Logo
শিরোনাম

ইমরানের বাড়িতে ‘সন্ত্রাসী’ পেল না পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়িতে কথিত ৩০-৪০ সন্ত্রাসী খুঁজতে ঢুকে বিস্কুট ও পানি ছাড়া আর কিছুই পায়নি পুলিশ। তাদের হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। শুক্রবার (১৯ মে) লাহোরে জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশি অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন ইফতিখার ঘুমান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, লাহোরের কমিশনার মোহাম্মদ আলি রনধাওয়া, ডেপুটি কমিশনার রাফিয়া হায়দার, ডিআইজি অপারেশন সাদিক ডোগার এবং এসএসপি অপারেশন সোহাইবের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করে সমঝোতা করেন। তার বাসভবনে তল্লাশির জন্য পাঞ্জাব পুলিশ পরোয়ানা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

পাঞ্জাব পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বাড়িটির প্রবেশ ও প্রস্থান উভয় গেট দিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালানো হবে, যার প্রাথমিক লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা।

তবে ইমরানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতিখার ঘুমান বলেছেন, তল্লাশি শেষে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে পুলিশকে।

বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি মনে করি তারা বুঝতে পেরেছে, এখানে কিছুই নেই। তারা শুধু পানি আর বিস্কুট পেয়েছে।

ইফতিখার বলেন, আমরা আপনাদের সামনেই তাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিলাম। এখন তাদের কাছেই জিজ্ঞাসা করুন তারা কী পেয়েছে?

গত বুধবার পাঞ্জাব সরকার দাবি করে, ইমরান খানের বাড়িটিতে ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের হস্তান্তর করার জন্য ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। তবে ডেডলাইন পেরিয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অবশ্য লাহোর ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) বিলাল সাদ্দিক কামিয়ানা দাবি করেছেন, পিটিআই প্রধানের জামান পার্কের বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করা ছয় সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।


আরও খবর



মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় ভ্যাট মওকুফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর মূল্য সংযাজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ অব্যাহতি কার্যকর থাকবে।

সম্প্রতি রাজস্ব বোর্ডের এক বিশেষ আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক গণপরিবহন। মেট্রোরেল যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। মেট্রোরেল চালু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় গণপরিবহনকে অধিক জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এ গণপরিবহনে যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়ী করা প্রয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সালের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মেট্রোরেল সেবার ওপর আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এ আদেশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর হতে কার্যকর হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।

গত মার্চে যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর কোনো মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করে ভ্যাট ছাড় চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এমন অবস্থায় ডিএমটিসিএল থেকে ভ্যাট আদায়ে রাজস্ব বোর্ডের দিকনির্দেশনা চায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ)।

এনবিআরের আইন অনুযায়ী তাপানুকূল (এসি) ও নন-এসি রেলওয়ে সার্ভিসের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। তবে ডিএমটিসিএলের দাবি ছিল মেট্রোরেল এবং মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় যাত্রীসেবার ওপর কোনো ধরনের মূসক প্রযোজ্য হবে না।


আরও খবর



নওগাঁয় "সংবাদ লেখার কৌশল শীর্ষক কর্মশালা" অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৯৫জন দেখেছেন

Image

নওগাঁর মহাদেবপুরে সংবাদ লেখার কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মহাদেবপুর  ডাকবাংলো মিলনায়তনে মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২২ জন প্রতিনিধি নিয়ে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। 

এতে সভা প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি'র সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সাঈদ টিটো। রিপোর্টার্স ইউনিটি'র

সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুজ্জোহা মিলন এর সঞ্চালনায় রিসোর্স পারসন হিসেবে সংবাদ লেখার বিভিন্ন কৌশলের উপর প্রশিক্ষণ দেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি গৌতম কুমার মহন্ত ও যায়যায়দিন প্রতিনিধি ইউসুফ আলী সুমন।

এ কর্মশালায় মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহাদেবপুর প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ওয়াসিম আলী, প্রচার সম্পাদক সুজন হোসেন, সদস্য দৈনিক যায়যায়দিনের মান্দা প্রতিনিধি মাহবুবুজ্জামান সেতু, সদস্য সাইফুর রহমান সনি, মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর মেম্বার শহিদুল ইসলাম জি. এম. মিঠন, সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার বুলেট, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, অর্থ সম্পাদক এস, এম, শামীম হাসান, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক অহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী আবু হুরাইরা শিলন, দপ্তর সম্পাদক কাজী রওশন জাহান, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুর রহমান, কার্য নির্বাহী সদস্য মেহেদী হাসান, সোহেল রানা সোহেল, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।


আরও খবর



কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। বছর খানেক ধরে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী মাঠে আছে বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কিন্তু সম্প্রতি জেলা পর্যায়ে বিএনপির এক নেতার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাদের বিরূপ মন্তব্যকে দেশবিরোধী কাজ ও ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছে আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যে এবার সরাসরি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। বিএনপির নেতাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ শন্তিপূর্ণ কর্মসূচি বিএনপির নেতাদের সহ্য হয় না। আওয়ামী প্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আবার বিদেশিদের কাছেও নালিশ করে। বিএনপিকে মোকাবিলা করতে প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যন্ত সারা দেশে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে মাঠে থাকবেন ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মূলত, দ্বাদশ নির্বাচনে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। কিন্তু গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক জনসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। বিরোধী দলীয় নেতার এমন বক্তব্যের পরিপেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা। এই বক্তব্যের মধ্যমে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনার নীলনকশা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কর্মসূচি পালন করে। ভিন্ন ভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও বাকি সংগঠনগগুলো। এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে এ নির্দেশের পর ঢাকা মহানগরের দুটি বড় ইউনিট উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সব থানায় এ বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কঠোরভাবে মাঠে থাকবেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বড় দুই ইউনিট উত্তর ও দক্ষিণ। তারা আগামীতেও রাজনীতির মাঠে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নির্দেশে সোমবার মহানগরের অন্তর্গত প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। একইভাবে ঢাকা মহানগর উত্তরও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। সকাল থেকে নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে তারা বিকেলে মহানগরের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে মহানগরের থানা-ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগরের নেতারাও নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিরোধে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান করেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, বিএনপি সরকার উৎখাত করে নির্বাচনে আসতে চায়। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি তাদের (বিএনপি) গভীর ষড়যন্ত্র। বিএনপি ও তাদের দোসররা এখনো খুন-হত্যা থেকে বের হতে পারেনি। তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।

রাজধানীতে রবিবার এক শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকার পতনের এক দফার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এজন্য এখন থেকে শান্তি সমাবেশ নয়, সারা দেশে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আর শান্তি সমাবেশ নয়, তাদের প্রতিরোধ করা হবে। দলীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ অনুসারেই আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মাঠে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়।


আরও খবর



ধামরাইয়ে সেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে ধান কাটা কর্মসূচির উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন,স্টাফ রিপোর্টার:

ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের নয়ারচর এলাকায় শনিবার সকাল ০৯ টায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে    অসহায় কৃষকদের ধান কাটার শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আশীষ কুমার মজুমদার।

এসময় তিনি বলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ কোন কৃষকের যেন ধান মাঠে না থাকে তারই কর্মসূচি হিসেবে আজ বালিয়া ইউনিয়নের নয়ারচর এলাকার কৃষক মোঃ নাজমুল হাসান এর ৩৫ শতাংশ জায়গার ধান কেটে তার বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি, এভাবে প্রতিটি ইউনিয়ন ও এলাকায় যে সব কৃষক ধান কাটতে পারছেন না তাদের ধান কেটে আমরা বাড়ি পৌঁছে দেব। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইউসুফ হোসেন, ধামরাই উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন, আমতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, ধামরাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ জিয়া সিকদার, ধামরাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ওয়াসীম রেজা ও ধামরাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম সহ উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন নেতা কর্মী।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় মোখা: যেসব স্থান দিয়ে আঘাতের আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা ভোলা থেকে কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা সর্বোচ্চ। 

সোমবার (৮ মে) বিকেলে তিনি জানান, মোখার কেন্দ্রের অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত শুরু করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে (রোববার) দুপুরের পর থেকে মধ্য রাতের মধ্যে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা। ঘূর্ণিঝড় মোখার পেছনের অর্ধেক অংশ উপকূলে অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৫ মে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত। 

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত করার সময় এটি অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় কিংবা তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে উপকূল অতিক্রম করতে পারে উল্লেখ করে তিনি জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠার আশঙ্কা রয়েছে ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার (সমুদ্রে থাকা অবস্থায়) ও উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠার আশঙ্কা রয়েছে ১৩০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৭ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি জানান, আমেরিকার নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, গতকাল রাত ১২টার সময় ইনভেস্ট ৯১বি (INVEST 91B) এর অবস্থান ছিলও ৬ দশমিক ১ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। আজ সকাল ৭টার সময় জাপানের হিমাওয়ারি ৯ নামক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, ইনভেস্ট ৯১বি (INVEST 91B) এর কেন্দ্রের অবস্থান ৬ দশমিক ৫ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ইনভেস্ট বর্তমানে যে স্থানে অবস্থান করছে সেই স্থানে উলম্ব বায়ু শিয়ায়ের মান ১০ থেকে ১৫ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বায়ু শিয়ায়ের এই মান সমুদ্রপৃষ্ঠের এই তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সবচেয়ে আদর্শ অবস্থা। ইনভেস্ট ৯১ বি আগামী ২৪ থেকে ২৮ ঘণ্টা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইনভেস্টের কেন্দ্রে বায়ুচাপ ১০০৫ মিলিবার পরিমাপ করা হয়েছে। কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে ইনভেস্টের কেন্দ্রে বায়ুর গতিবেগ প্রায় ২৫ কিলোমিটার পরিমাপ করা হয়েছে। ইনভেস্ট ৯১ বি আগামীকালের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যা ১০ মে সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মে মাসের ১১ তারিখে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ১১ তারিখ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ১০ ও ১১ তারিখে। এরপরে ১২ মে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলের দিয়ে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কার কথা নির্দেশ করছে।

গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ছোট নৌকার জেলেদের জন্য ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা 

নিম্নচাপটি ১০ মে দিনের কোনো এক সময় পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। উপকূলীয় এলাকার কোনো জেলে ছোট নৌকা নিয়ে ৯ মে এর পরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গভীর বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে প্রাণ নিয়ে উপকূলে ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এরইমধ্যে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপের চারপাশে জেলেদের মাছ ধরা ও চলাচল না করার জন্য সতর্কতা জারি করেছে।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