Logo
শিরোনাম

ইমরানের বাড়িতে ‘সন্ত্রাসী’ পেল না পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়িতে কথিত ৩০-৪০ সন্ত্রাসী খুঁজতে ঢুকে বিস্কুট ও পানি ছাড়া আর কিছুই পায়নি পুলিশ। তাদের হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। শুক্রবার (১৯ মে) লাহোরে জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশি অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন ইফতিখার ঘুমান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, লাহোরের কমিশনার মোহাম্মদ আলি রনধাওয়া, ডেপুটি কমিশনার রাফিয়া হায়দার, ডিআইজি অপারেশন সাদিক ডোগার এবং এসএসপি অপারেশন সোহাইবের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করে সমঝোতা করেন। তার বাসভবনে তল্লাশির জন্য পাঞ্জাব পুলিশ পরোয়ানা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

পাঞ্জাব পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বাড়িটির প্রবেশ ও প্রস্থান উভয় গেট দিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালানো হবে, যার প্রাথমিক লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা।

তবে ইমরানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতিখার ঘুমান বলেছেন, তল্লাশি শেষে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে পুলিশকে।

বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি মনে করি তারা বুঝতে পেরেছে, এখানে কিছুই নেই। তারা শুধু পানি আর বিস্কুট পেয়েছে।

ইফতিখার বলেন, আমরা আপনাদের সামনেই তাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিলাম। এখন তাদের কাছেই জিজ্ঞাসা করুন তারা কী পেয়েছে?

গত বুধবার পাঞ্জাব সরকার দাবি করে, ইমরান খানের বাড়িটিতে ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের হস্তান্তর করার জন্য ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। তবে ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অবশ্য লাহোর ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) বিলাল সাদ্দিক কামিয়ানা দাবি করেছেন, পিটিআই প্রধানের জামান পার্কের বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করা ছয় সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।


আরও খবর

তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫




বকশীগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতের লাশ উত্তোলনে বাধাঁ

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলনে বাধাঁ দিয়েছেন মামলার বাদী আকতার হোসেন। তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গত মঙ্গলবার লাশ উত্তোলন করতে গেলে বাধাঁ প্রদান করেন বাদী ও তার লোকজন। ফলে বাধাঁর মুখে কবর থেকে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম। এই ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। লাশকে পুজিঁ করে লাখ লাখ টাকা চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদী আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট ঢাকা উত্তরায় নিহত হয় রিপন। ২৬ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই খাইরুল ইসলাম বলেন,ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহত রিপনের লাশ দাফন করা হয়েছে। তাই মামলাটি অধিক তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর বিজ্ঞ আদালত রিপনের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করতে এসে তার পরিবারের বাধাঁর মুখে পড়ি। ফলে লাশ উত্তালন করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলনের জন্য গেলে নিহত রিপনের পরিবারের লোকজন বাধাঁ প্রদান করেন। তাই লাশ উত্তোলন না করেই ফেরত আসি। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্তে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

মামলার বাদী আকতার হোসেন বলেন,তার ভাই রিপন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে এমন সকল প্রমানাদি তার কাছে রয়েছে। তাছাড়া লাশ উত্তোলনের বিষয়ে আগে থেকেই আমাকে অবহিত করা হয়নি,তাই বাধাঁ দেওয়া হয়েছে। আইনগত ভাবেই সকল কিছু মোকাবেল করা হবে।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌর শহরের চর কাউরিয়া সীমার পাড় এলাকার বাসিন্দা মৃত  রেজাউল করিমের ছেলে রিপন মিয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানীতে কাজ করতো। প্রথম স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন তিনি। আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বিকালে ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে গুরুতর আহতবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চীন-মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মারা যাওয়ার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই ৬ আগস্ট বকশীগঞ্জ উপজেলার পানাতিয়া পাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এই ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর রিপন মিয়া পুুলিশের গুলিতে মারা গেছে দাবি করে ২৬ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন নিহত রিপনের বড় ভাই আকতার হোসেন। মামলায় ক্ষমতাচুত্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ নামীয় ১৮জন ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামী করা হয়। নামীয় ১৮ জনের মধ্যে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান ও সমাজসেবক হাজী আমানুল্লাহসহ বকশীগঞ্জের ১৩ জনকে মামলায় আসামী করা হয়। মামলা দায়েরের পর আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন জনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন,মামলায় আসামী নাম অর্ন্তভুক্ত করণ এবং মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। গত ১৮ জানুয়ারি নিহত রিপনের স্ত্রী খাদিজা বেগম সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন।

