মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের
সঙ্গে আলোচনা শেষে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ গাজায় লড়াই শেষ করার জন্য
পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছেন। তবে রাজার সঙ্গে আলোচনায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি
চাননি বাইডেন। তিনি চান- ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি। এছাড়া হামাসকে নির্মূল করতে
ইসরায়েলকে সময় দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও
১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়
আব্দুল্লাহকে পাশে নিয়ে বাইডেন বলেন, গাজার দক্ষিণে রাফা শহরে ইসরায়েল যে আক্রমণের
প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাতে যেন বেসামরিক মানুষদের অবশ্যই নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, জর্ডানের রাজা যেকোনো অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন। খবর রয়টার্সের
বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ভূখণ্ডের যুদ্ধে অন্তত ছয় সপ্তাহের বিরতির জন্য
আলোচনা চালাচ্ছে। এই সাময়িক বিরতি আরও বিস্তীর্ণ একটি সমঝোতার অংশ হিসেবে আলোচিত
হচ্ছে, যার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে জর্ডানের রাজা
বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন। এই যুদ্ধের অবসান হতেই
হবে।
গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে
গাজায় ইসরায়েল যে হামলা চালাচ্ছে সেটি বন্ধ করার জন্য দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ বারবার
পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিয়েছেন। সেই আক্রমণের পর বাইডেনের সাথে প্রথম
সামনা-সামনি বৈঠকে জর্ডানের রাজা বলেন, রাফার উপর ইসরায়েলের হামলা এই বিশ্ব মেনে
নিতে পারে না। এটা আরেকটি মানবিক বিপর্যয় নিয়ে আসবে। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এটা আর
চলতে দিতে পারি না।
অবরুদ্ধ গাজা
উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত
হয়েছে সোমবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় ২৪ ঘন্টায় ১৬৪
জনকে হত্যা করেছে। এই সময় ১৯টি পরিবারে গণহত্যা চালিয়েছে তারা। আহত হয়েছেন আরও ২০০
জন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছে কারণ
উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।
৭ অক্টোবর থেকে হামলায়
এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ জন। আহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৯৮৪ জন।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান গাজাকে ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত, ধ্বংস এবং খাদ্য, পানি ও
আশ্রয়ের ঘাটতির দিকে পরিচালিত করেছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষোভ
সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে।
সেখানে এখন তারা বিমান হামলা চালাচ্ছে। সেখানে সীমিত জায়গার মধ্যে গাজার ২৩ লাখ
মানুষের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ কোনো না কোনো ধরনের আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে।