Logo
শিরোনাম

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 ঈদ মানে আনন্দ, প্রিয়জনকে পাশে নিয়ে সময় কাটানো। ঈদ মানে প্রিয় খাবার খাওয়া। তবে দেশ ভেদে ঈদের ঐতিহ্যবাহী খাবারে রয়েছে ভিন্নতা। আর এই খাবার গুলোই সেদেশের ঈদ আনন্দে যোগ করে অন্য মাত্রা। কিন্তু সেগুলো কী? চলুন জেনে নিই

দক্ষিণ এশিয়ায় সেমাই


বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সবগুলো দেশে ঈদুল ফিতরের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো সেমাই। চাল বা গম থেকে তৈরি এক প্রকার সরু নুডলস যা রান্না করা হয় দুধ ও বাদাম যোগে। দেশ ভেদে যদিও এর নামে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। এই যেমন ঘন দুধ দিয়ে রান্না করা সেমাইকে পাকিস্তানে বলা হয় শির খুরমা।

রাশিয়ার খাবার মানতি


মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার নাম। এখানকার ১৫ শতাংশ অধিবাসী মুসলিম। রাশিয়ায় ঈদের দিনে তাদের অনেকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার - মানতি। সহজ কথায় যাকে আমরা মোমো বা ডাম্পলিং বলে চিনি। মাখানো আটার পুটুলির মাঝে থাকে ভেড়া কিংবা গরুর মাংসের কিমার পুর। এরপর তা ভাপে সেদ্ধ করা হয়। মাখন আর ক্রিমের সাথে এই ডাম্পলিং পরিবেশন করা হয়।

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মানতির রেসিপিতে রয়েছে ভিন্নতা। তবে আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন ঈদের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার কোনটি? সবাই একযোগে জবাব দেবে- মানতি

চীনে জনপ্রিয় শানজি-



চীনের বেশিরভাগ মুসলিমদের ঈদের দিনের খাবার হিসেবে প্রিয় খাবার হলো ঐতিহ্যবাহী শানজি। ৩০ লাখ মুসলিমের এ দেশে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শানজিতে জমজমাট হয়ে ওঠে বাজার।

ময়দার লেই দিয়ে মোটা করে নুডুলস বানিয়ে তা ভাজা হয় ডুবো তেলে। এরপর পিরামিডের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। খেতে অনেকটা মোটা চানাচুরের মতো। চীনের মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর মুসলিমদের খুবই জনপ্রিয় খাবার এটি। ঈদের আগে তাদের দোকানে গেলেই দেখা মিলবে মুচমুচে শানজির।

মধ্যপ্রাচ্যের খাবার মাখন কুকিজ


মোটা বিস্কুটের মাঝে খেজুরের পেস্ট, আখরোট কিংবা পেস্তা বাদামের পুর দিয়ে প্রস্তুত করা হয় মাখন কুকিজ। ওপর দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয় হালকা চিনির গুঁড়ো। পুরো রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদের দিনে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে বিশেষ এই কুকি খুবই জনপ্রিয়। একই খাবার সিরিয়ায় পরিচিত মামুল নামে, ইরাকে একে বলা হয় ক্লাইচা আর মিশরে এর নাম কাহাক

ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী কেটুপাট


ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ আয়োজনে রাখা হয় নানা ধরনের মুখরোচক মিষ্টি। এর পাশাপাশি থাকে ঐতিহ্যবাহী খাবার কেটুপাট। পাম গাছের পাতায় মোড়া এক ধরনের চালের আটার পিঠা এটি। পরিবেশন করা হয়, মাংসের বিভিন্ন আইটেমের সাথে (ওপর আয়াম- নারকেল দুধ দিয়ে রান্না মুরগি অথবা সাম্বাল গোরেং কেনটাং- বিফ এবং আলুর ডিশ)।

ব্রিটেন জুড়ে বিরিয়ানি


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মতো ব্রিটেনের মুসলিমদের কাছে ঈদের দিনে অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার এখন বিরিয়ানি। চাল, মাংস এবং সবজি দিয়ে তৈরি এই মুখরোচক খাবারের সাথে থাকে দৈ এবং পুদিনার চাটনি।

ব্রিটেনে বিরিয়ানির জনপ্রিয়তার কারণ কিন্তু অনেকটা আমরাই। এখানকার জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশই দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত।

সোমালিয়ায় জনপ্রিয় কামবাবুর

পাতলা রুটি বা প্যানকেকের মত দেখতে খাবারটি সোমালিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। মাংস বা সবজির সাথে গরম গরম পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্যানকেক। খাওয়া হয় চিনি আর দই দিয়ে। ইথিওপিয়ায় এটির নাম ইনজেরা।

বসনিয়ার তুফাহিজা

বসনিয়ার এতিহ্যবাহী এক খাবার হলো তুফাহিজা। এই বিশেষ রেসিপিটি ঈদসহ বিশেষ দিনে বসনিয়ানরা তৈরি করে থাকেন। আপেল সেদ্ধ করে তৈরি করা হয় বিশেষ এই পদ। সেদ্ধ আপেলের মধ্যে আখরোট বাদামে ভরাট করা হয় এবং হুইপড ক্রিম দিয়ে উপরে সাজানো হয়।

বার্মাতে শাই মাই ঈদ

বার্মার মানুষেরা ঈদের দিন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক খাবার শাই মাই ঈদ তৈরি করে থাকেন। তারাও আমাদের মতোই সেমাই রান্না করে থাকেন; তবে তা ভিন্ন উপায়ে। নারকেল, কিসমিস এবং কাজু বাদাম ভাজা দিয়ে তারা শাই মাই ঈদ পরিবেশন করে থাকেন

ভারতে শের খুরমা


ভারতের মুসলিমরা ঈদে শের খুরমা তৈরি করেন। সেমাই দিয়েই মজাদার এক পদ শের খুরমা তৈরি করেন তারা। ঈদে ভারতে প্রস্তুত করা হয় মিষ্টান্ন। ঈদের নামাজের পর সবাই এই মিষ্টান্নের স্বাদ উপভোগ করেন।

লেবাননের মামুল

লেবাননে ঈদ উদযাপন মামুল ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাটার, খেজুর এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয় ছোট ছোট কুকিজ। লেবাননের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঈদে মামুল পরিবেশন করা হয়।



তুরস্কে লোকুম

হরেক রঙের মিষ্টির টুকরো এই লোকুন। বরফি আকৃতির বিশেষ এই মিষ্টি তুরস্কের সব ঘরেই ঈদের দিন তৈরি করা হয়। সেখানখান শিশুদের প্রিয় খাবার হলো লোকুম।

এই খাবারগুলো কোনটি কি আপনি খেয়েছেন? সময় করে বানিয়ে দেখতে পারেন ভিনদেশি খাবারগুলো।

 


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




গজারিয়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন চিহ্নিত মাদক কারবারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল,জেলা প্রতিনিধি  মুন্সিগঞ্জ :

আসন্ন ০৮ এপ্রিল প্রথম ধাপে দেশের কয়েকাংশে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই যাত্রায় অনুষ্ঠিত হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডোনেশন তৎপরতা বেড়েছে স্থানীয় মাদক কারবারীদের। স্থানীয় সূত্র জানা যায় ক্ষমতায় যেতে মড়িয়া মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয়  চক্রটি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও সরাসরি মাদক কারবারে সাথে জড়িত বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আতংক ২২ মামলার আসামি,  উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু। এই নির্বাচনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পেয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীক। বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন ও তার আশেপাশে এলাকায় তার পেশীশক্তির প্রভাবে চালান রমরমা মাদক ব্যবসা। নিজের আপন বড় ভাই বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বর্তমান ও দুইবারের চেয়ারম্যান সেই সুবাদে তার এলাকায় মাদক কারবার ও পেশীশক্তির সংশ্লিষ্ট আধিপত্যতা রয়েছে দীর্ঘদিনের।


মাদক কারবার জমি দখল চাঁদাবাজি করে বাগিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করার মাধ্যম হিসেবে এই পরিবার বেছে নিয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে। অভিযোগ রয়েছে নিজের আপন বড় ভাইয়ের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে খরচ করেছেন মাদক কারবার হতে বাগিয়ে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা।

বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম মন্টু মানেই একটি ভয়াভয় অংতকের নাম। এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় তীব্রভাবে দাবী করে বেড়াচ্ছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যান্ডিডেট হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ-০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী মোঃ ফয়সাল বিপ্লবের নিজস্ব ব্যাক্তিগত প্রার্থী হিসেবে এবং তিনিই তাকে এই নির্বাচনে পাশ করিয়ে দিবেন এমন গুঞ্জন ও আংতক বিরাজ করছে স্থানীয় ভোটাদের মাঝে।  এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকরা ও তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে ভয় পায়। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় এলাকায় এমন সংবাদ হারহামেশাই বলাবলি হচ্ছে সাইফুল ইসলাম মন্টুর মাদক কারবার ও পেশীশক্তির মাধ্যমে আয় করা অর্থের ভাগ পান বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লব। তাই এই মর্মেই বোধহয় এমন পেশীশক্তি অধিপত্যেতা বজায় রেখেছেন তিনি। বারবার নানারকম অপকর্ম প্রশাসনের নাকের ডগায় করেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেড়িয়ে যান সদম্ভে।

