Logo
শিরোনাম

গৃহবধূ'কে নির্যাতনের চেষ্টা, বিচারে জরিমানার টাকা মাতব্বরদের পকেটে

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় গৃহবধূ'র ঘড়ে এক ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আটক।গোপনে মিমাংসা (ধামাচাপা) দিতে ৬০ হাজার নিয়ে মিমাংসায় বার্থ হোন গ্রামের প্রধান মাতব্বর ও গ্রাম সমিতির সভাপতি। এরপর মিমাংসার নামে মোটা অংকের টাকানিয়ে আটককৃত ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেন কযেকজন মাতব্বর। গৃহবধূকে না দিয়ে সব টাকা মাতব্বরদের পকেটে। অপরদিকে ন্যায় বিচার দাবি করেছেন গৃহবধূ। 

গৃহবধূ'র ঘড়ে ঢোকার পরই ঘড়ের দরজায় তালাদিয়ে ধান-চাতাল ব্যবসায়ীকে আটক করেন। পরে গৃহবধূ'র ঘড় থেকে বের করে আদর্শগ্রাম সমিতির ঘড়ে নিয়ে ফের আটক করে রেখে গোপন সমঝোতা (মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে) দীর্ঘ ৭ ঘন্টাপর আটককৃত ধান-চাতাল ব্যবসায়ীকে রবিবার ভোর ৪ টারদিকে ছেরে দেন মাতব্বররা। এলাকার লোকজনের মাঝে আলোড়ন চৃষ্টিকারী এঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের বাগাচাড়া (আদর্শপাড়া) গ্রামে।

স্থানিয় সুত্রে জানাযায়, বাগাচারা (আদর্শপাড়া) গ্রামে মায়ের বাড়িতে বসবাসকারী ভুক্তভোগী গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী হাটচকগৌরী এলাকার একটি ইট ভাটায় রান্না (শ্রমিকের) দিনে কাজ করেন এবং সন্ধায় বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে থাকেন।

গত শনিবার দিনগত রাত ৯ টারদিকে ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আসলাম হোসেন ঐ গৃহবধূ'র ঘড়ে ঢুকে তাকে ফের কু-প্রস্তাব দিলে, এসময় গৃহবধূ বাহির থেকে ঘড়ের দরজায় তালাদিয়ে ঘটনাটি গ্রামের মাতব্বর সহ লোকজনকে জানান। 

এব্যাপারে (আদর্শপাড়া) গ্রাম সমিতির সভাপতি ও প্রধান মাতব্বর জালাল বলেন, শনিবার রাত ৯ টারদিকে ধান-চাতাল ব্যবসায়ী গৃহবধূর ঘড়ে ঢুকলে তাকে ঘড়ের ভেতর রেখে বাহির থেকে দরজায় তালাদিয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ঘটনাটি আমাদেরকে জানান। এসময় ঘটনাটি গোপনে মিমাংসা করার জন্য প্রথমে (গৃহবধূ'র) ঘড়ে ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আটক থাকাকালে আমি ৬০ হাজার টাকা নেয়,কিন্তু গৃহবধূ টাকানিয়ে আপোষ করতে রাজি না হয়ে ন্যায় বিচার দাবি করায় আমি মিমাংসা করতে না পেরে যার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম তাকে সেই টাকা ফেরত দিয়েছি। 

তবে সমিতির ঘড়ে এনে আটক রেখে গোপন মিমাংসার সময় আমি ছিলাম না। 

পরে জানতে পারি ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন এবং ৩০ হাজার টাকা যারা গোপন মিমাংসায় মাতব্বর ছিলেন তারাই সেই টাকা তাদের কাছে রেখে দিয়েছেন জানিয়ে আদর্শগ্রাম সমিতির সভাপতি জালাল আরো জানান, রাত ৩ টারদিকে ফোনকরে আমাকে ঘটনাস্থলে মিমাংসার জন্য ডাকা হলেও আমি আর যাইনি, তবে মান-সন্মানের দিক বিবেচনা করে হর্ষি গ্রামের বাবু ও আদর্শ গ্রামের ছেকেন সহ কয়েকজন মাতব্বর ঘটনাটি গোপনে রাতেই  মিমাংসা করেছেন।


অপরদিকে সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ন্যায় বিচার দাবি করে জানান, ধান চাতাল ব্যবসায়ী আসলাম আমাকে আরো ৫-৬ মাস থেকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। 

কু-প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনাটি আমি সে সময় গ্রামের মাতব্বর, আমার স্বামী সহ লোকজনকে জানিয়েছিলাম। অবশেষে শনিবার রাত ৯ টারদিকে ব্যবসায়ী আসলাম আমার ঘড়ে ঢোকেন আমার ইজ্জত নষ্ট করার জন্য। এসময় আমি তাকে ঘড়ের ভেতর রেখে বাহির থেকে দরজায় তালাদিয়ে ঘটনাটি সাথে সাথে মাতব্বর সহ লোকজনকে জানায় এবং যেহতু সে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন এজন্য আমি ন্যায় বিচার দাবি করি। কিন্তু আমি ন্যায় বিচার পাইনি দাবি করে ভুক্তভোগী গৃহবধূ আরো বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশও এসেছিলো, আমি পুলিশের কাছেও ন্যায় বিচার দাবি করেছি। তারপর ও দীর্ঘ ৭ ঘন্টা আটক করে রাখার পর গোপনে কি করা হলো তা আমি জানতেও পারলাম না মাতব্বররা অভিযুক্ত আটক ধান-চাতাল ব্যবসায়ীকে ভোর ৪ টারদিকে ছেরে দেন। 

আপনাকে নাকি মাতব্বররা ২০ হাজার টাকা দিয়ে আপোষ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভুগি গৃহবধূ বলেন, আমি কোন টাকা পাইনি বা নেয়নি, যেহতু আসলাম আমাকে ৫-৬ মাস ধরে কু-প্রস্তাব দিয়েছেন এবং সর্বশেষ আমাকে ধর্ষণের জন্য আমার ঘড়ে ঢুকেছেন এজন্য আমি ন্যায় বিচার চাইছি, এখনো আমি ন্যায় বিচার চাচ্ছি।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে স্থানিয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করাহলে গৃহবধূর ঘড়ে ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আটকের ঘটনা রাতে শুনেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাটি যেহতু মেয়ে ঘটিত, এজন্য আমি রাতে না বসে পরেদিন সকালে বসার কথা বলেছিলাম। এরপর আমাদের না জানিয়ে রাতেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছেন একটি মহল, যা খুবই দুঃখজন।


এব্যাপারে স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ ভদ্র'র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেয়ে ঘটিত ঘটনার বিষয়ে আমাকে রাতে জানানো হয়, যেহতু মেয়ে ঘটিত বিষয় এজন্য আমি পরের দিন সকাল ১০ টারদিকে বসার কথা বলেছিলাম। এরপর আর আমাকে কেউ ডাকেন নি বা এব্যাপারে কিছুই বলেন নি।

বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আসলাম এর মুঠোফোনে কলদিলে রিসিভ করার পর তিনি আসলাম এর ছেলে পরিচয় দিয়ে কেন ফোন করা হয়েছে জানতে চান, এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দেওয়া হয়েছে বলামাত্র সংযোগ কেটে দেওয়ায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

একজন ধান-চাতাল ব্যবসায়ীকে আটক করে রাখার খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালেও পুলিশ পৌছার পূর্বেই মাতব্বররা গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পরও ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আসলাম আদর্শগ্রাম সমিতির ঘড়ে আটক অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ পৌছার পরই আটককৃত ব্যবসায়ীকে ছেরে দেন মাতব্বর সহ স্থানিয় কতিপয় ছেলেরা। একদিকে জরিমানার টাকা মাতব্বরদের পকেটে, অপরদিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছেন। তথ্য সংগ্রহের শুরু থেকেই ঘটনার সাথে জড়ীত ৩ জন এঘটনায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য প্রতিবেদককে বিভিন্নভাবে অফার করেন, যা প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। সাথেই থাকুন-ঘটনার সাথে জড়ীত সকলের নাম পরিচয় এবং গোপনে মোট কত টাকা নিয়ে মাতব্বররা পকেটে রেখেছেন সে তথ্য সহ কে এই ধান-চাতাল ব্যবসায়ী আসলাম তার অন্তরালের আরো বিস্তারিত তথ্যসহ প্রতিবেদন ২য় পর্বে প্রকাশ করা হবে।


আরও খবর



৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো এবারের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আগুন ঝরা গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে তাপদাহে ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই কাতর সবাই।

তপ্ত দুপুরে গরমের তীব্রতায় নাগরিক জীবনের এমন হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার এই এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। গত বছর টানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে।

আজ শুক্রবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ সকাল থেকেই বয়ে গেছে গরম হাওয়া। রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গতকাল পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে।

টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে। তারপরও আগের স্টেশনগুলো বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে।

এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ হলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। তিনি বলেন, এতে বলা যায়, ৭৬ বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে গেল। এবার টানা যেমন তাপপ্রবাহ হয়েছে, আবার এর বিস্তৃতিও বেশি ছিল। এ বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা আগে কখনোই ছিল না।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। কিন্তু স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাবে এই তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এটি এই মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় বরাবরই এ সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এবার টানা দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ থাকায় ও বৃষ্টিহীন পরিস্থিতি বিরাজ করায় গরমের অনুভূতি বেড়েছে। জলীয়বাষ্পের পরিমাণটা বেশি, যে কারণে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক যা থাকার কথা, তার চেয়ে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা উঠছে বিভিন্ন এলাকায়।


আরও খবর



বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ২৩ বছর

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর রমনা বটমূলে ২০০১ সালে ছায়নটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ। বিস্ফোরণ প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন অনেকে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয় দুটি।

দুই মামলার তদন্ত ও বিচার কাজ একসঙ্গে শুরু হলেও ২৩ বছরেও বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি বিস্ফোরক মামলাটি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়া, প্রতি বছর একই যুক্তি দিয়ে আসছে রাষ্ট্রপক্ষ।

পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সাক্ষীদের সহজেই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার কাজ শেষ হওয়া উচিত।

হত্যা মামলাটি অবশ্য বিচারের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ১০ বছর আগে। এরপর হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। বিভিন্ন সময়ে আদালতে উঠলেও অন্তত ৪০০ বার পিছিয়েছে শুনানি।

এ বিষয়ে অ্যার্টনি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় কাজ করেছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার তার বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।

প্রায় দুই যুগ ধরে চলা এই হামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানান শিল্পীরা।

সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক আছেন, যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁকা চোখে দেখেন। তবে এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় যাতে পাই, সেই প্রত্যাশা করি।

২০১৫ সালে হত্যা মামলার রায়ে মুফতি হান্নানসহ মোট আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাদের মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৪ আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয় অন্য আরেকটি মামলায়।


আরও খবর



২ মে পর্যন্ত সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমের কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলতি সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তীব্র গরমের কারণে মুরগি মরে যাওয়ার শঙ্কায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান শেওড়াপাড়ার মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন। তিনি বলেন, এ সময়ে দাম কমার কথা না, গত সপ্তাহেও ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গরমে হিট স্ট্রোক করছে মুরগি। তাই ক্ষতি এড়াতে ছোট ছোট মুরগি কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

শুক্রবার বাজারে সব ধরনের সবজি গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা, শিমের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রোকলি ৪০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর