয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৪ জন রোহিঙ্গা। এর বাইরে ৬ হাজার ৮২৭ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে হোস্ট কমিউনিটি তথা কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশি সমাজের সঙ্গে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।


আরও খবর



প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর এই চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় এ তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। হিট স্টোকে আক্রান্তদের সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না দিতে পারলে মৃত্যু হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা হিট স্ট্রোকে বেশি মারা যান। পাশাপাশি তরুণদের মৃত্যু ভয় থাকে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মাথা ঘুরতে পারে, জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় নিতে হবে। শরীর ঠান্ডা করতে বাতাস দিতে হবে। পাশাপাশি মাথায় পানি দিতে পারলে ভালো। যদি অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা হয়, তত ভালো। দেরি করলে অঙ্গহানি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএসএমএমইউয়ে ইমার্জেন্সি বিভাগে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে আটজন পুরুষ, সাতজন মহিলা। তাদের একজন স্ট্রোকের রোগী থাকলেও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।


আরও খবর



ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে বাইক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ। এ সময় মাত্রার অতিরিক্ত গতি, ওভার ট্রাকিং ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীবাহী বাসের চালক ও প্রাইভেট কারসহ ১১টি যানবাহনকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের তিনটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাতসহ হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে মহাসড়কে। এছাড়া প্রথম দিনের অভিযানে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে যাত্রী ও পথচারীদের অনীহা ও যানবাহনের ওভার ট্রাকিংসহ অতিরিক্ত গতিতে চলাচলের চিত্র চোখে পড়েছে। ফলে দ্রুত এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 এছাড়া শিগগিরই মহাসড়কের মূল সড়কের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে, তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে মোটরসাইকেল। কারণ গত এক বছরের মহাসড়কের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সব থেকে বেশি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীরা, যার সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি।

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ফলে শিগগিরই মহাসড়কে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এছাড়া স্পিডগানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে মহাসড়কে বৃদ্ধি করা হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) অতিরিক্ত সচিব নুর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের আদালত ৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাত এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মহাসড়কে ৯৫ থেকে ১১৫ গতিতে যেসব যানবাহন চলাচল করে সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এতে ১১টি যানবাহন থেকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে যানবাহনের দ্রুত গতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে অসংখ্য মানুষকে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে এমন জোরালো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে ব্যস্ততম এ এলাকার সবগুলো সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 


বুধবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়কের উভয়পাশে অবস্থান নেয় জোয়ার সাহারার জমজম রোডের ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেডের শ্রমিকরা।



প্রগতি সরণির গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্ট অবরোধের ফলে রামপুরা-বাড্ডা-কুড়িল সড়ক যানজটে স্থবির হয়ে গেছে। অন্যদিকে এ যানজট এয়ারপোর্ট রোডেও বিস্তৃত হয়েছে।


বিক্ষুব্ধ গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি, বেতন-ভাতা বন্ধ। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।  


গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, বেতন ভাতা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেড নামক একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। 


কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না সৃষ্টি হয়, এর জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে৷  


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (বাড্ডা জোন) শুভ কুমার ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নাজুক। কুড়িল সড়কের সামনে-পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ডিভিশন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন জানান, কুড়িল চৌরাস্তায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে কুড়িল থেকে ঢাকা ইনকামিং-আউটগোয়িং দুদিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।


 ফলে খিলক্ষেত থেকে প্রগতি সরণিগামী রাস্তায় যানজট দেখা দিয়েছে। 


আরও খবর