খাদিজা বেগম বলেন,তিনি মামলা করতে চাইলে আকতার তাকে বাধাঁ দেয়। পরবর্তীতে তাকে কিছু না জানিয়ে চাঁদাবাজি করার জন্যই মামলার বাদী হয় আকতার হোসেন। অন্যায় ভাবে একটি পক্ষের কাছে সুবিধা নিয়ে বকশীগঞ্জে ১৩ জন নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাছাড়া লাশকে পুজিঁ করে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য ও চাদাঁবাজি করেছে সে। ৫ আগস্টের আগে আকতার পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতো একটি কুড়েঘরে। মানুষের কাছে হাত পেতে চলতো তার সংসার। কয়েক মাসের ব্যবধানে আকতার হোসেন লাখপতি বনে গেছেন। পাকা বিল্ডিং করেছেন। দামী দামী আসবাবপত্র ও নতুন মোটরসাইকেল কিনেছে সে। নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য আইন উপদেষ্ঠার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তবে তার সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আকতার হোসেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান,গুলিতে নয়,রিপন মারা গেছে ট্রাক চাপায়। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে একটি মহলের ইন্দনে মামলাটি করা হয়েছে। লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে। লাশ উত্তোলনে বাধাঁ দেওয়ায় বিষয়টি আরো সন্দেহের সৃষ্টি করেছে বলে দাবি তাদের। তাই দ্রুত লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর



প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বিজি প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপানো বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

বিজি প্রেসের কর্মচারীরা বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির ও পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন, সম্প্রতি ওঠা এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখান থেকে আর কোনো প্রশ্নপত্র না ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেন, বিসিএসসহ পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত সব নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানো, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি। বারবার বিজি প্রেস থেকে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা আমরা গণমাধ্যমে জেনেছি। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বিজি প্রেস থেকে বিসিএসের কোনো প্রশ্নপত্র আর ছাপানো হবে না।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত এখনও চলছে। তবে যতটুকু তথ্য-উপাত্ত আমরা পেয়েছি, তাতে পুরোপুরি ওই পরীক্ষাটি বাতিল করার মতো পর্যাপ্ত কারণ পাইনি।

পিএসসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, এখন সিআইডির তদন্তে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে পিএসসির পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর

সাত জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫




ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীকে রুটি-রুজির অংশ বানিয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কণ্ঠশিল্পী শেখ সাদি বললেন, ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমণিকে তাদের রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে। সম্প্রতি পরীমণির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন পিংকি আক্তার নামে তার এক গৃহকর্মী। ঢাকার ভাটারা থানায় অভিযোগও দিয়েছেন তিনি। পরীমণি ও গৃহকর্মীর এই ইস্যুতে চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। এমন অবস্থায় নায়িকার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার প্রেমিক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তরুণ গায়ক শেখ সাদী। পিংকি আক্তারকে তিনি মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের সমালোচনা করেছেন।

বেশ কয়েক মাস ধরেই নায়িকা পরীমণির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে শেখ সাদীর। প্রায়ই তাদের একসঙ্গে দেখা মেলে। দুজনের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, তারা প্রেমের সম্পর্কে আছেন। পরীমণি ও শেখ সাদীর সম্পর্কের বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে কয়েক মাস আগে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে জামিনদার হন শেখ সাদী। এর পর থেকে পরীমণি ও শেখ সাদী দারুণভাবে চর্চায় আসেন।

শেখ সাদী নিজের ফেসবুক পোস্টে কয়েকটি প্রশ্ন রেখে লিখেছেন, ‘একটু ভাবেন তো, অনলাইনে আপনার ছবি পোস্ট করে একজন জানাল, আপনি একজন রেপিস্ট! যার কোনো প্রমাণ নেই এবং ঘটনাটা অবাস্তব। এটা দেখার পর নিশ্চয়ই আপনার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠবে। ধরুন, এই পরিস্থিতিতে আপনি কোনোভাবেই সে পোস্ট সরাতে পারছেন না। মানুষ আপনার বাবা-মাকে ট্যাগ করছে। আপনার আত্মীয়স্বজনকে ট্যাগ করছে। আপনার পাশের বাসায় থাকা লোকটাও তা শেয়ার করে ছি ছি করছে। কিন্তু আপনার কিচ্ছু করার নাই। আপনি কয়জনকে বোঝাবেন? মিডিয়ার এই ভিউ ব্যবসার ফাঁদে বন্দী হয়ে যদি আপনার সম্মানহানি হয়, আপনার করারও কিছু থাকে না। তখন আসলে আপনার পরিস্থিতিটা কী হতে পারে, একবার কি ভেবেছেন?’

পরীমণির সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে ফেসবুক পোস্টে শেখ সাদী লিখেছেন, ‘আপনাদের জীবনে এমনকি কখনো হয় নাই যে আপনি কোনো কাজ ঠিকমতো করার পরও আপনার প্রতি ক্ষোভ বা জেদের বশবর্তী হয়ে মিথ্যা ছড়ানো হয়েছে? সত্য জানার আগেই মিডিয়ার কিছু ক্ষোভ বা বানোয়াট গল্পকে আপনি সত্য ধরে নিয়ে পরীকে বুলিং করছেন। একবারও কি মনে হলো না, সে একজন প্রতারক বা বড় মাপের মিথ্যাবাদী? সেটা যাচাই ছাড়াই সস্তা ভিউয়ের জন্য এসব প্রচার করলেন।

এখানে তো আমার বা সৌরভের কথা আসার প্রশ্নই আসে না। তাই এটা পরিষ্কার যে উক্ত ঘটনার মূল উদ্দেশ্য পরীকে হেয় করা। আর পরীর সঙ্গে আমি ও আমার পরিবার, মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি, যেটা আমি আর আমার পরিবার ডিজার্ভ করি না। পরী আপনাদের ভালোবাসার জন্যই আজ একজন সুপারস্টার। কিন্তু তার উপহারস্বরূপ যেকোনো বিষয়ে তার ব্যক্তিগত জীবনকে টেনে তাঁকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়! কিছু ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীর জীবনের খবরকে বানিয়েছে তাদের রুটিরুজি অংশ! তারা ভুলে যায়, নায়িকা চরিত্রের বাইরেও পরী একজন নারী, একজন মা ও সবার ঊর্ধ্বে সে একজন মানুষ।


আরও খবর

সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা

বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫




সাম্যের নিদর্শন স্থাপনে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশের মুসলমানরা পালন করছেন বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এক মাস রোজা পালন শেষে আজ জামাতে ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শুরু করেছেন ঈদ উদযাপন।

ধনী-গরিব এক কাতারে দাঁড়ানো, আনন্দে ভেসে সাম্যের নিদর্শন স্থাপনই পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এভাবেই ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে পুরো দেশজুড়েই।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব ঘিরে মুমিন হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দের ঢেউ। কারণ ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি ভাগাভাগি করা। ঈদ মানে আত্মত্যাগের মহিমায় নিজেকে শাণিত করা।

রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সুসংবাদ নিয়ে আসে। মুসলমানরা সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেদের পরিশুদ্ধ এবং পরকালের জীবনকে সমৃদ্ধ করেন। পার্থিব জীবনে মুসলমানদের জন্য এটা অনেক বড় আনন্দের বিষয়। আরও আনন্দের বিষয় হচ্ছে মাহে রমজান শেষে খুশির ঈদ। কারণ এই ঈদ ফিতরা দিয়ে গরিবের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। ঈদ ধনী-গরিবের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে। ঈদ ধর্মীয় উৎসব হলেও এটি মূলত গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠান।

ঈদ উদযাপনের অংশ হিসেবে রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ও মোকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঈদ জামাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ নামাজ আদায় করেন। একইভাবে ঢাকায় বিভিন্ন এলাকাসহ সারা দেশের মসজিদে, ঈদগাহে ঈদের জামাতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সকলকে আনন্দময় ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। আশা করি ঈদের সময়, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আপনাদের বাড়িতে যেতে পারবেন এবং আপনাদের পরিবারের সাথে আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করবেন।’

