Logo
শিরোনাম

ইমরানের বাড়িতে ‘সন্ত্রাসী’ পেল না পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়িতে কথিত ৩০-৪০ সন্ত্রাসী খুঁজতে ঢুকে বিস্কুট ও পানি ছাড়া আর কিছুই পায়নি পুলিশ। তাদের হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। শুক্রবার (১৯ মে) লাহোরে জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশি অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন ইফতিখার ঘুমান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, লাহোরের কমিশনার মোহাম্মদ আলি রনধাওয়া, ডেপুটি কমিশনার রাফিয়া হায়দার, ডিআইজি অপারেশন সাদিক ডোগার এবং এসএসপি অপারেশন সোহাইবের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করে সমঝোতা করেন। তার বাসভবনে তল্লাশির জন্য পাঞ্জাব পুলিশ পরোয়ানা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

পাঞ্জাব পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বাড়িটির প্রবেশ ও প্রস্থান উভয় গেট দিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালানো হবে, যার প্রাথমিক লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা।

তবে ইমরানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতিখার ঘুমান বলেছেন, তল্লাশি শেষে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে পুলিশকে।

বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি মনে করি তারা বুঝতে পেরেছে, এখানে কিছুই নেই। তারা শুধু পানি আর বিস্কুট পেয়েছে।

ইফতিখার বলেন, আমরা আপনাদের সামনেই তাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিলাম। এখন তাদের কাছেই জিজ্ঞাসা করুন তারা কী পেয়েছে?

গত বুধবার পাঞ্জাব সরকার দাবি করে, ইমরান খানের বাড়িটিতে ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের হস্তান্তর করার জন্য ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। তবে ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অবশ্য লাহোর ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) বিলাল সাদ্দিক কামিয়ানা দাবি করেছেন, পিটিআই প্রধানের জামান পার্কের বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করা ছয় সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




শুল্ক কমলেও কমেনি পণ্যের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নিত্যপণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক-কর কমানোর পরও বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় না হওয়ায় আফসোসের কথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বড় অভাব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, অনেক কর ও শুল্ক কমিয়েছি। তারপরও দাম কমেনি, এটি আমার আফসোস। ডিমের দাম কমছে না, পেঁয়াজের দাম কমছে না।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংকসহ ১৭টি ক্যাটাগরিতে ৪৬টি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস্ অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতিতে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলো ঠিক করার উপায়ও আছে। তিনি ব্যবসায়ীদের সরকারের ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানান।

শুধু শুল্ক-কর কমিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়—এমন ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনের অনেক দিক আছে। ব্যাড সিস্টেম আছে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। আমরা আপনাদের সবরকম সাহায্য করব। আমরা অনেক ট্যাক্স কমিয়েছি।



আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, বন্ধ সব প্রাইমারি স্কুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ভারতের রাজধানী দিল্লি ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে। শহরটির এয়ার কোয়ালিটি ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে শহরের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে দূষণ প্রতিরোধে দেওয়া হয়েছে একাধিক নির্দেশনা।

জানা গেছে, দূষণের প্রকোপে দিল্লি ছাড়াও রয়েছে নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদ। বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমানতা কমে ৫০০ থেকে ৮০০ মিটারে দাঁড়িয়েছে। তার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হচ্ছে যান ও বিমান চলাচল। এই কারণেই মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এদিকে, দিল্লিতে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকেই কার্যকর হতে চলেছে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএপি ৩’। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হলো- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন পঠনপাঠন।

যে হারে দূষণ বাড়ছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা শিশুদের। তাই শুক্রবার থেকে দিল্লির সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন পঠনপাঠন চলবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এখনই প্রয়োজন নেই, এমন নির্মাণকাজ কিংবা ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও কিছু সরকারি পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণ কাজে ছাড় রয়েছে।

পাশাপাশি বিএস ৩ এর নিচে থাকা পেট্রলচালিত গাড়ি ও বিএস ৪ এর নিচে থাকা ডিজেলচালিত গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ। নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাস চলাচলও। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড জানিয়েছে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে যা রিপোর্ট তাতে স্পষ্ট বলা যায়, দিল্লির অবস্থা ভয়াবহ। তাই এসব পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পুরো চেষ্টা করছে সরকার।

রাজধানীর দূষণ নিয়ে সমীক্ষায় এরই মধ্যে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গেছে, প্রতি ৭ থেকে ১০টি পরিবারের মধ্যে কমপক্ষে একজন এই বিষাক্ত দূষণের শিকার। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে গলাব্যথা বা কাশি, চোখে জ্বালাপোড়া ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়াসহ একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সমীক্ষকদের দাবি, দিল্লিতে যে হারে দূষণ বেড়েছে তা সরাসরি জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




চার মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৩৫%

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশের রফতানি বেড়েছে শতাংশের বেশি। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবুও সময়ে অব্যাহত থেকেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয়। সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে প্রায় দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিদেশী হিসাবে (নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট) ডলার স্থিতি কমেছে প্রায় দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে মোট রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে বিলিয়ন ডলারের বেশি।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রিজার্ভে হাত না দিয়েই সরকার প্রায় বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন ধরনের স্বল্প দীর্ঘমেয়াদি দায় পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে জ্বালানি আমদানির দায়, আদানির বিদ্যুৎ বিল এবং সার খাদ্য আমদানির মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার রিজার্ভে হাত না দেয়ার কথা বললেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার বহির্মুখী অন্তর্মুখী প্রবাহ বিশ্লেষণেই প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। আর বিদেশী ঋণের প্রবাহ কমে এলেও আগের বিভিন্ন দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। আবার দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধি কমে আসার প্রভাবও পড়েছে রিজার্ভের ওপর। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় গত আগস্ট আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ ডিসেম্বর তা নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে। সে অনুযায়ী চার মাসের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত চার মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভও ক্রমাগত কমে এসেছে। গত জুলাইয়ে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ডলার রিজার্ভ ছিল দশমিক শূন্য বিলিয়ন। কিন্তু অক্টোবর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ চার মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট রিজার্ভ হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে।

দেশের সার্বিক অর্থনীতি এখন স্বস্তির পর্যায়ে আছেএমনটা বলা যাবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ . মুস্তফা কে মুজেরী। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ কমে গেছে। তাই প্রবৃদ্ধিও শ্লথ হয়ে এসেছে। অর্থনীতি সচল না হলে বৈদেশিক হিসাবের চিন্তা থেকেই যাবে। একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত। তাই সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক অবস্থায় যাবে না।

এদিকে রিজার্ভ পতন অব্যাহত থাকলেও রফতানি রেমিট্যান্স প্রবাহ ক্রমেই বাড়ছে। রেমিট্যান্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। আর গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী, চার মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের তুলনায় এবার রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

একইভাবে রফতানির ক্ষেত্রেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-অক্টোবর) দেশে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ রফতানি খাতে গত চার মাসে দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যেখানে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক শতাংশ।

রফতানি রেমিট্যান্স বাড়লেও বিদেশী উন্নয়ন সহায়তার গতি কমে আসায় রিজার্ভে টান পড়ছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ . মুস্তফা কে মুজেরী। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহায়তার পাশাপাশি যেসব বাজেট সহায়তা আসার কথা সেগুলোও এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু সরকারকে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের আগের দায় মেটাতে হচ্ছে। তাই রিজার্ভে হাত না দেয়ার কথা বলা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের অন্তর্মুখী বহির্মুখী প্রবাহের হিসাবটাই আসল কথা।

এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) দেশে যে পরিমাণ বিদেশী ঋণ এসেছে, পরিশোধ করতে হয়েছে তার চেয়ে বেশি। অন্যদিকে সময়ে নতুন করে বিদেশী সহায়তার প্রতিশ্রুতিও তেমন একটা মেলেনি বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ইআরডির তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বাংলাদেশের অনুকূলে ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলারের বিদেশী ঋণের অর্থ ছাড় করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম। আবার চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের বিদেশী ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে গত বছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছিল ১১০ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সময়ে বিদেশী ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ অর্থছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি পরিমাণে। চলতি অর্থবছরের পুরো সময়েই ঋণ পরিশোধের চাপ বজায় থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়লেও তা সরাসরি রিজার্ভে যোগ হয় না। ব্যাংকগুলোয় এটা আসে। তারা একটি নির্দিষ্ট সময় পর বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার বিক্রি করে, তখন তা রিজার্ভে যুক্ত হয়। তাই রেমিট্যান্সের ডলার রিজার্ভে যুক্ত হতে সময় লাগে। আর রফতানি আয় থেকেও ব্যাংকের নিজস্ব ডলারের অনেক চাহিদা থাকে, সেগুলো মেটায় তারা।

রিজার্ভ কমার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মূলত দেড় বিলিয়ন ডলারের একটি বড় দায় পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে। সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আগের দায় পরিশোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ কিছুটা কমে গেছে। আমরা রিজার্ভ থেকে অন্য কোনো ব্যয় করিনি। তাহলে তা আরো কমত। দায় পরিশোধের পর থেকে রিজার্ভ আর না কমে বরং কিছুটা বাড়ছে।

ডিসেম্বরের পর রিজার্ভ আরো বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা।

প্রতি দুই মাস পর পর আকুর দায় পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দেড় বিলিয়ন ডলারের দায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধ করা হয়েছে। আর নভেম্বর-ডিসেম্বরের দায় পরিশোধ হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




মাভাবিপ্রবির ঐতিহ্যবাহী ভাসানী মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সাগর ঘোষ, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ভাসানী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। 

গত রবিবার মেলার ৭ম দিনেও উপচে মানুষের পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে প্রতিদিন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলা ঘুরে শিক্ষার্থীদেরও  কয়েকটি স্টল দেখা যায়। সেখানে তারা নানা মুখরোচক খাবার যেমন: আচার, বার্গার, কফি (হট ও কোল্ড), পিৎজা, স্যান্ডুইচ ইত্যাদি বিক্রয় করছেন। এছাড়াও মেলাতে বহিরাগত বিক্রেতারা চুরি, ফুলদানি, ক্লিপসহ নানা দ্রবাদি নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছেন। মেলাতে কেউবা হাতে নকশা করছেন,  কেউবা প্রিয় মানুষকে পুতুল উপহার দিচ্ছেন। এছাড়াও মেলায় টাঙ্গাইলের বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম, জিলাপিসহ নানা মিষ্টি বিক্রয় করছেন। মেলায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের আনোগনায় প্রাণচ্ছোল পরিবেশ সৃস্টি হয়েছে। মেলায় ছোট-বড় সকলের জন্য নানা রাইড যেমন: দোলনা, স্লাইড, নাগরদোলা, মিনি ড্রাগন ট্রেন, বাউন্সি ক্যাসল,  নৌকাসহ বিভিন্ন রাইড রয়েছে। মেলার অন্যদিকে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসস্থ বিজয়াঙ্গণে মাওলানা ভাসানীর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীতেও নানা বয়সীদের লক্ষ্য করা যায়। এই মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো তালের তৈরী টুপি। যা প্রায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছে। এই টুপির নাম হচ্ছে ভাসানী টুপি। 

মেলায় টাঙ্গাইল শহর থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী আদিতি আরিয়ান প্রান্তি বলেন, আমার দেখা টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় মেলা এই ভাসানী মেলা।  আমরা সপরিবার এই মেলাতে এসেছি। মেলা থেকে কাঁচের চুড়ি কিনেছি দুই ডজন, ছোট ভাইয়ের জন্য খেলনা বন্দুক কিনেছি, নাগরদোলায় উঠেছি। সব চেয়ে ভালো লেগেছে এউ মেলায়  কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। ফটকের চারপাশে শোভা পাচ্ছে নানা রং-বেরঙের আলোকসজ্জা। চারপাশে কোলাহল। ছোট-বড় নানা খাবার-খেলনার দোকান, গহনা, প্রসাধনীর দোকান সব মিলিয়ে মেলার পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত।

মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরফদার রোহান বলেন, সব মিলে এক অসাধারণ এক সময় কাটিয়েছি এই ভাসানী মেলায়। আমরা চাই প্রতি বছর এভাবেই মেলা হোক। সারাদেশ থেকে সবাই ভাসানী মেলা সম্পর্কে জানতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নানা রকমের স্টল দিয়েছে, দেখে আরও ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ থেকে এতো বড়ভাবে ভাসানী মেলার আয়োজন হয়নি। মেলা আয়োজনে যারা আছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর



নওগাঁতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরের জেলা নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এটি চলতি বছরে এ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার ৭ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা আর হিম বাতাস বইছে উত্তরের এই জনপদ নওগাঁতে। এতে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, উত্তরের এ জনপদ কৃষির উপর নির্ভরশীল। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নওগাঁর তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ফলে কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। নওগাঁ বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তাপপ্রবাহ কমে আসার সাথে সাথেই রাতে ঘনকুয়াশা থাকছে। শনিবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরো বলেন, এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে।


আরও খবর