এই প্রার্থী ছাড়াও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গজারিয়া উপজেলায় চিহ্নিত মাদক কারবারিদের ডোনেশন (বিনিয়োগ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় একাধিক প্রার্থী পক্ষে। মাদক কারবারিদের নির্বাচনে লগ্নি করা অর্থ লুফে নিচ্ছেন একাধিক প্রার্থী বিনিময়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পাশ করলে করতে পারবেন নিরাপদ মাদক ব্যবসা।


এই তালিকায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম মন্টু শীর্ষে অবস্থান করলেও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে একাধিক প্রার্থীর পক্ষে।

এই তালিকায় মাদক কারবারী না হলেও মাদকসেবী হিসেবে এলাকায় খ্যাতি রয়েছে আরেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুনায়েত হোসেন মনির পেয়েছেন তালা প্রতীক।

মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশে পরের অবস্থানে রয়েছে বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও এই নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি পেয়েছেন পদ্মফুল প্রতীক তিনিও মুন্সীগঞ্জ -০৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লবের নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা চালাচ্ছেন জনসংযোগ কালে। তার একাধিক কোটিপতি মাদক কারবারি ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশীশক্তিশালীদের সাথে রয়েছে নানা সম্পর্ক।

এই তালিকায় তারপরের অবস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেসা উত্তরা ও আরেকজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুসরাত বেগম মিতু তাদের নির্বাচনী প্রচরনা ও গনসংযোগ কালে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। তারাও গুপ্তসন্ধি করেছেন এলাকাবেধে স্থানীয় মাদক কারবারিদের সাথে এমন খবর চাউর হয়েছে স্থানীয় ভোদের মাঝে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম ও মনসুর আহাম্মেদ খান জিন্নাহ্ শিবিরেও ভয়ংকর মাদক কারবারিদের আঁতাত করা সর্ম্পক ও যোগসাজশ রয়েছে এবং এই সব মাদক কারবারিদের দেখা যায় তাদের নির্বাচনী প্রচারনায় সরব উপস্থিতি হিসাবে।

এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত ও আংতকিত গজারিয়া উপজেলাবাসী মাদক ব্যবসায়ী ও পেশীশক্তিশালীরা ক্ষমতায় গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করবে সারা গজারিয়া উপজেলা জুড়ে।

স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানতে পারি ভালো প্রার্থী না থাকায় সচেতন ভোটাররা ভোট বয়কট করবেন সেই হিসেবে ধারনা করা হচ্ছে গজারিয়া উপজেলার এই নির্বাচন স্মরনকালের সব থেকে কম ভোটার উপস্থিতি হবে।


আরও খবর



ফরিদপুরে বাস-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ জনে।

দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুইজনের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। অন্য ১১ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

এর আগে ১১ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন ফরিদপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ। তিনি বলেন, সকাল আটটার দিকে কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ব্যক্তিদের নামপরিচয় জানাতে পারেননি এসআই মিরাজ। তিনি বলেন, নিহতরা পিকআপের যাত্রী ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তারা পিকআপে চড়ে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর



ঢাকায় প্রথম রিকশা প্রচলনের ইতিহাস এবং দেশে দেশে রিকশার বৈচিত্র্যময় নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে রিকশা প্রচলনের কথা জানা যায়। রিকশা শব্দটি জাপানি, যা জিনরিকিশা থেকে আগত। জিন শব্দের অর্থ মানুষ, রিকি অর্থ শক্তি, শা অর্থ বাহন। একসঙ্গে অর্থ দাঁড়ায় মানুষ্য শক্তি দিয়ে চালিত বাহন। 

মূলত উনিশ শতকের শেষে চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় রিকশার উত্থান। রিকশার প্রচলন প্রথম কে করেন, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের সিমালয়ে মিশনারি হিসেবে কাজ করা মার্কিন নাগরিক জোনাথন স্কোবি এর উদ্ভাবন করেন। 

তখনকার রিকশাগুলো তিন চাকার ছিল না। দুই দিকে দুই চাকা আর সামনের চাকার বদলে একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো এটি ঠেলে নিয়ে যেত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জ্বালানি সংকটের কারণে জাপানে রিকশা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও এখন জাপানে রিকশার প্রচলন নেই।