তিনি দেশের জনগণকে তাদের আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করার, দরিদ্র পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার এবং তাদের ভবিষ্যৎ কীভাবে উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বলেন, আপনার সন্তানদের আত্মীয়স্বজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন- এটাই আমার ইচ্ছা। এছাড়াও তিনি ঈদের নামাজের সময় যেকোনো মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও পরাজিত শক্তির সব উসকানির মুখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় থাকার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা প্রার্থনা করেন, সকলের জীবন অর্থপূর্ণ ও আনন্দে ভরে উঠবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে সাহায্য করবেন।

অন্যদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।

তাছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামাত শেষে সকাল ৯টায় ঈদ আনন্দ মিছিল শুরু হয়। ঈদ মিছিলটি পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ঈদ মিছিলটি ছিল বর্ণাঢ্য। মিছিলের সামনে শাহী ঘোড়া ও সামনে-পেছনে ২০টির মতো ঘোড়ার গাড়ি ছিল। ব্যান্ড পার্টি সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাস সম্বলিত চিত্রকলাও ছিল। নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই ঈদ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে ঢাকার ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

এ ছাড়া সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে মিছিল গিয়ে শেষ হওয়ার পর সেখানেই হচ্ছে সংক্ষিপ্ত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শিল্পীরা ঈদের গান পরিবেশন করছেন। থাকছে বাউলশিল্পীদের পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময়ে সাধারণ মানুষদের আপ্যায়ন করা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এসময় ঈদের সেমাই, মিষ্টি ও বাতাসা খেতে পারছেন। পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটির ঈদ আনন্দ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলা। ঈদের দিন ও এর পরদিন এ মেলা হবে বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে। মেলায় বিভিন্ন পণ্যের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ২০০টির বেশি স্টল থাকবে। দুই দিনই মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা থাকবে। খেলাধুলার জন্য রাখা হবে বিভিন্ন খেলার সামগ্রী।


আরও খবর

সাত জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫




নওগাঁয় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হত্যা রহস্য উদর্ঘাটনসহ মূলহোতাকে আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আব্দুর জব্বার হত্যা রহস্য উদঘার্টন পূর্বক মূলহোতাকে আটক করেছে। একই সাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে মান্দা থানাধীন কশব মধ্যপাড়া তালপুকুরিয়া বিলের মাঝে ধান ক্ষেতের ভেতর অর্ধ-গলিত এক ব্যাক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে লোকজন থানায় খবর দিলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে মৃতদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার পাশাপাশি হত্যা রহস্য উদঘার্টনেও কাজ শুরু করেন মান্দা থানা পুলিশের চৌকস টিম এবং মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ দিন 

বুধবার রাতে মান্দা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কশব ভোলাগাড়ী বাজার এলাকা থেকে আব্দুল জব্বার হত্যার মূলহোতা আমিনুল ইসলাম বুলবুল (২২) কে আটক পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আমিনুল ইসলাম বুলবুল আব্দুল জব্বারকে লাঠিদিয়ে আঘাত করে হত্যায় দায় শিকার করেন পুলিশের কাছে। আটককৃত আমিনুল ইসলাম বুলবুল এর দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লাঠিও উদ্ধার করেছেন পুলিশ। 


আটককৃত যুবক আমিনুল ইসলাম বুলবুল হলেন, মান্দা থানাধীন কশব ভোলাগাড়ী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আর হত্যাকান্ডের শিকার আব্দুল জব্বার হলেন, মান্দা উপজেলার নূরুল্যাবাদ গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে। তিনি গত শুক্রবার বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিলো। এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, আব্দুল জব্বারের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ কাজ শুরু করে এবং ঐ দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে আটক করার পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং

লাঠির আঘাতে আব্দুল জব্বারের মৃত্যু হয়েছে বলেও পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার স্বীকারোক্তি ও তার দেখানো স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জাহানারা বিবি বাদি হয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বৃহস্পতিবার আমিনুল ইসলাম বুলবুল কে নওগাঁ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ।


আরও খবর