Logo
শিরোনাম

ইংল্যান্ডকে পাহাড়সম টার্গেট দিলো দ. আফ্রিকা

প্রকাশিত:শনিবার ২১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা উভয় দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম টস জিতে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার আগে ব্যাট করতে নেমে হেনরিখ ক্লাসনের বিধ্বংসী শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে এইডেন মার্করামের দল 

প্রোটিয়াদের হয়ে দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুইন্টন ডি কক রেজা হেনড্রিকস তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের প্রথম ওভারেই রিস টপলির বলে জস বাটলারের তালুবন্দী হন ডি কক শূন্য রানে সাজঘরে ফেরনে তিনি এরপর ক্রিজে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন মাঠে নেমে ইংলিশ বোলারদের দেখে শুনে খেলে ফিফটি পূর্ণ করে তিনি একই ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধ শতক তুলে নেন হেনড্রিকস

অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ডুসেন। আদিল রশিদের বলে জনি বেয়ারস্টোর তালুবন্দী হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৬০ রান করেন ব্যাটার। পরে বাইশ গজে আসেন প্রোটিয়া দলপতি এইডেন মার্করাম। তার সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়েন রেজা। ম্যাচের ২৬তম ওভারে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন রেজা। আউট হওয়ার আগে ৮৫ রান করেন ওপেনার

রেজার বিদায়ে ক্রিজে আসেন হেনরিখ ক্লাসেন তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন মার্করাম তবে ৬৯ রানের জুটি গড়ে প্রোট্রিয়া অধিনায়ক আউট হলে ভাঙে এই দুই জনের পার্টনারশিপ ৪৪ বলে ৪২ করেন তিনি এরপর উইকেটে আসেন মিলার তবে নামের পাশে রান যোগ করতেই দলীয় ২৪৩ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি   

ষষ্ট উইকেটে ব্যাটে আসেন মার্কো জানসেন তাকে সঙ্গে নিয়ে ইংলিশ বোলারদের ওপর তান্ডব চালাতে থাকে ক্লাসেন দ্রুত রান তুলতে থাকা এই ব্যাটার শতক তুলেনেন ৬১ বলে এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুত শতক করার তালিকায় ষষ্ট স্থানে নিজের জায়গা করে নেন ক্লাসেন 


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মেহজাবিন এর সিনেমা।

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ছোটপর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিনি কোন সিনেমায় কাজ করেছেন । নাম ‘সাবা’। অনলাইনে কিংবা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই সেই সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে মর্যাদাপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।

ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উৎসব বলা হয় টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিলোএই উৎসবের ৪৯তম আসর। চলছে টানা ১১ দিন। এই মর্যাদাপূর্ণ উৎসবেই দেখানো হয়েছিল মেহজাবিনের ‘সাবা’।


টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যেসব সিনেমা প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে, সম্প্রতি তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। সেখানে ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিশ্বের ২৪টি চলচ্চিত্রের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে মেহজাবিন অভিনীত বাংলাদেশি সিনেমা ‘সাবা’।

এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাকসুদ হোসেন। গত এপ্রিলে মেহজাবিনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘সাবা’র পোস্টার উন্মোচনের মধ্য দিয়ে সিনেমাটির খবর জানানো হয়। সেই খবরের তিন মাস পরেই  নতুন সুসংবাদ পেয়েছিলো।

‘মাটির প্রজার দেশে’র আরিফুর রহমান ও তামিম আবদুল মজিদের প্রযোজনায় ‘সাবা’র চিত্রগ্রহণে ছিলেন বরকত হোসেন পলাশ। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে মেহজাবিন ছাড়াও অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার এবং রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ। চলতি বছরের শেষ দিকে এটি মুক্তি পাওয়ার কথা।


আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রেমে পড়েছেন পরীমনি

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪




আইপিএলের নিলামে ১২ বাংলাদেশির নাম

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

২০২৫ সালের আইপিএলের মেগা নিলামের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় ১২ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নিলামে উঠতে যাওয়া ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল বাংলাদেশের ১৩ জনসহ সর্বমোট বিশ্বের ১ হাজার ৫৮৪ জন নিবন্ধন করে। যাচাই-বাছাই শেষে ৫৭৪ জনের নাম প্রকাশ করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৩৬৬ জন ভারতীয় এবং ২০৮ জন বিদেশি।

আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলো থেকেও ৩ জন ক্রিকেটার আছেন। নিলামে আছেন অভিষেক না হওয়া ৩১৮ জন ভারতীয়, অভিষেক না হওয়া ১২ জন বিদেশি ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ২০৪ জন ক্রিকেটার কিনতে পারবে, যেখানে বিদেশিদের জন্য জায়গা আছে ৭০টি।

বাংলাদেশের হয়ে আইপিএলে দীর্ঘদিন প্রতিনিধিত্ব করা সাকিব ও মুস্তাফিজ রয়েছেন ১২ জনের চূড়ান্ত তালিকায়। ৯ মৌসুম সাকিব আইপিএল মাতিয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতার জার্সি গায়ে তুলেছেন (২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত) সাত মৌসুম। এ সময়ের মধ্যে ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে ২২ গজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাকিব। বাকি দুই মৌসুম খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে।

অন্যদিকে বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজ ২০১৬ সাল থেকেই আইপিএলের নিয়মিত মুখ। এই দু’জন ছাড়া আইপিএলে আগে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন লিটন দাস। তিনি ২০২৩ সালে কলকাতার হয়ে এক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন।

এ ছাড়া চূড়ান্ত তালিকায় থাকা অন্য ক্রিকেটাররা হলেন রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান, মেহেদি হাসান, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। তাদের কারোরই আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাসকিনের প্রতি আইপিএলের কয়েকটি দলের আগ্রহ থাকলেও কোনো না কোনো কারণে শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের জেদ্দায় আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের ১৮তম আসরের মেগা নিলাম।


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নিত্যপণ্যের দাম কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও স্বস্তি ফেরেনি বাজারে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল, আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল ও ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড়, নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন, টিসিবি ও ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিবিষয়ক নীতিমালা যুগোপযোগী করাসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তারপরও বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে।

এতে নতুন করে দাম বাড়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে আটা, ময়দা, আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, মুরগি ও গরুর মাংস। মোটা চাল ও চিনির দাম সামান্য হলেও বেড়েছে। সবজির দাম এতদিন চড়া ছিল। কয়েক দিন ধরে কমছে। সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে ভোক্তারা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাজারে এখনো সিন্ডিকেট কাজ করছে। এই সিন্ডিকেটের কারণেই বাজার ব্যবস্থা রীতিমতো অসহায়।

বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যেকোনো উদ্যোগের কার্যকারিতা নির্ভর করে তার ফলাফলের ওপর। অন্তর্বর্তী সরকার মূল্য নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও ফলাফলের নিরিখে এখনো বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ মূল্যস্ফীতির চাপ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাজার শান্ত করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহে তথ্যগত ঘাটতি রয়েছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ বাড়ানো জরুরি। শুল্ক কমানো হলো; কিন্তু আমদানি বাড়ল না, তাতে সুফল পাওয়া যাবে না। চাল, পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের বাজারে শুল্ক কমানোর ইতিবাচক প্রভাব না পড়ার বড় কারণ আমদানি বৃদ্ধি না পাওয়া। নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখা ও এই ব্যাপারে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের যত দূর সম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনাটা জরুরি বলে মনে করেন তারা। এ ছাড়া টিসিবি ও খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে আরও বিস্তৃত পরিসরে নিত্যপণ্য বিক্রি করা দরকার, যাতে আরও বেশি মানুষ সুফল পান।

জানা গেছে, সরকার খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি বাড়িয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল—এই পাঁচ মাস ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার আগের কর্মসূচি চালু রাখা হয়েছে। সুলভ মূল্যে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা পেঁপে ও বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজিসহ প্যাকেজ আকারে ১০টি কৃষিপণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। ১৫ অক্টোবর শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের নাম ‘কৃষি ওএমএস কর্মসূচি’।

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। আগে পেঁয়াজ বিক্রি করা হলেও আপাতত বন্ধ। এর বাইরে টিসিবি ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। তবে টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে অনেককেই ফেরত যেতে হয়। এ কার্যক্রম শুধু শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঝারি চাল, নন-ব্র্যান্ড খোলা সয়াবিন তেল, পাম তেল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও এলাচের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্যমূল্য স্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে।

এ বছরের নভেম্বরের শুরুতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন বা ২৬ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ওই প্রতিবেদনে ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এজন্য অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণগুলোকে দায়ী করেছে। এর মধ্যে একটি কারণ হলো আমদানি কমে যাওয়া। অভ্যন্তরীণ কারণগুলোর মধ্যে আছে বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি, এ সময়ে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া বাজার সিন্ডিকেট আরেকটি কারণ। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দায় ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলে ৮০০ থেকে ৮১০ টাকা ও খোলা পামঅয়েলে ১৪৪ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের হালি ৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর সুত্রাপুর বাজারে মেসার্স আদনান অ্যান্ড আরাফাত ট্রেডার্সের মালিক মো. ফারুক বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে, মানুষ খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে লড়াই করছেন। বেশির ভাগ ভোক্তা চাহিদার তুলনায় পণ্য কম নিচ্ছেন। আগে যারা পাঁচ কেজি আটা কিনতেন, তারা এখন দুই থেকে তিনি কেজি আটা কিনছেন। অন্যান্য পণ্যও কেনা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন।

রায়সাহেব বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি। মাসে যে টাকা আয় করি তার অর্ধেক চলে যায় বাসা ভাড়ায় আর বাকিটা যায় বাজার খরচে। মাস শেষে আবার ঋণও করতে হচ্ছে। এভাবে চলা যায় না। সরকার বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিলেও কোনো কাজে আসছে না কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে। তারা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারা হঠাৎ বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। পরে দাম বাড়িয়ে বাজারে নতুন করে পণ্য ছাড়ে। যেটা বিগত সরকারের সময়ও আমরা দেখেছি। বর্তমান সরকারের কাছে এসব প্রত্যাশা করিনি। এক্ষেত্রে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারকে যত রকমের বংবস্থা আছে নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে অন্তত ছয় ধরনের নিত্যপণ্যের এলসি কম খোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল, পেঁয়াজ, ছোলা, পরিশোধিত চিনি ও খেজুর। ঋণপত্র খোলা বেশি কমেছে পেঁয়াজের। গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পেঁয়াজ আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে দুই লাখ টনের কাছাকাছি। অবশ্য সয়াবিনের বীজ, মসুর ডাল ও অপরিশোধিত চিনি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা বেড়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সয়াবিন তেল, পাম অয়েল ও পেঁয়াজের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। চলতি অর্থবছরের গত তিন মাসে ৩ লাখ ৩২ হাজার টন পাম তেল আমদানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। এ সময়ে অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫১ শতাংশ কম। কমেছে পেঁয়াজের আমদানিও। গত তিন মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল সাড়ে ৩ লাখ টন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কী কারণে পণ্যগুলোর আমদানি কম হয়েছে, সরকারের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা। তা না হলে পণ্যগুলোর দামের লাগাম টেনে ধরা কঠিন হবে। ইতোমধ্যে এসব পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেল, পাম তেল, চিনি ও গমসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ৯৪ ডলার বেড়েছে। একই সময়ে সয়াবিন তেলের দাম টনপ্রতি ৫১ ডলার, গমের দাম ১৩ ডলার এবং চিনির দাম টনপ্রতি চার ডলার বেড়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জানিয়েছে, পণ্য উৎপাদন খরচের ক্রমাগত উচ্চ মূল্য, অদক্ষ বাজার ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহনের উচ্চ হার, বাজার আধিপত্য ও উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে প্রবেশাধিকার স্বল্প সুযোগ ইত্যাদি কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

ডিসিসিআই সুপারিশ করেছে, মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতা কমিয়ে ও অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। বিশেষ করে যেসব পণ্যের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য নেই। এ ছাড়া স্থানীয় ও আমদানি করা খাদ্যপণ্যের নগদ মেমোর জন্য ট্র্যাকিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমাতে সার, তেল ও বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া বলেন, সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোতে ব্যাবসায়ীরা লাভবান হলেও ভোক্তা পর্যায়ে গিয়ে সে সুবিধাটা পৌঁছাচ্ছে না। একটা শ্রেণি চায় না পণ্যের দাম কমুক। এজন্য পণ্যের দাম কমছে না। তারা অতিমুনাফা করার জন্য এটা চায় না। সরকার অনেক পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে, আমদানির অনুমতি দিয়েছে, টাক্সফোর্স গঠন করেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে, টিসিবির মাধ্যমে সুলভমূল্যে পণ্য দিচ্ছে। সরকার আর কী উদ্যোগ নেবে?

তিনি বলেন, মূলত অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই পণ্যের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট আছে, যেটা বিগত সরকারও ভাঙতে পারেনি। তখন আমরা মনে করেছি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আতত আছে দেখে তারা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে নাই। কিন্তু বর্তমান সরকারের সঙ্গে তো ব্যবসায়ীদের কোনো আঁতাত নেই। তারপরও তারা কারসাজিকারীদের বা সিন্ডিকেট যারা করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি। যদি দুই-একজন ব্যবসায়ীকে শাস্তির আওতায় আনতে পারতো তাহলে বাজার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতো বলে আমি মনে করি।

ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা সবাই জানি সিন্ডিকেট কারা করে, সেক্ষেত্রে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। সরকার কঠোর হচ্ছে না বিধায় ব্যবসায়ীরা সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে, তারা ভোক্তাদের পকেট খালি করার সুযোগ পাচ্ছে। সরকারের অনেক সংস্থা রয়েছে অথচ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া আর কেউ কোনো কাজ করছে না।

সিন্ডিকেটের পাশাপাশি কর্পোরেট ব্যবসায়ীরাও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মজুদ করে বা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা রীতিমতো ভোক্তাদের লুট করে নিচ্ছে। এটা কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের খারাপ একটা অভ্যাস। একই সঙ্গে পরিবহন ভাড়া নিয়েও কারসাজি করা হচ্ছে। ১৫ হাজার টাকার ট্রাক ভাড়া এখন ২০ হাজার টাকা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের একটু স্বস্তি দিতে পারে টিসিবির পণ্য, সেখানেও দীর্ঘ লাইন, চাহিদার তুলনায় পণ্য কম। এ জায়গায় টিসিবির কার্ডের সংখ্যা ও পণ্য আরও বাড়ানো অনুরোধ করেন তিনি।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




সংস্কার প্রস্তাব জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশকে কিভাবে পুনর্গঠন করতে চায় বিএনপি তারই অংশ হিসেবে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংস্কার প্রস্তাব শুধু দলীয় কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, প্রতিটি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যদি কারও তাতে আপত্তি বা প্রস্তাবনা থাকে; তাহলে ৩১ দফা থেকে সংস্কার কিংবা সংযোজন করা হবে। বিএনপির ওপর জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে দলের কর্মীদের বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রোববার রাজধানীর ক্ষিলখেত এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মীসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের সমর্থনকে যে কোনোভাবে অর্থাৎ ইতিবাচকভাবে বিএনপির পক্ষে রাখতে হবে। জনগণ যেভাবে বলবে, সেভাবেই পরিচালিত হতে হবে।

তিনি বলেন, হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান নয়, মানুষও তা একরকম হয় না। ৫ আগস্টের পর গত চার মাসে দলের কিছু নেতাকর্মী বিভ্রান্ত হয়েছেন, বিভ্রান্ত করছেন। যে কারণে তাদের অনেকের কাজকর্ম সাধারণ মানুষ পছন্দ করছেন না।

বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ মানুষের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। যদি লক্ষ্য অন্যকিছু হয়ে থাকে, তবে দু’দিন পর ছিটকে পড়ে যাবেন, জনগণের সমর্থন থেকে ছিটকে পড়বেন, তাদের আস্থা থেকে দূরে সরে যাবেন৷ তাই সবাইকে জনগণের আস্থা ও সম্মান এবং সমর্থন ধরে রেখতে কাজ করতে হবে। জান-প্রাণ দিয়ে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ভালোবাসা ধরে রাখতে হবে।


আরও খবর

লন্ডনে তারেক রহমান ও ফখরুলের বৈঠক

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা শহরের সুলতানপুর মহল্লায় এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির পাশে জমি নিয়ে বিরোধ ও সেই জমিতে রোপন কৃত গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এই হত্যাকান্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। প্রকাশ্যে কুপিয়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটে বুধবার সকালে।

স্থানীয় সুত্র জানান, বাড়ির পাশে একটি জমির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী মান্নানের সাথে নজরুলের দীর্ঘ দিনের দন্দ চলছিলো। বুধবার সকালে নজরুলের রোপন করা কয়েকটি আম গাছ মান্নান কাটলে এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ বাধে।  বিবাদের এক পর্যায়ে মান্নান ধারালো ছুড়ি-বটি দিয়ে নজরুল কে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুল কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় নজরুল। নিহত নজরুলের বোন আঞ্জুয়ারা অভিযোগ করে বলেন, দ্বন্দ্বের জেরে মান্নান ও তার পরিবারের লোকজন প্রায়ই নজরুল কে হত্যার হুমকি দিতো। সেই উদ্দেশ্য থেকে তারা পরিকল্পিত ভাবে ঝগড়ায় জড়িয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচারও দাবি করেন তিনি।

এহত্যাকান্ডের খবর পেয়ে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মান্নান, নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করার পস্তুতি চলছে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটক পূর্বক আইনের আওতায় নিতে পুলিশ কাজ করছে।


আরও খবর