বাংলাদেশে রিকশা জাপান থেকে আসেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের পরে বাংলাদেশে রিকশার আগমন। বিশ শতকের শুরুর দিকে অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় রিকশার প্রচলন শুরু হয়। একই সময় বার্মার রেঙ্গুনে রিকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

ধারণা করা হয় ১৯১৯ বা ১৯২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে রিকশার আগমন বার্মার রেঙ্গুন থেকে চট্টগ্রাম হয়ে। যদিও ঢাকায় এর আগমন ঘটে কলকাতা থেকে। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জের ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা নিয়ে আসেন। অনেকের মতে, ঢাকায় রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয় ১৯৪৪ সালের দিকে।

অন্য সূত্র হতে জানা যায়, ঢাকায় প্রথম রিকশা আসে ১৯৩৬ বা ১৯৩৭ সালে। সেই সময়ে চন্দননগর এলাকায় ছিল ফরাসি উপনিবেশ এবং তাদের প্রভাব। তখনই ঢাকার মৌলভীবাজারের দুজন সেখান থেকে নিয়ে আসেন দুটি ‘সাইকেল রিকশা’। এই দুই রিকশার দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। 

ব্যবসার জন্য রিকশা আনা হলেও প্রথমদিকে তা সুখকর হয়নি। ব্যবসা জমাতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। কারণ অন্যের ঘাড়ে চেপে চলতে লোকেরা প্রথমে লজ্জা পেতো। কেউ রিকশায় চললে রাস্তার ছেলেরা পিছনে ছুটত।মৌলভীবাজারের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অনেকেই রিকশা আমদানি করতে থাকেন। সেই সময়ে একজন রিকশাচালক দিনে ৩টাকা থেকে সাড়ে তিন টাকা উপার্জন করতেন।

চাহিদা বাড়ছে দেখে ঢাকার মিস্ত্রীরা নিজেরাই রিকশা বানানোর কাজ শুরু করে। যেসব মিস্ত্রীরা আগে সাইকেল সারাইয়ের কাজ করতো তারাই এ কাজ শুরু করে। স্থানীয় মুসলিম এবং বসাকরা এই কাজে পারদর্শী ছিলো। 

অল্প সময়েই তারা নতুন জিনিস আয়ত্ব করে নিতেো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রিকশা তৈরির কাজ ব্যাপকভাবে চলতে থাকে। কারণ তখন বাইরে থেকে রিকশা আনা সম্ভব ছিল না। পরে শুরু হয় ওই রিকশায় বাহারি রঙ করে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ।

১৯৪১ সালে ঢাকায় রিক্সার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮১টি। বর্তমানে ঢাকাতেই ৩ থেকে ৭ লাখ রিক্সা রয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ঢাকায় কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক রিক্সা চলাচল করে।

ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষ রিক্সায় চলাচল করে।রিকশার আকার, গঠন বিভিন্ন রকম হওয়ায় দেশভেদে এর ভিন্নতা রয়েছে। চীনে সানলুঞ্চে, কম্বোডিয়ায় সিক্লো, মালয়েশিয়ায় বেকা, ফ্রান্সে স্লাইকো নামে রিকশা অধিক পরিচিত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি পেডিক্যাব নামেও পরিচিত। 


ছবি: জাপানী রিকশা (আনুমানিক ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)


আরও খবর



রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি):

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দুপুর পর্যন্ত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম।

তবে এই নিবার্চনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আরও দুইজন প্রার্থী সহ মোট ৩ জন চেয়ারম্যান পদে লড়বেন। এছাড়াও ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী পেয়েছেন আনারস প্রতীক, রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো.আবদুল কাদের পেয়েছেন দোয়াত কলম এছাড়াও কংজঅং মারমা ঘোড়া প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে লড়বেন।


এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক পুনরায় টিয়া প্রতীক পেয়েছেন, মো.শামছুউদ্দিন মিলন তালা প্রতীক, মো.ওমর ফারুক মাইক প্রতীক, মোবারক হোসেন বাদশা চশমা প্রতীক, মো.নুরুল আমিন টিউবওয়েল প্রতীক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম কলস প্রতীক ও নাছিমা আহসান নীলা প্রজাপ্রতি প্রতীকে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রামগড় উপজেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ই মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি পৌরসভা ও দুইটি ইউনিয়নের ৪১ হাজার দুইশত ৬১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


আরও খবর



২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো

১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশে এমন তাপমাত্রা এটাই প্রথম নয়। এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নয়। সে কারণে এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তাই আমরা রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।


আরও খবর