মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : গজারিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার না দিয়ে সার্টিফিকেট স্কুলে পৌঁছে দিবে বলে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত (১৫ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের হাজী কেরামত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে এ ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রিয়া প্রতিযোগিতায় সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদির মিয়া, সহযোগী হিসেবে সহকারী শিক্ষা অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কয়েকশত ক্রীড়াপ্রেমী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ক্রিয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে কোন প্রকার পুরস্কার না দিয়ে শুধুমাত্র ছাপানো সার্টিফিকেট স্কুলে পৌঁছে দিবে বলে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে কোমলমতি ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিভাবক মহলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
আগত শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার পানীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হয়নি বলে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা জানান।
বিশেষ সূত্রে জানা যায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে উপজেলা শিক্ষা অফিসের ৭ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদির প্যান্ডেল, সাউন্ড সিস্টেম মাইক দুইজন সহকারি শিক্ষক হতে আদায় করে নেন। এমনকি বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ব্যানার পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি।
কয়েকজন ক্রীড়াপ্রেমী কোমলমতি শিক্ষার্থী জানান ব্যানার ও পুরস্কার না থাকায় আমরা আগামী ক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগদান করা থেকে বিরত থাকবো।
অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানান বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয় ও উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে বরাদ্দের অর্থ কোথায় ব্যবহার হলো তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে কোমলমতি ক্রীড়া-প্রেমী শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।
উক্ত ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদির মিয়াকে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার জানান বিষয়টি আমি অবগত নয়, তবে প্রতিভা বিকাশে ক্রীড়া-প্রেমী ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহে পুরস্কার বিতরণে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এই ভূমিকা কেন নিবে, তা তদন্ত করে দেখব।