Logo
শিরোনাম

হুমকির মুখে স্থগিত রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর কালশী এলাকায় মারওয়া টাওয়ার নামে নিমির্তব্য একটি বহুতল ভবনের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিউগিনি প্রপার্টিজের মালিক নাজিমের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি প্রদানসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার কাজ স্থগিত রেখে শুধু নোটিশ প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

জানা যায়, রাজউকের অনুমোদিত নকশাবহির্ভূত নির্মাণের অভিযোগে প্রকল্পটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের একপর্যায়ে রাজউক অনুমোদিত নকশা প্রদর্শন করা হলে আশপাশের নির্মাণাধীন সব ভবনেই কম-বেশি নকশাবহির্ভূত নির্মাণ আছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে চ্যালেঞ্জ করেন নিউগিনি প্রপার্টিজের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভুইয়া। 

একপর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকে স্বেচ্ছাচারী কার্যকলাপ বলে প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি খানিকটা উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, কারো প্ররোচনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয় না বরং এটা রাজউকের নিয়মিত কার্যক্রম, যা অব্যাহত থাকবে। নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারে সুস্পষ্টভাবেই রাজউক অনুমোদিত নকশার অন্তত ১২ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করা হয়েছে, যা অবৈধ। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ আইন অমান্য করার প্রবণতার অভিযোগ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বিশ্বের জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। অনেকেই ব্যক্তিগত বা প্রয়োজনীয় কাজে নিয়মিত এটি ব্যবহার করেন। এটি প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট করে গ্রাহকের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে তুলছে। এবার স্ট্যাটাসে নতুন আপডেট আসছে হোয়াটসঅ্যাপে।

এতদিন হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসে ছবি, ভিডিও কিংবা টেক্সট আপলোড করা যেত। ক্যাপশনে লেখার অপশনও ছিল। কিন্তু, এবার আরও একটি বিষয় যুক্ত করতে পারবেন স্ট্যাটাসে।

একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আপনি চাইলে এখন থেকে, আপনার কন্টাক্ট লিস্টে থাকা যে কাউকে স্ট্যাটাসে ট্যাগ করতে পারবেন। অর্থাৎ ধরুন আপনি কোনো একজনের জন্যই একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কিংবা কয়েকজন বন্ধু অথবা পরিবারের কারও জন্য স্ট্যাটাসটি আপলোড করেছেন। সেক্ষেত্রে তাকে ট্যাগ করে দেওয়া যাবে। আর যে নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে সেই ব্যক্তির কাছে।


আরও খবর

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




আইন, আদালতকে ও সম্মান করে না ভূমিদস্যু, নাজিম!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার ত্রাস, সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা, ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত নাজিম উদ্দিন ভুইয়া। নিউগিনি প্রপার্টিজ নামক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তিনি। নাজিম উদ্দিন ভূইয়া ও তার চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এলাকার কিছু কিশোর বয়সী ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়া বাহিনী দিয়ে অন্যের জমি জোর পূর্বক অবৈধ দখল, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল অবসর প্রাপ্ত লোকের কাছে।

 লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামে শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন নাজিম উদ্দিন। এসব জমির নিরীহ মালিকগণ নাজিম বাহিনীর ভয়ে নাম মাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর একবিঘা জমি কিনে আশে পাশে দশ বিঘা জমিতে জোর পূর্বক সাইন বোর্ড লাগিয়ে দখলে নিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাট করে জমির চেহারা পাল্টে ফেলে নিজের কোম্পানির সাইন বোর্ড লাগিয়ে, জোর পূর্বক আশে পাশের রাস্তা বন্ধ করে এলাকার মানুষকে জিম্ম করে ফেলে নাজিম উদ্দিন। অন্যের জমি দখল করে মসজিদ ও কবরস্থানের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন তিনি।

 শেয়ার মালিক ও ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলে জমির আসল মালিকগণ আদালতে দেওয়ানী মামলা করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নাজিম বাহিনী নির্মাণ কাজ শুরু করে নিউগিনি প্রপার্টিজ। এলাকায় নাজিম উদ্দিনের ক্ষমতার জোর দেখিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে নাজিম উদ্দিন তথা নিউনিগি প্রপার্টিজ। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজউক এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় গত ২০ই মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ ও উচ্ছেদ অভিযোনে গেলে সৃষ্টি হয় এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

 নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটর নির্দেশে উক্ত ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করতে গেলে সদলবণে সেখানে উপস্থিত হয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন ভূইয়া। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সরাসরি বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারওয়ারকে লাঞ্চিত করেন ও প্রশাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নাজিম উদ্দিন। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপর চূড়ান্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার হুমকি দেন নাজিম উদ্দিন।

ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকান্ডকে অবৈধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকি প্রদান করেন। তার অসৌজন্য মূলক আচরণ এবং বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর চাপে অবশেষে ভদ্র মহিলা (নিঃম্যাঃ) নিজের সম্মান বাচাতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে শুধুমাত্র নোটিশ প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

 অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে রাজউক নকশা অনুমোদন করিয়ে রাজউকের নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন। তার কোম্পানির নেই কোন ইঞ্জিনিয়ার, নেই কোন অভিজ্ঞ লোকজন। সকল কার্য পরিচালনা করেন নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন। তিনিই মালিক, তিনিই ইঞ্জিনিয়ার তিনিই সেলসম্যান তিনিই কন্ট্রাকক্টর, তিনিই পার্চেজার। সব কিছুই তিনি তার মতো করে করেন।

তার ধারনা তিনি যা করেন সেটাই আইন, সেটাই আদালত। আইন, বিচার শালিস, আদালত, প্রশাসন কোন কিছুকেই পরোয়া করেন না নাজিম উদ্দিন। ক্যান্টনমেন্ট থানাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ধারায় প্রায় ৩০টি মামলার আসামী নাজিম উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যগণ। আর সাধারণ ডায়েরী রয়েছে অসংখ্য। এর মধ্যে প্রায় ১০টি মামলা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)এর (ঈ) ১০/১২, ১৪৩/৩৪১/৪২৭/৩২৫ সহ অন্যান্য ধারায়। নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, জামাত শিবিরের অর্থযোগান, মানিলন্ডারিং সরকারের কর ফাঁকি, দুর্নীতি কোন কিছুই আর সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকছে না নাজিমের বেলায়। নাজিমের এসব কর্মকান্ডে বেশ কয়েকবার জেল খাটার পর টাকা আর ক্ষমতার জোরে জেল থেকে বেরিয়ে নাজিম উদ্দিন গর্ব করে বলেন তাকে আটকে রাখার মত জেলখানা বাংলাদেশে তৈরী হয়নি। কোথায় নাজিমের খুঁটির জোর কেউ জানে না। এক অদৃশ্য শক্তির জোরে ইসলামী লেবাচে চলাফেরা করে নানা প্রকার বে-আইনী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানিকদি মাটিকাটা এলাকায় অঘোষিত ক্ষমতার নায়ক নাজিম উদ্দিন।

তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এজন্য নিরপেক্ষ স্বাক্ষীর অভাবে খারিজ হয়ে যায় নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ। পুলিশ, র‍্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাজিম উদ্দিনের সব মামলার তদন্ত করতে ভয় পায়। স্বাধীন দেশে এক পরাধীন এলাকা মাটিাকাটা-মানিকদি। এলাকার লোকজনের কাছে নাজিম বাহিনীর বিষয়ে জানতে চাইলে সবাই কৌশলে এড়িয়ে যায়। আবার চেষ্টা অনেক করেও নাজিম উদ্দিনের দেখা পেলে সব প্রশ্নের জবাব উগ্র ও সন্ত্রাসী ভাষায় প্রদান করেন তিনি।


আরও খবর



মুজিবনগর সরকার : মুক্তিযুদ্ধে প্রভাব

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সোহেল মাজহার: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা অপরিসীম। অর্থাৎ অস্থায়ী প্রবাসী মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কার্যকর ও আইনসঙ্গত নেতৃত্ব প্রদান করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬৬ সালে তার ঐতিহাসিক ছয় দফা উত্থাপন করেন। ছয় দফা উত্থাপনের কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মুখোমুখি হতে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি ও ছয় দফার পক্ষে প্রবল জনমত গঠন হয়। একই ধারাবাহিকতায় ৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি অভিনব ও স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পান এবং ২৩ ফেব্রয়ারি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ছাত্র জনতার পক্ষে তোফায়েল আহমেদ তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। ছয় দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে ১৬৭ টি আসন ও প্রাদেশিক পরিষদে ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে।

৭১-এর মার্চের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাববিস্তারি ঘটনা হলো রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ভাষণে মাত্র ১৭/১৮ মিনিটে পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক ২৩ বৎসরের শাসন-শোষণ ও বঞ্চনার নির্মম ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি বাঙালি জাতির গৌরবময় আন্দোলন সংগ্রামের কথা স্মরণ করেন। ভাষণের একটি পর্যায়ে বলেন, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট, যা যা আছে সবকিছু আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে।

 আরো উল্লেখ করেন, প্রত্যেক পাড়ায়-মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলুন। একেবারে শেষ পর্যায়ে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা, অমোঘ বাণী উচ্চারণ করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। মূলত এর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মুজিব আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠ করা ছাড়া অলিখিতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক সংগঠন, সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ, সেল্টার ও গেরিলা যুদ্ধ সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামরিক পরিচালনার দিকনির্দেশনা ছিল ৭ মার্চের ভাষণে।

৭ মার্চের ভাষণের আলোকে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র অসহযোগ আন্দোলন সংঘটিত হয় । এই সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু মুজিবের নির্দেশে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে ৩৫ দফা নির্দেশনা ঘোষণা করেন। এদিকে ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে খোদ ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক ট্রেনিং সেন্টার স্হাপিত হয়। আবার ১৯ মার্চ জয়দেবপুরে ঘটে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী জয়দেবপুরে অবস্থানরত বাঙালি রেজিমেন্টেকে নিরস্ত্র করতে চাইলে মেজর শফিউল্লাহ এর নেতৃত্বে বাঙালি সৈনিকগণ বিদ্রোহ ঘোষণা করে, তা প্রতিরোধ করে।

এই ঘটনায় মনু মিয়া, হুরমত ও নিয়ামতসহ স্হানীয় চারজন শহিদ হন। অন্যদিকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কালক্ষেপণ করে সর্বাত্মক যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করে। প্রাথমিক অবস্হায় একযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, আবাসিক ভবন - ডরমিটরি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও ই.পি.আর পিলখানায় ব্যাপত গনহত্যা চালায়। এই রাতেই গণহত্যা ঢাকা শহরের বস্তি এলাকা, রাজপথ ও ফুটপাতেও চলে। মোদ্দাকথা এক রাতের মধ্যে ঢাকা শহর মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠে। পাকিস্তান বাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৩২নং ধানমন্ডি, তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়ার পূর্বমুহূর্তে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

২৬ মার্চ থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইপিআর, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীসহ স্হানীয় মুক্তিকামী মানুষ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে। এ সকল যুদ্ধ ছিল অবিচ্ছিন্ন, অসংগঠিত , তাৎক্ষণিক এবং অনেক ক্ষেত্রে তা নেতৃত্বহীন-অদূরদর্শী। একথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক প্রেরণার মূলে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও ৭ মার্চের ভাষণ। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রবল আইনগত ও সাংবিধানিক ভিত্তি আছে। আর তা হলো ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয় অর্জন।

এটিই মুক্তিযুদ্ধকে সমগ্র পৃথিবীতে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক ও আইনি বৈধতা দান করে। পৃথিবীর অনেক দেশের ন্যায্য স্বাধীনতা ও মুক্তির লড়াই শুধুমাত্র নিরঙ্কুশ রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি স্বাধীনতাকামী গ্রুপগুলো নিজেদের মধ্যে অন্তঃ লড়াইয়ে যুক্ত হয়ে তা দীর্ঘস্হায়ী হয়েছে । আফগানিস্তান, কাশ্মীর ও আরাকানসহ পৃথিবীতে এরকম অনেক উদাহরণ আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তাঁর উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। যতটুকু অন্তঃবিরোধ, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ছিল, তা যৎসামান্য। মূলত ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর সরকার গঠিত হওয়ার ফলে একটি রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সফলভাবে পরিচালিত হয়।

বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয়ে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। আওয়ামী লীগের অনেক জাতীয় নেতা আত্মগোপন করেছেন। নেতারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অনেকের কাছেই অনেকের খবর নেই। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হলেও পাকিস্তান বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে রক্ষণাত্মক ভূমিকায় যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকছে না। রাজনৈতিক নেতৃত্ব শিথিল কিংবা নেই। স্হানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অনেক এমএনএ ও এমপিএ প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ অধিকাংশজন আত্মগোপনে চলে যায়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ এই নেতৃত্বহীনতা ও বঙ্গবন্ধু মুজিবের অনুপস্থিতি তীব্রভাবে অনুভব করেন। পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যার পর প্রাথমিকভাবে আত্মরক্ষা করে তিনি ঢাকা থেকে গা ঢাকা দেন। ২৭ মার্চ তিনি ঝিনাইদহ উপস্থিত হন৷ তৌফিক এলাহি ও মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রমের প্রমুখের সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত চলে যান। মার্চের ৩০ তারিখ পশ্চিম বাংলা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ২ এপ্রিল তিনি দিল্লিতে যান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সবধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন। উভয় নেতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি রাজনৈতিক সরকারের অভাব অনুভব করেন। তাজউদ্দিন আহমদ দিল্লি থেকে ফিরে এসে কুষ্টিয়া সীমান্তে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমএনএ ও এমপিদের নিয়ে একটি অধিবেশন আয়োজন করেন।

অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ এপ্রিল অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের কারাগারে রেখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী হন তাজউদ্দিন আহমদ। মন্ত্রিপরিষদের অন্যন্য সদস্যগণ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচএম কামারুজ্জামান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ। অস্হায়ী প্রবাসী সরকার ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার ঐতিহাসিক আম্রকাননে শফথ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ, ভারত ও পৃথিবীর আরো কয়েকটি দেশের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার অধ্যাপক ইউসুফ আলী। মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। শফথ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ সংক্ষিপ্ত ও তাৎপর্যময় বক্তব্য রাখেন।

তাজউদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে বৈদ্যনাথ তলার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম করেন মুজিবনগর। এই নতুন নামকরণের মধ্য দিয়ে প্রবাসী সরকার মুজিবনগর সরকার নামে অধিক পরিচিতি পায়। মুজিবনগর সরকারের নামকরণের তাৎপর্য অন্য জায়গায়। এই নামকরণের মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হলো পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকলেও বঙ্গবন্ধু মুজিবই মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। তার নেতৃত্বেই অস্থায়ী প্রবাসী সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে। কার্যত মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বিকল্প ছিল না। যে কারণে অনেকে বিশ্বাস করতেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্ত আছেন এবং তিনি সশরীরে যুদ্ধ পরিচালনা করছেন।

এর আগে আরো কিছু ঘটনা ঘটে। ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ৪ এপ্রিল বাংলাদেশের কিছু ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মেজর খালেদ মোশাররফের অস্থায়ী দপ্তরে মিলিত হন। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সামরিক বিবেচনায় তারা সমগ্র বাংলাদেশকে চারটি অঞ্চলে বিভক্ত করে। দায়িত্বগুলো ছিল নিম্নরূপ ১. চট্টগ্রাম অঞ্চল - মেজর জিয়াউর রহমান ২. কুমিল্লা অঞ্চল - মেজর খালেদ মোশাররফ ৩. সিলেট অঞ্চল - কে. এম শফিউল্লাহ ও ৪. যশোর অঞ্চল - মেজর কে.এম আবু ওসমান চৌধুরী। কিন্তু যাই হোক প্রবাসী মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে এসব কিছুকে অনুমোদন ও বৈধতা দেওয়ার কেউ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ আইনের দৃষ্টিতে স্বাধীনতা যুদ্ধ না হয়ে বিচ্ছিনতাবাদী যুদ্ধে রূপান্তরিত হতো।

যা হোক, প্রবাসী সরকারের দপ্তর স্থাপিত হয় ৮ থিয়েটার রোড কলকাতায়। ইতোমধ্যে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর স্বাধীনতা ঘোষণা প্রবাসী সরকার অনুমোদন করে। মুক্তিযুদ্ধকে সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য শফথ গ্রহণের পূর্বেই ১১ এপ্রিল এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডারের ওপর দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়।

'ভারতের মাটিতে অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়ের রাজনৈতিক সরকারের কোনো বিকল্প ছিল না। কারণ সরকার কিংবা বৈধ প্রতিনিধি না থাকলে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকার কার সঙ্গে কথা বলবে, নেগোসিয়েটেড করবে। বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রবাসী মুজিব নগর সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক সরকার গঠনের পাশাপাশি প্রশাসন কাঠামো ও সুসংহত আমলাতন্ত্র গঠন করেছিল। ১১ জুলাই সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনীর সেক্টর গঠনের সমান্তরালে ১১টি আঞ্চলিক পরিষদ ( zonal Council) গঠন করে। ১১টি আঞ্চলিক পরিষদ ১১ জন করে চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে মূলত মুক্তিবাহিনীর উপর বেসামরিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

২০ তারিখের মন্ত্রিপরিষদের সভায় সরকার একটি পূর্ণাঙ্গ সরকার কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে কতগুলো মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো১. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ১. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩. অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪. মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয় ৫. সাধারণ প্রশাসন বিভাগ ৬. স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৭. তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয় ৮. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়(৯) ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় (১০) সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (১১) কৃষি বিভাগ (১২) প্রকৌশল বিভাগ। মন্ত্রী পরিষদের কর্তৃত্বে আরও কয়েকটি সংস্থা গঠিত হয়। সংস্থাগুলো হলো ১. পরিকল্পনা কমিশন ২. শিল্প ও বাণিজ্য বোর্ড ৩. নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, যুব অভ্যর্থনা শিবির ৪. ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটি ৫. শরনার্থী কল্যাণ বোর্ড। উপরিউক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্হা সৃষ্টি করা ছাড়াও অগ্রিম পরিকল্পনা প্ল্যানিং সেল, গণহত্যা সেল ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। বিশেষত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এভাবেই সোভিয়েত ব্লক সহ পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ব্যক্ত করে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকগণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়ানোর পিছনে প্রবাসী সরকারের তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়।

ভারত বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর জন্য ট্রেনিং সেন্টার স্হাপন, অস্ত্র-রশদ সরবরাহ ও লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান, ভারতের মাটিতে প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার পেছনে অস্থায়ী সরকারের ভূমিকা ছিল। ৩ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী গঠন, ৬ ডিসেম্বর ভুটানের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়, ৭ ডিসেম্বর ভারতের স্বীকৃতি প্রদান প্রবাসী সরকারের বড় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সাফল্য। সবচেয়ে বড়ো কথা বাংলাদেশের ১১ টি সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিবাহিনী প্রবাসী সরকারের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে ছিল। প্রবাসী সরকারের অনুমোদন ছাড়া তা মুক্তিযুদ্ধ হিসাবে স্বীকৃত হতে পারে না। মুক্তিবাহিনী সরকারের অনেকগুলো বিভাগের মধ্যে একটি বিভাগ। অবশ্য এটিই ছিল সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ বা অঙ্গ। কাজেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুজিবনগর সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত।

লেখক : অধ্যাপক, কবি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক। ইমেইল : [email protected]


আরও খবর



কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর



মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। এটি সবার জন্যই ক্ষতিকর। এতে ছোটদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। বড়দেরও জীবনযাত্রায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে চেষ্টা করছেন স্ক্রিন টাইম কমাতে কিন্তু পারছেন না। সেক্ষেত্রে থেরাপিস্টদের কিছু পরামর্শ মাথায় রাখতে পারেন।

১. মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। জীবনধারার যে কোন পরিবর্তন আনতে এটাই হল চাবিকাঠি। অনেকেরই রাত জেগে সিরিজ দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা অনেকটা নেশার মতো। একাকীত্ব কাটাতেও অনেকে রাত জেগে সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ার। সেক্ষেত্রে নিজেকে কাছেই নিজে প্রশ্ন করুন- যা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ঠিক কিনা। তাহলে নিজেকেই অনুপ্রাণিত করতে পারবেন এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।

২, স্মার্টফোনের গ্রে-স্কেল সেটিংস পরিবর্তন করুন। থেরাপিস্টরা মনে করছেন ফোনের রঙিন আলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।

৩. ফোনের নোটিফিকেশন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করে রাখুন। এতে মেসেজ এলেই ফোন দেখার অভ্যাসটা কমে যাবে।

৪. অফিসের কাজের ফাঁকে, পড়ার ফাঁকে, এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকের ফোন দেখার অভ্যাস আছে। নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করুন। অল্প সময়ের বিরতিতে বরং চেষ্টা করুন কিছু এক্সারসাইজ করতে। এতে উপকার পাবেন।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজের কাছ থেকে মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে চোখ রাখবেন না। সে সময়টা ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

৬. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলুন। ওই সময়টা বই পড়া, গান শোনা বা কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