বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। উভয় দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম টস জিতে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। আগে ব্যাট করতে নেমে হেনরিখ ক্লাসনের বিধ্বংসী শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে এইডেন মার্করামের দল।
প্রোটিয়াদের হয়ে দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিকস।
তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। প্রথম ওভারেই রিস টপলির বলে জস বাটলারের তালুবন্দী হন ডি কক । শূন্য রানে সাজঘরে ফেরনে তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। মাঠে নেমে ইংলিশ বোলারদের দেখে শুনে খেলে ফিফটি পূর্ণ করে তিনি। একই ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধ শতক তুলে নেন হেনড্রিকস।
অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ডুসেন। আদিল রশিদের বলে জনি বেয়ারস্টোর তালুবন্দী হন
তিনি। আউট হওয়ার আগে ৬০
রান করেন এ
ব্যাটার। পরে বাইশ গজে আসেন প্রোটিয়া দলপতি এইডেন মার্করাম। তার সঙ্গে ৩৯
রানের জুটি গড়েন রেজা। ম্যাচের ২৬তম ওভারে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন
রেজা। আউট হওয়ার আগে ৮৫
রান করেন এ
ওপেনার।
রেজার বিদায়ে ক্রিজে আসেন হেনরিখ ক্লাসেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন মার্করাম। তবে ৬৯ রানের জুটি গড়ে প্রোট্রিয়া অধিনায়ক আউট হলে ভাঙে এই দুই জনের পার্টনারশিপ। ৪৪ বলে ৪২ করেন তিনি। এরপর উইকেটে আসেন মিলার। তবে নামের পাশে ৫ রান যোগ করতেই দলীয় ২৪৩ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ষষ্ট উইকেটে ব্যাটে আসেন মার্কো জানসেন।
তাকে সঙ্গে নিয়ে ইংলিশ বোলারদের ওপর তান্ডব চালাতে থাকে ক্লাসেন। দ্রুত রান তুলতে থাকা এই ব্যাটার শতক তুলেনেন ৬১ বলে। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুত শতক করার তালিকায় ষষ্ট স্থানে নিজের জায়গা করে নেন ক্লাসেন।